Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

কবিগুরুর কনিকা

সোমনাথ বসু: আম কুড়োতে খুব ভালো লাগত রবির। বিভিন্ন কবিতায় তা ঘুরেফিরে এসেছে। ‘দুই বিঘা জমি’তে তিনি লিখছেন, ‘সেই মনে পড়ে, জৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাইকো ঘুম,/অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।’ শুধু তাই নয়, আশ্রমের কারও মধ্যে এই নেশা থাকলে তিনি তাকে প্রশ্রয় দিতেন। ঠিক এমনই এক ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট অণিমা ও তার সহচরী। কতই বা বয়স তখন তার। ছয় কিংবা সাত। শান্তিনিকেতনের বিকেলের আকাশ গান ধরেছে, ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে...’। শৈশবের বাঁধনছাড়া উল্লাসে তখন অণিমা মত্ত, অকুতোভয়। আম কুড়োতেই হবে তাকে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি। মুষলধারায়। কী আর করে ছোট্ট মেয়েটি। কাছেই ‘শ্যামলী’। তার দাওয়ায় উঠে পড়ল সে। গৃহস্বামী তখন প্রকৃতির রঙে শব্দ বসাতে ব্যস্ত। মনে হয়তো সুরও খেলা করছে নিজস্ব রাগে। হঠাৎই অণিমাকে দেখে মুগ্ধ হলেন কবি। কবিগুরু। শান্ত স্বরে গান শোনানোর অনুরোধ এল সেই মেয়েটির কাছে। গেয়েও ফেলল সে। শুনে অনুরোধকারী বললেন, ‘তুমি আমাদের সত্যচরণের মেয়ে। মাঝে মাঝে গান শুনিয়ে যেয়ো আমাকে।’ 
গান শুনিয়ে এক ছুট্টে বাড়িতে এল অণিমা। সন্ধ্যা, রাত্রি এল নিয়ম মেনে। মেয়েটির স্মৃতিসুধায় শুধুই সেই অনুরোধকারী। আর কেউ নয়। বাকিটা ইতিহাস। আম কুড়োনোর ধুমে তিনি যে পেয়ে গেছেন জীবন ঈশ্বরের সান্নিধ্য। তাই আমৃত্যু রবিগানকে তিনি কণ্ঠে ধরেছেন শেষ পারানির কড়ি হিসেবেই। 
জন্ম বাঁকুড়ার সোনামুখী গ্রামে। কিন্তু নিজেকে শান্তিনিকেতনের আশ্রমকন্যা হিসেবেই চিরকাল দেখেছেন তিনি। তাই তো অক্লেশে লিখেছেন, ‘ততদিনে তাঁর (রবীন্দ্রনাথ) সঙ্গে আমার সম্পর্ক যেন কত সহজ। আজ জানি তখনও তিনি অন্যদের কাছে কত ‘মহান’, কত ‘বিরাট’, কত ‘বিশাল’, কিন্তু তখন তিনি আমার অতি আপনজন। আমার আবদার করার, আমার নালিশ জানাবার, আমার অভিমান করার, আমায় সমাধান খুঁজে দেওয়ার মানুষ তিনি।’
রবি-প্রশ্রয়েই গান শিখেছেন তিনি। পেয়েছেন ‘নব আনন্দে জাগো’র মন্ত্র। একবার ‘উদিচী’তে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘সুমঙ্গলী বধূ’র গান শেখাচ্ছেন। ... ‘আঘাতে হও জয়ী অবিচল ধৈর্যে কল্যাণময়ী’— ছোট্ট মেয়েটির কণ্ঠ যেন আজ সঙ্গ দিতে নারাজ। কিছুতেই কবির সুরে সুর মেলাতে পারছে না। কপালে হাত দিলেন রবিবাবু। এ কী! গা যে জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। পরে আত্মজীবনীতে অণিমা, থুড়ি কণিকার ব্যাখ্যা, ‘গুরুদেব আমার কপালে হাত রেখে বললেন, তোর তো গা গরম। বাড়ি চলে যা।’ পরে কবির হাতে নিপুণ সেবাও পেয়েছে আদরের মোহর। শুধু তাই নয়, কীভাবে কাঁটাচামচ দিয়ে খেতে হয়, সেই শিক্ষাও পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথের থেকে। 
সালটা ১৯৩৭। কলকাতার ছায়া প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠানে গান গাইলেন কণিকা, ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’। তাঁর গানে গলা মেলালেন স্বয়ং রবি। স্রষ্টা ও তাঁর শিষ্যার মেলবন্ধনে ভয়ের সব বাঁধন ভেঙে গেল। শুধু গান নয়, কবিতা পাঠ ও নাটকে অভিনয়ও করেছেন অবন ঠাকুরের ‘আকবরী মোহর’। এই যাত্রায়ও তাঁর প্রশ্রয়ের নাম রবিবাবু। ‘ডাকঘর’ নাটকে সুধা হলেন কণিকা। সংলাপ বলার সময় অভিব্যক্তির ধরন শেখালেন কবি। ‘তাই বই কি! ফুলের খবর আমার চেয়ে তুমি নাকি বেশি জান’— অমলকে কীভাবে বলতে হবে তা হাতে-কলমে সুধাকে দেখালেন তিনি। এই সময়েই শেখা, ‘সমুখে শান্তি পারাবার’। এই গানের অর্থ জীবনের বিভিন্ন পর্বে বিভিন্ন ভাবে খুঁজে পেয়েছেন শিল্পী। বলেছেন, ‘কী অপূর্ব ভঙ্গিতে গাইতেন। গাওয়া শেষ করে বলতেন, ‘‘আমার মৃত্যুর পর এ গান গেও তোমরা।’’ আবার নয়ের দশকের শেষদিকে নিজের বাড়ি ‘আনন্দধারা’র ড্রয়িং-রুমের ইজি চেয়ারে বসে কণিকা এই গান গুনগুন করতেন। হাতের তাল পড়ত কাঠের হাতলের উপর। অর্থাৎ, জীবনের ওপারে যাওয়ার আহ্বান রবীন্দ্রনাথের ঢংয়েই খুঁজে পেয়েছিলেন কণিকা। 
১৯৪১’এর ২৫ জুলাই। সমুখে মৃত্যুর ডাক শুনতে পাচ্ছেন গুরুদেব। অসুস্থ কবিকে নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। তার আগে কণিকা গাইলেন, ‘এ দিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার’। মোহরের মাধুর্য কানে নিয়েই শান্তিনিকেতন ছাড়লেন কবি। এরপরেই এল সেই ২২ শ্রাবণ। প্রকৃতিও সেদিন কাঁদছে। সঙ্গে হাওয়া পাগলপারা। কলকাতা থেকে এল দুঃসংবাদ, কবি আর নেই। কণিকা সেদিন গেয়েছিলেন সেই গান, ‘সমুখে শান্তি পারাবার’। 
কণিকার প্রথম রেকর্ড কিন্তু ছিল আধুনিক গানের, যা মেনে নিতে পারেননি কবি। আঘাত পেয়েছিলেন। তাই জীবনে আর কোনওদিন অন্য গান রেকর্ড করা হয়নি মোহরের। নিজেই বলেছেন, ‘যাঁকে ঘিরে আমার সবকিছু, তাঁকে ব্যথা দিয়ে গানের তরী বাওয়া উচিত নয়।’
রবিবাবুর গানকে রবীন্দ্রসঙ্গীত করার অন্যতম কারিগর তিনি। গ্রাম্য, শান্ত, আটপৌরে, আত্মমগ্ন জীবনযাপনের সঙ্গে গানকে বেঁধে নেওয়াই কণিকার ইউএসপি। স্রষ্টার সৃষ্টিকে কখনও বিন্দুমাত্র আঘাত দিতে চাননি। অনুষ্ঠানে তাঁর মুখের সামনে খোলা থাকত গানের খাতা। বলতেন, ‘এই খাতা হল শিল্পী আর শ্রোতার মধ্যে আড়াল।’ শহুরে প্রলোভনে কোনওদিন পা কেন, নিজের ছায়াও পড়তে দেননি কণিকা। 
গান শিখেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের কাছে। এছাড়াও পেয়েছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, শান্তিদেব ঘোষ, হেমেন্দ্রলাল রায়, অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভি ভি ওয়াজেলওয়ারের শিক্ষা। তবে কবিগুরুর পর তাঁর দ্বিতীয় গুরু অবশ্যই শৈলজাদা। শান্তিবাবুর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা রেখেও এই কথা তিনি বারবার বলেছেন। রবিগান যেন চিরকাল রবিগানই থাকে, এই লক্ষ্যই ছিল তাঁর। রবীন্দ্রনাথই ছিলেন তাঁর নিভৃত প্রাণের দেবতা। আর পূজা পর্যায়ের গানই ছিল তাঁর নৈবেদ্য। এছাড়া প্রেম ও প্রকৃতির গানেও তাঁর নিবেদন এখনও বাঙালিকে আত্মভোলা করে তোলে। 
শ্রোতাদের হৃদয়ের আঁচলে এখনও কণিকার অজস্র গান বাঁধা আছে। ‘ও যে মানে না মানা’, ‘আমি রূপে তোমায় ভোলাব না’, ‘বাজে করুণ সুরে’, ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ ইত্যাদি। কিন্তু কোনওদিন প্রচারের আলো চাননি তিনি। চিকিৎসার জন্য একবার তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। হাওড়া স্টেশনে মোহরকে দেখার জন্য উপচে পড়েছে ভিড়। তা দেখে নিজেই বিস্মিত হয়ে কণিকা বলেছেন, ‘এত লোক এখানে। আমি তাহলে কীভাবে বেরব?’
দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনা করেছেন কণিকা। তাঁর তালিমে বহু শিল্পী আজ খ্যাতির শীর্ষে। কীভাবে গান শেখাতেন তিনি। মোহরের বোনপো প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘মাসি সবসময় বলতেন, কোনও গান শেখার আগে তা একশোবার পড়া বাধ্যতামূলক। ভাব এবং অন্তর্নিহিত অর্থ শুধু বুঝলেই হবে না। প্রয়োজন উপলব্ধির। না হলে গুরুদেবের গান এককের হবে না।’ শোনা যায়, সঙ্গীতে মনোযোগী হওয়ার জন্য একবার প্রমিতা মল্লিককে একটি কুকুরও উপহার দেন কণিকা। 
কিংবদন্তি শিল্পী হলেও মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশনের আগে বেশ নার্ভাস থাকতেন মোহর। একবার শৈলজারঞ্জন মজুমদারের উৎসাহে প্রেসিডেন্সি কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছেন কণিকা-সুচিত্রা মিত্ররা। ব্যাকস্টেজে গুনগুন করছেন, ঠিক তখনই কে যেন বলল, ‘এখানে গান খারাপ হলে ছেলেরা শব্দ করে।’ ব্যস, মোহরের শিরদাঁড়ায় দিয়ে বইতে লাগল উষ্ণ প্রস্রবণ। বন্ধু সুচিত্রার কাছে বারবার জল চাইলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত গাইলেন, ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে’। শিল্পী নিজেই বলেছেন, ‘গানটা মোটেই ভালো হয়নি। বরং সুচিত্রা অনেক ভালো গেয়েছিল। ওর গাওয়া ‘গোধূলি লগনে’ কোনওদিন ভুলব না। আর আমার গানের জন্য শৈলজাদার বকুনি খেয়েছিলাম। বরং আবৃত্তিটা সেদিন অনেক ভালো হয়েছিল।’
কেন স্নায়ুর চাপে ভুগতেন কণিকা? অনেকে বলেন, রবিগান ছিল তাঁর কাছে জীবনের অঙ্গ। কোনও পরিস্থিতিতেই তার প্রতি সামান্যতম অবিচারও করতে নারাজ তিনি। পদ্মশ্রী, দেশিকোত্তম সম্মানে ভূষিত হলেও নামের পাশে বিরাট বিশেষণ তাঁর একেবারেই না-পসন্দ ছিল। এই কারণেই মোহর রবিগানের অলঙ্কার। বাঙালির মনের কোণের আপনজন। 
 তথ্যসূত্র: শিল্পীর আত্মজীবনী আনন্দধারা।
15th  October, 2023
রাশিয়ার চিঠি

রুশ জীবনে মিশে আছে যুদ্ধের গন্ধ। ১০৬ বছর পেরিয়েও নাগরিক চেতনায় অমলিন নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতি। বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে রাশিয়ার যোগ সেই জারের আমল থেকে। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ আজও সেখানে সমানভাবে চর্চায়। রাশিয়া ঘুরে এসে লিখছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

03rd  December, 2023
২৬/১১
সমৃদ্ধ দত্ত

ফরিদকোটে ব্যবসা বাণিজ্য জীবিকার তেমন সুবিধা হয়নি। তাই আমির আলি লাহোরে কনস্ট্রাকশন এজেন্সিতে নাম লিখিয়ে ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বিল্ডিং নির্মাণের মিস্ত্রি। ফরিদকোট বাসস্ট্যান্ডের পিছনের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গেলে আমিরের ঘর। বিশদ

26th  November, 2023
চন্দননগরের উমা
রজত চক্রবর্তী

কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্‌সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে। বিশদ

19th  November, 2023
ফাটাকেষ্টর কালী
রাতুল ঘোষ

যে সময় কালের কথা বলছি, সেটা বিগত সাতের দশকের গোড়ার দিক। নকশাল আন্দোলনের ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ’ শহর কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি সমাজকে ভয়ে তটস্থ করে রেখেছে। বেপাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিবহুল। বিশদ

12th  November, 2023
ইডেনে প্রোটিয়া প্রত্যাবর্তন

বর্ণবৈষম্যহীন দুনিয়ায় স্বাগত, হে ক্লাইভ রাইস বাহিনী! ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর একলাখি ইডেনের এটাই ছিল অভ্যর্থনার মূল সুর।
বিশদ

05th  November, 2023
 বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ‘চোকার্স’রা

নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল রামধনুর দেশ। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে  ৪৫ ওভারে ২৫৩ রানের টার্গেট।
বিশদ

05th  November, 2023
লক্ষ্মীকথা 

 সমৃদ্ধির দেবী তিনি। তাঁর পাঁচালির সঙ্গে আজকের সমাজের মিল খুঁজে পান অনেকে। সেই কাহিনিই লিখলেন রজত চক্রবর্তী বিশদ

29th  October, 2023
অসাধারণ মানুষ মোহরদি

৫ এপ্রিল, ২০০০। দুঃসংবাদটা এসেছিল রাত আটটা নাগাদ... মোহরদি আর নেই। দু’দিন পর, ‘বর্তমান’-এ ছাপা হল অতীতচারণ। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল বরুণ সেনগুপ্তের সেই লেখাই।
বিশদ

15th  October, 2023
শক্তিরূপেণ

১৯৯৮। দুর্গাপুজোয় হাতেখড়ি হল আর্ট কলেজ পাশ করা এক যুবকের। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। এখন তিনি কিংবদন্তি। মা দুর্গা তাঁর কাছে শুধু দেবী নন, শক্তির অপর নাম। সেই ভাবনাই কলমে-তুলিতে রবিবারের ক্যানভাসে মেলে ধরলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। বিশদ

08th  October, 2023
বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন
এস শ্রীশান্থ

সময়ের নিজস্ব দাবি থাকে। কালের নিয়মে ছাইচাপা পরিস্থিতির ভিতর থেকেও তা বেরিয়ে আসে। তাই বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এই ব্যাকুলতা ও কাপ জেতার আকুতির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না। বিশদ

01st  October, 2023
মধ্যরাতে সূর্যোদয়!

১৯ নভেম্বরের আমেদাবাদও কি সাক্ষী থাকবে উপচে পড়া আবেগ আর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের? কীর্তি আজাদের সঙ্গে কথা বললেন  সৌরাংশু দেবনাথ বিশদ

01st  October, 2023
শতকের সুচিত্রা

রবীন্দ্রসঙ্গীতের রহস্য নিকেতনে যিনি আমাদের চোখে আলো জ্বেলেছেন, কণ্ঠে দিয়েছেন সুর, অনুভবে দিয়েছেন গভীরতা, আজ তাঁর শতবর্ষের সূচনা লগ্ন। এখন অবসরে ফিরে তাকাই ছ’দশক আগের এক পরমক্ষণে— যেদিন রবীন্দ্রসঙ্গীতের রাজেন্দ্রাণী সুচিত্রা মিত্রকে প্রথম দেখা।
বিশদ

24th  September, 2023
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক

আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছোট ছোট স্বপ্নঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজোর সেই গল্প লিখছেন কলহার মুখোপাধ্যায় বিশদ

17th  September, 2023
ঘুিড়র দৌড়
কালীপদ চক্রবর্তী

চাঁদিফাটা রোদে দিনভর লাটাই হাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতেন। এমনই ছিল তাঁর ঘুড়ি-প্রেম। একদিন বিকেলবেলা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়িয়ে নেমে এসে সেই দৃষ্টিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। কতই বা বয়স তখন, তেরো কি চোদ্দ! রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বিশদ

17th  September, 2023
একনজরে
পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM