Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন।
কোলহাপুর থেকেই আমি রওনা দিলাম সৌন্দত্তির পথে। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ভবানীমণ্ডপের অদূরে শিবাজি পুতলা থেকে অটো নিয়ে সিটি বাসস্ট্যান্ডে এলাম। প্রচণ্ড ভিড়ের বাসে রওনা দিলাম কর্ণাটকের পর্বতবাসিনীদেবী ইয়েলাম্মাকে দর্শন করতে। সময়টা ১৯৮৮ সাল।
রামদুর্গের পথ ধরে নিপ্পানির পার্বত্য প্রদেশে শঙ্কেশ্বর, হাক্কোড়ি, হওরগী, গোকক হয়ে ঘটপ্রভা নদীর কূলে কূলে ইয়েরগোট্টি, নোল, মানোলী অতিক্রমের পর দশ ঘণ্টারও বেশি সময় জার্নি করে অবশেষে মলপ্রভা নদীর তীরে সৌন্দত্তিতে এলাম। প্রকৃতির যে অনবদ্য রূপ সেখানে আমার দৃষ্টিগোচর হল তা এককথায় অবর্ণনীয়। দু’চারজন ছাড়া বাসযাত্রীদের প্রায় সকলেই নেমে পড়লেন এখানে। আমিও নেমে পড়লাম। বাস ওই দু’চারজন যাত্রীকে নিয়েই চলে গেল পাহাড়ের বাঁক ঘুরে ওপরে সৌন্দত্তি গ্রামে।
আমরা তাহলে এখানে নামলাম কেন? আসলে ভিড়ে ঠাসা এই বাসের প্রায় সব যাত্রীই দেবদাসী। তাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমার ভালোই পরিচয় হয়েছিল। তাঁদেরই নির্দেশে আমি নামলাম। ওঁরা বললেন, এখানকার যোগড়বামি সত্যাম্মা কুণ্ডে স্নান না করে সৌন্দত্তির মন্দিরে প্রবেশ করতে নেই। সৌন্দত্তির অধিষ্ঠাত্রী ৫১ (৫২) পীঠের অন্তর্গত দেবী ইয়েলাম্মা আছেন কোঙ্গরের (পাহাড়ের) উপর। এখানে দেবীর ‘অঙ্গ’ পড়েছিল। তাই পুণ্যকামী নর-নারীরা দেবীপক্ষে, নবরাত্রে এবং বিশেষ বিশেষ দিনে এখানে ছুটে আসেন।
আমি মুগ্ধ চোখে এখানকার দৃশ্যাবলী উপভোগ করতে লাগলাম। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে নর-নারী আসছেন এখানে। একদিকে ঘন নীল মলপ্রভার বিশাল জলধারা, অপরদিকে মরুভূমির মতো ধু-ধু করছে বালি।
তারই কোল ছুঁয়ে সার্কাসের তাঁবুর মতো ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারি। আর আমার পিছনে রঙিন পাথরের সুন্দরী সৌন্দত্তির সিদ্ধাচল পর্বত। মতান্তরে রামগিরি।
যাই হোক, আমার দেবদাসী সহযাত্রীদের সঙ্গে কুণ্ডের কাছাকাছি যেতেই একদল বৃহন্নলা এসে তাদের কোলে নিয়ে নাচ শুরু করে দিল। কেন এমন হল? শুনলাম যাঁরা দেবী ইয়েলাম্মার নির্দেশ অমান্য করে তারাই জন্মান্তরে বৃহন্নলা হয়ে জন্মায়। তাই কৃপাবশত দেবীর নির্দেশানুযায়ী এঁরাই হলেন এই সত্যাম্মা কুণ্ডে স্নান পূজা করানোর একমাত্র অধিকারী। আমার সঙ্গিনী দেবদাসীরা একজন বৃহন্নলা পুরোহিতকে ঠিক করলেন। তাঁরই পৌরোহিত্যে আমরা কুণ্ডস্নানের জন্য এগিয়ে গেলাম। কুণ্ডের ধারে তখন বিগতযৌবনা কয়েকজন দেবদাসী—মাথায় ইয়েলাম্মার প্রতিমূর্তি নিয়ে নাচগান করছেন। আর দলে দলে বালিকা, কিশোরী ও যুবতীরা বসে আছেন স্নানের প্রতীক্ষায়। এঁরা সবাই দেবদাসী হবেন। সত্যাম্মা কুণ্ডে স্নান করে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে ‘নিম্মান্না’ করতে হবে। তারপর পদব্রজে অথবা গোযানে যেতে হবে ইয়েলাম্মার মন্দিরে। আগামীকাল মাঘীপূর্ণিমা। খুব ভোর থেকে দেবদাসী করণ শুরু হবে।
এখানকার নিয়মানুযায়ী মেয়েরা কুণ্ড স্নানের পর ওপরে উঠে এলে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে পোশাক পরিবর্তন করতে হবে। অনেকে আবার নগ্ন হয়েই স্নান করে পোশাক পরিবর্তন করেন। এখানে পুরুষ-নারী সবাই স্নান করে পাপমুক্ত হয়ে মন্দিরে খাবার খান। কিন্তু সহস্রাধিক লোকের স্নানের ফলে কুণ্ডের যা অবস্থা হল তাতে আর স্নান করার প্রবৃত্তি হল না আমার। শুধু কুণ্ডের জল মাথায় নিলাম। সঙ্গিনী দেবদাসীরা অনেক করে বোঝালেন আমাকে, এত দূর থেকে এসেছেন আপনি, এখানকার নিয়ম রক্ষা করুন, ‘নিম্মান্না’ করুন। নাহলে এই তীর্থে আসার কোনও ফলই হবে না আপনার। আমি হাসিমুখে তাঁদের প্রণাম জানালাম।
এবার ‘নিম্মান্না’র ব্যাপারটা একটু খুলে বলি। নববস্ত্র পরিধানের পর বৃহন্নলারা সবার মুখে নিমপাতা গুঁজে দেবেন। তারপর নিমপাতার গুচ্ছ কোমরের সামনে, পিছনে, দুই পাশে লাগাতে হবে ও হাতে নিমপাতা নিয়ে বৃহন্নলা নাচের তালে তালে সত্যাম্মার মন্দির প্রদক্ষিণ করতে হবে। যেহেতু আমি স্নান করিনি তাই আমাকে দিয়ে ‘নিম্মান্না’ করানো গেল না। তবে দর্শনে বাধা রইল না। তাই দেবী সত্যাম্মা, যোগীনাথেশ্বর, একনাথেশ এবং যোগড়বামি সত্যাম্মাকে দর্শন করে ধন্য হলাম। দর্শন শেষে এবার সৌন্দত্তির তীর্থভূমিতে যাত্রা। যাওয়ার আগে কোলপুরবাসিনী দেবদাসী সঙ্গিনীরা তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আনা খাবার কিছু আমাকে খাইয়ে দিলেন। তারপর বললেন, ‘ওপরে কিন্তু দিশা পাবেন না। তাই সঙ্গ ছাড়বেন না আমাদের। আমরা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলে আপনিও রয়ে যাবেন আমাদের সঙ্গে।’ বলে দুটি টাঙ্গা ভাড়া করে পাহাড়ের উচ্চস্থানে ইয়েলাম্মার মন্দির প্রাঙ্গণে রওনা হলাম সকলে। এই পাহাড়ে গোরু টানা টাঙ্গা চলে। টাঙ্গা থেকে যেখানে নামলাম সেখানে তখন লক্ষাধিক নরনারী ও দেবদাসীদের ভিড়। তাই বহু চেষ্টা করেও ওখানে কোনও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা গেল না। অবশেষে নিকটবর্তী থানার সামনে কাঁটা তার দিয়ে ঘেরা বাগানের মাটিতে খোলা আকাশের নীচে শতরঞ্চি বিছিয়ে বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হল। সারারাত এইভাবে এখানেই থাকতে হবে আমাদের। এখানে শুধু আমরা নই আরও অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন।
এইভাবে রাত্রিযাপন করা হল। শেষরাতে দেবদাসীদের কয়েকজন আমাকে বললেন, ‘চলুন বাবুজি, আপনাকে দেবী দর্শন করিয়ে আনি। ভোরে দেবীকরণ শুরু হলে আর এর ধারেকাছেও যেতে পারবেন না।’ অতএব দর্শনে চললাম। সে কী প্রচণ্ড ভিড়! মাঘ মাসের এই রাত্রি শেষেও ঘেমে উঠলাম। অবশেষে খাপটির মধ্যে পৌঁছলাম মন্দিরে। আহামরি মন্দির নয়। তবুও সতীদেহ প্রভাবে এত মান্যতা দেবীর। দেবী এখানে ভয়ঙ্করী। ইনি ইয়েলাম্মা। তাঁর নির্দেশ অমান্য করলে ফল ভালো হয় না। বহুকষ্টে সেই দেবীকে দর্শন করে মনোবাসনা পূর্ণ করলাম। মন্দিরের অন্যপ্রান্তে ব্রাহ্মমুহূর্তের প্রতীক্ষায় শয়ে শয়ে মেয়েরা দেবদাসী হওয়ার জন্য বসে আছে। শুনলাম, দেবদাসী হওয়া মানে দেবীর সঙ্গে—বিবাহের পর আর কোনও পুরুষের সঙ্গে বিবাহ করা যায় না। যারা করে তাদের জীবনের ওপর অভিশাপ নেমে আসে। তাদের স্বামীদের অকালমৃত্যু হয় এবং দেবীগণও জন্মান্তরে বৃহন্নলা হয়ে জন্মায়। এখানকার প্রশাসনের বক্তব্য, এই প্রথার উচ্ছেদ কখনও সম্ভব নয়। অতএব এই প্রথা চলতেই থাকবে। ১৯৮৮ সালে আমি যে বছর গিয়েছিলাম সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী সে বছর মোট তিন হাজারের বেশি মেয়ে দেবদাসী হয়েছিলেন।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
বিশদ

18th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান।
বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

18th  August, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শুক্রবার সকালে সাঁকরাইলের ডেল্টা জুটমিলের পরিত্যক্ত ক্যান্টিন থেকে নিখোঁজ থাকা এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্বার হল। তাঁর নাম সুভাষ রায় (৪৫)। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন। ...

বিএনএ, রায়গঞ্জ: দুই শিক্ষাকর্মীর বদলির প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনে শুক্রবার উত্তাল হল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক ও কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স বিভাগের সামনে কয়েকশ’ ছাত্রছাত্রী ...

 গুয়াহাটি, ২০ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): এনআরসির বিরোধিতায় শুক্রবার অসমজুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ পালন করা হয়। অল কোচ রাজবংশী স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (একেআরএসইউ)-এর ডাকা ওই বন্঩ধে এদিন স্বাভাবিক ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশের মাইক্রো-ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি অতিক্রম করবে। স্ব-ধন ‘ভারত মাইক্রো-ফিনান্স রিপোর্ট, ২০১৯’-এ প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮: চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
২০০৪: চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু

20th  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৭,৯৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,০৪৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৫৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৭/১২ রাত্রি ৮/২১। রোহিণী ১৪/৪৩ দিবা ১১/২২। সূ উ ৫/২৮/২৩, অ ৫/৩১/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪১ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি।
৩ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২৫/২২/২১ দিবা ৩/৩৭/৫। রোহিণী ৭/১/২৪ দিবা ৮/১৬/৪৩, সূ উ ৫/২৮/৯, অ ৫/৩৩/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে ও ৭/৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১/১/২৯ গতে ২/৩২/৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৮/৪৯ মধ্যে ও ৪/২/৪৯ গতে ৫/৩৩/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৫৮/৪৯ গতে ৫/২৮/২৮ মধ্যে।
২১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সন্তানের সাফল্যে মানসিক সন্তুষ্টি। বৃষ: ব্যবসায়িক সাফল্য। মিথুন: সৃষ্টিশীল কাজে প্রভূত উন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস১৮৬৬: ব্রিটিশ সাংবাদিক, ঐতিহাসিক ও লেখক এইচ জি ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ
আজ রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর ...বিশদ

08:21:33 PM

ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ
আরও একবার সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধধ্যায়। আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ...বিশদ

07:39:27 PM

অস্কারে মনোনীত ছবি-গালি বয়

06:03:00 PM

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে মারধর
স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে লাঠি-রড দিয়ে ...বিশদ

05:22:00 PM