Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক

আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছোট ছোট স্বপ্নঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজোর সেই গল্প লিখছেন কলহার মুখোপাধ্যায়
 

পেটকাটি ঘুড়িতে লাল। চাঁদিয়ালে সবুজ। বক্কাতে থাকবে হলুদ আলো। ভাবতে ভাবতে উঠোনে রিকশ রেখে মায়ের হাতে ভাড়ার টাকা তুলে দেয় ছেলেটা। মা চাল কেনে। ভাত বসায়। মাটিতে এখন অবজ্ঞা খানিক ফিকে। এই সময়টা ছেলেটার অবসর। এসময় কি কোনওভাবেই ঘুড়ি ওড়ানো যায় না? তেরো কি চোদ্দোর ছেলেটা ভাবে-টুনি বাল্ব লাগিয়ে ঘুড়িগুলি উড়লে আকাশটা কি ভালোই না লাগত। আকাশের তারার নীচে তাহলে আরও অনেক তারা ফুটে উঠত। সন্ধ্যায় মা শাঁখ বাজায়। তার সঙ্গে ভো-কাট্টা শব্দ মিশে কি চমৎকারই না হয়ে উঠত বিশ্বকর্মা পুজোর রাত। ছেলেটা স্বপ্ন দেখে... 
তবে চাল কিনতে হয় বলে তার ঘুড়ি কেনা হয় না। টুনি কেনার প্রশ্নই ওঠে না। অমাবস্যার পর আকাশ এখন মিশকালো। অতিরিক্ত তারা ফুটিয়ে আকাশ আলো করে তোলার স্বপ্নগুলি সেই মিশকালো অন্ধকার গিলে নেয়। তখন স্বপ্ন দেখার পরিশ্রমে নাকি সারাদিন রিকশ চালানোর জন্য চোখ জুড়িয়ে আসে ছেলেটার। আর মিশকালো অন্ধকারে ভর করে তার ভাবনাগুলি পিছনে সরতে সরতে পাড়ি দেয় সকালের দিকে। তখন আকাশজুড়ে স্বপ্নমায়া। তখন বিশ্বকর্মা পুজোটা আবার প্রথম থেকে শুরু হয়ে উঠে আসে ভাবনায়। সেখানে আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছেলেটা খ্যাঁকানি শোনে। জোরে প্যাডেল করে। আকাশও দেখে।
ওটা বিল্টুর ঘুড়ি। তার পাশেরটা সন্টুর। ছেলেটা নিজেকে দেখতে পায় তার বাড়ির শ্যাওলা ধরা ছাদে। পাশে মামা, মুখটা রোদে ঝলসে বেগুনের মতো হয়ে গিয়েছে। মামা আসত বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে। বাবা বেঁচে তখন। রাতে কারখানা থেকে ফেরার সময় পাঁঠার মাংস আর খুরি ভরে মিষ্টি আনত। পরের দিন খাওয়া হতো। বাবা মারা যাওয়ার পর দোতলা বাড়িটা ছাড়তে হয়। এখন টালির চাল। একতলা বাড়ি। ছাদ নেই। এক পুজোর এক সকালে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। তারপর বসার ঘরের আয়নাটার মতো চকচকে রোদ। ঝিরঝিরে বৃষ্টির পাতলা পর্দা সরিয়ে রোদ সব মনে করিয়ে দেয় ছেলেটাকে...
তর্জনির প্রথম করের ঠিক নীচটায় কড়া পড়ে গিয়েছিল। তারিফের চোখে মামার হাতটার দিকে তাকিয়ে ছিল। কতই বা বয়স হবে তখন? আট বছর! মামা তখন তার একমাত্র হিরো। ছাদের রেলিংটার ধারে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখা, কী অনায়াসে ঘুড়িগুলোকে আকাশে ডানা মেলে দিত। মামা বলত, লাটাইটা ধর। আলগা ধরবি। সুতো টানলে যেন আটকে না যায়।
ঘুড়ি ওড়াতে শেখাবে না মামা?
আগে লাটাই ধরা শেখ! এটা একটা আর্ট। তারপর ঘুড়ির সুতোয় হাত দিবি। 
কী চেঁচান চেঁচাত মা। ওরে ছাদে শ্যাওলা। পড়ে যাবি। সামনে পরীক্ষা। শুনতে মন চাইত না। মুশকিল আসান মামা। ‘একটু বলো না মাকে! আধ ঘণ্টা। প্লিজ...!’ ম্যানেজ হয়ে যেত। তবে আধঘণ্টা নয়। পনেরো মিনিট। ওটাই আরও মিনিট দশেক টেনে বেড়ে যেত ইলাস্টিকের মতো। বিশ্বকর্মা পুজোর ঠিক আগটায়। পেঁজা তুলোগুলো আকাশে ঘুরে বেড়াত। মাঝে মাঝে ঝিরঝিরে বৃষ্টি।
একফোঁটা বৃষ্টি মানে ঘুড়ির দফারফা। তখন হ্যাঁচোড়প্যাঁচোড় করে ঘুড়ি নামাও রে। মাঞ্জাতে যেন জল না পড়ে, সেটা সামলাও রে। বড় ঝক্কির কাজগুলো এসে পড়ে ঘাড়ে। তারপর হাঁ করে চেয়ে থাকো আকাশপানে। কখন রোদ ওঠে। তার আগে বিল্টুর ঘুড়িটাকে কেটে দিয়েছে মামা। সে কি টান। মামার হাত রেলগাড়ির মতো স্পিডে চলছিল। অত দূর থেকে চাঁদিয়ালটা টানের চোটে হু হু করে নেমে আসছে নীচে। ফরফর আওয়াজ ছাদ থেকে কানে আসছে। মামার মতো সুতোয় টান দিতে পারলে জীবন সার্থক। বিল্টুর মুখটাকে দেখে তখন কী হাসিই না লাগছিল। ঠিক ভূগোল স্যর অনাদিবাবুর মতো তোম্বা, ছিড়কুট্টে।
পরশু ও আর সন্টু মিলে মাঞ্জা দিয়েছিল। ডিম মাঞ্জা। বিল্টু শুনে নাক সিঁটকেছিল—‘কী বদ গন্ধ রে বাবা। তোরা দিগে যা। আমি ‘ছাড়া মাঞ্জা’ই দেব। সাবু দিয়ে।’ নে এখন বোঝ। ডিম মাঞ্জার সঙ্গে অন্য মাঞ্জা কখনও পারে নাকি? মামা বলেছিল, ‘ডিম মাঞ্জা পচে যায় তাড়াতাড়ি। কিন্তু যতক্ষণ থাকে ততক্ষণই তার রেলা। কাছে এলেই ঘ্যাঁচ।’
মাঞ্জা দিতে ডিম কিনতে হবে। ক’টা টাকা দেবে? আগের  সন্ধেয় কথাটা বলতেই বাবা মুখের দিকে চেয়ে রইল খানিকক্ষণ। চোখ দেখে পেটটা গুড়গুড় করতে শুরু করেছে। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটল কি না, বোঝা গেল না। তবে টাকাটা দিল বাবা—‘যা পালা। মাকে বলবি না।’ আর পায় কে? দৌড়ে সন্টুর জানলায়। সকাল হতেই ডিম, কাচের গুঁড়ো, ভাতের ফ্যান জোগাড় হল। সুতো হল। সারাদিন রোদ খাবে মাঞ্জা। বাবার বন্ধু মুখার্জি পাড়ার কনককাকু খুব হেল্প করল সেবার। দু’আঙুলে ন্যাকড়া জড়িয়ে কাচের গুঁড়ো কীভাবে সুতোয় ‘টিপ’ দিয়ে দিতে হয় কনককাকু দেখিয়ে দিয়েছিল—‘খুব সাবধান একটু এদিক ওদিক হলেই কিন্তু হাত কেটে ফালা হয়ে যাবে।’ রোদটা ভালোই উঠেছিল। সন্ধের আগেই তৈরি খড়খড়ে, ধারাল দু’হাজার সুতোর মাঞ্জা। সন্টু নিজের ভাগেরটা লাটাইয়ে গুটিয়ে চলে গেল। একটা আলেকজান্ডার, আলেকজান্ডার ফিলিংস হচ্ছিল তখন। আমরা করব জয় নিশ্চয়। যাওয়ার আগে হাতে ধরে ঘুড়ি চেনাল কনককাকু—‘পেটকাটি হল দু’রং দিয়ে বানানো ঘুড়ি। মুখপোড়ার মুখের দিকে অন্য রং। চাঁদিয়ালের বুকে চাঁদ আঁকা। মোমবাতি ঘুড়ির বুকে লম্বালম্বি সাদা চওড়া দাগ দেওয়া থাকে।’
এদিন বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়। মা করে। পুরুতমশাই আসেন। মামা এল সকাল দশটার মধ্যে। বললে, মাঞ্জাটা ভালোই দিয়েছিস। জানানো হল, মাকে বলে ফ্যান ম্যানেজ হয়েছে। কাচ গুঁড়ো করে দিয়েছেন কনককাকু। ল্যাম্পপোস্টে সুতো বেঁধে মাঞ্জা দেওয়া হয়েছে সারা দুপুর। মা কিছু বলেনি। সন্টু যে সঙ্গে ছিল সেটা চেপে যাওয়া হয়েছিল শুধু। মামার হুকুমে মাথায় ঘষে ঘষে সবক’টা ঘুড়িতে ‘চেত্তা’ দিতে হল। কল বাঁধল মামা—‘এটাই আসল বুঝলি। কল বাঁধা ঠিক না হলে ঘুড়ি গোঁত্তা খাবে। তখন আবার ‘কাঁপে কান্নিক’ দিতে হবে। না হলে ওড়ার সময় ঘুড়ির মুখ সোজা থাকবে না।’ তারপর ‘ধোলাই’ দিয়ে উড়িয়ে দিতে হতো ঘুড়ি।
মামা যখন টানা মাঞ্জায় প্যাঁচ খেলে ওর হাত ভালো করে দেখা যায় না, এত স্পিড। লাটাই গুটোতে গুটোতে কাঁধ ব্যথা হয়ে যায়। বিল্টু, কনককাকুর ছেলে, বাচ্চুকাকু, রুস্তম সবার ঘুড়ি কেটেছে ও। রাতে ঘুমের আগে হিসেব করে দেখা গেল, ১২টা ঘ্যাচাং ফু। পাড়ার মধ্যে বেস্ট কে? মামা ছাড়া আবার কে? একটা মুখপোড়া ছিঁড়ে গিয়েছিল। কাগজ সাঁটতে হবে। আঠা তৈরি করার ফিকিরে রান্নাঘরে ঢুকতে হয়েছিল ভাত আনতে। হাঁড়ির ঢাকায় সবে হাত পড়েছে ঠাকুরঘর থেকে বেরিয়ে মা রান্নাঘরে ঢুকল। থাপ্পড় পড়ার বেশ খানিক্ষণ পর টের পাওয়া গেল, ঘামে ভেজা পিঠটা জ্বলে যাচ্ছে। মাকে খুব ভয়। গত বছর একটা কেস হয়েছিল। বস্তির দিক থেকে একটা কাটা ঘুড়ি ভেসে আসে। কালো রঙের মাঞ্জা ঝুলছে অনেকটা নীচে। ধরার জন্য সবাই ছুট দেয়। ঘুড়িটা আটকেছিল বুবুনদের ছাদের অ্যান্টেনায়। কার্নিস বেয়ে ছাদে উঠেছিল নিমাই। সবাই চেষ্টা করেছিল ওঠার। তবে নিমাই ফার্স্টে উঠে ঘুড়িটা পেয়ে যায়। এই খবরটা মায়ের কানে গিয়েছিল। বোধহয় বুবুনের মা বলেছিল। সন্ধেয় বাড়ি ঢোকার পর মা কিছু বলেনি। পড়ার সময় একটা ছোট্ট ভুল নিয়ে কী মারটাই না মারল রান্নার হাতা দিয়ে। হাতার বাড়ি খেয়ে কনুই ফুলে গিয়েছিল। মারতে মারতে চেঁচাচ্ছিল মা, ‘লুকিয়ে লোকের বাড়ি ছাদের ওঠা...। চুরি শিখছো। কাদের সঙ্গে মিশছ তুমি আজকাল। বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ তোমার।’ তারপর তিনদিন খেলতে যেতে দেয়নি। অনেক কান্নাকাটি করে হাতেপায়ে ধরে তবে সেবার রেহাই মিলেছিল।
বাবা কারখানা থেকে এখন ফিরল। হাতে মাংসের ভাঁড়। মামা বিকেলে প্রসাদ খেয়ে চলে যায়। কাল অফিস আছে। বাবা কী একটা হিসেব করছে চেয়ারে বসে। সারাদিন রোদ্দুরে পুড়ে মাথা টনটন করছে। চোখগুলো লাল। রাতে বিছানায় বসিয়ে প্রসাদের খিচুড়ি খাইয়ে শুইয়ে দিল মা। মুখে সেই ক্রিমটা মাখিয়ে দিচ্ছে। এই ক্রিমটার উপর খুব লোভ তবে হাত দেওয়ার নিয়ম নেই। এখন সেটার গন্ধ ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে চোখদুটোকে। সেই কতদূর থেকে মায়ের গলা শোনা যাচ্ছে। ক্রিম লাগাতে লাগাতে বলছে, ‘শুধু ঘুড়ি ওড়ালেই হবে? পড়াশোনাটাও তো করতে হবে নাকি।’ মায়ের হাতের আংটিটা যেটা এখন আর নেই, সেটা হঠাৎ ঝিলিক দেয় বাল্বের হলদে আলোয়। ঘুমের মধ্যে আংটিটা টুনি বাল্ব হয়ে যায়। ফিরে আসে স্বপ্নে। একটা আংটি অনেকগুলো আংটি হয়ে আকাশজুড়ে ঘুড়ির পিঠে চেপে টুনি বাল্ব হয়ে জ্বলতে থাকে। আংটির জন্য, ঘুড়িগুলোর জন্য আকাশজুড়ে হাজার হাজার তারা। 
সেই স্বপ্নে ছেলেটার হাতে ঘুড়ির সুতো। তার ঘুড়িতে ঘরের বাল্বের মতো হলদে আলোর টুনি। বিল্টুর ঘুড়িটায় সবুজ আলো। আকাশে জোনাকির মতো ঝিকমিক করছে কত কত ঘুড়ি। ছেলেটা প্রাণপণে স্বপ্ন ধরে রাখে। স্বপ্নটাকে ভাঙতে দেওয়া যাবে না। স্বপ্ন ভাঙতে দিতে নেই ...
ছবি : অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়
17th  September, 2023
রাশিয়ার চিঠি

রুশ জীবনে মিশে আছে যুদ্ধের গন্ধ। ১০৬ বছর পেরিয়েও নাগরিক চেতনায় অমলিন নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতি। বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে রাশিয়ার যোগ সেই জারের আমল থেকে। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ আজও সেখানে সমানভাবে চর্চায়। রাশিয়া ঘুরে এসে লিখছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

03rd  December, 2023
২৬/১১
সমৃদ্ধ দত্ত

ফরিদকোটে ব্যবসা বাণিজ্য জীবিকার তেমন সুবিধা হয়নি। তাই আমির আলি লাহোরে কনস্ট্রাকশন এজেন্সিতে নাম লিখিয়ে ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বিল্ডিং নির্মাণের মিস্ত্রি। ফরিদকোট বাসস্ট্যান্ডের পিছনের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গেলে আমিরের ঘর। বিশদ

26th  November, 2023
চন্দননগরের উমা
রজত চক্রবর্তী

কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্‌সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে। বিশদ

19th  November, 2023
ফাটাকেষ্টর কালী
রাতুল ঘোষ

যে সময় কালের কথা বলছি, সেটা বিগত সাতের দশকের গোড়ার দিক। নকশাল আন্দোলনের ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ’ শহর কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি সমাজকে ভয়ে তটস্থ করে রেখেছে। বেপাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিবহুল। বিশদ

12th  November, 2023
ইডেনে প্রোটিয়া প্রত্যাবর্তন

বর্ণবৈষম্যহীন দুনিয়ায় স্বাগত, হে ক্লাইভ রাইস বাহিনী! ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর একলাখি ইডেনের এটাই ছিল অভ্যর্থনার মূল সুর।
বিশদ

05th  November, 2023
 বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ‘চোকার্স’রা

নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল রামধনুর দেশ। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে  ৪৫ ওভারে ২৫৩ রানের টার্গেট।
বিশদ

05th  November, 2023
লক্ষ্মীকথা 

 সমৃদ্ধির দেবী তিনি। তাঁর পাঁচালির সঙ্গে আজকের সমাজের মিল খুঁজে পান অনেকে। সেই কাহিনিই লিখলেন রজত চক্রবর্তী বিশদ

29th  October, 2023
কবিগুরুর কনিকা

আম কুড়োতে খুব ভালো লাগত রবির। বিভিন্ন কবিতায় তা ঘুরেফিরে এসেছে। ‘দুই বিঘা জমি’তে তিনি লিখছেন, ‘সেই মনে পড়ে, জৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাইকো ঘুম,/অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।’ শুধু তাই নয়, আশ্রমের কারও মধ্যে এই নেশা থাকলে তিনি তাকে প্রশ্রয় দিতেন।
বিশদ

15th  October, 2023
অসাধারণ মানুষ মোহরদি

৫ এপ্রিল, ২০০০। দুঃসংবাদটা এসেছিল রাত আটটা নাগাদ... মোহরদি আর নেই। দু’দিন পর, ‘বর্তমান’-এ ছাপা হল অতীতচারণ। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল বরুণ সেনগুপ্তের সেই লেখাই।
বিশদ

15th  October, 2023
শক্তিরূপেণ

১৯৯৮। দুর্গাপুজোয় হাতেখড়ি হল আর্ট কলেজ পাশ করা এক যুবকের। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। এখন তিনি কিংবদন্তি। মা দুর্গা তাঁর কাছে শুধু দেবী নন, শক্তির অপর নাম। সেই ভাবনাই কলমে-তুলিতে রবিবারের ক্যানভাসে মেলে ধরলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। বিশদ

08th  October, 2023
বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন
এস শ্রীশান্থ

সময়ের নিজস্ব দাবি থাকে। কালের নিয়মে ছাইচাপা পরিস্থিতির ভিতর থেকেও তা বেরিয়ে আসে। তাই বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এই ব্যাকুলতা ও কাপ জেতার আকুতির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না। বিশদ

01st  October, 2023
মধ্যরাতে সূর্যোদয়!

১৯ নভেম্বরের আমেদাবাদও কি সাক্ষী থাকবে উপচে পড়া আবেগ আর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের? কীর্তি আজাদের সঙ্গে কথা বললেন  সৌরাংশু দেবনাথ বিশদ

01st  October, 2023
শতকের সুচিত্রা

রবীন্দ্রসঙ্গীতের রহস্য নিকেতনে যিনি আমাদের চোখে আলো জ্বেলেছেন, কণ্ঠে দিয়েছেন সুর, অনুভবে দিয়েছেন গভীরতা, আজ তাঁর শতবর্ষের সূচনা লগ্ন। এখন অবসরে ফিরে তাকাই ছ’দশক আগের এক পরমক্ষণে— যেদিন রবীন্দ্রসঙ্গীতের রাজেন্দ্রাণী সুচিত্রা মিত্রকে প্রথম দেখা।
বিশদ

24th  September, 2023
ঘুিড়র দৌড়
কালীপদ চক্রবর্তী

চাঁদিফাটা রোদে দিনভর লাটাই হাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতেন। এমনই ছিল তাঁর ঘুড়ি-প্রেম। একদিন বিকেলবেলা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়িয়ে নেমে এসে সেই দৃষ্টিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। কতই বা বয়স তখন, তেরো কি চোদ্দ! রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বিশদ

17th  September, 2023
একনজরে
আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...

আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM