Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অসাধারণ মানুষ মোহরদি

৫ এপ্রিল, ২০০০। দুঃসংবাদটা এসেছিল রাত আটটা নাগাদ... মোহরদি আর নেই। দু’দিন পর, ‘বর্তমান’-এ ছাপা হল অতীতচারণ। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল বরুণ সেনগুপ্তের সেই লেখাই।

গায়িকা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শিক্ষিত বাঙালি মাত্রই জানেন। রেকর্ডে বা ক্যাসেটে বা বেতারে তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনেননি এমন শিক্ষিত বাঙালি নেই বললেই চলে। বহু বছর ধরে বহু গুণীজন এবং প্রখ্যাত বাঙালি তাঁর অসাধারণ কণ্ঠমাধুর্যের তারিফ করেছেন।
কিন্তু মানুষ কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকেই সেভাবে জানেন না। শান্তিনিকেতনে যাঁরা দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন তাঁদের কথা অবশ্য আলাদা। আমি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা সময় বেশ কাছাকাছি দেখেছি। শান্তিনিকেতনে তাঁদের বাড়িতে বেশ কয়েকবার থেকেছিও। কলকাতায় এলে তাঁর সঙ্গে অনেকবার ঘোরাঘুরিও করেছি। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন।
এমন শিশুর মতো সরল মানুষ আমি জীবনে খুব কম দেখেছি। একেবারে খোলা ছিল তাঁর মন। যখন যা ভাবতেন, তাই বলতেন। প্যাঁচগোছের ধার ধারতেন না। কারও ওপর রাগ হলে সঙ্গে সঙ্গে সে তা মালুম পেত। আবার, কারও ওপর খুশি হলে আশপাশের সকলেও তা বুঝতে পারত। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হলেও তিনি কখনও বেশিক্ষণ রাগ পুষে রাখতেন না। চটপট সব ভুলে যেতেন।
একবারের এক ঘটনা বলি। পৌষমেলায় শান্তিনিকেতনে গিয়েছি। কণিকাদিদের বাড়িতেই সেবার উঠেছিলাম। আমি তখন আনন্দবাজারে কাজ করি। আমার এক সহকর্মী সেবার মেলা থেকে একটা টাই কিনে দিয়েছিলেন। আমি বিকেলবেলা সেই টাইটা বাড়িতে রাখতে এসেছি। কণিকাদি এবং বীরেনদা (কণিকাদির স্বামী)। দু’জনেই বাড়িতে ছিলেন। আমি দু’জনকেই টাইটা দেখিয়ে বললাম কী সুন্দর দেখুন। বীরেনদা হেসে বললেন: বাঃ, খুব সুন্দর টাই। তোমার খুব ভালো মানাবে। কণিকাদি কিন্তু টাইটা ভালো না খারাপ সে প্রসঙ্গে গেলেনই না। হঠাৎ রেগে বলে উঠলেন, ও তোমাকে টাই দিয়েছে। ও তো একটা কুচুটে লোক! ওকে তুমি চেন না। আমি জিভ কেটে বললাম: মোহরদি, কী বলছেন। সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মোহরদি আরও জোর গলায় বললেন: এ কথা আমি বারান্দায় গিয়েও বলে আসতে পারি।
তার পরের দিনের ঘটনা। ওই সহকর্মীর লেখা নিয়ে কথা হচ্ছিল। রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে একটা লেখার কথা। বীরেনদা বেশ ভালো পড়াশোনা করা লোক ছিলেন। নানা বিষয়ে বহু লেখালেখিও করে গিয়েছেন। বীরেনদা বললেন, হ্যাঁ, ও গুরুদেবকে নিয়ে অনেক কিছু লিখেছে। ভালো লেখে। মোহরদিও বললে: হ্যাঁ ও বেশ ভালো লেখে। ওঁর কথা শুনে আমি হেসে বললাম: এই যে সেদিন বলছিলেন ও কুচুটে। মোহরদি হেসে জবাব দিলেন: কুচুটে লোক কি লিখতে জানে না। আমি অনেক কুচুটের নাম করতে পারি যারা ভালো লিখতে পারে।
আর একদিনের ঘটনা। সেবারও পৌষমেলায় শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলাম। মোহরদিদের বাড়িতেই উঠেছি। মোহরদিরা তখন চীন ভবনের পাশে একটা ছোট বাড়িতে থাকতেন। হঠাৎ রাত ২-২.৩০টার সময় বাইরে শুনতে পেলাম গৌরকিশোর ঘোষ আর পরিমল চন্দ্রের জোর চেঁচামেচি। দু’জনেই আমার নাম ধরে ডাকছিলেন: বরুণ উঠে এসো, আমরা এসে গিয়েছি। আমি চুপচাপ শুয়ে ভাবছিলাম, কী করব? এখন যদি ওদের সঙ্গে বেরোই তাহলে শীতের মধ্যে শান্তিনিকেতনে ঘুরে বেড়াতে হবে! ওরা জানতেন আমি ওখানে উঠব। হঠাৎ পাশের ঘর থেকে প্রথমে বীরেনদা পরে মোহরদির গলার আওয়াজ পেলাম। আমার সঙ্গে মোহরদি ও বীরেনদার সেই সময় যতটা পরিচয় ছিল, গৌরদা এবং পরিমলবাবুর তারচেয়ে অনেক বেশি জানাশোনা ছিল। পরে এই পরিমলবাবু মোহরদির বোনকে বিয়ে করেছিলেন। মোহর প্রথমে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বরুণকে ডাকাডাকি কেন? ও ঘুমোচ্ছে। আমি একটু আশ্বস্ত হলাম। বুঝলাম, মোহরদি যখন কেসটা টেক-আপ করছেন তখন ভয়ের কিছু নেই। ওরা দু’জনেই বললেন: আমরা বরুণকে ডাকতে এসেছি। ও আমাদের সঙ্গে যাবে।  মোহরদি জিজ্ঞেস করলেন: ও কোথায় যাবে? ওঁরা বললেন, আমরা যেখানে থাকব সেখানে যাবে। মোহরদি চড়া গলার আওয়াজ তুলে বললেন, না ও ছেলেমানুষ, ঘুমিয়ে আছে। ওকে ডাকাডাকি করবেন না। ও যাবে না। কাল সকালে আপনাদের সঙ্গে দেখা করবে। গৌরদা তারপর কী যেন একটা বলতে গেলেন। মোহরদি  কড়াভাবে জবাব দিলেন: আমি বলছি  ও যাবে না। আপনারা এবার চলে যেতে পারেন।
তারপর প্রায় ২৪ ঘণ্টা গৌরদা, পরিমলবাবু আমার সঙ্গে রাগে কথাই বলেননি। কথা বলেননি মোহরদির সঙ্গেও। আমি পরদিন সকালবেলা মোহরদিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম: আপনি ওদের ওভাবে তাড়িয়ে দিলেন কেন? মোহরদি বেশ স্বাভাবিকভাবেই বললেন: তাড়িয়ে দেব না কেন? তুমি ছেলেমানুষ। ওরা তোমার ঘুম ভাঙাবে কেন? আমার তখন বয়সটা নিশ্চয় অনেক কম ছিল কিন্তু মোহরদির তুলনায় আমি যে খুব ছোট ছিলাম না তা নয়। হিসেব মতো মোহরদির সঙ্গে আমার বয়সের তফাৎ মাত্র ১০-১২ বছরের। আমি তখন ২৬-২৭। আর মোহরদির বয়স ৩৬-৩৭। বীরেনদার বয়স আরও কয়েক বছর বেশি।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে অনেকেই বলেন, শৈলজারঞ্জন গোষ্ঠী আর শান্তিদেব গোষ্ঠী বলে আলাদা দুটো গোষ্ঠী রয়েছে। শুনেছি মোহরদিরা মূলত শৈলজারঞ্জন গোষ্ঠীর ছিলেন। বহুদিন মোহরদির কাছে শৈলজারঞ্জনবাবুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুনেছি। একদিন হঠাৎ শান্তিনিকেতনের মোহরদির বাড়িতে গিয়েছি। দেখি শান্তিদা, অর্থাৎ শান্তিদেব ঘোষ মোহরদির বসার ঘরের চেয়ারে বসে। আর তাঁর পায়ের  কাছে বসে মোহরদি। কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পরই শান্তিদা চলে গেলেন। আমি হেসে বীরেনদাকে জিজ্ঞেস করলাম: কী বীরেনদা, মোহরদি কি গ্রুপ পাল্টেছেন নাকি? বীরেনদা কোনও জবাব দেওয়ার আগেই মোহরদি আমাকে ধমকে উঠলেন: তুমি জানো শান্তিদাকে আমি কত শ্রদ্ধা করি? শান্তিদার মতো মানুষ ক’জন আছে? শান্তিদার কাছে আমি কত গানই না শিখেছি।
শুনেছি, সুচিত্রা মিত্র, মোহরদি, অরুন্ধতী মুখার্জি এবং কুটুদি এই চারজন একসময় খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন। আবার, পরবর্তীকালে মোহরদি বেশি ভালো রবীন্দ্রসঙ্গীত গান, না সুচিত্রা বেশি ভালো গান, এই নিয়ে বহু বিতর্কও শুনেছি। কারও কারও মতে, কিছু গান সুচিত্রাদি ভালো গেয়েছেন। আবার, অন্য কিছু গান ভালো  গেয়েছেন মোহরদি। আমি বরাবরই শুনতাম, মোহরদির সঙ্গে সুচিত্রাদির একটা লাভ-হেট রিলেশন রয়েছে। এ নিয়ে আমি দু’একবার বেশ মজাও করেছি। একদিন বীরেনদা, মোহরদির সঙ্গে খেতে বসেছি। বললাম, অমুকে বলছিলেন মোহরদির চেয়ে সুচিত্রাদি ওই গানটা অনেক ভালো গেয়েছেন। মোহরদি সঙ্গে সঙ্গে গম্ভীর হয়ে যেতেন। আবার এমনও অনেক দিন হয়েছে আমি হঠাৎ বলেছি, শুনলাম সুচিত্রাদি সেদিন এমন বাজে গাইলেন আর বলার নয়। মোহরদি আমাকে রেগে ধমকে দিতেন: রবীন্দ্রসঙ্গীতের তুমি বোঝ কী হে! সুচিত্রার গানের সঙ্গে কারও গানের তুলনা হয়।
মোহরদির সঙ্গে আমার আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন সন্তোষবাবু। সন্তোষকুমার ঘোষ একাধারে অসামান্য সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক। সন্তোষবাবু আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো ভালোবাসতেন। কাজও শিখিয়েছেন হাত ধরে। সন্তোষবাবুর সঙ্গে মোহরদির একটা আলাদা সম্পর্ক ছিল। ’৬৫-’৬৬ সালে মোহরদি কলকাতার আশপাশে গান গাইতে গেলে আমরা আনন্দবাজারের তিন-চারজন তাঁর সঙ্গে যেতাম। সন্তোষকুমার ঘোষ, জ্যোতির্ময় বসু রায়ের সঙ্গে আমিও বহুবার গিয়েছি। ওরা দু’জনেই গান জিনিসটা বুঝতেন। আমার গান ভালো লাগে; কিন্তু আমি গানের বিশেষজ্ঞ নই।
একবার এইরকম একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম উত্তরপাড়ায়। গঙ্গার পাড়ে একটা বাড়িতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতিযোগিতা হচ্ছিল। মোহরদি বিচারক। গানও গেয়েছিলেন। প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। ফলাফলও ঘোষিত। মোহরদির গানও হয়ে গেল। চা খাওয়ার পর গঙ্গার ঘাটে গিয়ে বসলাম আমরা। সেই বাড়িরই নিজস্ব ঘাট। আমার স্পষ্ট মনে আছে, সেদিন আকাশে খুব বড় চাঁদ ছিল। সন্তোষবাবু মোহরদিকে বললেন, একটা গান গাইবে? মোহরদি বললেন: তুমি যখন বলেছ, তখন না গেয়ে পারি! কোনটা গাইব বল? সন্তোষবাবু হেসে বললেন, এমন জ্যোৎস্না রাতে, একটা গানই হতে পারে। তুমি সেটা গাও। মোহরদি সেদিন অসাধারণ গেয়েছিলেন। আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে...। সেই গানের পর আমরা সবাই চার-পাঁচ মিনিট স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম। সামনে গঙ্গার জল। ছলাৎ ছলাৎ করছে। চাঁদের আলো পড়ছে তার ওপর। একটু দূরে বালি ব্রিজ। ওপারে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। মোহরদির ওই গান আমাদের অন্য জগতে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর, হঠাৎ মোহরদি আমাকে বললেন: তুমি তো সবার মধ্যে ছোট। এবার তুমি বল কী গাইব? আমার বরাবরই অসাধারণ লাগে মোহরদির গলায় ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ গানটা।  এখনও প্রায়ই আমি ক্যাসেট বাজিয়ে চুপচাপ মোহরদির গলায় গাওয়া ওই গান শুনি। জ্যোতির্ময়বাবু একটু কিন্তু কিন্তু করে মোহরদিকে বললেন: ওটা তো একটু বড় গান। রাগ নির্ভরও। এতটা পরিশ্রমের পর আপনার কী ও গান গাইতে অসুবিধা হবে না? মোহরদি হেসে বললেন: তাতে কী হয়েছে। বরুণ ছেলেমানুষ। ওই গানটা শুনতে চাইছে। আমি গাইব না। তারপর একটু চুপচাপ থেকে ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ গানটা ধরলেন।
মোহরদিকে আমি কখনও রেখেঢেকে কথা বলতে শুনিনি। যাঁর সম্পর্কে যা মনে করতেন সঙ্গে সঙ্গে বলে দিতেন। কোনওরকম যদি কিন্তু রাখতেন না। তবে, আমার যা অভিজ্ঞতা, মোহরদি কারও ওপর বেশিদিন চটে থাকতেন না। তাঁর কোনও পার্মানেন্ট শত্রু বা টার্গেট ছিল না। কারও ওপর রেগে গেলে বড়জোর আট-দশ দিন রেগে থাকতেন। তারপরই আবার সব ভুলে যেতেন। আমি এক ভদ্রমহিলার কথা জানি। মোহরদি একটা সময় তার ওপর ভীষণ চটেছিলেন। আবার, সেই ভদ্রমহিলার সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যেই মোহরদির গলায় গলায় ভাবও আমি দেখেছি। কারও ওপর তিনি বেশিদিন রাগ পুষে রাখতেন না। মোহরদির স্বভাবটা ছিল শিশুর মতো। সরল, কোমল এবং ধপধপে সাদা। মধ্যবয়সেও মোহরদি অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন দেখতে। তাঁর স্বভাবটাও ছিল অসাধারণ সুন্দর এবং পবিত্র। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত। ঠিকই, তিনি কিছুটা খেয়ালি ছিলেন। কিন্তু তাঁর খেয়ালিপনার মধ্যে কখনও কোনও অঙ্ক থাকত না, হিসেব থাকত না, বিদ্বেষ থাকত না।
15th  October, 2023
রাশিয়ার চিঠি

রুশ জীবনে মিশে আছে যুদ্ধের গন্ধ। ১০৬ বছর পেরিয়েও নাগরিক চেতনায় অমলিন নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতি। বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে রাশিয়ার যোগ সেই জারের আমল থেকে। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ আজও সেখানে সমানভাবে চর্চায়। রাশিয়া ঘুরে এসে লিখছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

03rd  December, 2023
২৬/১১
সমৃদ্ধ দত্ত

ফরিদকোটে ব্যবসা বাণিজ্য জীবিকার তেমন সুবিধা হয়নি। তাই আমির আলি লাহোরে কনস্ট্রাকশন এজেন্সিতে নাম লিখিয়ে ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে বিল্ডিং নির্মাণের মিস্ত্রি। ফরিদকোট বাসস্ট্যান্ডের পিছনের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গেলে আমিরের ঘর। বিশদ

26th  November, 2023
চন্দননগরের উমা
রজত চক্রবর্তী

কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্‌সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে। বিশদ

19th  November, 2023
ফাটাকেষ্টর কালী
রাতুল ঘোষ

যে সময় কালের কথা বলছি, সেটা বিগত সাতের দশকের গোড়ার দিক। নকশাল আন্দোলনের ‘বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ’ শহর কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি সমাজকে ভয়ে তটস্থ করে রেখেছে। বেপাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়াও যথেষ্ট ঝুঁকিবহুল। বিশদ

12th  November, 2023
ইডেনে প্রোটিয়া প্রত্যাবর্তন

বর্ণবৈষম্যহীন দুনিয়ায় স্বাগত, হে ক্লাইভ রাইস বাহিনী! ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর একলাখি ইডেনের এটাই ছিল অভ্যর্থনার মূল সুর।
বিশদ

05th  November, 2023
 বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ‘চোকার্স’রা

নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল রামধনুর দেশ। সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে  ৪৫ ওভারে ২৫৩ রানের টার্গেট।
বিশদ

05th  November, 2023
লক্ষ্মীকথা 

 সমৃদ্ধির দেবী তিনি। তাঁর পাঁচালির সঙ্গে আজকের সমাজের মিল খুঁজে পান অনেকে। সেই কাহিনিই লিখলেন রজত চক্রবর্তী বিশদ

29th  October, 2023
কবিগুরুর কনিকা

আম কুড়োতে খুব ভালো লাগত রবির। বিভিন্ন কবিতায় তা ঘুরেফিরে এসেছে। ‘দুই বিঘা জমি’তে তিনি লিখছেন, ‘সেই মনে পড়ে, জৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাইকো ঘুম,/অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।’ শুধু তাই নয়, আশ্রমের কারও মধ্যে এই নেশা থাকলে তিনি তাকে প্রশ্রয় দিতেন।
বিশদ

15th  October, 2023
শক্তিরূপেণ

১৯৯৮। দুর্গাপুজোয় হাতেখড়ি হল আর্ট কলেজ পাশ করা এক যুবকের। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ২৫টা বছর। এখন তিনি কিংবদন্তি। মা দুর্গা তাঁর কাছে শুধু দেবী নন, শক্তির অপর নাম। সেই ভাবনাই কলমে-তুলিতে রবিবারের ক্যানভাসে মেলে ধরলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা। বিশদ

08th  October, 2023
বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন
এস শ্রীশান্থ

সময়ের নিজস্ব দাবি থাকে। কালের নিয়মে ছাইচাপা পরিস্থিতির ভিতর থেকেও তা বেরিয়ে আসে। তাই বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের এই ব্যাকুলতা ও কাপ জেতার আকুতির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না। বিশদ

01st  October, 2023
মধ্যরাতে সূর্যোদয়!

১৯ নভেম্বরের আমেদাবাদও কি সাক্ষী থাকবে উপচে পড়া আবেগ আর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের? কীর্তি আজাদের সঙ্গে কথা বললেন  সৌরাংশু দেবনাথ বিশদ

01st  October, 2023
শতকের সুচিত্রা

রবীন্দ্রসঙ্গীতের রহস্য নিকেতনে যিনি আমাদের চোখে আলো জ্বেলেছেন, কণ্ঠে দিয়েছেন সুর, অনুভবে দিয়েছেন গভীরতা, আজ তাঁর শতবর্ষের সূচনা লগ্ন। এখন অবসরে ফিরে তাকাই ছ’দশক আগের এক পরমক্ষণে— যেদিন রবীন্দ্রসঙ্গীতের রাজেন্দ্রাণী সুচিত্রা মিত্রকে প্রথম দেখা।
বিশদ

24th  September, 2023
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক

আকাশজুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি। দেখে মনে হয়, কেউ গোটা আকাশটাকে ধরবে বলে রংরেরঙের জাল বিছিয়েছে। ছোট ছোট স্বপ্নঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজোর সেই গল্প লিখছেন কলহার মুখোপাধ্যায় বিশদ

17th  September, 2023
ঘুিড়র দৌড়
কালীপদ চক্রবর্তী

চাঁদিফাটা রোদে দিনভর লাটাই হাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতেন। এমনই ছিল তাঁর ঘুড়ি-প্রেম। একদিন বিকেলবেলা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়িয়ে নেমে এসে সেই দৃষ্টিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। কতই বা বয়স তখন, তেরো কি চোদ্দ! রেটিনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বিশদ

17th  September, 2023
একনজরে
আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM