Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

দ্বিধা
 

সোমজা দাস: অফিস থেকে বেরতে বেরতে সাতটা বেজে যায় রোজ। সাতটা পাঁচের বাসটা মিস হয়ে গেলে আরও আধ ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় শিবানীকে। আগের অফিসের সামনেই মেট্রো ছিল। সোজা দমদমে পৌঁছে ট্রেন ধরে নিলে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারত। 
নতুন চাকরিতে মাইনে কমেছে, বেড়েছে কাজের চাপ। শিবানীর মতো পঁয়ত্রিশ পেরনো খুব সাধারণ চেহারার শ্যামলা মেয়ের জন্য দুনিয়াটা খুব একটা সহজ নয়। পরিশ্রম করে দু’পা এগতে চাইলে রূপের অভাব তাকে চার পা পেছনে ঠেলে দেয়। যখন প্রথম চাকরিতে জয়েন করেছিল, বয়সের চটক ছিল। রিসেপশনের কাজ চালাতে অসুবিধে হয়নি। সময় বদলেছে। অফিস ও বাড়ির যুগপৎ পরিশ্রমে সেই কম বয়সের শ্রীটুকু অন্তর্হিত হতে সময় নেয়নি। ফলে নতুনকে জায়গা ছেড়ে দেওয়াটা অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। 
জন্ম থেকেই শিবানীর ডান পায়ের চেয়ে বাঁ পা-টা সামান্য ছোট। তাতে অবশ্য তার হাঁটাচলায় অসুবিধে হয় না। সামান্য খুঁড়িয়ে হলেও অনেকের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত হাঁটতে পারে। ন’টার মধ্যে বাড়ি না ঢুকলে বউদির মুখে আঁধার নামে। ভুরু দুটো কাছাকাছি ঘনিয়ে আসে। কোনওরকমে বাইরের শাড়িটা ছেড়ে হাত-পা ধুয়েই রান্নাঘরে সেঁধিয়ে যায় শিবানী। অভ্যস্ত হাতে দ্রুত রুটি বেলতে থাকে। অন্য হাতে গরম চাটুতে সেগুলো মেলে দেয়। রুটি সেঁকতে থাকে, লালচে হয়ে ফুলে ওঠে। আগুনের আঁচে শিবানীর মুখটা গনগন করে। মনে হয় যেন যেকোনও মুহূর্তে জ্বলে উঠবে দাউদাউ করে। কিন্তু জ্বলে না। আজ পর্যন্ত জ্বলেনি। শিবানী জানে তাদের মতো মেয়েদের জ্বলে উঠতে নেই।

দুই
বাস থেকে নেমে কব্জি উল্টে ঘড়ি দেখল শিবানী। পৌনে ন’টা বাজে। বাজারটা পেরিয়ে আজ রিকশ নিয়ে নেবে। তাতে দশটা টাকা বেরিয়ে যাবে বটে, কিন্তু মাঝেমধ্যে সংসারের ইঞ্জিনে এই অতিরিক্ত তেলটুকু না ঢাললে শান্তি বজায় রাখা দায় হয়। 
বাজার পেরিয়ে শিবানী দেখল রিকশ স্ট্যান্ড ফাঁকা। শাড়ির আঁচল দিয়ে কপাল-গলার ঘাম মুছে এদিক ওদিক তাকাল অসহায় দৃষ্টিতে। পাশেই বস্তার উপর বকফুল বিছিয়ে বিক্রি করতে বসেছে এক বুড়ি। তাকে জিজ্ঞাসা করে জানা গেল, রিকশওয়ালাদের ইউনিয়ন কী সব দাবি-দাওয়া নিয়ে আজ ধর্মঘট ডেকেছে। 
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল শিবানী। আজ বাড়িতে অশান্তি হবে। বউদিকেও দোষ দেয় না সে। নিজের জন্য একটা সাজানো গোছানো সংসারের স্বপ্ন তো সব মেয়েই দেখে। শিবানীও দেখেছিল একদিন। সেসব যেন কোনও বিস্মৃত অতীতের কথা বলে বোধ হয় এখন। বউদি এমনিতে ভালো মেয়ে। কিন্তু মাথার উপর অবিবাহিত ননদকে সারা জীবন বইতে হলে কার আর ভালো লাগে! তাও শিবানী বেতনের টাকার সিংহভাগ বউদির হাতে তুলে দেয় বলে মাথার উপর ছাদটা এখনও বজায় আছে।
অপেক্ষা করে লাভ নেই। দ্রুত পায়ে হাঁটা লাগাল শিবানী। আর ঠিক সেই মুহূর্তে রাস্তার আলোটা ঝুপ করে নিভে গেল। লোডশেডিং, গত ক’দিন ধরে রোজই এই সময়ে হচ্ছে। ইস, আরেকটু তাড়াতাড়ি বেরতে পারলে লোডশেডিংয়ের আগেই বাড়িতে ঢুকে যেতে পারত। কয়েক পা এগিয়ে বাঁদিকে বাঁক নিতেই পিছনে সাইকেল রিকশর প্যাঁকপ্যাঁক শব্দে দাঁড়িয়ে পড়ল সে। কাছে আসতেই বুঝল রিকশটা খালি। হাত তুলে দাঁড়াতে ইশারা করল শিবানী। ঠিক সেই মুহূর্তে টের পেল এই সবেধন নীলমণি একটিমাত্র রিকশর দাবিদার সে একা নয়। রিকশর পিছনে অন্ধকারে ‘এই দাঁড়াও দাঁড়াও’ বলে ছুটে আসছে কেউ। 

তিন
রিকশওয়ালা দাঁড়িয়ে পড়ল। একবার সামনের দিকে, একবার পিছন দিকে তাকাল। ততক্ষণে পেছনের ব্যক্তিটিও সামনে এসে পড়েছে। 
‘বিশ্বাসপাড়া যাবে ভাই?’
আশপাশের কয়েকটা বাড়ি থেকে ইনভার্টারের বৈদ্যুতিক আলো রাস্তায় এসে পড়েছে। সেই আবছা আলোয় সামনের মানুষটিকে চিনতে অসুবিধে হল না শিবানীর। মুহূর্তে বুকের ভেতর একটা প্রবল ভূমিকম্প ঘটে গেল। নিজেকে সামলে দাঁত দিয়ে নীচের ঠোঁট কামড়ে ধরল।
‘এই দিদি আগে ডাকল,’ বলল রিকশওয়ালা।
সামনের ব্যক্তিটি এবার শিবানীর মুখের দিকে তাকাল। পরমুহূর্তেই বিস্ময়মথিত কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আরে! শিবানী না?’
ভাগ্যিস এখানে আলো নেই। লোডশেডিংকে মনে মনে ধন্যবাদ দিল শিবানী। না হলে অনিরুদ্ধর সঙ্গে এই দেখার মুহূর্তটা কতদিন কতভাবে কল্পনা করেছে সে। কিন্তু আজ যখন সত্যিই অনিরুদ্ধ সামনে দাঁড়িয়ে, শিবানীর ছুটে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে। এখন আলো থাকলে তার মুখের ভাঙচুর চোখে পড়ে যেত অনিরুদ্ধর। কিংবা হয়তো পড়ত না। এই এত বছরে নিজের অনুভূতিগুলোকে লুকোতে শিখে গিয়েছে সে। তাই শিবানী অবাক হয়ে শোনে যে একটুও গলা না কাঁপিয়ে অনায়াসে হেসে বলতে পারছে সে, ‘আরে আমি তো চিনতেই পারিনি। অনিরুদ্ধদা না? কবে এলে?’
শিবানী উত্তর দেওয়ার আগেই রিকশওয়ালা বলল, ‘যাবেন তো চলেন। এইখানে দাঁড়াইতে দিবে না আইজ।’
অনিরুদ্ধ জিজ্ঞাসা করল, ‘তুই বাড়ি যাচ্ছিস তো?’
শিবানী মাথা নেড়ে বলল, ‘হ্যাঁ, তুমি রিকশয় যাও। আমি হেঁটে চলে যাব।’
অনিরুদ্ধ এক মুহূর্ত দ্বিধা করল। পরক্ষণেই হেসে বলল, ‘তার চেয়ে বরং দু’জনেই যাওয়া যাক। তোকে বাড়িতে নামিয়ে দেব। অবশ্য যদি তোর কোনও আপত্তি না থাকে।’
আপত্তি তো ছিল। একদিন যার সঙ্গে সারাটা জীবন ধরে পথ হাঁটার স্বপ্ন দেখেছিল শিবানী, আজ তার সঙ্গে এই অন্ধকার রাস্তা দিয়ে সামান্য এক-দেড় কিলোমিটার যেতেও অনেক দ্বিধা, সংকোচ। ছোট শহরে কথা হাওয়ায় ওড়ে। 
একটা গভীর শ্বাস বুকে ভরে নিল শিবানী। তারপর বলল, ‘চল।’

চার
অন্ধকার গলির বুক চিরে রিকশ এগিয়ে চলেছে। অনিরুদ্ধকে আজ যেন কথায় পেয়েছে। নিজের মনেই অনেক কিছু বলে চলেছে। এত বছর শিবানীও ভেবেছে, দেখা হলে কী বলবে! কত অভিমান, অভিযোগ জমে আছে! কিন্তু আজ যখন অনিরুদ্ধ তার পাশে বসে, শিবানীর আশ্চর্য লাগছে, এত কেন অর্থহীন কথা বলছে অনিরুদ্ধ! তার চেয়ে এই মুহূর্তটা চুপ করে অনুভব করতে পারলে ভালো হতো। তারাভরা আকাশের নীচে প্রিয় সান্নিধ্যটুকু এই মুহূর্তে সমগ্র অস্তিত্ব দিয়ে শুষে নিতে চাইছে সে।
‘দেখ, সেই কখন থেকে আমিই বকবক করে যাচ্ছি,’ বলল অনিরুদ্ধ, ‘তুই বল, কোথায় চাকরি করছিস এখন? আগে তো শুনেছিলাম কোনও মার্চেন্ট ফার্মে ছিলি।’
হোঁচট খেল শিবানী। কী বলবে? বলার মতো কোনও গল্প তো তার নেই। মুখটা অন্ধকার রাস্তার দিকে ঘুরিয়ে মৃদুস্বরে বলল, ‘একটা কর্পোরেট হাউসে। ভালো অফার পেয়ে আগের চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। নাম শুনে থাকবে ইনফিনিটি গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড। মাস দুয়েক আগেই এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করেছি।’
নিজের প্রগলভতায় নিজেই লজ্জা পায় শিবানী। মিথ্যে বলতে গেলে বুঝি বেশি কথা স্রোতের বেগে বেরিয়ে আসে। ইনফিনিটিতে দুই মাস আগে সত্যিই গিয়েছিল সে। না, এরিয়া ম্যানেজার নয়, সাধারণ ফ্রন্টডেস্ক জবের ইন্টারভিউ দিতে। কত বড় অফিস! পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এরকম অফিসে তার নিজেরই নিজেকে বেমানান লাগছিল। চাকরিটা হয়নি। অমন ঝাঁ-চকচকে অফিসের ফ্রন্ট ডেস্কে তাকে মানায় না।
‘আরে ইনফিনিটি? সে তো খুব ভালো কোম্পানি। পে প্যাকেজও দারুণ ওখানে। তার মানে তুই এখন একজন হাইলি সাকসেসফুল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওম্যান। বাহ, খুব ভালো!’ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলল অনিরুদ্ধ।
প্রসঙ্গটা বদলানোর জন্যই বলল শিবানী, ‘তা তুমি এখনও দিল্লিতেই আছ? মৌসুমী, তোমার মেয়ে সব ভালো তো?’
অনিরুদ্ধ বলল, ‘হ্যাঁ, সবাই ভালো। ওখানেই আছি।’ ‘এখানে কবে এলে? ক’দিন থাকবে নিশ্চয়ই?’ জিজ্ঞাসা করল শিবানী।
‘এসেছি আজই। কিন্তু থাকা হবে না রে। বাবা-মা নেই। বাড়িটা পড়ে থেকে জঙ্গল হয়ে গেছে। পাশের বাড়ির পরিতোষকাকু বললেন, পার্টির ছেলেরা ঝান্ডা পুঁতেছে বাড়িতে। এরপর বেহাত হয়ে যাবে। তা উনিই কিনে নিতে চাইলেন। বাড়িটা এমনিতেও ভেঙেচুরে গিয়েছিল। টাকাটা বড় কথা নয়, কিন্তু বাড়ির অবস্থা দেখে খারাপ লাগল। তাই জলের দরেই বাড়িটা বেচে দিলাম, বুঝলি! আজই সই-সাবুদ হয়ে গেল। কাল চলে যাচ্ছি।’
শিবানীর হৃদস্পন্দন মুহূর্তের জন্য থেমে গেল। ঢোঁক গিলে বলল, ‘তার মানে এখানকার পাট তোমার চুকল। আর আসবে না কখনও?’
অনিরুদ্ধ বলল, ‘আর কী হবে এসে? বাবা-মা নেই, আমারও কোনও পিছুটান নেই। তার উপর ব্যবসারও ভীষণ চাপ। এত বড় ব্যবসা একা হাতে সামলাতে হয়। সেসব ছাড়। তুই তোর কথা বল। আচ্ছা, তুই বিয়েটিয়ে করবি না? প্ল্যান কী?’
শিবানী জোর করে হাসি টানল মুখে। লাজুক স্বরে বলল, ‘সামনের ফাল্গুনে বিয়ে। এস কিন্তু। তোমার দিল্লির ঠিকানাটা দিও। কার্ড পাঠাব।’
‘আরে গ্রেট!’ রিকশয় বসা অবস্থাতেই লাফিয়ে উঠল অনিরুদ্ধ, ‘লাভ ম্যারেজ নিশ্চয়ই!’
শিবানী আরেকটু বেশি করে লজ্জা পেল। তরল গলায় বলল, ‘ওই আর কী!’
‘ফাল্গুন, মানে ফেব্রুয়ারি-মার্চ তো? ইস, ওই সময়ে আমাদের ইউএস ট্যুরের প্ল্যান আছে রে। মৌসুমী অনেকদিন আগে থেকে প্ল্যান করেছে। নাহলে সত্যিই আসতাম। তোরা বরং বিয়ের পর দু’জনে দিল্লি ঘুরে যা। তোর মোবাইল নম্বরটা দিস। আমি তোদের ফরমালি ইনভাইট করব।’
শিবানী মাথা নাড়ে। 
হঠাৎই চারদিক আলোয় ঝলমল করে উঠল। কারেন্ট এল। রিকশটা শিবানীদের পাড়ায় ঢুকছে।
‘থামুন, থামুন। আমি নামব!’ প্রায় চেঁচিয়ে উঠল শিবানী।
‘কী হল? তোর বাড়ি তো রাস্তাতেই পড়বে। বাড়ির গেটে নেমে যাস,’ অনিরুদ্ধ বলল।
‘না না, আমি এখানেই নামি। সামনের ওষুধের দোকান থেকে কিছু ওষুধ কিনতে হবে। তুমি যাও।’ বলে তড়িঘড়ি রিকশ থেকে প্রায় লাফিয়েই নেমে পড়ল শিবানী। ছোট পা-টায় একটু টান লাগল। মচকালো বোধ হয়। অনিরুদ্ধের দিকে আর তাকাল না সে। অন্ধকারের আবরণ সরে যেতে নিজেকে বড় বেশি নগ্ন, বড় অনাবৃত লাগছে তার। এতক্ষণ ধরে অকাতরে বলে যাওয়া মিথ্যেগুলো কাঁটার মতো বিঁধছে।
‘আসছি!’ বলে দ্রুত এগল শিবানী।
বিয়ের কার্ড পাঠানোর জন্য অনিরুদ্ধর ঠিকানা নেওয়ার কথা মনে রইল না শিবানীর। অনিরুদ্ধও শিবানীর ফোন নম্বরটা নিতে ভুলে গেল, যে নম্বরে ফোন করে কি না শিবানীদের দিল্লিতে নিমন্ত্রণ করার কথা ছিল তার!
পাঁচ
রাস্তাটুকু প্রায় দৌঁড়ে এসেছে শিবানী। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে একটু দম নিল। গলার কাছে কান্নাটা দলা পাকিয়ে উঠেছে। 
পরিতোষকাকুর কাছে খবরটা জেনেছিল ক’দিন আগেই। ছোট টাউনে এসব খবর চাপা থাকে না। সমস্যা অনেকদিন ধরেই চলছিল। গত বছর অনিরুদ্ধ আর মৌসুমীর ডিভোর্সটা পাকাপাকিভাবে হয়ে গিয়েছে। মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছে মৌসুমী। লকডাউনে অনিরুদ্ধর ব্যবসা মার খেয়েছে। অবস্থা খুব খারাপ। থোক টাকার দরকার হয়ে পড়েছিল। তাই পৈতৃক জমি-বাড়িটা বিক্রি করে দিচ্ছে।
গেটে হাত দিয়ে শিবানী চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে ন’টা দশ। টিনের গেটটাতে মরচে পড়েছে। খুলতে গেলে ক্যাঁচকোঁচ শব্দ হয়। ওই গেটের ভিতরেও একটা মরচে ধরা, বর্ণহীন পৃথিবী রয়েছে, যেখানে রোজ তাকে ফিরে যেতে হয়। আজকের দিনটা অন্যরকম। শিবানীর সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে মিশে আছে এক বুনো পুরুষালি গন্ধ, তার অনিরুদ্ধদার গন্ধ। রাঁধা-বাড়া, মাসকাবারি, বাড়ি-অফিসের মাঝে ক্যারাম ঘুঁটির জীবন, আপনজনের কালিমাখা মুখ এসবের বাইরেও এ এক অন্য পৃথিবী, অন্যরকম জীবন!
এখনও সময় আছে। এখনও শিবানী চাইলেই ছুটে যেতে পারে। বলতে পারে, ‘আমি সব জানি অনিরুদ্ধদা। আমিও মিথ্যে বলেছিলাম। চল না, আমরা দু’জন মিলে নতুন করে শুরু করি সব। নিজেদের জীবনটা গুছিয়ে নিই।’ অনিরুদ্ধদা কি ফিরিয়ে দেবে তাকে? 
বারান্দার আলোটা জ্বলে ওঠে। 
‘এই যে ঠাকুরঝি, বাড়ি আসার সময় হল?’ একটা খরখরে কণ্ঠস্বর জিজ্ঞাসা করে বারান্দা থেকে।
চমকে উঠল শিবানী। তাড়াতাড়ি ব্যাগের ভেতর হাত চালাল। আছে, যাক! দু’দিন আগে নেহাতই শখে কিনেছিল। গেট খুলে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে হেসে বলল শিবানী, ‘তোমার বোনের যে নেলপলিশটা তোমার খুব পছন্দ ছিল, আজ সারা বাজার ঢুঁড়ে কিনে আনলাম তোমার জন্য। দেখ তো, পছন্দ হয় কি না।’
অনিবার্য কারণে ‘অগ্নিযুগ ও শ্রী অরবিন্দ’ ধারাবাহিকটি প্রকাশিত হল না।
04th  September, 2022
ব্রিটিশ আমলের দুর্গাপুজো
সোহম কর

ক্লাইভ চেয়েছিলেন গোটা হিন্দুসমাজকে দুর্গাপুজোর আনন্দে মাতিয়ে রাখতে। সাধারণ মানুষ যেন কোনওভাবেই কোম্পানিকে ভিলেন বলে না মনে করে। বিশদ

যজ্ঞভঙ্গ
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

কলকাতায় প্রতিদিনই বহু লোক আসতেন অরবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে। এতে তাঁর সাধনার একটু অসুবিধে হতো। তাই তাঁদের সামলানোর দায় পড়ে তাঁর অনুগামী অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্যের উপর। একদিন বেলা ১২টা নাগাদ এলেন সৌম্যদর্শন এক অবাঙালি ভদ্রলোক। বিশদ

25th  September, 2022
অগ্নিযুগ ও শ্রীঅরবিন্দ
ফুলার ও প্রফুল্ল

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস।
বিশদ

18th  September, 2022
একলা জীবন
তপনকুমার দাস

এই অসময়ে আবার কে ফোন করল! রুটিন মাফিক সকাল থেকে যে তিনটে ফোন করার কথা ছিল, সব কটাই করা হয়ে গেছে। যে দুটো ফোন আসার কথা ছিল, তাও এসে গেছে। বিশদ

11th  September, 2022
রক্তের কল্লোল
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

১৯০৬ সালের ১৪ এপ্রিল। বরিশাল প্রাদেশিক সমিতির অধিবেশন। সম্মেলনের সভাপতির গাড়ি খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে। এরপরই পিছনের কর্মীদের উপর শুরু হল দমাদ্দম ব্রিটিশ পুলিসের লাঠি পেটা। লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে ঝরঝর করে রক্ত বেরচ্ছে চিত্তরঞ্জন গুহঠাকুরতার। বিশদ

11th  September, 2022
অগ্নিযুগ ও শ্রী অরবিন্দ
উল্লাসকর দত্ত

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস।
বিশদ

28th  August, 2022
কবিতা লিখতে
অভিজিৎ তরফদার

 

উড়ন্ত প্রজাপতির মতো কিছু শব্দ। তার মধ্যে হঠাৎ, কোনও একটা ভেতরে এসে বসে। বেজে ওঠে। বাজতেই থাকে। যেন তানপুরার তার। একটা তারেই কেউ টোকা দিয়ে চলেছে। এইভাবে অনেকক্ষণ... কখনও অনেকদিন চলার পর আর একটা শব্দ। টানে টানে আর একটা, অনুভূতির ভিয়েনে শব্দগুলো জারিত হয়। বিশদ

21st  August, 2022
পর্ব- ২১
লহ নমস্কার
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস। বিশদ

21st  August, 2022
পর্ব- ২০
বিপিনচন্দ্র পাল

পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস। বিশদ

14th  August, 2022
জামরুল ফুলের গন্ধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

‘দিদি একটু দেখে উঠো। সিঁড়িগুলো ভাঙা আছে।’ পিছন থেকে সাবধানবাণী শুনে সম্বিত ফিরল রাজরূপার। তাকিয়ে দেখল সামনের সিঁড়িগুলো সত্যিই বেশ ভাঙাচোরা। খুড়তুতো ভাই পলাশ সাবধান না করলে ওই ভাঙা সিঁড়ির জন্য এখনই একটা অঘটন ঘটে যেত। বিশদ

07th  August, 2022
নিবেদিতা ও ভূপেন্দ্রনাথ
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস। বিশদ

07th  August, 2022
পর্ব- ১৭
সাহানা-দিলীপ ও সুভাষ

পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

১৯০৮-এর ফেব্রুয়ারিতে মানিকতলার মুরারিপুকুর বাগান থেকে বারীন্দ্রকুমার একদিন হঠাৎ হাজির তাঁর সেজদা অর্থাৎ অরবিন্দের স্কট লেনের বাসায়। লেলেকে খুঁজতে গিয়ে তাঁর চোখে পড়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য। বিশদ

24th  July, 2022
বিষ্ণুভাস্কর লেলে
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস। বিশদ

17th  July, 2022
হৃষীকেশ কাঞ্জিলাল
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস। বিশদ

10th  July, 2022
একনজরে
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করেছে রাশিয়া। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে আনা খসড়া নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। তবে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে হিংসা বন্ধের দাবি জানিয়েছে ভারত।  ...

থিমের পুজো এবার নজর কাড়ছে গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দাদের। শহরে বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তারা থিম পুজোর উপর ভর করে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে। শিল্পীদের ভাবনায় তৈরি হয়েছে এসব থিম। গঙ্গারামপুর জ্বলন্ত অগ্নি সঙ্ঘ ক্লাবের এবারের ৪৭তম বর্ষের পুজোর থিম নারী। ...

আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল একটু একটু করে দাম কমা। অক্টোবরেও রেশনে কেরোসিনের দাম কমতে চলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি এ মাসে কেরোসিনের যে ‘ইস্যু প্রাইস’ নির্ধারণ ...

লখিমপুর খেরি কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সেই চিঠির অন্যতম প্রধান দাবিই হল, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস
ভারতে গান্ধী জয়ন্তী
পথশিশু দিবস 
১৭৯০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদমশুমারি শুরু হয়
১৮১৪: সমাজ সংস্কারক দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৬৬: হিন্দু সন্ন্যাসী ও রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী অভেদানন্দর জন্ম
১৮৬৮: কলকাতায় জেনারেল পোস্ট অফিস উদ্বোধন হয়
১৮৬৯: মহাত্মা গান্ধীর জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর জন্ম
১৯০৪: দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম
১৯০৬: শিল্পী রাজা রবি বর্মার মৃত্যু
১৯১৭: কবি অক্ষয়চন্দ্র সরকারের মৃত্যু
১৯২৪: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিংহের জন্ম
১৯৫০ - কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের জন্ম
১৯৬২: ‘টারজান’ খ্যাত হলিউড তারকা জো লারার জন্ম
১৯৭২: মুম্বই তথা তৎকালিন বোম্বেতে ভারতের প্রথম টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হয়
১৯৯৬ : মাদার তেরেসা আমেরিকার সম্মানিক নাগরিকত্ব লাভ করেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮০.৭৮ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৫৪ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
ইউরো ৭৮.৫৬ টাকা ৮১.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২।  সপ্তমী ৩৩/১০ রাত্রি ৬/৪৮। মূলা নক্ষত্র ৫০/৫১ রাত্রি ১/৫৩। সূর্যোদয় ৫/৩১/৫২, সূর্যাস্ত ৫/২০/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৩/১৯ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ১/২৮ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৪৬ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৫ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২। সপ্তমী রাত্রি ৬/২২। মূলা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৬ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/১৮ গতে ৫/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩১ গতে ৪/১৬ মধ্যে। 
৫ রবিউল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি
দেবীর আবাহনে গোটা বাংলা মেতেছে উৎসবের আনন্দে। শারদোৎসব উপলক্ষে ‘বর্তমান’-এর সকল ...বিশদ

04:00:00 AM

সাংসদ পদ ছাড়লেন খাড়্গে
কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেস নেতা ...বিশদ

01-10-2022 - 02:42:50 PM

দিল্লিতে পিইউসি ছাড়া মিলবে না তেল
২৫ অক্টোবরের পর থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ছাড়পত্র  ছাড়া দিল্লিতে পাওয়া ...বিশদ

01-10-2022 - 02:32:37 PM

চিকিৎসক নীলরতন সরকার ও সঙ্গিতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মন্ত্রী অরূপ রায়

01-10-2022 - 01:21:00 PM

ভারতে বন্ধ করা হল পাকিস্তানি সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট

01-10-2022 - 12:54:30 PM

ভারতীয় সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল আমেরিকা
ইরান থেকে তেল কেনার জন্য একটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ...বিশদ

01-10-2022 - 12:42:02 PM