Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন
এস শ্রীশান্থ

সময়ের নিজস্ব দাবি থাকে। কালের নিয়মে ছাইচাপা পরিস্থিতির ভিতর থেকেও তা বেরিয়ে আসে। তাই বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এই ব্যাকুলতা ও কাপ জেতার আকুতির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না।
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। তাও ১২ বছর পর। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির আকাঙ্খা পালতোলা নৌকার মতো ছুটবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। ২০১১ সালেও একই রকম উন্মাদনা ছিল। দেশের যে প্রান্তে খেলতে গিয়েছি, সবার মুখে একটাই কথা—‘স্যর, ওয়ার্ল্ড কাপ জিতনা পড়েগা।’ সে হোটেলের কর্মীই হোক কিংবা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ান। আসলে ক্রিকেট আজও ভারতীয় জীবনের অঙ্গ। আমাদের ধর্ম, ভালোবাসা, বেঁচে থাকার জিয়নকাঠিও বটে। এশিয়া কাপ জেতার পর তাই রোহিতের হাতেই কাপ দেখতে পাচ্ছি, চাইছিও। সাহস করে বলতে পারি, এই সিরাজকে থামানোর দম কার আছে! বিশ্বকাপের ঠিক আগে ফর্মের শিখরে টিম ইন্ডিয়া। কোহলি, শুভমানদের আত্মবিশ্বাস দেখে ‘পুষ্পা’ সিনেমার সেই জনপ্রিয় সংলাপ মনে পড়ছে—‘ম্যায় ঝুকেগা নেহি...।’
ক্রিকেটের এই মহাকুম্ভে সকলেই অন্তত একবার ডুব দিতে চায় অমৃতের সন্ধানে। কারও মনস্কামনা পূর্ণ হয়, কারও হয় না। আমি ঩কিন্তু সেই ভাগ্যবান ক্রিকেটার, যে দু’বার বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পেয়েছি। তিরাশিতে কপিল দেবের হাতে যেদিন প্রথমবার কাপ উঠেছিল, তখন আমি মাত্র চার মাসের। ভারতীয় ক্রিকেটে নবজাগরণের উত্তাপ আহরণের সুযোগ হয়নি। তবে ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জয়, আজও ভাবলে শিহরিত হই। কিন্তু ২০১১ সালের ২ এপ্রিল কখনও ভোলার নয়। ভুলবই বা কী করে! মায়াবী রাতে ওয়াংখেড়ে থেকে ট্রাইডেন্ট হোটেলে ফেরার কয়েক ঘণ্টা কীভাবে কেটে যে গিয়েছিল, বুঝতেও পারিনি। সকলেই তখন ঘোরের মধ্যে। আতসবাজি পুড়ছে, ব্যান্ড বাজছে, কোমর দোলাচ্ছে লক্ষ লক্ষ সমর্থক। এ এক অন্য স্বাধীনতার স্বাদ!
বলতে দ্বিধা নেই, এগারোর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলে আমি ছিলাম ‘অ্যাক্সিডেন্টাল মেম্বার্স’। প্রবীণ কুমার চোট না পেলে বিশ্বকাপ খেলাই হতো না। পুরো জানির্টাই ছিল নাটকীয়তায় মোড়া। যত দূর মনে পড়ে, বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড খেলতে এসেছিল আমাদের এখানে। বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান থাকায় ‘ছুটি’ নিয়েছিলেন আশুভাই (আশিস নেহরা)। এক অনুষ্ঠানে কোচ গ্যারি কার্স্টেনের সঙ্গে দেখা। বললেন, তুমি কি খেলবে? গুয়াহাটি ও জয়পুরে দুর্দান্ত বল করেছিলাম। তখনও বুঝিনি, আমি আসলে বিশ্বকাপ দলে ব্যাক-আপ প্ল্যানের অঙ্গ। প্রবীণ ভাইয়ের জন্য খারাপ লেগেছিল। তবে মনে মনে নেহরা ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলাম ‘ছুটি’ নেওয়ার জন্য। না হলে তো ঘরের মাঠে আমার বিশ্বকাপ খেলা ও জেতা, দু’টোই অধরা থেকে যেত।
মীরপুরে প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলাম। প্রত্যাশা ছুঁতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবেই ঠিকানা হয় ড্রেসিংরুম। হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। ফাইনালের আগের দিন হঠাৎ শচীন পাজি আমাকে কোচ গ্যারি কার্স্টেনের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, শ্রীকে ফাইনালে খেলানো উচিত। ধোনিভাইও সায় দিয়েছিল। ভেবেছিলাম, আমার সঙ্গে মজা হচ্ছে। ভুল ভাঙল রাতে। ডিনারের পর ভাজ্জিপার (হরভজন সিং) ফোন, ‘তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়, কাল ফাইনালে তুই খেলবি।’
সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। প্রচণ্ড টেনশন হচ্ছিল। অনেকেই হয়তো জানেন না, ফাইনালে আমি হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলাম। কয়েক ওভার পর আর বল করার মতো অবস্থায় ছিলাম না। শচীনপাজি পিঠে হাত রেখে বলল, ‘শ্রী কাম অন, তুই পারবি। ট্রফিটা জিততেই হবে।’ সেকথা আজও কানে বাজে। কাপ জেতার ঠিক আগের মুহূর্তগুলো ভেসে ওঠে চোখের সামনে। গ্যালারি গাইছে বন্দে মাতরম... গায়ের রোম খাড়া করে দেওয়ার মতো এক আবেগঘন দৃশ্য। সেই উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল ধোনির সেই ‘দে ঘুমাকে’ স্টাইলে হাঁকানো বিশাল ছক্কা। ম্যাচ তো আগেই চলে এসেছিল আয়ত্তে। তবে মাহি ভাই যে কুলশেখরার বলে এভাবে সপাটে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটাবে, তা ছিল সাধারণ চিন্তায় অকল্পনীয়। ক্যাপ্টেন এমনই হওয়া উচিত, যে সামনে থেকে বুক চিতিয়ে লড়াই করে গোটা দলকে উদ্বুদ্ধ করবে। ফাইনালে যুবি পাজির আগে ধোনির ব্যাট করতে নামার সিদ্ধান্তও ছিল একেবারে সঠিক ও সময়োপযোগী। 
তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। বারবার আইসিসির টুর্নামেন্ট থেকে আমাদের ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। রোহিতদের বলব, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্বজয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়। এই সুযোগ বারবার আসবে না। তোমরা পারবে। আমরা সবাই কাপটা জিততে চেয়েছিলাম শচীনপাজির জন্য। ওটাই ছিল ওঁর শেষ বিশ্বকাপ। এবার কাপটা জেতা উচিত কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের জন্য। উনি কত ভালো অধিনায়ক বা কত বড় কোচ, সেই হিসেবে না-ই বা গেলাম। তবে মানুষটা বড় ভালো। বরাবরই ক্লাসে ‘সেকেন্ড’ হয়েই থেকে গেলেন। বিশ্বকাপটা সত্যিই ওঁর প্রাপ্য।
বড় আসরে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু এক্স ফ্যাক্টর কাজ করে। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল যুবরাজ সিংয়ের। ওঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সই বিশাল ফারাক গড়ে দিয়েছিল। ন’টি ম্যাচে ৩৬২ রান, বল হাতে ১৫টি উইকেট—প্রকৃত অর্থেই যুবিপাজি ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। আসলে একদিনের ফরম্যাটে বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। এই ভারতীয় দলেও কাউকে যুবরাজ সিং হয়ে উঠতে হবে। সেটা হার্দিক পান্ডিয়া কিংবা রবীন্দ্র জাদেজা হতে পারে। চার নম্বরে কে খেলবে, তা নিয়ে অনেক হইচই শুরু হয়েছিল। এখন কি তা শুনতে পাচ্ছেন? পাবেন না। দল জিতলে সব ব্যর্থতা নিমেষে ঢাকা পড়ে যায়। লোকেশ রাহুল চোট সারিয়ে দুরন্ত ফর্মে। শ্রেয়স আইয়ারও সেঞ্চুরি করল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ব্যাক-আপ হিসেবে রয়েছে ঈশান কিষান, সূর্যকুমার যাদব। আমার তো মনে হয়, সবাই যেভাবে সেরাটা মেলে ধরছে, তাতে সমস্যায় পড়বে ম্যানেজমেন্ট।
এবারের দলে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের মিশেল স্পষ্ট। এগারোর বিশ্বকাপ খেলছিল কোহলি। ও জানে, কীভাবে খেতাব ছিনিয়ে নিতে হয়। রোহিতের ট্রফি ভাগ্য দুর্দান্ত। ওদের ঘিরেই তো স্বপ্ন বুনছি আমরা। এর চাইতে ভালো ব্যাটিং লাইন-আপ কিছুই হতে পারে না। তবে আমার বাজি তরুণ তুর্কি শুভমান গিল। নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ ওঁর সামনে। কী অসাধারণ ব্যাটিংই না করছে ছেলেটা! ও রান পেলে রোহিত, কোহলির বোঝা কমবে। দেখবেন, গিলকে থামানো যাবে না।
বোলিংও যথেষ্ট শক্তিশালী। স্পিন বিভাগে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে কুলদীপ যাদবের জুটি ক্লিক করা উচিত। সঙ্গে অক্ষর প্যাটেল খারাপ চয়েস ছিল না। কিন্তু চোট তো বলেকয়ে আসে না। অশ্বিনকে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্তটা একদম সঠিক। তবে যে সময়ে খেলা হচ্ছে, তাতে পেসারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিক থেকেও অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া। বুমরাহকে দেখে মনে হচ্ছে না, ও বহুদিন মাঠের বাইরে ছিল। একই রকম খিদে লক্ষ্য করছি ওঁর বোলিংয়ে। সিরাজ এখন অনেক পরিণত। দারুণ স্যুইং রয়েছে হাতে। সামি হল পুরনো চাল ভাতে বাড়ার মতো। তবে শার্দূলকে দ্রুত ছন্দে ফিরতে হবে।
বিশ্বকাপ জেতার মতো সব উপাদানই মজুত এই ভারতীয় দলে। দরকার শুধু মনের জোর আর মাঠে নেমে সেরাটা মেলে ধরা। আমি আশাবাদী, ১৯ নভেম্বর মোতেরায় ফিরে আসবে ওয়াংখেড়ের সেই রাত।
অনুলিখন: সুকান্ত বেরা
01st  October, 2023
রাশিয়ার চিঠি

রুশ জীবনে মিশে আছে যুদ্ধের গন্ধ। ১০৬ বছর পেরিয়েও নাগরিক চেতনায় অমলিন নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতি। বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে রাশিয়ার যোগ সেই জারের আমল থেকে। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ আজও সেখানে সমানভাবে চর্চায়। রাশিয়া ঘুরে এসে লিখছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

03rd  December, 2023
২৬/১১
সমৃদ্ধ দত্ত

ফরিদকোটে ব্যবসা বাণিজ্য জীবিকার তেমন সুবিধা হয়নি। তাই আমির আলি লাহোরে কনস্ট্রাকশন এজেন্সিতে নাম লিখিয়ে ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বিল্ডিং নির্মাণের মিস্ত্রি। ফরিদকোট বাসস্ট্যান্ডের পিছনের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গেলে আমিরের ঘর। বিশদ

26th  November, 2023
চন্দননগরের উমা
রজত চক্রবর্তী

কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্‌সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে। বিশদ

19th  November, 2023
ফাটাকেষ্টর কালী
রাতুল ঘোষ

যে সময় কালের কথা বলছি, সেটা বিগত সাতের দশকের গোড়ার দিক। নকশাল আন্দোলনের ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ’ শহর কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি সমাজকে ভয়ে তটস্থ করে রেখেছে। বেপাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিবহুল। বিশদ

12th  November, 2023
ইডেনে প্রোটিয়া প্রত্যাবর্তন

বর্ণবৈষম্যহীন দুনিয়ায় স্বাগত, হে ক্লাইভ রাইস বাহিনী! ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর একলাখি ইডেনের এটাই ছিল অভ্যর্থনার মূল সুর।
বিশদ

05th  November, 2023
 বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ‘চোকার্স’রা

নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল রামধনুর দেশ। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে  ৪৫ ওভারে ২৫৩ রানের টার্গেট।
বিশদ

05th  November, 2023
লক্ষ্মীকথা 

 সমৃদ্ধির দেবী তিনি। তাঁর পাঁচালির সঙ্গে আজকের সমাজের মিল খুঁজে পান অনেকে। সেই কাহিনিই লিখলেন রজত চক্রবর্তী বিশদ

29th  October, 2023
কবিগুরুর কনিকা

আম কুড়োতে খুব ভালো লাগত রবির। বিভিন্ন কবিতায় তা ঘুরেফিরে এসেছে। ‘দুই বিঘা জমি’তে তিনি লিখছেন, ‘সেই মনে পড়ে, জৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাইকো ঘুম,/অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।’ শুধু তাই নয়, আশ্রমের কারও মধ্যে এই নেশা থাকলে তিনি তাকে প্রশ্রয় দিতেন।
বিশদ

15th  October, 2023
অসাধারণ মানুষ মোহরদি

৫ এপ্রিল, ২০০০। দুঃসংবাদটা এসেছিল রাত আটটা নাগাদ... মোহরদি আর নেই। দু’দিন পর, ‘বর্তমান’-এ ছাপা হল অতীতচারণ। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল বরুণ সেনগুপ্তের সেই লেখাই।
বিশদ

15th  October, 2023
শক্তিরূপেণ

১৯৯৮। দুর্গাপুজোয় হাতেখড়ি হল আর্ট কলেজ পাশ করা এক যুবকের। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। এখন তিনি কিংবদন্তি। মা দুর্গা তাঁর কাছে শুধু দেবী নন, শক্তির অপর নাম। সেই ভাবনাই কলমে-তুলিতে রবিবারের ক্যানভাসে মেলে ধরলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। বিশদ

08th  October, 2023
মধ্যরাতে সূর্যোদয়!

১৯ নভেম্বরের আমেদাবাদও কি সাক্ষী থাকবে উপচে পড়া আবেগ আর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের? কীর্তি আজাদের সঙ্গে কথা বললেন  সৌরাংশু দেবনাথ বিশদ

01st  October, 2023
শতকের সুচিত্রা

রবীন্দ্রসঙ্গীতের রহস্য নিকেতনে যিনি আমাদের চোখে আলো জ্বেলেছেন, কণ্ঠে দিয়েছেন সুর, অনুভবে দিয়েছেন গভীরতা, আজ তাঁর শতবর্ষের সূচনা লগ্ন। এখন অবসরে ফিরে তাকাই ছ’দশক আগের এক পরমক্ষণে— যেদিন রবীন্দ্রসঙ্গীতের রাজেন্দ্রাণী সুচিত্রা মিত্রকে প্রথম দেখা।
বিশদ

24th  September, 2023
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক

আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছোট ছোট স্বপ্নঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজোর সেই গল্প লিখছেন কলহার মুখোপাধ্যায় বিশদ

17th  September, 2023
ঘুিড়র দৌড়
কালীপদ চক্রবর্তী

চাঁদিফাটা রোদে দিনভর লাটাই হাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতেন। এমনই ছিল তাঁর ঘুড়ি-প্রেম। একদিন বিকেলবেলা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়িয়ে নেমে এসে সেই দৃষ্টিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। কতই বা বয়স তখন, তেরো কি চোদ্দ! রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বিশদ

17th  September, 2023
একনজরে
জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM