ফরিদকোটে ব্যবসা বাণিজ্য জীবিকার তেমন সুবিধা হয়নি। তাই আমির আলি লাহোরে কনস্ট্রাকশন এজেন্সিতে নাম লিখিয়ে ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বিল্ডিং নির্মাণের মিস্ত্রি। ফরিদকোট বাসস্ট্যান্ডের পিছনের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গেলে আমিরের ঘর।
কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে।
যে সময় কালের কথা বলছি, সেটা বিগত সাতের দশকের গোড়ার দিক। নকশাল আন্দোলনের ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ’ শহর কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি সমাজকে ভয়ে তটস্থ করে রেখেছে। বেপাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিবহুল।
সমৃদ্ধির দেবী তিনি। তাঁর পাঁচালির সঙ্গে আজকের সমাজের মিল খুঁজে পান অনেকে। সেই কাহিনিই লিখলেন রজত চক্রবর্তী
১৯৯৮। দুর্গাপুজোয় হাতেখড়ি হল আর্ট কলেজ পাশ করা এক যুবকের। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। এখন তিনি কিংবদন্তি। মা দুর্গা তাঁর কাছে শুধু দেবী নন, শক্তির অপর নাম। সেই ভাবনাই কলমে-তুলিতে রবিবারের ক্যানভাসে মেলে ধরলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা।
সময়ের নিজস্ব দাবি থাকে। কালের নিয়মে ছাইচাপা পরিস্থিতির ভিতর থেকেও তা বেরিয়ে আসে। তাই বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এই ব্যাকুলতা ও কাপ জেতার আকুতির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না।
১৯ নভেম্বরের আমেদাবাদও কি সাক্ষী থাকবে উপচে পড়া আবেগ আর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের? কীর্তি আজাদের সঙ্গে কথা বললেন সৌরাংশু দেবনাথ
আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছোট ছোট স্বপ্নঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজোর সেই গল্প লিখছেন কলহার মুখোপাধ্যায়
চাঁদিফাটা রোদে দিনভর লাটাই হাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতেন। এমনই ছিল তাঁর ঘুড়ি-প্রেম। একদিন বিকেলবেলা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়িয়ে নেমে এসে সেই দৃষ্টিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। কতই বা বয়স তখন, তেরো কি চোদ্দ! রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
সুকান্ত বেরা: নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল রামধনুর দেশ। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৫ ওভারে ২৫৩ রানের টার্গেট। একটা সময় জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান। দুই ব্যাটসম্যান ম্যাকমিলান আর ডেভ রিচার্ডসন দারুণ খেলছিলেন। কিন্তু বৃষ্টিতে বদলে গেল পরিস্থিতি। দক্ষিণ আফ্রিকার রিভাইসড টার্গেট ১ বলে ২২ রান। ম্যাচ সেখানেই শেষ, আর প্রোটিয়াদের দুর্ভাগ্য শুরু।
চার বছর পর আবারও গ্রুপ পর্বে ভালো খেলেও ব্রায়ান লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। তবে ৯৯’এর দুঃস্বপ্ন আজও তাড়া করে বেড়ায় জ্যাক ক্যালিস, শন পোলকদের। সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া ও হ্যান্সি ক্রোনিয়ের দক্ষিণ আফ্রিকা। পোলক ও ডোনাল্ডোর আগুনে পেসে ২১৩ রানেই ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দেবদূতের মতো মায়াবী স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে ধস নামালেন শেন ওয়ার্ন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম দু’টি বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্লুজনার জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। অন্তিম ৪ বলে দরকার আর ১ রান। কিন্তু চাপটা নিতে পারলেন না ক্লুজনার। বাকিটা ইতিহাস। দু’বল বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকা থামল ২১৩ রানে। স্কোর টাই। কিন্তু সুপার সিক্সে পয়েন্ট তালিকায় উপরে থাকায় ফাইনালে উঠল অস্ট্রেলিয়া। সাল ২০০৩। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। ডারবানে শ্রীলঙ্কা তুলল ৯ উইকেটে ২৬৮। পরের পর্বে যাওয়ার জন্য জিততেই হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বৃষ্টির জন্য ম্যাচটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, ৪৪.৪ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২২৩ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে হিসেব কষে পোলক মাঠে খবর পাঠালেন যে, যেকোনও সময় ম্যাচ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বৃষ্টির জন্য। বাকি দুই বলে তাই অন্তত ৬ রান নিতেই হবে, সেটাও কোনো উইকেট না হারিয়ে। পঞ্চম বলে মার্ক বাউচার ছয় মেরে ম্যাচটাকে জমিয়ে দিলেন। শেষ বলটাতে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট ছিল যাতে কোনো উইকেট না পড়ে। বলটা কোনোরকমে ঠেকিয়ে ড্রেসিং রুমে হাসি মুখে ফেরত আসলেন দুই ব্যাটসম্যান মার্ক বাউচার এবং ক্লুজনার। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ বন্ধ হয়ে গেছে। আবার শুরু হবে তেমন সম্ভাবনা কম। ততক্ষণে ড্রেসিং রুমে বসে ভুলটা বুঝতে পেরেছেন পোলাক। জেতার জন্য তাঁদের প্রয়োজন ছিল ২৩০ রান, ২২৯ রান করায় ড্র হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা আকুল হয়ে তাকিয়ে ছিল বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য। ম্যাচ শুরু করে মাত্র ১টি বল খেলে ১টি রান করতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যাবে পরের পর্বে। কিন্তু বৃষ্টি আর থামল না। শুরুই হলো না ম্যাচ! অঙ্কের ভুলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সব দেখে মনে হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল যেন অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে।
চার বছর পর আবারও গ্রুপ পর্বে ভালো খেলেও ব্রায়ান লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। তবে ৯৯’এর দুঃস্বপ্ন আজও তাড়া করে বেড়ায় জ্যাক ক্যালিস, শন পোলকদের। সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া ও হ্যান্সি ক্রোনিয়ের দক্ষিণ আফ্রিকা। পোলক ও ডোনাল্ডোর আগুনে পেসে ২১৩ রানেই ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দেবদূতের মতো মায়াবী স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে ধস নামালেন শেন ওয়ার্ন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম দু’টি বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্লুজনার জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। অন্তিম ৪ বলে দরকার আর ১ রান। কিন্তু চাপটা নিতে পারলেন না ক্লুজনার। বাকিটা ইতিহাস। দু’বল বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকা থামল ২১৩ রানে। স্কোর টাই। কিন্তু সুপার সিক্সে পয়েন্ট তালিকায় উপরে থাকায় ফাইনালে উঠল অস্ট্রেলিয়া। সাল ২০০৩। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। ডারবানে শ্রীলঙ্কা তুলল ৯ উইকেটে ২৬৮। পরের পর্বে যাওয়ার জন্য জিততেই হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বৃষ্টির জন্য ম্যাচটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, ৪৪.৪ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২২৩ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে হিসেব কষে পোলক মাঠে খবর পাঠালেন যে, যেকোনও সময় ম্যাচ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বৃষ্টির জন্য। বাকি দুই বলে তাই অন্তত ৬ রান নিতেই হবে, সেটাও কোনো উইকেট না হারিয়ে। পঞ্চম বলে মার্ক বাউচার ছয় মেরে ম্যাচটাকে জমিয়ে দিলেন। শেষ বলটাতে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট ছিল যাতে কোনো উইকেট না পড়ে। বলটা কোনোরকমে ঠেকিয়ে ড্রেসিং রুমে হাসি মুখে ফেরত আসলেন দুই ব্যাটসম্যান মার্ক বাউচার এবং ক্লুজনার। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ বন্ধ হয়ে গেছে। আবার শুরু হবে তেমন সম্ভাবনা কম। ততক্ষণে ড্রেসিং রুমে বসে ভুলটা বুঝতে পেরেছেন পোলাক। জেতার জন্য তাঁদের প্রয়োজন ছিল ২৩০ রান, ২২৯ রান করায় ড্র হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা আকুল হয়ে তাকিয়ে ছিল বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য। ম্যাচ শুরু করে মাত্র ১টি বল খেলে ১টি রান করতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যাবে পরের পর্বে। কিন্তু বৃষ্টি আর থামল না। শুরুই হলো না ম্যাচ! অঙ্কের ভুলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সব দেখে মনে হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল যেন অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে।
