Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বর্ণাশ্রম
ভগীরথ মিশ্র

—আমরা কিছো খাব নাই কাকা?
পড়ন্ত দ্বিপ্রহরে গভীর জঙ্গলের মধ্যিখানে ভারী অসহায় দৃষ্টি মেলে প্রশ্নটা শুধিয়ে বসে নয়ন। একরাশ প্রত্যাশা ছিল ওই দৃষ্টিতে। নয়নের ওই প্রত্যাশা-মাখানো দৃষ্টিটাই মতিলাল বাউরিকে যারপরনাই বিপন্ন করে তোলে।
আসলে, বাড়ির পুরনো মাইন্দার হলে কী হবে, মতিলাল বাউরি তো নয়নদের গোটা পরিবারের কাছে আপনজনেরও বাড়া। ওরই কোলেপিঠে বেড়ে ওঠা। নয়ন তো ছেলেবেলা থেকে ওকে আপন কাকা বই কিছু ভাবতেই পারে না। সেই জ্ঞান হওয়া থেকে তো দেখছে লোকটাকে। নয়নদের পরিবারের বিপদে-আপদে দু’চোখে আপনজনের চেয়েও অধিক আশঙ্কা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বারবার। বাড়ির লোকজন থমকে যায়, কিন্তু মতিলাল বাউরি হাল ছাড়ে না। তখন ওকে দেখে কে বলবে যে, লোকটা নয়নদের বাড়িতে স্রেফ সংবৎসরের মাইন্দার বই কিছু নয় এবং জাতে বাউরি হওয়ার কারণে, নয়নদের মতো ভট্‌চাজ-বাড়ির অন্দরমহলে তার প্রবেশাধিকার পর্যন্ত নেই। ওই বাড়ির কাপড়-চোপড়, বিছানাপত্তর পর্যন্ত ছোঁয়াছুঁয়ি বারণ। 
নিজে পুরোপুরি নিরক্ষর হলেও মানুষটি মনেপ্রাণে চেয়েছে, নয়ন পড়েশুনে মহা-দিগগজ হোক। সম্ভবত সেই কারণেই, একেবারে শিশুকাল থেকেই, সুযোগটি পাওয়ামাত্র, ঠিক বাচ্চাকে মোয়ার লোভ দেখানোর ভঙ্গিতে  বলত, ‘তুয়াকে কিন্তু মন দিয়ে লিখাপড়া কইরতে হব্যেক বাপ। অনেক ...অনেক লিখাপড়া শিখ্যে, দিগগজ হইয়্যেঁ, এই দোনিয়ায় পাঁচজনা’র একজন হইয়্যেঁ উঠতে হব্যেক।’ 
এভাবেই নয়নের গোটা শৈশব-কৈশোর জুড়ে সুযোগ পেলেই লোকটা নয়নের বুকের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার বীজটি পুঁতে দিতে চেয়েছে বারংবার।   
মাধ্যমিক পরীক্ষার তখন মাস তিনেক বাকি। আচমকা প্রবল জ্বরে পড়ল নয়ন। ডাক্তার-কোবরেজ, হোমিও-অ্যালো, কোনও-কিছুতেই যখন ছাড়ছিল না সেই জ্বর, তখন মতিলালই পরামর্শ দিয়েছিল নয়নের মাকে, কি না, চিকিচ্ছা যেমনটি চইলছে, চলুক। ওইসঙ্গে ভালুকডিহির বাবা-কালুয়াষাঁড়ের নামে একটা মানত কর বউদিমণি। এক্কেরে জাগ্রত ঠাকুর। দু’দিনেই নয়নের জ্বর ছেইড়ে যাব্যেক। 
কোথায় ভালুকডিহি গাঁ, সত্যি সত্যি সেখানে কোনও কালুয়াষাঁড়ের থান রয়েছে কি না, থাকলেও কতখানি জাগ্রত সেই ঠাকুর, এসবের কিছুই জানা ছিল না কারওরই। কিন্তু যেহেতু পরামর্শটা দিয়েছে খোদ মতিলাল বাউরি, কাজেই নয়নের মা সুলতা তৎক্ষণাৎ সদর-পুকুরে তিন ডুব দিয়ে ভিজে কাপড়ে মানত করে ফেললেন ওই অজানা ঠাকুরের কাছে।  
ওষুধপত্তর খেয়ে জ্বর তো ছেড়ে গেল দু’দিনেই। মাধ্যমিক পরীক্ষাও ভালো মতো দিল নয়ন। পরীক্ষান্তে, একটি শনিবার দেখে, ব্রাহ্মমুহূর্তে কাকা-ভাইপোতে রওনা দিয়েছিল কালুয়াষাঁড়ের থানে।   
দুই
উপস্থিত, নয়নের প্রশ্নটা যারপরনাই বিপন্ন করে তোলে মতিলাল বাউরিকে। এদিক-ওদিক তাকিয়ে বুঝি নয়নের প্রশ্নেরই জবাব খুঁজে বেড়ায় সে।  
বাস্তবিক, সকাল থেকেই তো ওরা তিনজনেই ছিল অভুক্ত। নয়ন আর মতিলাল বাউরি তো বটেই, সঙ্গে ছিল তৃতীয় প্রাণীটিও। ডাগর একটি ষাঁড়া-মোরগ। মোরগটা আজ ব্রাহ্মমুহূর্তেও নয়নদের বাড়ির সদর-কুঠুরিতে ময়ূরকণ্ঠী গলা ফুলিয়ে বারংবার ডাক পেড়েছিল সম্ভবত নয়নের মায়ের উদ্দেশে, কি না, ‘উঠ না রে...বউ...।’
একসময় নয়ন আর মতিলাল বাউরির সঙ্গী হয়েছিল সে। সেও ছিল অভুক্ত। এই যাত্রায় তারও কিছু কম ভূমিকা ছিল না। দু’দিনের মধ্যে নয়নের জ্বর সারিয়ে দেবার জন্য বাবা-কালুয়াষাঁড়ের উদ্দেশে মানত-শোধের নৈবেদ্য ছিল সে। 
তো, সাকুল্যে তিনটি প্রাণী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সেই ভোরে। বাসে চেপে রানিবাঁধ পর্যন্ত। 
রানিবাঁধ বাজারে মতিলাল কিনে নিয়েছিল এক বোতল মহুয়া। তারপরই ওরা ধরেছিল জঙ্গলের পথ। সেই জঙ্গল ক্রমশ গভীর হতে হতে দুর্ভেদ্য হয়েছিল। জঙ্গলের মধ্যে বনবাসী শবরদের পর্ণকুটিরগুলোর হতদরিদ্র ছবি হয়ে ফুটে উঠছিল মাঝেমাঝেই। 
কালুয়াষাঁড়ের থানে যখন পৌঁছল তিনটি প্রাণী, সূয্যিদেব তখন মাথার ওপর। 
প্রাচীন মহুল গাছের গুঁড়িতে ঠেসানো একটি বিশাল আকারের মাকড়া-পাথরের চাঙড়। শরীরে দীর্ঘকাল রক্ত মেখে মেখে এখন কুচকুচে কালো রং ধারণ করেছেন। তাতেই নাম কালোষাঁড়। অপভ্রংশে কালুয়াষাঁড়। 
পূজারিটি জাতে শবর। নাম, পুশুপতি। অল্প দূরে শবরদের একটি ছোট্ট পল্লিতেই থাকে সে । 
মতিলালদের দেখামাত্র মহা উৎসাহে এগিয়ে আসে পুশুপতি। তোবড়ানো এনামেলের ঘটি ভরে জল নিয়ে আসে। ছিটিয়ে দেয় মহুল গাছের গোড়ায়। বাবা-কালুয়াষাঁড়ের ওপরও ঢেলে দেয় গণ্ডুষ পরিমাণ জল। তারপর মতিলালের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় মোরগটিকে। বাবা-কালুয়াষাঁড়ের দেহের ওপর প্রাণীটাকে চেপে ধরে নিমেষের মধ্যে দা দিয়ে কেটে ফেলে ওর গলার নলি। খানিক ছটফট করতে করতে একসময় নিথর হয়ে যায় প্রাণীটা। রক্তে ভেসে যায় পাথরের বুক। মুন্ডুটা পড়ে থাকে ঠাকুরের দেহের ওপর। পুশুপতি ধড়টা ছুড়ে দেয় অল্প দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মতিলালদের দিকে। 
ততক্ষণে মতিলাল বাউরি আশপাশের শালগাছ থেকে ছিঁড়ে ফেলেছে একগাছা শালপাতা। বুনো কাঁটা ফুঁড়ে ফুঁড়ে বানিয়ে ফেলেছে প্রকাণ্ড এক খালা। ষাঁড়া-মোরগের লাশটাকে ভক্তিভরে ওই খালা’র মধ্যে পুরে দিয়ে নিজের ময়লা গামছায় কষে বাঁধে।
ঠাকুরের প্রস্তরদেহটি জুড়ে তখন ঢাল অনুসারে অনেকগুলি রক্তের স্রোত। মতিলালের থেকে মহুয়ার বোতলটা চেয়ে নিয়ে অর্ধেকখানি মদ ওই রক্তের ওপর ঢেলে দেয় পুশুপতি শবর। বাকিটা রেখে দেয় পাশটিতে। ঠাকুরের পূজারি হিসেবে পারিশ্রমিক বাদেও প্রসাদি-মদটাও ওরই প্রাপ্য। 
পারিশ্রমিক বাবদ নগদ পাঁচ সিকে মিটিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায় মতিলাল বাউরি। ততক্ষণে সূয্যিদেব মাথার ওপর থেকে হেলে পড়েছেন।  
এখন আর তিনটি প্রাণী নয়। এখন কেবল দু’জন। নয়ন আর মতিলাল বাউরি। সঙ্গের ডাগর ষাঁড়া-মোরগটি, এই মুহূর্তে সে বাবা-কালুয়াষাঁড়ের প্রসাদ! তার মুন্ডুহীন ধড়টা শালপাতার খালার মধ্যে মোড়াচোড়া হয়ে মতিলাল বাউরির ময়লা গামছায় পুঁটলিবন্দি। বাড়ি পৌঁছলে তেল-মশলাসহ হয়ে যাবে কালুয়াষাঁড়ের প্রসাদি মাংস। নয়নদের বাড়ির সবাই চেটেপুটে খাবে ওকে।  
কিন্তু সেটা তো ঘটবে সেই রাতের বেলায়। উপস্থিত, নয়নের অসহায় প্রশ্নটার কী জবাব দেয় মতিলাল? ওইটুকুন বাচ্চা, ভোর থেকে পড়ন্ত দুপুর পর্যন্ত অভুক্ত! তা বাদে মতিলাল তো জানেই, নয়নটা খিদে সইতে পারে না একটুও। 
—খাবি বাপ।
খুব মিনমিনে গলায় জবাব সারে মতিলাল বাউরি, ‘আগে রানিবাঁধ বাজারে পৌঁছতে দে। তার আগে, এই ধুম জঙ্গলে খাইদ্য-খাবার কুথা পাবি বাপ?’ 
খিদের চোটে নয়নের মাথাটা ঝিমঝিম করছিল। মিনমিনে গলায় বলে, ‘উই যে ঝুপড়ি-ঝুপড়ি ঘরগুলান, উয়াদ্যার পাশ কিছো মিলব্যেক নাই?’ 
—ছিঃ!
মতিলাল স্পষ্টতই আঁতকে ওঠে, ‘উয়ারা হইল্যাক জাতে শবর। বামুন হইয়েঁ উয়াদ্যার খাইদ্য খাবি? ছ্যাঃ—ছ্যাঃ। লোকে শুনলে কী বইলব্যাক!’
মতিলাল কাকার কথার ওপর আর কথা চলে না। কাজেই, ওর পিছু পিছু টলোমলো পায়ে হাঁটতে থাকে নয়ন। 
তিন
এক-জঙ্গল শেষ, তো দুশরা জঙ্গল শুরু। মধ্যিখানে ট্যারা-ভালুকডিহির বিশাল একটি ধুতমা ডাঙা। ডাঙার একপ্রান্তে বিশাল চাকোলতা গাছ।  
গাছের তলায় বাঁক নামিয়ে বসে বসে বিড়ি টানছিল লোকটা। বাঁকের দু’প্রান্তে দু’টি মুড়ির বস্তা। 
বস্তা দুটো দেখতে দেখতে বুঝি অল্পখানি আশা জাগে মতিলালের বুকে। চাকোলতা গাছের তলায় ধূমপানরত লোকটির গা ঘেঁষে বসে পড়ে। এককথায় দু’কথায় ভাব জমাতে চায় লোকটার সঙ্গে। আর, তাতে করেই বেরিয়ে আসে যাবতীয় হালহদিশ।  
নামটি বটে চুনারাম। তবে কেবল নাম শুনেই তো হিন্দুদের জাত বোঝা যায় নাকো। আর, জাতটা ঠিকঠাক না-জেনে যার-তার থেকে মুড়ি কিনে তো কোনও ব্রাহ্মণ-সন্তানকে সেই মুড়ি দেওয়া যায় না। মহাপাপ হব্যেক। কাজেই, অনেক ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে, জেরা-টেরা করে, মতিলাল লোকটার সংসারের তাবৎ অন্ধিসন্ধি জেনে যায়। 
পুরো নাম চুনারাম দাস। জাতে বোষ্টম। চুনারামের সুগৃহিণী বউটি সারা সকাল মুড়ি ভেজেছে। দুপুরে চাট্টি ফ্যানে-পান্তায় খেয়ে সেই মুড়ি বস্তায় ভরে পাইকারের আড়তে নিয়ে চলেছে চুনারাম। মুড়ি বিক্রি করে নগদ যা পাবে, তার মধ্যেই রয়েছে ব্যবসার পুঁজিটিও। কাজেই, মুড়ি-বিক্রির টাকা নিয়ে চুনারাম ফিরলেই ওই টাকার থেকে আসল পুঁজিটি দিয়ে পুনরায় ধান কিনবে বউ। সিজিয়ে, শুকিয়ে মুড়ির চাল বানিয়ে, ফের ভাজবে মুড়ি। কিন্তু বউটির মনে যারপরনাই ভয়, কি না মুড়ি-বিক্রির  অতগুলো নগদ টাকা হাতে পেয়ে পতি-দেবতাটির যদি সহসা সম্রাট সাজাহান হতে সাধ যায়? যদি টাকা ক’টি ট্যাঁকে নিয়েই বসে পড়ে কোনও মদের ঠেকে? বেশ কয়েক পাত্র চড়িয়ে যদি লাভের পুরো টাকাটাই উড়িয়ে আসে? সংসারের চারটি পেটের জ্বলন থামাতে বউকে তখন পুঁজিটাই ভাঙতে হব্যেক। সেই কারণেই, বেরবার কালে মাথায় হাত রেখে তিন-সত্যি করিয়ে নিয়েছে মরদকে, কি না শত লালসাতেও ঠেকের দিকে ফিরেও তাকাবেক নাই। 
পথের বন্ধুকে এইসব কথা বলতে বলতে হেসে লুটিয়ে পড়তে চায় চুনারাম দাস এবং চুনারামকে অমন দিলখোলা হাসি হাসতে দেখেই চটপট সুযোগটা নেয় মতিলাল। কথাটা ঝাঁ করে পেড়ে বসে। 
বলে, ‘উই দ্যাখ, সঙ্গের ছেইলাটিকে। সাতশোল গাঁয়ের ভট্‌চাজ বংশ ইয়ারা। আমার মুনিবের ছেইল্যা। ভাইপোরও বাড়া। এই বচ্ছর মাইধ্যমিক দিল্যাক। উয়াকে লিয়েই সাত-সকালে গিছলাম কালুয়াষাঁড়ের থানে। পূজা দিয়ে এতক্ষণে ফিরছি। ভোখের জ্বালায় ছেইলাটা এক্কেরে ঝামরে পড়্যেছে। কাজেই, উই বস্তা থিক্যে কিছোটা মুড়ি তুমাকে দিতেই হব্যেক। অবশ্য লেহ্য দাম দিব আমি।’ 
‘পাগল হয়েছ তুমি?’ চুনারাম ফুৎকারে উড়িয়ে দেয় মতিলালের প্রস্তাবটা, হিসাবের মুড়ি। বউ দস্তুরমতো ওজন করে, দরদাম বাতলে দিয়ে, তবেই-না রওনা করিয়েছে। অর থিকে একদানা মুড়িও দিয়া যাব্যেক নাই।  
ওই নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কথা কাটাকাটি চলে। শাস্ত্র-পুরাণ, উপকথা থেকে অনেক অনেক উদাহরণ টেনে মতিলাল প্রমাণ করতে চায় যে, এমনতরো আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দুনিয়ার তাবৎ বিধিনিষেধ বন্যার জলের মতো ভেসে যায়, আর এ তো ক্ষুধার্ত বাচ্চার জীবন বাঁচাতে আধ-কিলোটাক মুড়ি!
শেষ পর্যন্ত অভুক্ত ছেলেটির মুখের দিকে চেয়ে, নগদ দশটি টাকা হাতে নিয়ে পাঁচশো গ্রাম মুড়ি দিতে রাজি হয় চুনারাম। 
কিন্তু দেবে কীসে? সে তো আর পথের ধারে চপ-মুড়ির দোকান খোলেনি যে, ওই দোকানে এনামেলের ঘটি, শালপাতা, জল ইত্যাদি থাকবে। সে যাচ্ছে মুড়ির বস্তা নিয়ে পাইকারের কাছে। 
শেষ পর্যন্ত কোমরে বাঁধা গামছাটাই মেলে ধরে নয়ন। ওই গামছায় চোখের আন্দাজে পাঁচশো গ্রাম মুড়ি ঢেলে দিয়ে, পয়সা বুঝে নিয়ে, হাঁটা দেয় চুনারাম। 
পেটভর্তি খিদে নিয়ে নয়ন ততক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে  মুড়িগুলোর ওপর। 
মতিলালের দিকে তাকিয়ে বলে, কী হল, শুরু কর। খিদায় যে মইরে গেল্যম। 
—শুরু কর মানে? মুড়িগুলা তো ভাগাভাগি কইর্‌তে লাগব্যেক। আমার গামছায় তো ফের ঠাকুরের ভোগ ষাঁড়া-মোরগটি বাঁধা রয়্যেঁছে।  
—আরে, ভাগাভাগির কী দরকার? নয়ন ততক্ষণে অধীর হয়ে পড়েছে, ওই এক জা’গা থিক্যেই আসো দু’জনেই খাই। 
কী...! দু’চোখে রাজ্যের বিস্ময় এবং ততোধিক রোষ নিয়ে নয়নের দিকে তাকিয়ে থাকে মতিলাল, ‘কী কথাটা কইলি তুই?’  
—অলেহ্যটা কী কইল্যম?
অবোধের পারা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে নয়ন। 
—বামুনের ছা তুই, আর, আমি হইল্যম গিয়ে জাতে বাউরি। তুই আর আমি এক পাতে খেইত্যে পারি?
—ও, এই কথা? নয়ন ডানহাত দিয়ে মাছি তাড়ায়, কিচ্ছুটি হব্যেক নাই। খাও তো। এখন আর উ’সব নাই-মানে কেউ? আমরা তো হস্টেলে সব্বাই একসঙ্গে মুড়ি-চানাচুর খাই। 
—একসঙ্গে মানে?
নয়নের চোখে সরাসরি চোখ রাখে মতিলাল, ‘একই পাতে?’ 
—তা নয়তো কি? 
—উয়াদ্যার মধ্যে লিচু জাতের ছগরাও থাকে? 
—থাকে বইকি। বামুন, কায়েত, বাউরি, বাগদি, ধোপা, লাপিত, সব্বাই থাকে।  
—এসব কী বইলছু রে তুই!
চরম বিস্ময়ে দু’চোখ আকাশের পানে তুলে দেয় মতিলাল, ‘বউদিমণি এসব জানে?’ 
—জানে বইকি। 
—কী বলে সে? 
—কী আবার বইলব্যেক?
মুচকি হাসে নয়ন, ‘এই যুগে এসব মানে নাকি কেউ?’ 
—চুপ মার। ইট্যা কুনো বাহাদুরির কথা লয়।
সহসা খেপে ওঠে মতিলাল, ‘শুন, জাতে বামুন মানে, তুয়ারা জনম লিয়েছু বম্মার মাথা থিক্যে। আর, আমরা বাউরি-বাগদি, ধোপা-লাপিত আমরা জনম লিয়েছি বম্মার পা থিক্যে। মাথা আর পা এক ঠাঁই মিলতে পারে কখনও? এমন কল্লে মরবার পর পিত্‌রিপুরুষ তুয়ার হাতে জল লিব্যাক? অযথা জাত খুইয়ে বংশের সক্কলকে লরকগামী করাটা কি ঠিক?’ 
বলতে বলতে মতিলাল হুমকির সুরে বলে ওঠে, ‘দাঁড়া, আমি আজই ঘরে গিয়ে সব কথা বইলব দাদাকে। পাঁচ গাঁয়ের বামুন ডেইক্যে তুয়ার মাথা মুড়িয়ে প্রাচ্চিত্ত কইরত্যে লাগব্যেক।’ 
মতিলাল বাউরির কথাগুলো শুনতে নয়নের দু’চোখে জমছিল বিস্ময়। 
একসময় মতিলালের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আচ্ছা কাকা, বইল্‌ত্যে পার, এই যে বামুন, কায়েত, বাউরি-বাগদি, ধোপা-লাপিত— এসব কে চালু কইরেছিল্যাক? বামুনরা, নাকি তুমরা?’ 
—কেন বল দেখি?
—আমার তো মনে লিচ্ছে, বামুনরা লয়, জাত লিয়ে এইসব ভেদাভেদ তুমরাই চালু করেছ। 
—অব্বাক কথা বইললি তুই!
মতিলাল যেন আকাশ থেকে পড়ে, ‘ওরে, এই যে হিন্দু-মুসলমান, বামুন-চুয়াড়— এই সব কিছো উপরওয়ালার সৃষ্টি, বাপ।’ 
বলতে বলতে নয়নের দিকে স্নেহের দৃষ্টিতে তাকায় মতিলাল। বলে, ‘কাজেই, তুই-আমি, আমরা কেউই তা ভাঙতে পারি না, বাপ। এই দোনিয়া তাইলে অধঃপাতে যাব্যেক।’ মতিলাল বাউরির মুখে কথাগুলো শুনতে শুনতে বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যায় নয়ন। 
আর, ঠিক সেই মুহূর্তে, সহসা মানুষটার ময়লা গেঞ্জির তলায় একটা মোটা এবং ততোধিক ময়লা পৈতেও দেখে ফেলে সে।
অলঙ্করণ : সোমনাথ পাল
22nd  January, 2023
সখা হে
সোমজা দাস

খাওয়া দাওয়া সেরে সবে সিরিয়াল দেখতে বসেছিল বনানী। আর ঠিক তখনই মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। অচেনা নম্বর, অপরিচিত কণ্ঠস্বর। টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে ফোনটা কানে ছুঁইয়েছিল বনানী অগাধ নির্লিপ্তি নিয়ে। ঝিমলি তখনও স্কুলে, অনন্ত কারখানায়। বিশদ

05th  March, 2023
বাবলা
আইভি চট্টোপাধ্যায়

‘অ বউদি, দেখো আবার চলে এসেছে।’ দরজা খুলেই চিত্‍কার করে মামিকে ডাকল ছবি মাসি। ‘আবার!’ ঘরের মধ্যে থেকেই চেঁচিয়ে উঠেছে মামি, ‘একদম ঢুকতে দিবি না।’ বিশদ

26th  February, 2023
সুগন্ধের মতো
নিয়তি রায়চৌধুরী

 

সতর্ক হল সৌম্য। কী সব ভাবছে সে। বোধহয় একেই বলে অবচেতন, নাহলে তো কালকের অফিস ফেরত বিকেলটাই এতক্ষণ ঘুরছিল মনে। মা বলেছিল, ফেরার পথে রুকুর জন্য একটা টিফিন-বক্স কিনে আনবি। আগেরটা পুরনো হয়ে গেছে। কফিশপ থেকে বেরিয়ে সেটা কিনতে গিয়ে কিঙ্কি বলল, দাঁড়াও আমি পছন্দ করে দিচ্ছি। বিশদ

19th  February, 2023
নাইট ক্রিম
মহুয়া সমাদ্দার

কথায় কথায় কথাটা বলেই ফেলল বিনায়ক। প্রথমে ভেবেছিল চুমকির জন্যে কোনও উপহার এনে সারপ্রাইজ দেবে তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। পেট থেকে কথাটা নীচে পড়তেই লুফে নিল চুমকি। এটা অবশ্য জানাই ছিল বিনায়কের। এত সুন্দর ক্যাচ মিস করার মতো প্লেয়ার নয় সে। বিশদ

12th  February, 2023
প্রথম
সুন্দর  মুখোপাধ্যায়

বরানগরে জয় মিত্তির ঘাটের ঠিক পাশে যেখানে বালির ট্রাকগুলো দাঁড়ায়, তার আড়ালে একখানা একহারা গাছ গঙ্গার দিকে হেলে দাঁড়িয়ে। গাছের নীচে একটা ভাঙা তক্তাপোষ ফিট করে রেখেছে পাঁচু বোস। তাতে লেখা, ‘অনুমতি ছাড়া বসা নিষেধ। আদেশানুসারে।’ বিশদ

05th  February, 2023
মহানগরের ঘোড়ার গাড়ি
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘অভিনেতা অক্ষয়কুমারের হাত দিয়েই বদলে গেল কলকাতার ঘোড়ার গাড়ির ইতিহাস...’ শুনেই হেঁয়ালির মতো লাগল। তবে প্রথমেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে পুরোটা শোনার পর বোঝা গেল গল্পটা।
বিশদ

29th  January, 2023
স্কুলছুট
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সকাল আটটা সাড়ে আটটা থেকেই আকাশে মেঘ জমছিল। বেলা বাড়তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। চড়াইদিঘি স্কুলের পাশে এতক্ষণ ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়েছিল সুখেন বাউড়ি।
বিশদ

29th  January, 2023
পৌষের পিঠেপুলি
হারাধন চৌধুরী

রবীন্দ্রনাথ পিঠেপুলি ভীষণ ভালোবাসতেন। তাই শান্তিনিকেতনের অনেকেই নানারকম পিঠে বানিয়ে কবির কাছে পাঠাতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেপালচন্দ্র রায়ের স্ত্রী ও পুত্রবধূ। ঠান্ডার আমেজ আসামাত্র কবিই জিজ্ঞেস করতেন নেপালবাবুকে, ‘পৌষপার্বণের আর কত দেরি?’
বিশদ

15th  January, 2023
বস্তির ছেলে
কাবেরী রায়চৌধুরী

অর্পিতার মেজাজ যে খারাপ করে দিয়েছে সে বুঝেই চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই ডাকল, অপু! শুনছ? অপুউউ...!
অপ্রসন্ন মুখ অর্পিতার, বলল, ‘বল, কী?’  বিশদ

08th  January, 2023
অন্তরের আলো জ্বালাতেই
কল্পতরু উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

১ জানুয়ারি। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি বাঙালির কাছে ইংরেজি নববর্ষের এই দিনটিও বেশ আনন্দের। সেই আনন্দের স্বাদ পেতে বাঙালি সেদিন বেরিয়ে পড়েন পথে। কারও গন্তব্য পার্ক স্ট্রিট, কারও চিড়িয়াখানা, কারও ইকো পার্ক, আবার কেউবা কোনও বিনোদনস্থল বা পর্যটনকেন্দ্রে চলে যান। বিশদ

01st  January, 2023
অমূল্য রতন
প্রদীপ আচার্য

একেবারে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে বইটাকে তুলে নিলেন প্রমদাকান্ত। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। এই বইটা তিনি এভাবে ফুটপাতে পাবেন কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু, তিনি এই মুহূর্তে যা দেখছেন, তা কোনও ভোজবাজি বা স্বপ্ন নয়। কোনও দৃষ্টিভ্রমও নয়। বিশদ

01st  January, 2023
দেশ-বিদেশের আলোর উৎসব
তরুণ চক্রবর্তী

আমাদের মনের আলো, আমাদের চেতনার আলো জ্বালিয়ে দিতে চেয়েই আজকের দিনটিতে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহামানব যিশু খ্রিস্ট। ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণাক্ত হতে হতে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ঘাতকদেরও ক্ষমা করে। আজ আলোই বুঝি তাঁকে প্রণামের সর্বোত্তম উপাদান। বিশদ

25th  December, 2022
অঙ্গুরীমাল
সঞ্জয় রায়

বাবার পাশে বসে বিনোদ দেখত পুকুর ধারে ভেজা মাটি খুঁড়তেই কিলবিল করতে থাকা ক্ষুদ্র কীটগুলো উঠে আসছে। বাবা বলত, ‘এগুলো মাছের খাবার।’ তারপর কিলবিল করতে থাকা সরু লম্বা লম্বা কীটগুলোকে বাবা একটা ভাঁড়ে মাটির ভিতর জমিয়ে রাখত। বিশদ

11th  December, 2022
ভালোবাসার বাগান
বিতস্তা ঘোষাল

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ছেলেটি বাসে বসা মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকাল। কী যেন নিরীক্ষণ করে সামনের সিটে বসা ছেলেটির দিকে একটা কাগজ আর পেনটা এগিয়ে দিয়ে লিখে দেখতে বলল। ছেলেটি লিখতে লিখতেই সে আবার বলে উঠল, ‘কোম্পানি শুধুমাত্র এই একটি পেনই আজ বিক্রি করছেন না, তার সঙ্গে দিচ্ছে আরও দুটো পেন,’ বিশদ

04th  December, 2022
একনজরে
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কি নয়া সমীকরণ? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের পোস্ট করা একটি ছবি জল্পনা উস্কে দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ...

বিশ্বকাপের আর বেশি বাকি নেই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। ঘোর অনিশ্চিত যশপ্রীত বুমরাহ, শ্রেয়স আয়ারের খেলা। ...

তিনদিনের মস্কো সফর সেরে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। পশ্চিমি দুনিয়ার শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ...

পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের শক্তি প্রমুখ গৌতম মাল সহ চারজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৬০৩: ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু
১৬৯৩: ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৮৭৪:  বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনির জন্ম
১৯০৫: ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়
১৯৬১: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্সের জন্ম
১৯৬৫: মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির দ্য আন্ডারটেকারের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম
২০০৫: সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার মৃত্যু
২০২২: টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৩ টাকা ৮৩.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬৭ টাকা ১০৩.০৭ টাকা
ইউরো ৮৮.১২ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া ২৮/১৭ অপরাহ্ন ৫/১২। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/১২ দিবা ১/২২। সূর্যোদয় ৫/৪১/২২, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৪ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৫ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/১৬ গতে ৪/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩১ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া রাত্রি ৭/৩০। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ৩/৫৩ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৩ গতে ১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালীঘাটে জনতা দলের (সেকুলার) নেতা কুমারস্বামীকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:26:00 PM

৩৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:10:12 PM

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
লোকসভায় সদস্যপদ খোয়ালেন রাহুল গান্ধী। আজ, শুক্রবার সেই বিষয়ে লোকসভার ...বিশদ

02:24:00 PM

কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী
উপত্যকায় নিকেশ এক জঙ্গি। আজ, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জাব্দির ...বিশদ

02:00:25 PM

মুর্শিদাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

01:47:17 PM

২৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:38:25 PM