Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
কাজে ঢোকার সময় মেয়েটা তার বয়স বলেনি, দেখে মনে হয়েছিল পনেরো-ষোলো। এত কম বয়সে কাজ করতে বেরিয়েছে দেখে খুব খারাপ লাগছিল বিপাশার। নেবে কি নেবে-না দ্বিধা দেখানোয় নিভা নামের মেয়েটি কেঁদেকেটে অতি অল্প কথায় আত্মজীবনী জানিয়ে বলল, তার পরের বোন জন্মানোর পরেই মাকে ত্যাগ দিয়ে চলে গেছে বাবা। তার মা লোকের বাড়ি কাজ করে, যা আনে তাতে তিনজনের দু’বেলা খোরাকি হয় না। তার বয়স কুড়ি, তার বোনের বয়স আঠারো। মা দু’জনকেই বলে দিয়েছে, নিজের রোজগার নিজে না করলে খেতে দিতে পারবে না।
বিপাশা আন্দাজ করে রোগা-খর্বকায়দের বয়স অনেকটাই লুকানো থাকে তাদের চেহারার মধ্যে। নিভার বয়স কুড়ি শুনে তাকে কাজে বহাল করে বলল, দেখ আমাদের দু’জনের সংসার, এমন কিছু কাজ নেই। মন দিয়ে কাজ করবি।
তা নিভার কাজ খুব পরিষ্কার, কিন্তু তার যেটুকু দায়িত্ব তার বেশি কিছু কাজ করতে বললে স্পষ্ট বলে দেয়, পারবনি।
‘পারবনি’ শব্দটা বেশ মেজাজ নিয়েই বলে, যা বিপাশার পছন্দ হয় না। বিরক্ত মুখে সুরঞ্জনকে বলল, আমি কি ওকে বিনা পয়সায় কাজটা করাতাম! কী রকম কাঠ-কাঠ গলায় মুখে মুখে উত্তর দেয়!
সুরঞ্জন ভাবছিল ‘না বলাটাও একটা আর্ট’ এই মর্মে নিভার একটা ক্লাস নেয়। শুনে বিপাশা মুখ বেজার করে বলল, তুমি আর আদিখ্যেতা দেখিও না। তাতে ওর ডাঁট আরও বেড়ে যাবে।
তবে নিভা নিজের কাজটা করছিল ভালোই, বছরখানেক নিশ্চিন্ত ছিল বিপাশা, হঠাৎ একদিন সুরঞ্জনকে বলল, নিভা একটু বদলে গিয়েছে। আর কাজেকম্মে মন নেই!
—হঠাৎ এরকম কেন মনে হল?
—ক’দিন আগে হঠাৎ ওর মোবাইলে একটা ফোন এল, ও-প্রান্তের কথা কিছুক্ষণ শুনে খুব চেঁচাল, বলল, ‘আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম, ওর ওপর নজর রাখো। তুমি তো বিশ্বাসই করছিলে না! এখন বোঝো।’ নিশ্চয় বাড়িতে কিছু একটা ঘটেছে। আমি দু-তিনবার জিজ্ঞাসা করলাম, কিন্তু কিছুতেই ভাঙল না।
নিভা চাপা মেয়ে, তার কাছ থেকে কোনও কথা আদায় করতে পারল না বিপাশা। লক্ষ করল খুবই অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে তাকে। কাজে কিছু ভুলভালও করল।
বিপাশা গোয়েন্দার মতো লেগে থেকে ঠিক বের করে ফেলল তার এই অসংগত আচরণের কারণ। বিষয়টা বেশ পুরনো হয়ে গেছে, তাই গোপন করার আর কোনও কারণ নেই, নিভা ক্ষুব্ধ গলায় বলল, ‘ইভা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।’ নিভার ছোট বোন ইভা। কিছুদিন ধরে এক ফলওয়ালার সঙ্গে এক গলির মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছিল, হঠাৎ একদিন সকালে কাজ করতে বেরিয়ে আর ফেরেনি বাড়িতে। ফলওয়ালাও উধাও। ওর মা থানা-পুলিস পর্যন্ত করেছে, কোনও লাভ হয়নি।
বিপাশা অনুমান করল নিভার ক্ষোভের কারণ। তার পরের বোন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলল, আর সে রইল পড়ে। ভুরুতে একটা লম্বা কোঁচ ঝুলিয়ে কাজ করে যায় রোজ। কথা প্রায় বলেই না কারও সঙ্গে।
আবার একদিন ক্ষোভ কেটে যায় তার। ভুরু সিধে হয়। কিছুদিন পরে একটু-একটু হাসিও ঠোঁটের কোণে। নিভার আর সবই ভালো, শুধু মাঝেমধ্যে এমন ঝেঁকে উঠে বলে, ‘পারবনি’, তা বিপাশার কাছে মনে হয় অপমানজনক। তখন দু-চার দিন নিভার সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ হয়ে যায় বিপাশার। সুরঞ্জনকে বলে, এমন রুখে উঠে বলার কী আছে!
ক’দিন পরে আবার সব ঠিকঠাক।
নিভা একদিন খুব আস্তে আস্তে বলল, বউদিমণি, আমি কিছু টাকা জমিয়েছি। তোমার কাছে রাখবে? আমি পাঁচটা বাড়ি কাজ করতাম। তার সব টাকা মা কেড়ে নেয়। কিন্তু আমার তো কিছু টাকা লাগে। তাই আরও দুটো বাড়িতে কাজ ধরেছি। সেই বাড়ি দুটোর কথা মাকে বলিনি। তার টাকা প্রতি মাসে তোমার কাছে রেখে যাব।
বলে ব্লাউজের ভিতর থেকে বের করল কিছু টাকা। মোট দেড় হাজার। বিপাশা একটা খাতায় টাকার অঙ্ক আর তারিখ লিখে নিভাকে সই করতে বলল। রাতে সুরঞ্জনকে বলল, প্রতি মাসে খাতায় লিখে রাখাই ভালো। কারণ কয়েক মাস পরে ওর হয়তো সব মনে থাকবে না। তখন চেঁচামেচি করতে পারে।
চলছিল বেশ। হঠাৎ বিপাশা লক্ষ করল নিভার চালচলনে বেশ ফুর্তির ছাপ। একটা জংলা শাড়ি পরেছে, খোঁপায় একগুচ্ছ সাদা ফুল। সুরঞ্জনকে বলল, কী ব্যাপার বলল তো! নিভা দেখি ঘর মুছতে মুছতে গুনগুন করে গান করছে।
সুরঞ্জন বলল, দেখো, ওর মা হয়তো বিয়ের ঠিক করেছে।
নিভার বিয়ের ঠিক হয়ে গেলে বিপাশা ভারী মুশকিলে পড়বে। খুব কাজের মেয়ে নিভা। কাজকর্ম খুব পরিষ্কার আর টিপটপ। প্রায় দু’বছর কাজ করছে এ বাড়িতে। তবে এ বয়সের মেয়ে কাজে রাখলে যা হয়, কবে যে তার বিয়ে হয়ে যাবে ভেবে তটস্থ থাকতে হয়।
আজকাল কাজের মেয়ে পাওয়া খুব কঠিন। ভালো কাজের মেয়ে পাওয়া কঠিনতর।
বিপাশা পরদিন আড়েওড়ে জিজ্ঞাসা করল, কী রে? মনে হচ্ছে তোর মনে খুব আনন্দ।
নিভা কিছু বলল না। হাসল ফিক করে।
—তোর মা কি বিয়ের ঠিক করেছে?
—মা! নিভা ফোঁস করে ওঠে, মা আমার বিয়ে দেবে! আমি তো টাকা রোজগারের একটা কল। ইভা তা আগেই বুঝেছিল বলে বিয়ে করে পালিয়ে গেছে। গিয়ে বেঁচে গেছে।
বিপাশা ঠিক বুঝে উঠতে পারল না নিভার কথা। কিন্তু খেয়াল করছিল নিভা বেশ বদলে গেছে। একদিন কাজ সেরে চলে যাওয়ার আগে বলল, বউদিমণি, টাকাটা আমাকে দেবে। ব্যাঙ্কে রাখব।
বিপাশার মনে একটা সন্দেহ হল, কিন্তু কিছু বলল না।
দিন দুয়েক পরে সুরঞ্জন বাস থেকে নেমে ঘরের পথে ফিরছে, দেখল একটা বিচ্ছিরি দেখতে ছেলের সঙ্গে ঘুরছে নিভা। গুন্ডা-গুন্ডা চেহারা। বাড়ি ফিরে ঘটনাটা বলল বিপাশাকে।
পরের দিন সকালে কাজে আসতেই বিপাশা চেপে ধরল, নিভা, ওই ছেলেটা কে রে?
নিভা প্রথমে গাছের মগডাল থেকে পড়লেও বিপাশা দুই ধমক দিতে বলল, বউদিমণি, আমি ওকে বিয়ে করব।
—সে কী, ওই ছেলেটা! মানে খোঁজখবর নিয়েছিস কে ও? কী করে? বাড়িতে কে আছে, না আছে জানিস কিছু? তোর মা জানে এ সব?
নিভা চুপ করে থাকে।
নিভা বিয়ে করবে তা জানাই ছিল, কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে যা হয়, হঠাৎ নিভা বিয়ে করে কাজ ছেড়ে দিলে খুবই আতান্তরে পড়বে বিপাশা। নিভাকে অনেক বুঝিয়ে বলল, বিয়ে করবি নিশ্চয়ই, কিন্তু তোর মাকে বল সব। তোর মা খোঁজ নিয়ে দেখুক। আগে দেখা যাক ছেলেটা ভালো কি না!
বিপাশা কিছুটা নিজের স্বার্থের কথা ভাবছিল না তা নয়, তবে এও ভাবছিল মেয়ে হিসেবে বেশ ভালো, তার জীবন যেন বয়ে চলে ঠিকঠাক পথে।
কী আশ্চর্য, তার ঠিক পরের দিনই নিভা আর কাজে এল না। তার পরের দিনও না। নিভা একেবারেই কামাই করে না, তার পর পর দু’দিনের অনুপস্থিতি একটু অবাক করল তাকে। সুরঞ্জন ওকে দেখে ফেলেছে একটি ছেলের সঙ্গে ঘুরতে, তাই হয়তো ভয় পেয়ে—
নিভার মায়ের কাছে খোঁজখবর নিতেই তার মা এসে পা জড়িয়ে কাঁদতে বসল অমনি। বলল, একটা গুন্ডা ছেলে, তার পাল্লায় পড়ে আমার মেয়েটা—
বিপাশা ভাবতেই পারেনি এত তাড়াতাড়ি কাজ ছেড়ে দেবে নিভা। সুরঞ্জন যে নিভাকে দেখেছে তা নিভাকে না বললেই হতো। তা হলে হয়তো এখনই ওকে পালাতে হতো না! বিপাশা খুবই ঝামেলায় পড়ল। হঠাৎ কাজের লোক চলে গেলে সমস্ত ঝক্কি তার ঘাড়ে গিয়ে পড়ায় খুব রাগ হল নিভার ওপর। যাবি তো যাবি, কিছুদিন আগে বলতে পারলি না তোর চলে যাওয়ার কথা! লোক দেখে নিতাম।
সংসার থেমে থাকে না। এক কাজের লোক যায়, আর এক কাজের লোক আসে। মাঝে কয়েকদিন বিপাশার সংসারে টালমাটাল অবস্থা। নিভা গেল, সবিতা এসে ধরে নিল নিভার ফেলে যাওয়া কাজ। কিছুদিন সুরঞ্জন-বিপাশার কথোপকথনের মধ্যে নিভা-প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে এল, ভালোয় মন্দয় মেশানো সেই সংলাপ কিছুদিনের মধ্যে মিলিয়ে গেল হাওয়ায়।
তারপর কত হাওয়া বয়ে গেল বিপাশার সংসারের উপর দিয়ে। নিভারও নিভতে দেরি হল না। বছর দুই পরে হঠাৎ একটা কলিং বেলের শব্দে একটা পুরনো অধ্যায়ের নবসূচনা।
কলিং বেলের শব্দ পেয়ে বিপাশা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আঁচলে হাত মুছতে মুছতে দরজা খুলে দেখল সবুজ আঁচলে ঘোমটা দেওয়া এক তরুণী। কপালে বড় করে সিঁদুরের টিপ, সিঁথিতেও লম্বা করে সিঁদুর। কাঁখে ধরা বছরখানেকের একটি বাচ্চা।
অন্য হাতে একটা পেটমোটা কাপড়ের ব্যাগ। নিশ্চয় কোনও সেলসগার্ল। গ্রামাঞ্চলের কোনও গৃহবধূ অভাবের তাড়নায় বেরিয়েছে কিছু সওদা নিয়ে। বিপাশা বলে উঠতে যাচ্ছিল, ‘না, আপাতত কিছু লাগবে না,’ তার আগেই যুবতী সামান্য হেসে বলল, বউদিমণি, আমাকে চিনতে পারছ না!
কণ্ঠস্বর খুবই চেনা, ভালো করে তাকাতে দেখল, আরে, নিভা না! প্রায় তিন বছর পরে দেখছে বলেই শুধু নয়, বিয়ে হওয়ার পর নিভাকে আর দেখেইনি তো! বিয়ের পর মেয়েদের চেহারার একটু বদল ঘটে, তার ওপর কোলে বছরখানকের একটি শিশু। তিন বছরে অনেকটাই বদলে গেছে নিভা।
এতদিন পরে হঠাৎ তাকে দেখে অবাক হওয়ারই কথা। বলল, বোস, নিভা। তোর বাচ্চাটা দেখছি তোর মতোই হয়েছে।
মেঝের উপর পা ছড়িয়ে বসে নিভা হঠাৎ হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বলল, বউদিমণি তখন তোমার কথা শুনিনি। কী এট্টা খারাপ লোকের সঙ্গে তখন পালিয়ে গিসলাম, এখন আমারে ছেড়ে সে কোথায় উধাও হয়ে গেল, আর খুঁজে পেলামনি। বাচ্চা নিয়ে মার কাছে থাকতে গেলাম, মা দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। তুমি আমারে রাখবা?
ঘটনাটা এমনই আকস্মিক, বিপাশা প্রথম মুহূর্তে বুঝে উঠতে পারল না তার এখন কী করা উচিত। তখন নিভা কাজ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল বলে খুব রাগ হয়েছিল তার ওপর। তারপর সত্যিই আর নিভার মতো ভালো কাজের লোক পায়নি।
নিভা কান্না-কান্না গলায় আবার বলল, বউদিমণি, এই তিন বছর রোজ তোমার কথা ভেবেছি। তুমি তো আমার ভালোর জন্যই বলেছিলে!
বিপাশার মনে পড়ল তিন বছর আগের কথা। তখন কিছুটা হলেও কথাটা বলেছিল তার নিজের স্বার্থের কথা ভেবে, এখন ভাবল নিভার স্বার্থের কথা। বলল, ঠিক আছে, এখন এখানে বিশ্রাম নে। আমি তোর মাকে খবর দিচ্ছি, তাকে বুঝিয়ে রাজি করব যাতে তোকে থাকতে দেয়। আর আমার তো বয়স হচ্ছে।
আর একজনকে লাগবে। তুই আমার অন্য টুকটাক কাজগুলি করে দিবি। দুপুরে এখানে খাবি। আর যা টাকা দেব, তাতে তোর বাকি খরচ চলে যাবে।
নিভা প্রায় ঈশ্বরী দেখার মতো চোখ করে দেখল বিপাশাকে, হাসি আর কান্নায় ভরা সেই অভিব্যক্তি, বাচ্চাটাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরে হঠাৎ কেঁদে ফেলল হু হু করে। বলল, বউদিমণি, আমি জানতাম, পৃথিবীতে আর কেউ না থাক, তুমি আমাকে ফেরাবে না।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী
18th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান।
বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

18th  August, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শুক্রবার সকালে সাঁকরাইলের ডেল্টা জুটমিলের পরিত্যক্ত ক্যান্টিন থেকে নিখোঁজ থাকা এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্বার হল। তাঁর নাম সুভাষ রায় (৪৫)। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশের মাইক্রো-ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি অতিক্রম করবে। স্ব-ধন ‘ভারত মাইক্রো-ফিনান্স রিপোর্ট, ২০১৯’-এ প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। ...

 ওয়াশিংটন, ২০ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): আমেরিকার রাস্তায় ফের প্রকাশ্যে বন্দুকবাজের তাণ্ডব। গুলিতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও পাঁচজন জখম হয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ কলম্বিয়া হাইটস এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। জায়গাটি হোয়াইট হাউস থেকে খুব বেশি দূরে নয় বলেও ...

 ইন্দোনেশিয়া, ২০ সেপ্টেম্বর: দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার হিসেবে এশিয়ান টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন জি সাথিয়ান। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের টপ র‌্যাঙ্কিং সাথিয়ান ১১-৭, ১১-৮, ১১-৬ পয়েন্টে হারালেন উত্তর কোরিয়ার আন-জি সংকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮: চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
২০০৪: চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু

20th  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৭,৯৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,০৪৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৫৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৭/১২ রাত্রি ৮/২১। রোহিণী ১৪/৪৩ দিবা ১১/২২। সূ উ ৫/২৮/২৩, অ ৫/৩১/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪১ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি।
৩ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২৫/২২/২১ দিবা ৩/৩৭/৫। রোহিণী ৭/১/২৪ দিবা ৮/১৬/৪৩, সূ উ ৫/২৮/৯, অ ৫/৩৩/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে ও ৭/৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১/১/২৯ গতে ২/৩২/৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৮/৪৯ মধ্যে ও ৪/২/৪৯ গতে ৫/৩৩/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৫৮/৪৯ গতে ৫/২৮/২৮ মধ্যে।
২১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সন্তানের সাফল্যে মানসিক সন্তুষ্টি। বৃষ: ব্যবসায়িক সাফল্য। মিথুন: সৃষ্টিশীল কাজে প্রভূত উন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস১৮৬৬: ব্রিটিশ সাংবাদিক, ঐতিহাসিক ও লেখক এইচ জি ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ
আজ রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর ...বিশদ

08:21:33 PM

ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ
আরও একবার সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধধ্যায়। আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ...বিশদ

07:39:27 PM

অস্কারে মনোনীত ছবি-গালি বয়

06:03:00 PM

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে মারধর
স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে লাঠি-রড দিয়ে ...বিশদ

05:22:00 PM