Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

শতকের সুচিত্রা

রবীন্দ্রসঙ্গীতের কিংবদন্তি সুচিত্রা মিত্রের জন্মশতবর্ষ! গুরুদক্ষিণায় ছাত্রী মীনাক্ষী সিংহ। ক্যামেরায় ধরা স্মৃতি উজাড় করলেন অশোক মজুমদার

রবীন্দ্রসঙ্গীতের রহস্য নিকেতনে যিনি আমাদের চোখে আলো জ্বেলেছেন, কণ্ঠে দিয়েছেন সুর, অনুভবে দিয়েছেন গভীরতা, আজ তাঁর শতবর্ষের সূচনা লগ্ন। এখন অবসরে ফিরে তাকাই ছ’দশক আগের এক পরমক্ষণে— যেদিন রবীন্দ্রসঙ্গীতের রাজেন্দ্রাণী সুচিত্রা মিত্রকে প্রথম দেখা। সে এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। ১৯৬০ সালের জুন মাসে এক স্মৃতিময় অপরাহ্নে ভর্তি হয়েছিলাম ‘রবিতীর্থ’র উত্তর কলকাতা শাখায়। এতদিন যাঁর কণ্ঠের রুদ্রমধুর পরিবেশনায় ছিলাম মুগ্ধ শ্রোতা— তিনি তখন আমার সামনে। সে তো নিছক আগমন নয়, যেন ‘আবির্ভাব’।
তাঁর কাছে রবীন্দ্রগানের দীক্ষা নিয়ে আমার জীবনপথের চলা অনিঃশেষ। সুচিত্রা মিত্র তখনও চল্লিশে পা দেননি। ছিলেন প্রাণচাঞ্চল্য হৃদয়বত্তা, স্মার্টনেস ও ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ী এক অভিজাত সত্তা। স্মৃতি দূরবিনে আজও দেখতে পাই সেই দিনগুলির প্রতিটি মুহূর্তকে। রবিতীর্থের প্রাণপ্রতিমা সুচিত্রা মিত্র এসে দাঁড়ালেন আমাদের সামনে। ঠিক যেন—‘একটি নিমেষ দাঁড়াল সরণি জুড়ে।’ মনে পড়ছে রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক অরুণ বসুর মন্তব্য, ‘একদিন শুরু হল সুচিত্রা মুখোপাধ্যায়ের (মিত্র) যুগ। অবিশ্বাস্য অন্য কণ্ঠ, একেবারেই অন্য কণ্ঠ। কী দৃপ্ত, কী সরল ঋজু সতেজ, কী বিশ্বস্ত, কী অনায়াস।’
১৯৬০ থেকে ২০১১— দীর্ঘ পাঁচ দশক তাঁর সান্নিধ্যধন্য অতি সাধারণ এক ছাত্রী আজ জীবনের গোধূলিবেলায় স্মরণাঞ্জলিতে দিচ্ছে গুরুদক্ষিণা। না, এ কোনও ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা নয়, এক অসামান্যা সুর সাধিকার প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সুচিত্রাদির জন্ম ১৯২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। চলন্ত ট্রেনে। সেই সময়ে ট্রেন থেমেছিল বিহারের গুঝাণ্ডি স্টেশনে। তাই তাঁর ডাক নাম হল—গুজু বা গজু। একসময় শান্তিনিকেতনে অনন্যা গায়িকা-ত্রয়ী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র ও নীলিমা সেন তাঁদের ডাকনামেই বিখ্যাত ছিলেন—মোহর, গজু ও বাচ্চু। বাবা রবীন্দ্র স্নেহধন্য সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় ছিলেন খ্যাতনামা সাহিত্যিক। বাড়িতে সংস্কৃতির পরিমণ্ডল। মায়ের গলায় গান শুনে তাঁর বড় হয়ে ওঠা। বেথুন স্কুলে শিক্ষালাভ। সেই পর্ব শেষে, ১৯৪১ সালে কবিগুরুর তিরোধানের কিছু পরে শান্তিনিকেতনে যোগদান করেন সঙ্গীত শিক্ষার্থীরূপে। যেখানে আকাশে-বাতাসে মিশে আছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁকে না পাওয়া সুচিত্রাদির জীবনে এক বেদনাবাহ ক্ষত। তবু রবীন্দ্রনাথের গানের তরীতেই তাঁর ভেসে চলা। দীর্ঘ সাত দশক পেরিয়ে, সেই যাত্রা থামল ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি। হয়তো আজ সিন্ধু পারের নতুন তীরে দেখা হয়ে গিয়েছে তাঁর জীবনদেবতার সঙ্গে, যেখানে গানের সুরে রবীন্দ্রনাথকে অন্তরতম রূপে পেয়েছেন সুচিত্রাদি।
মনে পড়ছে একদিন গান শেখাতে বসে তাঁর আত্মমগ্ন স্মৃতিচারণ। ‘ভেবেছিলেন আসবে ফিরে’ গানটি শেখাতে গিয়ে বললেন, ‘রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণের দিনে শান্তিনিকেতনে বেদনাবিদ্ধ কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল—ভেবেছিলেম আসবে ফিরে,/ তাই সাহস করে দিলেন বিদায়।/ তুমি গেলে ভাসি নয়ননীরে/এখন শ্রাবণদিনে মরি দ্বিধায়।’ আমাদের সামনেও যেন সেদিন শান্তিনিকেতনের বিষণ্ণ শ্রাবণ বেলার ছবিটি উদ্ভাসিত হয়েছিল।
শান্তিনিকেতনে সুচিত্রাদি (তখন মুখোপাধ্যায়) গান শিখেছিলেন ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণী, শান্তিদেব ঘোষ, শৈলজারঞ্জন মজুমদারের কাছে। এরপর ফের কলকাতার পর্ব। ভর্তি হলেন স্কটিশচার্চ কলেজে। এই সময়েই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ধ্রুব মিত্র ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের। পরে ধ্রুব মিত্রর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হলেন। ১৯৪৭ সালে জন্ম হয় একমাত্র পুত্র কুণালের। কিন্তু চিরাচরিত দাম্পত্য বন্ধন তাঁর লিখন নয়। ১৯৫৫ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ। এরপর কুণালকে নিয়ে শুরু হয় তাঁর একক জীবন সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে তাঁর পাথেয় ছিল রবীন্দ্রনাথের গান—‘যেতে যেতে একলা পথে/ নিবেছে মোর বাতি।/ ঝড় এসেছে, ওরে, এবার/ ঝড়কে পেলেম সাথি।’
এই ঝড় তাঁর জীবনে বারবার এসেছে। আর সেই ঝড়কে সঙ্গী করেই চলেছে জীবনের পথ পরিক্রমা। কন্যার জন্মের মাত্র ২১ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় তাঁর ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর। মাতৃহারা সেই সদ্যোজাতকে মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছিলেন আজীবন। পুত্র কুণাল ও কন্যারূপা সুদেষ্ণার মা সুচিত্রা মিত্র আঘাত পেয়েছেন বারবার। তাঁর জীবন ‘মধুর খেলা’ ছিল না—তবু কবির গানের সুরে তিনি বেঁধেছিলেন নিজের জীবনের ছন্দ। রবীন্দ্রসঙ্গীতই ছিল তাঁর পরমতম আশ্রয়।
সুচিত্রাদির আগে ধ্রুব মিত্র বিয়ে করেছিলেন গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে যিনি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী হিসেবে সুখী দাম্পত্যে স্থিত হয়েছিলেন। এমনকী সুচিত্রাদির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তৃতীয়বার বিয়ে করেন ধ্রুব মিত্র। সেই মহিলার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল একক নিঃসঙ্গ পথচারিণী সুচিত্রাদির। শ্রদ্ধাগত চিত্তে সম্পর্ক রেখেছিলেন ধ্রুবর মায়ের সঙ্গেও। পুত্র কুণালের জন্য আজীবন বহন করেছেন নিজের ‘মিত্র’ পদবি। শুধু তাই নয়, বিবাহ বিচ্ছেদের পরও ধ্রুবকে স্বীকৃতি দিয়েছেন বন্ধু বলে। তাঁর মৃত্যুর পর বলেছিলেন, ‘আমার বন্ধু চলে গেল।’
বেদনা-ভরা জীবন। সেই বেদনাকে আত্মস্থ করার পথ সুচিত্রা মিত্র খুঁজে পেয়েছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতে। একথা সকলের জানা। খ্যাতি, প্রতিপত্তি, সম্মান, ঐশ্বর্যের পাশাপাশি পড়ে থাকে যে অসীম একক সত্তা, সেখানে তাঁর আশ্রয় ছিল জীবনদেবতা রবীন্দ্রনাথের গান। রবীন্দ্রনাথই যে তাঁর চিরপথের সঙ্গী, চিরজীবন, চিরনির্ভর। সেই জন্যই ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন গীতায়ন ‘রবিতীর্থ’। সহযোগী অকৃত্রিম সুহৃদ দ্বিজেন চৌধুরী। প্রতিষ্ঠানের নামকরণের পর ডঃ কালিদাস নাগ বলেছিলেন, ‘তীর্থক্ষেত্র যেমন সব জাতির সমন্বয়, রবিতীর্থও তেমনই সকল কৃষ্টির মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠুক।’ তাই অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ‘একান্ত ঠিকানা’ কবিতায় লেখেন—‘শান্তিনিকেতন ছেড়ে নগরের পথে/ আমিও যখনই যাই শ্রাবণে শরতে/ একান্ত ঠিকানা বলতে এ গীতবিতান/ রবিতীর্থ আছে জানি পরাশর রোডে।’
তারপর শুরু হল ‘রবিতীর্থে’র জয়যাত্রা। সাংস্কৃতিক পথ পরিক্রমাও বলা যায়। ১৯৫৫ সালে বর্ষামঙ্গল, ১৯৫৮ সালে নিউ এম্পায়ারে মঞ্চস্থ হল ‘চণ্ডালিকা’।  ১৯৬৪ সালে আবারও মঞ্চস্থ হল ‘চণ্ডালিকা’, এবার মহাজাতি সদনে। এর পর একে একে ‘বাল্মীকি প্রতিভা’, ‘শাপমোচন’, ‘শ্যামা’, ‘তাসের দেশ’—  অনন্য সব অনুষ্ঠান। সবই সুচিত্রা মিত্রের পরিচালনায়। রবিতীর্থের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রধান গীতি ভূমিকায় স্বয়ং তিনি। সমকালীন বিশিষ্ট সুধীজন ও মনীষীবৃন্দ সকলেই তাঁর অসামান্য কণ্ঠসম্পদের অনুরাগী। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে অশোক মিত্রের কথা। কবির স্নেহধন্যা অমিতা সেনের অসামান্য কণ্ঠলাবণ্যের প্রসঙ্গে একবার বলেছিলেন—‘সেরকম গলা সুচিত্রার সঙ্গীত জীবনের শীর্ষে কয়েকবার শুনেছি। গলা যেন শেলীর সুপ্রসিদ্ধ স্কাইলার্কের মতো ঊর্ধ্বে, আরও ঊর্ধ্ব গগনে উঠছে তো উঠছেই।’
সুচিত্রাদির একক গানের অনুষ্ঠানে সাক্ষী থাকাও এক বিরল অভিজ্ঞতা। এ সৌভাগ্য যাঁদের হয়েছে, তাঁরা জানেন সেই অনৈসর্গিক অনুভবের কথা। একবার এক আসরে বসে পরপর ৩০টি গান গাইলেন সম্পূর্ণ স্মৃতি থেকে। অবিস্মরণীয় এক উপহার পেলেন শ্রোতারা। তবে রবিতীর্থের অনুষ্ঠানের চমক ছিল অন্য এক জায়গায়। প্রচলিত গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য ছাড়াও থাকত উপন্যাস পাঠ, ছবি নিয়ে গানের মতো বিষয়। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নানান ভাবনার নানা রূপ মূর্ত হয়ে উঠত গানে গানে। সমগ্র পরিকল্পনা ও রূপায়ণের কৃতিত্ব একজনেরই—সুচিত্রা মিত্র।
স্মৃতিপথে ফিরে তাকালে মনে পড়ে এক অসামান্য অনুষ্ঠানের কথা। সুচিত্রাদির একক নিবেদন— ‘বাল্মীকি প্রতিভা’। শুধু দস্যুদলের কয়েকটি পুরুষকণ্ঠ বাকি সম্পূর্ণ বাল্মীকি প্রতিভা তাঁর অতুলনীয় একক কণ্ঠে। এছাড়াও বিশেষ কয়েকটি অনুষ্ঠানের কথা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। ১৯৭১ সালে রাজভবনে অনুষ্ঠিত ‘চিত্রাঙ্গদা’। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের জননায়ক মুজিবর রহমান। ১৯৭৫ সালে রবিতীর্থের শিল্পীগোষ্ঠীকে নিয়ে সুচিত্রাদি গিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এক বিশেষ আমন্ত্রণে। সেখানে মঞ্চস্থ হয় ‘তাদের দেশ’। মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে পড়ে শ্রোতাদের মধ্যে। তিনি অবশ্য বহুবার লন্ডনে ও আমেরিকায় একক রবীন্দ্রসঙ্গীতও পরিবেশন করেছেন। কলকাতায় আমজাদ আলি খানের সরোদের সঙ্গে সুচিত্রা মিত্রের গানের যুগলবন্দি ছিল শ্রোতা দর্শকের কাছে এক অনন্য উপহার।
শুধু গানের সুরেই নয়, নৃত্যলীলা, আবৃত্তি, নাট্য ভাবনা, ললিতকলা, সাহিত্য সৃজনেও তিনি ছিলেন অনুপমা। ‘নটীর পূজা’য় শ্রীমতী, ‘তপতী’ নাটকে বিপাশা, ‘চিরকুমার সভা’র নীরবালা তাঁর অভিনয়, নৃত্য ও সঙ্গীতকলার এক অনন্য মেলবন্ধনের প্রকাশ। আবার অবসর সময়ে ব্যস্ত থেকেছেন ছবি আঁকা, পুতুল গড়া, ছড়া-কবিতা লেখা, স্মৃতিচারণে। অনুবাদের ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য দক্ষতার সাক্ষ্য বহন করে খলিল জিব্রানের কবিতার অনুবাদ, ‘মরমী বচন’। ‘দুঃখ আমার অসীম পাথার পার হল যে’— সেই দুঃখব্রতকে জীবনের আশ্রয় বলে মেনে নিয়েছিলেন। হয়তো তাই খলিল জিব্রানের ‘Spiritual Saying’-এর ভাবানুবাদে লিখেছিলেন,
‘এরই মাঝে— তবু বলি শোনো/ এমনও দুঃখ আছে কোনো/ প্রেমের থেকেও যে গভীর/ জ্ঞানের থেকেও মহিমময়/ বাসনার চেয়ে যে দৃঢ়/ দারিদ্র্য দুঃখ থেকেও প্রগাঢ়/ নেই তার কণ্ঠ কিংবা ভাষা।’
এ যেন তাঁর জীবনের এক গভীর উচ্চারণ!
সঙ্গীত, সাহিত্য, অভিনয়, নৃত্য-প্রতিভার বাইরেও  আরও একটি পরিচয় আছে সুচিত্রাদির। সাধারণ মানুষের কাছে যা কিছুটা অজানাও বটে। তা হল, ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের সঙ্গে তাঁর যোগ। বামপন্থায়  সুগভীর আস্থা ছিল সুচিত্রাদির। এই প্রসঙ্গে আরও একটি অজানা তথ্য উল্লেখ করা যাক। রবীন্দ্রসঙ্গীতের  সাধিকা হলেও প্রথম দিকে আরও অনেক রকমের গান গেয়েছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত তাঁর সাধনা, উপাসনা। কিন্তু নিজেকে তার মধ্যেই আবদ্ধ করে রাখেননি। গেয়েছেন ব্রহ্মসঙ্গীত, অতুলপ্রসাদী, নজরুল গীতি, আধুনিক, নবজীবন ও গণনাট্যের গানও। তাঁর কর্মপরিধি বিস্ময়কর। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। কলকাতার প্রথম মহিলা শেরিফ হওয়ার গৌরবময় পালকও জুড়েছে তাঁর মুকুটে। ভূষিত হয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে। আবার এতকিছুর মধ্যেও অসামান্য নিপুণতায় সংসারের সব দায়িত্ব সামলেছেন একা হাতে।
সুচিত্রাদির কর্মব্যস্ত জীবনের বড় অংশজুড়ে ছিল প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ‘রবিতীর্থ’। আর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, যাঁদের তিনি দিয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের দীক্ষা। রবীন্দ্রনাথের গানকে কীভাবে শুধু কণ্ঠে ধারণ নয়, হৃদয়েও বরণ করতে হয়— দিয়েছেন সেই শিক্ষাও। বুঝিয়েছেন, রবীন্দ্রবাণী ও ভাবের যুগল সম্মেলনে কীভাবে সুর প্রাণ পায়। এখানেই তাঁর সার্থকতা। সুচিত্রাদি শিখিয়েছেন সেই ভাবরূপকে সমন্বিত করতে। প্রতিটি শব্দকে আলাদা মর্যাদা দিয়ে সুর-ঋদ্ধ উচ্চারণে কীভাবে গানকে প্রাণের স্পন্দন দিতে হয়, তাও শেখা তাঁরই কাছে। রবীন্দ্রনাথের গান যেন মন্ত্রোচ্চারণের মহিমায় প্রাণ পেত তাঁর সুললিত কণ্ঠে। পরিশীলিত শুদ্ধ উচ্চারণ ও শব্দ দিয়ে কীভাবে সুরের মূর্তি নির্মাণ করতে হয়, তাও শেখাতেন প্রাণ ঢেলে।
মনে আছে ‘আমার যা আছে আমি সকল দিতে পারিনি তোমারে নাথ’ গানটির সঞ্চারির প্রথম চরণ শেখার মুহূর্তটা। ‘যাহা রেখেছি তাহে কী সুখ/ তাহে কেঁদে মরি তাহে ভেবে মরি’। এই চরণে ‘তাহে’ শব্দের তিনবার উচ্চারণের পৃথক বৈশিষ্ট্য কী, তা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আবার ‘আমার মন কেমন করে’ গানটিতে ‘কে জানে কে জানে কে জানে কাহার তরে’ আছে তিনবার। তিনরকমভাবে তা উচ্চারণ করে যে সুর লাগাতে হবে, শিখিয়ে দেন সেকথাও।
এসব বিষয় অবশ্য অনেকেরই জানা, দেখা, শোনা। এর বাইরেও সঞ্চয়ে রয়েছে কিছু স্মৃতি, যা ছয়ের দশকের আমাদের মতো কয়েকজন ছাত্রীর জীবনের অমূল্য সম্পদ। আজও চোখ বুজলে দেখতে পাই এক ঘনঘোর বর্ষাদিন। উত্তর কলকাতার রবিতীর্থের ঘরটিতে আমরা মাত্র পাঁচ-ছ’জন ছাত্রী। প্রবল বর্ষা উপেক্ষা করে দক্ষিণ কলকাতা থেকে এসেছেন সুচিত্রাদিও। শুধুমাত্র আমাদের ক্লাস নিতে। আমরা ভাবলাম, আজ একটু অন্যরকম হোক। তাই প্রথাগত গানের পাঠের বদলে তাঁর কণ্ঠে বর্ষার কিছু গান শোনানোর অনুরোধ করি। আমাদের সেই অনুরোধ রেখেলেন তিনি। ভরা শ্রাবণের সন্ধ্যা। বিজলিবাতি নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছোট্ট সেই ঘরে আমরা ক’জন শ্রোতা। সুরের মূর্ছনায় মগ্ন, অভিভূত। বাইরে ‘ঝরো ঝরো বরিষে বারি ধারা’। গান ধরলেন সুচিত্রাদি। একের পর এক। তাঁর জাদুকণ্ঠে ভেসে এল বাদল দিনের প্রথম কদম ফুলের সুবাস। কখনও আবার আষাঢ় এল আকাশ ছেয়ে। আকুল কান্না ভেজে উঠল সুরের দোলায়—
‘তুমি যেওনা, তুমি যেও না/ আমার বাদলের গান হয়নি সারা’।
আমাদের সঙ্গীতায়নের ছোট্ট ঘরটি যেন পেল অমরাবতীর উত্তরাধিকার। তাঁর কণ্ঠের মূর্ছনায় কেঁপে উঠল বর্ষার সজল প্রহর— ‘আজ নাহি নাহি নিদ্রা আঁখি পাতে’। এরপর সুরের খেয়ায় ভেসে এল বাদল দিনের বেদনা। চোখের জলের জোয়ার লাগল দুখের পারাবারে। সেই অপার্থিব অনুভূতি অর্ধশতক পরে আজও স্মৃতিতে অমলিন।
আজ সুচিত্রা মিত্রের জন্মশতবর্ষের সূচনালগ্নে স্মৃতিচিহ্নিত অনেক ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা মনে ভিড় করে আসে। অনেক না বলা কথা রইল অকথিত। জীবিতকালেই তিনি ছিলেন কিংবদন্তি। ইতিহাসের সেই মহিমাদীপ্ত বিরল ব্যক্তিত্বকে কত কাছ থেকেই না দেখেছি। পেয়েছি সস্নেহ সান্নিধ্য। এ গৌরব কোথায় রাখব! রবিতীর্থর উত্তর কলকাতা শাখা ছিল আমাদেরই বাড়িতেই। আরও অনেক স্মৃতি, আনন্দ মুহূর্তের সাক্ষী ছিলাম, তা রয়েছে অন্তরে। 
জীবনে তিনি নাম, যশ, খ্যাতি, সম্মান অনেক পেয়েছেন। আবার হারিয়েছেনও অনেক কিছু। বেদনার ভারে ভরেছে তাঁর জীবনপাত্র। আর এই বেদনাই তাঁকে দিয়েছে অভিব্যক্তির ঐশ্বর্য! তাঁর নিত্যদিনের প্রভু, প্রিয় রবীন্দ্রনাথের কথা তাঁর জীবনেও সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে—‘যে মানুষ জীবনে দুঃখ পেল না, তার পাওনার ঘর অপূর্ণ রইল।’
কখনও কাউকে না বলা একদিনের স্মৃতি আজ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। একবার দেখেছিলাম নিজস্ব নির্জনে নিঃসঙ্গ একক শিল্পীসত্তার বেদনাম্লান মূর্তি। বলেছিলেন— ‘আমি একা, ভীষণ একা, সারাটা জীবন একেবারে শূন্য।’ মনে হল, তাঁর অন্তর যেন বেদনায় দীর্ণ— ‘মোর হৃদয়ের গোপন বিজন ঘরে/ একেলা রয়েছ নীরব শয়ন পরে/ প্রিয়তম হে জাগো, জাগো, জাগো।’ তাঁর সমস্ত জীবন সেই প্রিয়তমের সঙ্গে গানের খেলায় সেতুবন্ধন। জীবনে তিনি কী চেয়েছিলেন? খ্যাতি, প্রতিপত্তি না কবির গানে শান্তি সুধা? গানের সুরে ভেসেই গিয়ে তিনি পৌঁছেছেন তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে—অপরূপ আলোর এক বৃত্তে। সেই আলোর নাম রবীন্দ্রনাথ। তাই একাকিত্বের অবসাদ, নিঃসঙ্গতার অন্ধকারেও তিনি পথ চলেছেন নির্ভয়ে। তাঁর অগণিত শ্রোতারা যেন আজও কান পেতে শুনতে পান দৃপ্ত কণ্ঠের উচ্চারণ—‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে/ তবে একলা চলো রে।’
জীবনপথের সেই সংগ্রামী একলা পথিক, অনন্যা সঙ্গীত সাধিকা সুচিত্রা মিত্রকে তাঁর জন্মশতবর্ষের লগ্নে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও বিনম্র প্রণতি।
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
24th  September, 2023
রাশিয়ার চিঠি

রুশ জীবনে মিশে আছে যুদ্ধের গন্ধ। ১০৬ বছর পেরিয়েও নাগরিক চেতনায় অমলিন নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতি। বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে রাশিয়ার যোগ সেই জারের আমল থেকে। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ আজও সেখানে সমানভাবে চর্চায়। রাশিয়া ঘুরে এসে লিখছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

03rd  December, 2023
২৬/১১
সমৃদ্ধ দত্ত

ফরিদকোটে ব্যবসা বাণিজ্য জীবিকার তেমন সুবিধা হয়নি। তাই আমির আলি লাহোরে কনস্ট্রাকশন এজেন্সিতে নাম লিখিয়ে ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বিল্ডিং নির্মাণের মিস্ত্রি। ফরিদকোট বাসস্ট্যান্ডের পিছনের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গেলে আমিরের ঘর। বিশদ

26th  November, 2023
চন্দননগরের উমা
রজত চক্রবর্তী

কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্‌সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে। বিশদ

19th  November, 2023
ফাটাকেষ্টর কালী
রাতুল ঘোষ

যে সময় কালের কথা বলছি, সেটা বিগত সাতের দশকের গোড়ার দিক। নকশাল আন্দোলনের ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ’ শহর কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি সমাজকে ভয়ে তটস্থ করে রেখেছে। বেপাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিবহুল। বিশদ

12th  November, 2023
ইডেনে প্রোটিয়া প্রত্যাবর্তন

বর্ণবৈষম্যহীন দুনিয়ায় স্বাগত, হে ক্লাইভ রাইস বাহিনী! ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর একলাখি ইডেনের এটাই ছিল অভ্যর্থনার মূল সুর।
বিশদ

05th  November, 2023
 বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ‘চোকার্স’রা

নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল রামধনুর দেশ। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে  ৪৫ ওভারে ২৫৩ রানের টার্গেট।
বিশদ

05th  November, 2023
লক্ষ্মীকথা 

 সমৃদ্ধির দেবী তিনি। তাঁর পাঁচালির সঙ্গে আজকের সমাজের মিল খুঁজে পান অনেকে। সেই কাহিনিই লিখলেন রজত চক্রবর্তী বিশদ

29th  October, 2023
কবিগুরুর কনিকা

আম কুড়োতে খুব ভালো লাগত রবির। বিভিন্ন কবিতায় তা ঘুরেফিরে এসেছে। ‘দুই বিঘা জমি’তে তিনি লিখছেন, ‘সেই মনে পড়ে, জৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাইকো ঘুম,/অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।’ শুধু তাই নয়, আশ্রমের কারও মধ্যে এই নেশা থাকলে তিনি তাকে প্রশ্রয় দিতেন।
বিশদ

15th  October, 2023
অসাধারণ মানুষ মোহরদি

৫ এপ্রিল, ২০০০। দুঃসংবাদটা এসেছিল রাত আটটা নাগাদ... মোহরদি আর নেই। দু’দিন পর, ‘বর্তমান’-এ ছাপা হল অতীতচারণ। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল বরুণ সেনগুপ্তের সেই লেখাই।
বিশদ

15th  October, 2023
শক্তিরূপেণ

১৯৯৮। দুর্গাপুজোয় হাতেখড়ি হল আর্ট কলেজ পাশ করা এক যুবকের। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। এখন তিনি কিংবদন্তি। মা দুর্গা তাঁর কাছে শুধু দেবী নন, শক্তির অপর নাম। সেই ভাবনাই কলমে-তুলিতে রবিবারের ক্যানভাসে মেলে ধরলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। বিশদ

08th  October, 2023
বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন
এস শ্রীশান্থ

সময়ের নিজস্ব দাবি থাকে। কালের নিয়মে ছাইচাপা পরিস্থিতির ভিতর থেকেও তা বেরিয়ে আসে। তাই বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এই ব্যাকুলতা ও কাপ জেতার আকুতির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না। বিশদ

01st  October, 2023
মধ্যরাতে সূর্যোদয়!

১৯ নভেম্বরের আমেদাবাদও কি সাক্ষী থাকবে উপচে পড়া আবেগ আর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের? কীর্তি আজাদের সঙ্গে কথা বললেন  সৌরাংশু দেবনাথ বিশদ

01st  October, 2023
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক

আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছোট ছোট স্বপ্নঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজোর সেই গল্প লিখছেন কলহার মুখোপাধ্যায় বিশদ

17th  September, 2023
ঘুিড়র দৌড়
কালীপদ চক্রবর্তী

চাঁদিফাটা রোদে দিনভর লাটাই হাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতেন। এমনই ছিল তাঁর ঘুড়ি-প্রেম। একদিন বিকেলবেলা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়িয়ে নেমে এসে সেই দৃষ্টিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। কতই বা বয়স তখন, তেরো কি চোদ্দ! রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বিশদ

17th  September, 2023
একনজরে
আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...

আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM