Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

২৬/১১
সমৃদ্ধ দত্ত

ফরিদকোটে ব্যবসা বাণিজ্য জীবিকার তেমন সুবিধা হয়নি। তাই আমির আলি লাহোরে কনস্ট্রাকশন এজেন্সিতে নাম লিখিয়ে ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বিল্ডিং নির্মাণের মিস্ত্রি। ফরিদকোট বাসস্ট্যান্ডের পিছনের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গেলে আমিরের ঘর। বস্তির মধ্যে। সার দেওয়া ভাড়াবাড়ি। টিনের দরজা। টয়লেট কমন। টয়লেটের জল এসে সারাক্ষণ রাস্তাটা ভিজিয়ে রাখে। 
বাবা না থাকায় আমিরের মেজ ছেলে আজমল  মা নূর ইলাহিকে পাত্তা দেয় না। সংসারের সুরাহার দিকেও মন নেই। এভাবে বেশিদিন চলল না। আমিরের যক্ষ্মা ধরা পড়েছে। লাহোরের এজেন্সি আর কাজ দেবে না। অতএব ফরিদকোটে ফেরা। কোনওমতে আয় হচ্ছে ২৫০ টাকা। আমির আজমলকে বলল, লাহোরে গিয়ে কাজে লেগে পড়তে হবে। এভাবে চলছে না।
লাহোরে যে কাজটা পাওয়া গেল ১৩ বছরের ছেলের ভালো লাগার কথা নয়। পাবলিক টয়লেট সাফ করা। ভাগ্যক্রমে সিনেমা হলে একটি ছেলের সঙ্গে আলাপ হল। ওই সিনেমা বারংবার দেখতে যায় আজমল। সিনেমার নাম ‘শোলে’। মুজফফরই আজমলকে নিয়ে এল নিজের কাজের জায়গায়। ওয়েলকাম টেন্ট হাউস। ডেকরেটর আর ক্যাটারিং দুটোই। খাওয়াটা অন্তত নিশ্চিন্ত। এসব করে লাভ নেই। বড় কিছু করতে হবে। হতে হবে স্বাবলম্বী। আজমল জানালো মুজফ্ফরকে। স্বাবলম্বী হতে গেলে সবার আগে দরকার একটা বন্দুক। রাওয়ালপিন্ডির কাছের এক বাজারে পাওয়া যায়। 
 ছুটির দিন যাওয়া হল রাওয়ালপিন্ডি। সেই বাজার এমনিতে দেখতে জামকাপড় আর খাবারের বাজার। আড়ালে পাওয়া যায় দু’টি জিনিস। অস্ত্র ও ড্রাগ।
নভেম্বর। ২০০৭। অস্ত্র কেনার সময় তাদের বলা হল পরদিন আসতে। পরদিন গেল তারা। কিন্তু অস্ত্র নয়। একটা কাগজ দেওয়া হল হাতে। যেখানে লেখা দাউরা-ই-সুফা। বলা হল, লাহোরের কাছেই একটি জায়গা মুরিদকে। সেখানে যেতে হবে। কেন? 
মুরিদকে এসে দেখা গেল একটি মসজিদ। বাইরে ক্যাম্প অফিস। বেশ কিছু বাস দাঁড়িয়ে। ক্যাম্পের সামনে লাইন পড়েছে। ক্যাম্পে উঁকি দিল দেখা যায়, টেবিল-চেয়ারের সারি। নাম, ঠিকানা, বয়স লেখা হচ্ছে। তারপর হাতে দেওয়া হচ্ছে একটা করে চিরকুট। বড় করে ব্যানার লেখা মারকাজ-ই তোইবা। 
সাধারণ জীবন থেকে লস্করসেনা হওয়ার প্রশিক্ষণ শিবির। আজমল অবাক হয়নি। ফরিদকোটে সে এসব দেখেছে। ফরিদকোটে এটাই সবচেয়ে সহজ পেশা। গ্রামে গ্রামে তরুণদের রিক্রুট করা হয় লস্করে। তাদের বলা হয়, শহিদ হলে তাদের নামে জয়জয়কার হবে পাকিস্তানে। শহিদ হবে কেন? ইন্ডিয়া থেকে কাশ্মীর ছিনিয়ে নিতে গিয়ে। শহিদ হলে পাকিস্তানের সংবিধানে তাদের নাম লেখা হবে। তাদের নামে স্কুল তৈরি হবে। এসব মিথ্যা কথা ১৬ থেকে ২২ বছর বয়সিদের বিশ্বাস করতে ভালো লাগে। আজমলও করেছে। 
ভোর চারটে থেকে প্রশিক্ষণ শুরু। মিলিটারির থেকেও কঠিন জীবন। আর শৃঙ্খলা। আজমল আর মুজফফরকে যে ব্যাচে দেওয়া হয়েছে, তা঩তে ১৭৫ জন আছে। প্রথম মাস শুধু‌ই ধর্মীয় শিক্ষা। আর বিকেলে নামাজের পর একটি করে ফিল্ম। সিনেমা নয়। ভারতে কীভাবে কোথায় কোথায় লস্কর আত্মঘাতী বাহিনী আক্রমণ করেছে, তারই হাইভোল্টেজ তথ্যচিত্র। আত্মঘাতী হওয়াই সবথেকে বড় জেহাদ। আজমলদের সেই এলিট গ্রুপে নেওয়া হচ্ছে। ফিঁদায়ে। আজমল খুশি।
আল কামা আর জাকি কাহাফা দায়িত্বে। আল কামা জানাচ্ছে, একটা বড় অপারেশন আছে। হিন্দুস্তান কেন, গোটা দুনিয়া কল্পনা করতে পারবে না, এমন এক অভিযান হবে। আর তোমাদের মধ্যে থেকেই বাছাই করা হবে তাদের, যারা এই কাজটা করবে। তাই কারা সেই ভাগ্যবান, সেটা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জানা যাবে। যারা ওই অভিযানে যাবে, তারা যদি শহিদ হয়, তাহলে জন্নতের এমন একটি কামরায় তাদের নিয়ে যাওয়া হবে, যেটা সবথেকে মধুর আর আনন্দময়। ওই কামরায় কারা কারা যেতে চাও? চিৎকার করল আল কামা। ১৭৫ জনের পাল্টা চিৎকার, ‘আমি!’
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি। ভোর তিনটের সময় বাস। আজমল আর মুজফফর দেখল ১৭৫ জনের মধ্যে মাত্র ২৪ জন রয়েছে বাসের সামনে। নাম ধরে ধরে তাদের তোলা হল। এবার যাওয়া হবে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে। রুক্ষ, শুষ্ক পাহাড়। শীর্ণ নদী। আর অসহনীয় শীত। নির্জন জায়গার নাম বাট্টাল। কিছু জংলা বন আছে। তবে সেইসব গাছও কেমন যেন প্রাণহীন সবুজ। ঠিক মাঝে একটা গ্রাম। এই হল লস্কর-ই-তোইবার অন্যতম প্রশিক্ষণ শিবির। জঙ্গি তৈরির কারখানা। 
এই প্রথম আজমল ও মুজফ্ফর সহ ওই ২৪ জন একটি ধাতব বস্তু স্পর্শ করল। এ কে ৪৭। শুরু হল বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। কীভাবে বন্দুক চালাতে হয়, সেটাই নয়। প্রশিক্ষণ দেওয়া হল পাহাড়ে দৌঁড়ে ওঠানামা, ২৪ ঘন্টা অনাহারে থাকা। জলে কতক্ষণ ডুবে থাকা সম্ভব, তা পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া হল নিকটবর্তী হ্রদে। কয়েক মাসের লাগাতার ট্রেনিং। 
মুজফফরবাদে কাটল কিছুদিন। তারপর ট্রেন। গন্তব্য করাচি। ১৩ জনের দল পৌঁছল আজিজাবাদ। দোতলা বাড়ি। সাদা রঙের। বাইরে ঊর্দুতে লেখা, ‘কেন আমরা জিহাদ করছি? জানতে হলে এসো, যোগ দাও।’ 
একজনকে দেখিয়ে আল কামা ১৩ জনকে বলল, ইনি আমাদের আমের! বয়স্ক এক লোক। কলপ করা দাড়িগোঁফের সেই আমের বলল, তোমাদের কাজ হিন্দুস্তানকে আক্রমণ করা। লক্ষ্য—মুম্বই। হিন্দুস্তানের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। সেটাই ধ্বংস করে দাও। তোমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে মোবাইলে। যখন ইচ্ছে ফোন করবে। আমরা করাচিতে বসে তোমাদের মুভমেন্ট দেখব। বলে দেব, কোনদিকে যেতে হবে। আমেরের নাম? হাফিজ সঈদ।
নিউ জার্সির ক্যালফোনেক্স সংস্থা থেকে নেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট কল সিস্টেম। আজমলদের দেওয়া হবে ভারতীয় সিমকার্ড। সেটা থেকে ফোন যাবে অস্ট্রিয়ায়। যা ক্যালফোনেক্স পাঠাবে পাকিস্তানে। ইন্টারসেপ্ট করতে পারবে না ভারত। এই হল প্ল্যান।
প্রথমে ঠিক হয় ২৭ সেপ্টেম্বর হবে আক্রমণ। কিন্তু দু’বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়। ঝড় ও বোটের সমস্যায়। আক্রমণ হবে সমুদ্রপথে। কিন্তু করাচি থেকে কোথায় কোথায় যেতে হবে? তাজ হোটেল, লিওপোল্ড কাফে, চাবাদ হাউস, সি এস টি স্টেশন... এসব কোথায়? চেনা যাবে কীভাবে?
সেই কারণেই গত একমাস ধরে এই জায়গাগুলির ভিডিও প্রতিদিন দু’বার করে দেখানো হয়েছে। ঠিক যেভাবে দেখানো হয়েছে, সেভাবেই এগতে হবে। কে ভিডিও করেছে এমন নিখুঁতভাবে? দাউদ গিলানি। বাবা ছিলেন পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিক। ওয়াশিংটনে পোস্টিংয়ের সময় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মী, এক মার্কিন যুবতীকে বিয়ে করেন দাউদের বাবা সৈয়দ সেলিম গিলানি। মেয়েটির বাবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক জনপ্রিয় ফুটবলার, কোলম্যান হেডলি। কিন্তু মার্কিন কন্যার সঙ্গে পাকিস্তানি প্রশাসনিক অফিসারের বিবাহ সুখের হল না। ডিভোর্স হল। তাঁদেরই পুত্র দাউদ গিলানি।
ছেলেটি তখন পাকিস্তানের স্কুলে, ক্লাস নাইনের ছাত্র। সে সময় একদিন শহরে বোমা ফেলে ভারতীয় বিমান বাহিনী। স্কুল বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে যায়। সেই থেকেই ভারতের উপর রাগ তার। তবে বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করায় আর পাকিস্তানে থাকা হয়নি দাউদের। মা তাকে ডেকে নেন শিকাগোয়, নিজের কাছে। মা তখন একটি সংস্থা চালাচ্ছেন। সাহায্য করতে বলেন ছেলেকে। কাজ করলেও তার মন বাইরের জগতে। ড্রাগ ব্যবসায় যুক্ত হল সে। অপেশাদার হওয়ায় ধরাও পড়ল।
আমেরিকার ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি তাকে জানাল, হয় তোমার মাদকচক্রের সবার তথ্য দাও, নয়তো ২০ বছরের জেল। বহু ঝুঁকি সত্ত্বেও ড্রাগচক্রের হদিশ দিয়ে দিল ছেলেটি। তার পরেও জেল হল। তবে মাত্র চার বছরের জন্য। জেল থেকে বেরিয়েই সোজা পাকিস্তান। কারণ স্বাভাবিক। ড্রাগ চক্র তাকে পেলেই হত্যা করবে বেইমানির জন্য।
লাহোরের কাদিশিয়া জামা মসজিদের বাইরে পোস্টার লেখা থাকে, ‘ডোনেশন দিন জেহাদের জন্য। এই টাকা কাশ্মীরের ভাইদের মুক্তির জন্য।’  দাউদ গিলানি সেই পোস্টার দেখে ৫০ হাজার পাকিস্তানি টাকা ডোনেশন দেয়। একজন সাহেব কীভাবে এত টাকা দিল? এ তো কাজের লোক! দ্রুত গিলানিকে আনা হল কাদিশিয়া জামা মসজিদের শুক্রবারের বিশেষ আকর্ষণের কাছে। কী সেই আকর্ষণ? নামাজের পর শুক্রবার বিকেলে একজন বক্তৃতা দেয়। ভারত বিরোধী। জ্বালাময়ী। তার নাম হাফিজ সঈদ। সেই শুরু। সাহেব নয়, সাহেবের মতো দেখতে। আসলে পাকিস্তানি বাবার পাকিস্তানি পুত্র। পাসপোর্টে নাম ডেভিড কোলম্যান হেডলি! সেই হেডলিকেই হাফিজ সঈদ পাঠিয়েছিল মুম্বইতে, ভিডিও করার জন্য। মাসের পর মাস থেকে ভিডিও করে ফের করাচিতে গিয়ে সে সিডি জমা দেয়। 
২২ নভেম্বরের বিকেল। আজমল কাসব আর তার ৯ সঙ্গী রওনা হল একটি নৌকায়। আরব সাগরে। কিছুটা এগিয়ে সামনেই অপেক্ষা করছে লঞ্চ। আল হুসেইনি। ২৬ নভেম্বর প্রথম ক্লু পেল মহারাষ্ট্র পুলিস। আজ সন্ধ্যায় বাধওয়াড় পার্ক সমুদ্রসৈকতে একটি নৌকা এসে থেমেছিল বলে জানাচ্ছে মৎস্যজীবীরা। তবে কোনও চেনা মানুষ নামেনি। ছিল একঝাঁক অচেনা যুবক। কাঁধে ব্যাকপ্যাক। এই খবর যখন এসেছে, ততক্ষণে মুম্বইয়ে গণহত্যা শুরু করে দিয়েছে আজমল কাসবরা। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড কাফে, চাবাদ হাউসে রক্ত, মৃত্যু আর হাহাকারের নরকদৃশ্য। চলে তিনদিন ধরে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড, মুম্বই এসটিএফ, স্পেশাল নেভি ফোর্স যখন ভয়ঙ্কর এই জঙ্গিদের একে একে খতম করেছে, তখন একমাত্র বেঁচেছিল ফরিদকোটের ছেলে আজমল কাসব। ১১ হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিট দেওয়া হয় তার ও পিছনে থাকা মাস্টারমাইন্ডদের বিরুদ্ধে।
তাকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় বাইকুল্লা জে জে হাসপাতালে। সঙ্গীদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ দেখে উচ্চস্বরে কেঁদে ওঠে আজমল কাসব। ফাঁসি হয় তার। প্রবল চাপে পাকিস্তান হাফিজ সঈদ, আবু কামা, জাকিউর রহমান লাখভিকে জেলে দিতে হয় পাকিস্তানকে। কেউ কেউ আবার জামিনও পায়। সবটাই লোকদেখানো। পাকিস্তান কোনও ব্যবস্থাই নিল না মুম্বই হামলার চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে।
২০২৩। করাচির গুলিশান-ই-জানওয়ার মসজিদের সামনে হেঁটে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন মওলানা জিয়াউর রহমান। তৎক্ষণাৎ মৃত। লস্কর-ই- তোইবার উচ্চপর্যায়ের কমান্ডার। হাফিজ সঈদের হাতে গড়া। ঠিক কয়েকদিনের মধ্যে গুলশান-ই-উমর সমাধিস্থলে তিনজন বাইক আরোহী গুলি করে খুন করল মুফতি কাইসার ফারুখকে। লস্করের কমান্ডার হাফিজ সঈদ পুত্র তানহার ঘনিষ্ঠ সেনাপতি। মর্নিং ওয়াকের সময় পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়াড়কে গুলি করে হত্যা করা হয়  মে মাসে। লস্করের সাহায্যে চলা ভারত-বিরোধী খালিস্তানি নেতা ছিল পরমজিৎ। হাফিজ-পুত্র তানহার উপরেও দু’বার অ্যাটাক হয়েছে। কোনওমতে বেঁচে গিয়েছে সে। 
কারা করছে এসব? কেন লস্কর-ই-তোইবার কয়েক ডজন কমান্ডার পাকিস্তানে আইএসআই হেডকোয়ার্টারে গিয়ে আশ্রয় চেয়ে কাতর আবেদন করছে? বলছে, আমাদের রক্ষা করুন। আপনাদের গেস্ট হাউসে রাখুন। নয়তো খুন হয়ে যাব। লস্কর বিরোধী কোভার্ট অপারেশন কারা করছে?
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
26th  November, 2023
রাশিয়ার চিঠি

রুশ জীবনে মিশে আছে যুদ্ধের গন্ধ। ১০৬ বছর পেরিয়েও নাগরিক চেতনায় অমলিন নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতি। বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে রাশিয়ার যোগ সেই জারের আমল থেকে। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ আজও সেখানে সমানভাবে চর্চায়। রাশিয়া ঘুরে এসে লিখছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

03rd  December, 2023
চন্দননগরের উমা
রজত চক্রবর্তী

কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্‌সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে। বিশদ

19th  November, 2023
ফাটাকেষ্টর কালী
রাতুল ঘোষ

যে সময় কালের কথা বলছি, সেটা বিগত সাতের দশকের গোড়ার দিক। নকশাল আন্দোলনের ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ’ শহর কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি সমাজকে ভয়ে তটস্থ করে রেখেছে। বেপাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিবহুল। বিশদ

12th  November, 2023
ইডেনে প্রোটিয়া প্রত্যাবর্তন

বর্ণবৈষম্যহীন দুনিয়ায় স্বাগত, হে ক্লাইভ রাইস বাহিনী! ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর একলাখি ইডেনের এটাই ছিল অভ্যর্থনার মূল সুর।
বিশদ

05th  November, 2023
 বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ‘চোকার্স’রা

নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল রামধনুর দেশ। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে  ৪৫ ওভারে ২৫৩ রানের টার্গেট।
বিশদ

05th  November, 2023
লক্ষ্মীকথা 

 সমৃদ্ধির দেবী তিনি। তাঁর পাঁচালির সঙ্গে আজকের সমাজের মিল খুঁজে পান অনেকে। সেই কাহিনিই লিখলেন রজত চক্রবর্তী বিশদ

29th  October, 2023
কবিগুরুর কনিকা

আম কুড়োতে খুব ভালো লাগত রবির। বিভিন্ন কবিতায় তা ঘুরেফিরে এসেছে। ‘দুই বিঘা জমি’তে তিনি লিখছেন, ‘সেই মনে পড়ে, জৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাইকো ঘুম,/অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।’ শুধু তাই নয়, আশ্রমের কারও মধ্যে এই নেশা থাকলে তিনি তাকে প্রশ্রয় দিতেন।
বিশদ

15th  October, 2023
অসাধারণ মানুষ মোহরদি

৫ এপ্রিল, ২০০০। দুঃসংবাদটা এসেছিল রাত আটটা নাগাদ... মোহরদি আর নেই। দু’দিন পর, ‘বর্তমান’-এ ছাপা হল অতীতচারণ। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল বরুণ সেনগুপ্তের সেই লেখাই।
বিশদ

15th  October, 2023
শক্তিরূপেণ

১৯৯৮। দুর্গাপুজোয় হাতেখড়ি হল আর্ট কলেজ পাশ করা এক যুবকের। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। এখন তিনি কিংবদন্তি। মা দুর্গা তাঁর কাছে শুধু দেবী নন, শক্তির অপর নাম। সেই ভাবনাই কলমে-তুলিতে রবিবারের ক্যানভাসে মেলে ধরলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। বিশদ

08th  October, 2023
বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন
এস শ্রীশান্থ

সময়ের নিজস্ব দাবি থাকে। কালের নিয়মে ছাইচাপা পরিস্থিতির ভিতর থেকেও তা বেরিয়ে আসে। তাই বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এই ব্যাকুলতা ও কাপ জেতার আকুতির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না। বিশদ

01st  October, 2023
মধ্যরাতে সূর্যোদয়!

১৯ নভেম্বরের আমেদাবাদও কি সাক্ষী থাকবে উপচে পড়া আবেগ আর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের? কীর্তি আজাদের সঙ্গে কথা বললেন  সৌরাংশু দেবনাথ বিশদ

01st  October, 2023
শতকের সুচিত্রা

রবীন্দ্রসঙ্গীতের রহস্য নিকেতনে যিনি আমাদের চোখে আলো জ্বেলেছেন, কণ্ঠে দিয়েছেন সুর, অনুভবে দিয়েছেন গভীরতা, আজ তাঁর শতবর্ষের সূচনা লগ্ন। এখন অবসরে ফিরে তাকাই ছ’দশক আগের এক পরমক্ষণে— যেদিন রবীন্দ্রসঙ্গীতের রাজেন্দ্রাণী সুচিত্রা মিত্রকে প্রথম দেখা।
বিশদ

24th  September, 2023
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক

আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছোট ছোট স্বপ্নঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজোর সেই গল্প লিখছেন কলহার মুখোপাধ্যায় বিশদ

17th  September, 2023
ঘুিড়র দৌড়
কালীপদ চক্রবর্তী

চাঁদিফাটা রোদে দিনভর লাটাই হাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতেন। এমনই ছিল তাঁর ঘুড়ি-প্রেম। একদিন বিকেলবেলা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়িয়ে নেমে এসে সেই দৃষ্টিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। কতই বা বয়স তখন, তেরো কি চোদ্দ! রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বিশদ

17th  September, 2023
একনজরে
পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM