Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

চন্দননগরের উমা
রজত চক্রবর্তী

কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্‌সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে। সুখলতা মাথা উঁচু করে একবার দেখে নিলেন মায়ের রাঙামুখ। ২৫-৩০ ফুট ঠাকুরের পায়েও হাত পায় না মেয়ে-বউরা। কিন্তু মায়ের মুখের দিকে তাকালেই মনে হয়, এই তো থুতনিতে আঙুল ছোঁয়া যাবে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, তারপর দশমী। এই তো চারদিনের পুজো এই ‘চন্নগরে’। ভিড় কাটিয়ে সকালে একবারটি মায়ের মুখ দেখা চাই সুখলতা ঠাম্মার। নাতি-নাতনির হাত ধরে টুক টুক করে আসেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভিড়। সন্ধ্যা হলেই জনস্রোত। আলোয় আলোয় তখন ছোট্ট শহর চন্দননগর হয়ে উঠে রূপকথার দেশ। অতিকথন, কিংবদন্তি, প্রচলিত লোককথা সবকিছু জড়িয়ে যুগের পর যুগ ধরে চলা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো আজ বিশ্ববিখ্যাত একটি উৎসব। 
মহিষাসুর বধ হয়ে গিয়েছে। ধন-সম্পত্তির দেবীর পুজো শেষ। সমস্ত রকম হত্যালীলা সম্পন্ন হয়েছে মহাকালীর আরাধনায়। এখন সুরক্ষা দরকার। জগৎকে ধারণ করবেন যিনি, তাঁর আরাধনাই জগদ্ধাত্রী পুজো। জগতাং ধাত্রী। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ তাঁর ‘তন্ত্রসার’ পুঁথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ বর্ণনা করেছেন—
‘সিংহস্কন্দাধিরূঢ়াহ নানালংকারভূষিতাম
চতুর্ভুজাংমহাদেবীং নাগযজ্ঞোপস্বীতিনীম।।
শঙ্খর্শাঙ্গ সমাযুক্ত বামপানিদ্বয়ান্বিতাম
চক্রঞ্চ পঞ্চবানাংশ্চ
ধারয়ন্তীষ্ণ দক্ষিণে
রক্তবস্ত্রপরিধানাং বালার্কসদৃশীতম্।’
সিংহবাহিনী, নানা অলংকারে ভূষিতা। নাগ-উপবীত কণ্ঠে। চতুর্ভুজা। দুই বাঁ-হাতে শঙ্খ ও ধনু। দুই ডান হাতে চক্র ও পঞ্চবান। রক্তবর্ণা শাড়ি পরে প্রভাতের সূর্যের রক্তাভ লালিত্য নিয়ে জগদ্ধাত্রীর আবির্ভাব। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ ছিলেন সপ্তদশ শতকের তান্ত্রিক সাধক। তারও আগে চৈতন্যদেবের সমসাময়িক বাঙালি স্মার্ত রঘুনন্দনের লেখা ‘দুর্গোৎসবতত্ত্ব’ পুঁথিতে আছে জগদ্ধাত্রী পূজাবিধি। তারও প্রায় দু’শো বছর আগে মহামহোপাধ্যায় শূলপাণি তাঁর ‘ব্রতকালবিবেক’ পুঁথিতে জগদ্ধাত্রী দেবী সম্পর্কে লিখেছেন। বাঙালি পণ্ডিত শরণদেব ১১৭২ বঙ্গাব্দে চণ্ডির টিকা লিখেছেন, তাতেও জগদ্ধাত্রী পূজার কথা বলে গিয়েছেন। পণ্ডিত পঞ্চানন তর্করত্ন মনে করেন, দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা পদ্ধতি শূলপাণিরও আগের। তিনি কাত্যায়নী তন্ত্রের কথা বলেছেন। এসব কথা হংসনারায়ণ ভট্টাচার্য তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘হিন্দুদের দেবদেবী’তে উল্লেখ করেছেন। এই বিষয়টি উত্থাপনের উদ্দেশ্য একটাই—কোনও মানুষ এমন কিছু স্বপ্ন দেখতে পারে না, যা তাঁর অভিজ্ঞতায় নেই। সুতরাং স্বপ্নাদেশ বা স্বপ্নে পাওয়া দেবীর রূপ ইত্যাদি কথাগুলি আসলে ভাসিয়ে তোলা এক উপকথা। আর জগদ্ধাত্রী দেবীর রূপকল্প তো রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আগে থেকেই মন্দিরের গায়ে উৎকীর্ণ করে রেখেছেন শিল্পীরা। এমনকী নদীয়া জেলার জলেশ্বর শিবমন্দিরের টেরাকোটা জগদ্ধাত্রী মূর্তি তৈরি হয়েছে ১৬৫৫ সালে। দিগনগরে রাঘবেশ্বর মন্দিরের গায়ে জগদ্ধাত্রী মূর্তি ১৬৬৯ সালে তৈরি। সুতরাং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময়ের আগে থেকেই এই দেবী সম্পর্কে সম্যক ধ্যান-ধারণা বঙ্গের পণ্ডিতমহলে চর্চার বিষয় ছিল। 
রাজবংশের দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্র রায়ের ‘ক্ষিতীশ বংশাবলী চরিত’ বই অনুযায়ী, জগদ্ধাত্রী ও অন্নপূর্ণা দু’টো পুজোই শুরু করেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। কিন্তু সমস্যাটা হল, কবে শুরু করেছিলেন? তার উপর নির্ভর করছে বঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন।
লোকমুখে প্রচলিত আখ্যান বলছে, খাজনা বাকি পড়ায় মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে কারাগারে বন্দি করেছিলেন বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ। আশ্বিন মাসে মুচলেকা দিয়ে তিনি যেদিন মুক্তি পান, সেটা দুর্গাপূজার দশমী। সে বছর মহারাজের বন্দিদশার কারণে কৃষ্ণনগরে দুর্গাপূজা হয়নি। নিষ্প্রদীপ কৃষ্ণনগর। মহারাজ স্বপ্নাদেশ পান মা জগদ্ধাত্রীর— দুর্গাপূজার এক মাস পর শুক্লা নবমী তিথিতে আমার পূজার প্রচলন কর। তারপর থেকে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের বিশিষ্ট বন্ধু ছিলেন হুগলির প্রভাবশালী চাল ব্যবসাদার ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। তাঁর হাত ধরে দেবী জগদ্ধাত্রী এলেন চন্দননগরে। 
কিন্তু আলীবর্দী খাঁর সময়কালে বাংলার পরিস্থিতি কেমন ছিল? ১৭৪০-১৭৫৬, এই ১৬ বছরে বর্গী ও আফগান আক্রমণে বিপর্যস্ত নবাবকে পাওয়া যায় ইতিহাসের পাতায়। তবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার ধর্মাবলম্বী। বহু হিন্দু তাঁর রাজ দরবারে উচ্চপদস্থ চাকরি করতেন। বাংলা যখন বর্গী আক্রমণে ছিন্নভিন্ন, তখন ক্রমাগত বাংলাকে রক্ষা করার জন্য প্রাণপাত লড়াই করেছেন। শেষ পর্যন্ত মারাঠা বর্গীদের সাথে সন্ধি চুক্তি করে বাংলাকে বাঁচিয়েও ছিলেন। এইরকম পরিস্থিতিতে আলীবর্দী খাঁ খাজনা আদায়ের জন্য কৃষ্ণচন্দ্রকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি ঠিক কতোটা যুক্তিযুক্ত ভাবার দরকার আছে। 
আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনার দিকে নজর দেওয়া দরকার। ১৭৬৩ সালে বাংলায় মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতাপ চিরদিনের মতো খর্ব হয়েছিল উধুয়ানালার যুদ্ধে। মীরকাশেম বনাম ইংরেজ। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ এবং মীরজাফরের মসনদে বসার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠা। মীরজাফর ইংরেজদের বিরাগভাজন হন খুব তাড়াতাড়ি। গভর্নর হেনরী ভ্যান্সিটার্ট জোর করে তাঁকে সরিয়ে মসনদে বসান মীরকাশেমকে। মীরকাশেম আবার ইংরেজদের খবরদারি পছন্দ করলেন না। যে সব হিন্দু রাজারা ইংরেজদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে চলছিলেন, তাদের উৎখাতের চেষ্টা শুরু করলেন। জগৎ শেঠ, মহাতাব রায়, মহারাজ স্বরূপচন্দ্র সহ অনেক রাজন্যদের গ্রেপ্তার করা হল। সেই সময় মুঙ্গের কারাগারে বন্দি হন নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। মুঙ্গের কারাগারে রাখা হয়েছিল সবাইকে। পাল্টা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে ব্রিটিশরা। মীরকাশেম পালান উধুয়ানালায়। উধুয়ানালা যুদ্ধে পরাস্তও হন। প্রাণ বাঁচাতে মুঙ্গের দুর্গে আশ্রয় নেন মীরকাশেম। ভ্যান্সিটার্ট মুঙ্গের দুর্গ আক্রমণ করেন। কারাগার ভেঙে উদ্ধার করেন কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে। আর মীরকাশেম পালানোর সময় হত্যা করেন জগৎ শেঠ, মহাতাব রায় সহ বেশ কয়েকজনকে। নিখিলনাথ রায়ের লেখা ‘মুর্শিদাবাদ কাহিনী’ তে সেকথা সবিস্তারে বলা আছে। 
কৃষ্ণচন্দ্র যখন মুক্তি পান তখন আশ্বিন মাস হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ, উধুয়ানালার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৭৬৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। তারপর তিনি কৃষ্ণনগরে ফিরে জগদ্ধাত্রী পুজোর 
প্রচলন করতে পারেন। ভয়ঙ্কর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। তাই উৎসব অনিবার্য। আর পুজো মানেই উৎসব আর রাজস্ব বৃদ্ধি। 
ফরাসডাঙার ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী কিন্তু কোনওদিন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান ছিলেন না। তিনি ১৭৩০ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি ফরাসিদের ‘ক্যুর্তিয়ে’ বা ‘দালাল’ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন মাত্র ১৪ বছর বয়সে। ঠিক দু’বছর পর, ১৭৩২ সালে হন চন্দননগরের প্রথম ইজারাদার। বার্ষিক ১২,০০০ টাকার বিনিময়ে চন্দননগরের সমস্ত কিছুর সর্বাধিকারি হয়ে ওঠেন। খাজনা সংগ্রহ করতেন ‘কালেক্টার’ হিসেবে। সেই সময় তিনি বছরে ৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেছেন এই তথ্যও পাওয়া যায়। তবে বেশিদিন বাঁচেননি। ১৭৫৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। 
এই ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীই যদি চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করে থাকেন, তবে নিশ্চিতভাবে তা ১৭৫৬ সালের আগে। তাহলে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুজোও শুরু হতে হবে ১৭৫৬ সালের আগে। অর্থাৎ আলীবর্দী খাঁর আমলে তাঁর গ্রেপ্তারি। কিন্তু এর কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। আরেকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি—১৭৫৬ সালে সিরাজদৌল্লার কলকাতা আক্রমণ এবং ১৭৫৭ সালে ক্লাইভের পলাশীর পথে চন্দননগর দখল। ১৭৫৭-১৭৬৩, ৫ বছর শহরটি ছিল ব্রিটিশদের অধীনে। সুতরাং সেই সময়ে পুজোর বিষয়টি প্রাধান্য পায় না।
বঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু ১৭৬৩ সালেই হওয়ার সম্ভাবনা ঐতিহাসিক ভাবে মান্যতা পায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে আরেকজনের নাম উঠে আসে এই মফস্সল অঞ্চলে। তিনি দাতারাম সুর। তাঁর সম্পর্কে আশ্চর্য নীরব থেকেছে ইতিহাস। কেউ বলেছে তিনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কর্মচারী, কারও মতে অনুচর বা দেওয়ান। এই দাতারামই চন্দননগর সংলগ্ন গৌরহাটি গ্রামে দুই বিধবা মেয়ের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। এবং সেটা রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অনুরোধে। তিনি অন্নপূর্ণা পুজোও এমনভাবে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বাড়ির পুজো হিসেবে জগদ্ধাত্রী আরাধনা শুরু হলেও আর্থিক অনটনের কারণে অচিরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তখন গ্রামের সবাই এগিয়ে এসে ১৭৯৩ সালে জিটি রোডের উপর একটি জমিতে পুজোটি শুরু করে। পাশে বিরাট তেঁতুল গাছ থাকায় লোকমুখে জায়গাটির নাম হয় তেঁতুলতলা। 
 চন্দননগরের চাউলপট্টির জগদ্ধাত্রী এই অঞ্চলের প্রথম পুজো। ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর বাড়ির বংশধরদের নামে আজও সংকল্প করা হয়। কথিত আছে, কৃষ্ণনগরের চাল ব্যবসাদারেরা একবার কেনাবেচা সেরে চন্দননগর থেকে ফিরতে পারেনি। তখন ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়। সেই ব্যবসাদারেরা ফরাসী সরকারের অনুমতিক্রমে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চাউলপট্টিতে দেবীর আরাধনা শুরু করে। সেটা অবশ্যই হয় ১৭৬৩ সালে বা পরে। 
এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বাংলার বিভিন্ন জায়গায়। কৃষ্ণনগরের রাজবংশের সঙ্গে যোগ আছে নদীয়ার শান্তিপুরের জগদ্ধাত্রী পুজোর। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্র ১৮০২ সালে রাজা হন। তিনি শান্তিপুরের হরিপুরে পত্তন করেন ১০৮ ঘর ব্রাহ্মণের বসতির এক গ্রাম, ‘ব্রাহ্মশাসন’। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, শান্তিপুরের এই অঞ্চলে কামরাঙা গাছের তলায় পঞ্চমুন্ডির আসনে তান্ত্রিক মতে দেবী জগদ্ধাত্রীর প্রথম পুজো শুরু করেন চন্দ্রচূড় তর্কমুনি। 
বিভিন্ন লোককথা, কিংবদন্তি নিয়েই এগিয়ে চলে এক একটি উৎসব। রাস্তায় জনস্রোতের মতো। আনন্দ উচ্ছ্বাসের ঝরনাধারায় স্নান করে মুছে যায় ছোট্ট ছোট্ট অলিগলির সমস্ত মালিন্য-গ্লানি। আলোর খেলায় ভাসতে তৈরি হচ্ছে শহর। শোভাযাত্রা চলবে সারারাত। জগৎকে ধারণ করার সংকল্প আজ। জগতাং ধাত্রী!
ছবি: আনন্দ দাস
19th  November, 2023
রাশিয়ার চিঠি

রুশ জীবনে মিশে আছে যুদ্ধের গন্ধ। ১০৬ বছর পেরিয়েও নাগরিক চেতনায় অমলিন নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতি। বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে রাশিয়ার যোগ সেই জারের আমল থেকে। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ আজও সেখানে সমানভাবে চর্চায়। রাশিয়া ঘুরে এসে লিখছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

03rd  December, 2023
২৬/১১
সমৃদ্ধ দত্ত

ফরিদকোটে ব্যবসা বাণিজ্য জীবিকার তেমন সুবিধা হয়নি। তাই আমির আলি লাহোরে কনস্ট্রাকশন এজেন্সিতে নাম লিখিয়ে ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বিল্ডিং নির্মাণের মিস্ত্রি। ফরিদকোট বাসস্ট্যান্ডের পিছনের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গেলে আমিরের ঘর। বিশদ

26th  November, 2023
ফাটাকেষ্টর কালী
রাতুল ঘোষ

যে সময় কালের কথা বলছি, সেটা বিগত সাতের দশকের গোড়ার দিক। নকশাল আন্দোলনের ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ’ শহর কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি সমাজকে ভয়ে তটস্থ করে রেখেছে। বেপাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিবহুল। বিশদ

12th  November, 2023
ইডেনে প্রোটিয়া প্রত্যাবর্তন

বর্ণবৈষম্যহীন দুনিয়ায় স্বাগত, হে ক্লাইভ রাইস বাহিনী! ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর একলাখি ইডেনের এটাই ছিল অভ্যর্থনার মূল সুর।
বিশদ

05th  November, 2023
 বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ‘চোকার্স’রা

নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল রামধনুর দেশ। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে  ৪৫ ওভারে ২৫৩ রানের টার্গেট।
বিশদ

05th  November, 2023
লক্ষ্মীকথা 

 সমৃদ্ধির দেবী তিনি। তাঁর পাঁচালির সঙ্গে আজকের সমাজের মিল খুঁজে পান অনেকে। সেই কাহিনিই লিখলেন রজত চক্রবর্তী বিশদ

29th  October, 2023
কবিগুরুর কনিকা

আম কুড়োতে খুব ভালো লাগত রবির। বিভিন্ন কবিতায় তা ঘুরেফিরে এসেছে। ‘দুই বিঘা জমি’তে তিনি লিখছেন, ‘সেই মনে পড়ে, জৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাইকো ঘুম,/অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।’ শুধু তাই নয়, আশ্রমের কারও মধ্যে এই নেশা থাকলে তিনি তাকে প্রশ্রয় দিতেন।
বিশদ

15th  October, 2023
অসাধারণ মানুষ মোহরদি

৫ এপ্রিল, ২০০০। দুঃসংবাদটা এসেছিল রাত আটটা নাগাদ... মোহরদি আর নেই। দু’দিন পর, ‘বর্তমান’-এ ছাপা হল অতীতচারণ। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল বরুণ সেনগুপ্তের সেই লেখাই।
বিশদ

15th  October, 2023
শক্তিরূপেণ

১৯৯৮। দুর্গাপুজোয় হাতেখড়ি হল আর্ট কলেজ পাশ করা এক যুবকের। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। এখন তিনি কিংবদন্তি। মা দুর্গা তাঁর কাছে শুধু দেবী নন, শক্তির অপর নাম। সেই ভাবনাই কলমে-তুলিতে রবিবারের ক্যানভাসে মেলে ধরলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। বিশদ

08th  October, 2023
বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন
এস শ্রীশান্থ

সময়ের নিজস্ব দাবি থাকে। কালের নিয়মে ছাইচাপা পরিস্থিতির ভিতর থেকেও তা বেরিয়ে আসে। তাই বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এই ব্যাকুলতা ও কাপ জেতার আকুতির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না। বিশদ

01st  October, 2023
মধ্যরাতে সূর্যোদয়!

১৯ নভেম্বরের আমেদাবাদও কি সাক্ষী থাকবে উপচে পড়া আবেগ আর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের? কীর্তি আজাদের সঙ্গে কথা বললেন  সৌরাংশু দেবনাথ বিশদ

01st  October, 2023
শতকের সুচিত্রা

রবীন্দ্রসঙ্গীতের রহস্য নিকেতনে যিনি আমাদের চোখে আলো জ্বেলেছেন, কণ্ঠে দিয়েছেন সুর, অনুভবে দিয়েছেন গভীরতা, আজ তাঁর শতবর্ষের সূচনা লগ্ন। এখন অবসরে ফিরে তাকাই ছ’দশক আগের এক পরমক্ষণে— যেদিন রবীন্দ্রসঙ্গীতের রাজেন্দ্রাণী সুচিত্রা মিত্রকে প্রথম দেখা।
বিশদ

24th  September, 2023
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক

আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছোট ছোট স্বপ্নঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজোর সেই গল্প লিখছেন কলহার মুখোপাধ্যায় বিশদ

17th  September, 2023
ঘুিড়র দৌড়
কালীপদ চক্রবর্তী

চাঁদিফাটা রোদে দিনভর লাটাই হাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতেন। এমনই ছিল তাঁর ঘুড়ি-প্রেম। একদিন বিকেলবেলা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়িয়ে নেমে এসে সেই দৃষ্টিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। কতই বা বয়স তখন, তেরো কি চোদ্দ! রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বিশদ

17th  September, 2023
একনজরে
পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM