Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়।
এই তীর্থদর্শনে এলে প্রথমেই আসতে হবে নাসিকে। সত্যযুগে ভগবান ব্রহ্মা এই নাসিকে পদ্মাসনে বসে সৃষ্টি চিন্তা করেছিলেন, তাই এর নাম ‘পদ্মনগর’। ত্রেতাযুগে ঘন অরণ্য পরিবেষ্টিত এই নাসিকে খর, দূষণ এবং ত্রিশির নামক রাক্ষসের বিচরণ ভূমি ছিল, তাই এর নাম হয়েছিল ‘ত্রিকণ্টক’। জনকরাজা এখানে অনেক যজ্ঞ করেছিলেন বলে দ্বাপরে এর নাম হয়েছিল ‘জনস্থান’। কিন্তু কলিযুগের মানুষের কাছে লক্ষ্মণ কর্তৃক শূর্পণখার নাসিকা ছেদন কারণে এই স্থান নাসিক নামেই পরিচিত।
নাসিকে এসে আমি পঞ্চবটীতে সিন্ধানিয়া ধর্মশালায় উঠেছিলাম। নাসিক এবং পঞ্চবটী একই শহর হলেও গোদাবরী নদী এই শহরটিকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। গোদাবরীতে স্নান ও সপ্তশৃঙ্গী দর্শনের অভিলাষে এই শহরে আমি দু’বার এসেছিলাম।
ধর্মশালার খুব কাছেই বাস স্ট্যান্ড। সেখান থেকে সপ্তশৃঙ্গী যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। সেই বাস অবশ্য সপ্তশৃঙ্গী যায় না। এই বাসে নান্দুরি পর্যন্ত গিয়ে বাস বদল করতে হয়। ভাগ্য ভালো যে স্ট্যান্ডে যাওয়ামাত্রই সিবিএসের একটি বাস পাওয়া গেল।
মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ছাড়ল বাস। পথের দূরত্ব ৪৮ কিমি। পথে দিন্দুরি ও ওনি নামে দু’জায়গায় বাস থামল। তারপর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম চানবরগাঁও তালুকের সপ্তশৃঙ্গীর পাদদেশে নান্দুরিতে। সেখান থেকে অন্য বাসে সপ্তশৃঙ্গী।
প্রথমেই এখানকার একটি ধর্মশালায় আশ্রয় নিলাম। ঘন পর্বতমালায় শোভিত এই পুণ্যক্ষেত্রে এসে আনন্দে নন্দিত হয়ে উঠলাম। এবার যাত্রীসাধারণের জ্ঞানার্থে বলি, আমি কিন্তু নান্দুরি থেকে সরাসরি বাসে আসিনি। এসেছিলাম এক দুর্গম পন্থায় রোদনতুণ্ড হয়ে। পরবর্তীকালে বাসে এসেছিলাম। আমারই লেখা দশমাতৃকা তীর্থে এই ব্যাপারে বিশদ আছে।
যাই হোক, ধর্মশালাকে ঘিরে সমস্ত মন্দির প্রাঙ্গণ পূজাসামগ্রী ও অন্যান্য দোকানপত্তরে ঘেরা। এই জায়গা থেকে আরও উচ্চস্থানে দেবীর গুহামন্দির। মন্দিরে ওঠার সিঁড়ির মুখে তোরণ। একটি বিশাল শৃঙ্গ এখানে দেওয়ালের মতো খাড়া। তারই এক চতুর্থাংশ উচ্চতায় দেবীর মন্দির। সেই পর্বতগাত্রে অসংখ্য গুহা। সেই গুহায় পেচক ও অন্যান্য নিশাচর পক্ষীদের বাস। এখানে মায়ের মন্দির পর্যন্ত লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা সিঁড়ির ব্যবস্থা আছে। পেশোয়ার সর্দার খাণ্ডেরাও দাবাড়ের স্ত্রী উমাবাঈ দাবাড়ে ৪৭২টি ধাপযুক্ত এই সিঁড়ি ১৭১০ সালে তৈরি করে দিয়েছিলেন।
আমি দর্শনের জন্য শুদ্ধবস্ত্রে পূজার ডালি নিয়ে সিঁড়িভাঙা শুরু করলাম। খানিক ওঠার পর ‘রাম কা টপ্পা’ পড়ল। কথিত আছে, রামচন্দ্র বনবাস কালে লক্ষ্মণ ও সীতা সহ সপ্তশৃঙ্গী দর্শনে এসে এখানে বিশ্রাম করেছিলেন। ‘রাম কা টপ্পা’ পেরিয়ে যখন মূল মন্দিরে গেলাম তখনই দর্শন মিলল সপ্তশৃঙ্গী দেবীর। একটি ১৮ ফুট গুহাকে কেন্দ্র করে এই মন্দির। মন্দিরের ভেতর ৮ ফুট উঁচু দেবীর মূর্তি। রণসজ্জায় সজ্জিতা দেবী বামদিকে ঘাড় কাত করে আছেন। শান্ত সিঁদুর রঞ্জিত মূর্তি তাঁর। রক্তবর্ণ চোখ। আঠারোভুজা দেবী। তাঁর দক্ষিণ হস্তে মণিমালা, পদ্ম, বাণ, তরবারি, বজ্র, চক্র, ত্রিশূল ও কুড়ুল। বাম হস্তে শঙ্খ, ঘণ্টা, পাশা, গদা, দণ্ড, ঢাল, ধনুক, পানপাত্র ও কমণ্ডলু।
ভাগ্যক্রমে আমি গিয়ে পড়েছিলাম দেবীর অভিষেক মুহূর্তে। এখানকার পাণ্ডারা খুব ভালো। বিশেষ করে বাঙালি যাত্রী দেখে খুব খুশি। নাটমন্দিরে তখন অনক যাত্রী বসে আছেন। পাণ্ডারা আমাকে সকলের সামনের সারিতে বসিয়ে দিলেন।
অভিষেক পর্ব আরম্ভ হল। দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে চলল সেই অভিষেক পর্ব। প্রথমে জল দিয়ে দেবীর মুখ প্রক্ষালন। তারপর দুধে স্নান। এবার দেবীর সর্বাঙ্গে দধি মর্দন করে রাশি রাশি ঘি, মধু, এবং চিনি লেপন করা হল। তারপর ঘড়া ঘড়া জলে দেবীর স্নান। এরও পরে দুটি বালতিতে মেটেসিঁদুর গুলে দেবীর সর্বাঙ্গে মাখাতে লাগলেন পাণ্ডারা। পরে কাজল দিয়ে চোখ এঁকে চক্ষুদান করানো হল। সব শেষে বস্ত্র পরিধান।
এবার মন্ত্রধ্বনি সহকারে শুরু হল আরতি। আরতির পর পুজোপাঠ ও প্রসাদ বিতরণ।
এবার সপ্তশৃঙ্গী দেবীর একটু পরিচয় দেওয়া যাক। ইনিও ৫২ পীঠের অন্তর্গত এক দেবী। তবে সতীদেহের কোন অংশটি এখানে পড়েছিল তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারলেন না। দেবী ভাগবতে আছে সপ্তশৃঙ্গী মহারাষ্ট্রের সাড়ে তিন পীঠের এক দেবী। সপ্তশৃঙ্গী সাড়ে তিন পীঠের অর্ধপীঠ। ইনিও ত্রিগুণাত্মিকা দেবী।
এই অঞ্চলে সহ্যাদ্রি শিখরে সাতটি শৃঙ্গ। এগুলি ভীষণাকৃতি ও অসম সদৃশ। তার কারণ হনুমান যখন গন্ধমাদনকে বয়ে নিয়ে যান তখন সেই পাহাড়ের বিশাল বিশাল অংশগুলির এক একটি অংশ সহ্যাদ্রি পর্বতের সাতটি স্থানে পড়ে। তাই এই পাহাড়ের সাতটি শৃঙ্গ। এই সাতটি শিখরে সাত দেবী আছেন। তাঁদের বলা হয় সপ্ত দুর্গা। যেমন— ইন্দ্রাণী, কার্তিকেয়ী, বারাহী, বৈষ্ণবী, শিবা, চামুণ্ডী ও ন্যায়সিংহী। এই সাত দেবীর অনুরোধে সপ্তশৃঙ্গী এই পর্বতের সর্বোচ্চ শিখরে বিরাজ করছেন।
মার্কণ্ডেয় মুনি এই পর্বতেই তপস্যা করতেন। তিনিই স্বপ্নাদেশে দেবীকে এখানে প্রতিষ্ঠা করেন। সপ্তশৃঙ্গী হলেন দেবী চণ্ডিকার অন্য রূপ। মহিষাসুর বধের সংবাদ পেয়ে ভীমাসুর পাতাল ফুঁড়ে বেরিয়ে এসে এখানে প্রচণ্ড উপদ্রব শুরু করলে দেবী আঠারোভুজা হয়ে এখানেই তাকে বধ করেন।
কালক্রমে মার্কণ্ডেয় মুনির স্থাপনা করা এই মূর্তিটি জঙ্গলের গভীরে ঢাকা পড়ে যায়। বহুকাল পরে একবার এক মেষপালক মেষ চরাতে এসে এই পাহাড়ের বিশাল গুহায় একটি মৌচাক দেখে লুব্ধ হয়। একদিন গোপনে একাকী সেটি ভাঙতে এসেই চক্ষুস্থির। দেখল মৌচাক থেকে মধুর বদলে গল গল করে গোলা সিঁদুর বেরিয়ে আসছে। তাই দেখে সে ভয়ে পালিয়ে এসে গ্রামে খবর দেয়। মেষপালকের কথা শুনে গ্রামবাসীরা এসে মৌমাছি সরিয়ে চাক ভাঙতেই বেরিয়ে পড়ল দেবীর মূর্তি। গ্রামবাসীরা সবাই জানতেন সপ্তশৃঙ্গীর কথা। কিন্তু দেবী ঠিক কোনখানে অবস্থান করছেন তা কেউ জানতেন না। এবার মূর্তি আবিষ্কারের পর থেকেই শুরু হল নিয়ম করে সপ্তশৃঙ্গী দেবীর পূজার্চনা। এখন আমরা দলে দলে সেই দেবীকে দর্শন করে ধন্য হচ্ছি।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
01st  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
বিশদ

18th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান।
বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

18th  August, 2019
একনজরে
বিএনএ, রায়গঞ্জ: দুই শিক্ষাকর্মীর বদলির প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনে শুক্রবার উত্তাল হল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক ও কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স বিভাগের সামনে কয়েকশ’ ছাত্রছাত্রী ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয়কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্তার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে দাসপুর থানার গৌরা বাসস্টপে বিজেপি পথ অবরোধ করে।  ...

 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: যাদবপুর-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট দেবে বঙ্গ বিজেপি। আজ এ কথা জানিয়েছেন বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সহনেতা সুরেশ পূজারি। তিনি বলেছেন, ‘যে রাজ্যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরই কোনও নিরাপত্তা নেই, সেই ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শুক্রবার সকালে সাঁকরাইলের ডেল্টা জুটমিলের পরিত্যক্ত ক্যান্টিন থেকে নিখোঁজ থাকা এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্বার হল। তাঁর নাম সুভাষ রায় (৪৫)। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮: চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
২০০৪: চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু

20th  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৭,৯৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,০৪৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৫৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৭/১২ রাত্রি ৮/২১। রোহিণী ১৪/৪৩ দিবা ১১/২২। সূ উ ৫/২৮/২৩, অ ৫/৩১/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪১ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি।
৩ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২৫/২২/২১ দিবা ৩/৩৭/৫। রোহিণী ৭/১/২৪ দিবা ৮/১৬/৪৩, সূ উ ৫/২৮/৯, অ ৫/৩৩/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে ও ৭/৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১/১/২৯ গতে ২/৩২/৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৮/৪৯ মধ্যে ও ৪/২/৪৯ গতে ৫/৩৩/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৫৮/৪৯ গতে ৫/২৮/২৮ মধ্যে।
২১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সন্তানের সাফল্যে মানসিক সন্তুষ্টি। বৃষ: ব্যবসায়িক সাফল্য। মিথুন: সৃষ্টিশীল কাজে প্রভূত উন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস১৮৬৬: ব্রিটিশ সাংবাদিক, ঐতিহাসিক ও লেখক এইচ জি ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ
আজ রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর ...বিশদ

08:21:33 PM

ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ
আরও একবার সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধধ্যায়। আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ...বিশদ

07:39:27 PM

অস্কারে মনোনীত ছবি-গালি বয়

06:03:00 PM

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে মারধর
স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে লাঠি-রড দিয়ে ...বিশদ

05:22:00 PM