Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

তোমারে সেলাম

 

আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস। আর ২ মে পূর্ণ হচ্ছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার হীরকোজ্জ্বল দ্যুতি বাঙালি মননে চির ভাস্বর। প্রিয় ‘মানিকদা’র জন্মদিনের আগে স্মৃতিচারণা করলেন তাঁর অধিকাংশ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়। 

সত্যজিৎ রায়। নামটা শুনলেই মনে হয় যেন একটা আস্ত মহাকাব্য। আর সেই মানুষটার জন্মশতবর্ষের দোরগোড়ায় আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। পাঠকদের উদ্দেশে প্রথমেই বলি, মানিকদার জন্মশতবর্ষের প্রাক্কালে তাঁর স্মৃতিচারণা করাটা আজকে আমার কাছে খুবই কঠিন। কারণ দীর্ঘদিন আমি তাঁর সান্নিধ্যলাভ করেছি। তাই মানিকদার কথা বললেই একরাশ স্মৃতি ভেসে আসছে। খারাপ লাগে আজকে বয়সের কারণে মানিকদার সঙ্গে কাটানো সেই স্বর্ণযুগের অনেক কথাই আমার স্মৃতি থেকে মুছে যেতে বসেছে। তাই আজকে ব্যক্তি সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তৈরি হওয়া কিছু স্মৃতিই না হয় আপনাদের সামনে তুলে ধরি। 
১৯৫৪ সালে আমার সঙ্গে প্রথম সত্যজিৎ রায়ের পরিচয়। মিচেল ক্যামেরায় ‘পথের পাঁচালি’র শ্যুটিং শুরু হল। আমি ক্যামেরা কেয়ারটেকার হিসেবে ইউনিটে যোগদান করলাম। সত্যিই বলছি, কোনওদিন ভাবিনি এই সুযোগ পাব। এরপর ১৯৬০ সালে মানিকদা আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমাকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তথ্যচিত্রের দায়িত্ব দিলেন। আর সুব্রত মিত্রের উপরে ‘তিন কন্যা’র ক্যামেরার ভার দিলেন। কিন্তু সুব্রতদার চোখের সমস্যার জন্য ওই ছবিটা শেষপর্যন্ত আমিই শ্যুট করেছিলাম। 
মানিকদার কথায় ফিরে আসি। তাঁকে বাইরে থেকে দেখে অনেকেই গম্ভীর ভাবতেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একদম ‘মাই ডিয়ার’ মানুষ। সেটে কোনওদিন মানুষটাকে রাগতে দেখিনি। যদি কখনও কাউকে বকে থাকেন, সেটা তাঁর ভালোর জন্যই। ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবির একটা অভিজ্ঞতা মনে পড়ছে। কৃষ্ণা বসু বসে রয়েছেন। ঘরে ঢুকলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। ওই দৃশ্যে কৃষ্ণাকে হাসতে হতো। কিন্তু কিছুতেই শটটা মানিকদার পছন্দ হচ্ছে না। তখন মানিকদা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে বলে উঠলেন, ‘কৃষ্ণা, তুমি কি বাড়িতে হাসো না?’ শুধু ওই একটা কথা। ব্যস, পরের শটেই ওকে। আবার এই মানুষটারই সেন্স অব হিউমার দেখলে অবাক হতে হয়। ‘অভিযান’ ছবির শ্যুটিং চলছে। আহত নরসিং মানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে হাওয়া করছেন ওয়াহিদা রহমান। হঠাৎ এক ফালি চুল ওয়াহিদার চোখ ঢেকে দিল। মানিকদা আমাকেই বললেন ওঁর মুখ থেকে চুল সরিয়ে দিতে। আমি সেটা করতেই মানিকদা ফ্লোরের বাকিদের উদ্দেশে বললেন, ‘রায়কে একটা চান্স দিলাম!’   
ফ্লোরে ছবির কাজ এগতে কেউ যদি সাহায্য করেন, তাহলে সেই মানুষটি যেন মানিকদার কাছে অন্ধের যষ্টির মতো হয়ে উঠতেন। ‘সোনার কেল্লা’র শ্যুটিং চলছে। আমরা যোধপুর থেকে জয়সলমিরের ট্রেনে। প্রায় ছ’ঘণ্টা সময় লাগবে। হোটেলের থেকে বলা হয়েছিল সঙ্গে খাবার রাখতে। কারণ মাঝে সেইভাবে খাবার পাওয়া যায় না। একটা স্টেশনে গাড়ি থামতেই হঠাৎই কামু মুখোপাধ্যায় সিট ছেড়ে উঠে চলে গেল। ফিরে এল ঝুরিভাজা, ডালমুট, মিষ্টি নিয়ে। আমি আর মানিকদা তো রীতিমতো অবাক। মানিকদা জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার? পরে জানা গেল,কামু একটি মাড়োয়ারি বরযাত্রীকে ম্যাজিক দেখিয়ে খাবারগুলো নিয়ে এসেছে। মানিকদা তো হেসে অস্থির। মানিকদা কামুকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে ফেলুদা অ্যান্ড কোং বেনারসের সরু গলি ধরে মগনলাল মেঘরাজের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। মানিকদা বললেন একটা ষাঁড় পেলে খুব ভালো হতো। আমি বললাম, মানিকদা এখন ষাঁড় কোথা থেকে পাওয়া যাবে। আর পেলেও সে ক্যামেরার সামনে আসবে কেন! শ্যুটিং বন্ধ। এদিকে লাইট পড়ে আসছে। কিছুক্ষণ পর শোনা গেল ‘আসছে আসছে’ রব। এখানেও সেই কামু। সে ষাঁড় বাবাজীবনকে একটা মুলোর লোভ দেখিয়ে তাকে লোকেশনে নিয়ে হাজির!
সময়ের সঙ্গে মানিকদার পরিবারের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমার মা ওঁকে ডেকে পাঠাতেন। আমি প্রায়দিনই ওঁর বাড়িতে যেতাম। চিত্রনাট্য তৈরি হলে মানিকদা সবাইকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নিতেন। তারপর শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হতো। বউদি (বিজয়া রায়) এলাহি খাবার দাবারের আয়োজন করতেন। এই খাবারের প্রসঙ্গেই বলি, শ্যুটিংয়ের সময় মানিকদা কিন্তু পরিমিত আহার পছন্দ করতেন। শুধু স্যান্ডউইচ খেতেন। তবে খাদ্যরসিক ছিলেন। রুটি আর অড়হর ডালও ছিল তাঁর পছন্দের তালিকায়। যোধপুরে শ্যুটিং চলছে। আমরা সেদিন বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি। মানিকদা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী খেলে?’। আমি বললাম, ‘খুব ভালো ঘিয়ে ভাজা কচুরি আর জিলিপি খেয়ে এলাম।’ সঙ্গে সঙ্গে অনিলদাকে (চৌধুরী) নির্দেশ দিলেন, ‘এই, রায় আজকে যা খেয়ে এসেছে, কালই আমার চাই।’
মানিকদা কোনওদিন কম্প্রোমাইজ করে ছবি করেননি। সবচেয়ে বড় কথা শ্যুটিংয়ে কোনও সমস্যার কথা বললে, তিনি সেটা এড়িয়ে না গিয়ে মন দিয়ে শুনতেন। যেমন ‘ঘরে বাইরে’র ইন্ডোর শ্যুটিং রাতে চলছে। তাই লাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাতীলেখা-সৌমিত্র রয়েছেন। আপনাদের হয়তো মনে আছে, ঘরের মধ্যে তিনটে পেল্লাই সাইজের আয়না ছিল। কিন্তু আয়নার জন্য লাইট করতে অসুবিধা হচ্ছে। মানিকদাকে কিছু বলতেই ভয় লাগছে। তারপর মনস্থির করে গিয়ে বলতেই মানিকদা ওঁদের দু’জনকে একটু অ্যাডজাস্ট করে দাঁড়াতে বললেন। সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা মিটে গেল। আমারও কাজ হয়ে গেল। ইউনিটকে স্বাধীনতা দিতেও তাঁর জুড়ি ছিল না। একটা ঘটনা মনে পড়ছে। পালামৌতে তখন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র শ্যুটিং চলছে। প্যাকআপের পর সন্ধ্যায় সৌমিত্র, শুভেন্দু, রবি ঘোষ, শমিত ভঞ্জরা সাধারণত একসঙ্গে আড্ডা মারতেন। একটু আধটু পানাহারও চলত। একদিন সবাই সেরকম আড্ডায় মেতেছেন। একদিন সেখানে হঠাৎই মানিকদা এসে হাজির। সবাই ভয়ে গ্লাস নামিয়ে রেখেছেন। কিন্তু রবি ঘোষ ছিলেন মজার মানুষ। টুক করে গ্লাস তুলে দেখিয়ে বললেন, ‘মানিকদা, আমরা একটু খাচ্ছি।’ মানিকদা হেসে বললেন, ‘বেশ। খাও। আমি তাহলে যাচ্ছি। তবে কাল কিন্তু এখানেই শ্যুটিং। ভুলে যেও না।’ মুচকি হেসে বেরিয়ে গেলেন মানিকদা।   
শ্যুটিং প্যাকআপের পরেও মানিকদার সঙ্গে প্রচুর আড্ডা হতো। ছবি নিয়ে কথা হতো। ভালো কোনও বিদেশি ছবি দেখলেই আমাদের সেটা দেখতে বলতেন। আউটডোরে রাতে শ্যুটিংয়ের পর দীর্ঘক্ষণ আমরা একসঙ্গে তাস খেলতাম। কিন্তু লক্ষ করতাম, তারপর একটা সময় উনি ঠিক উঠে চলে যেতেন। তাড়াতাড়ি ডিনার করে ঘরে গিয়ে চিত্রনাট্যে বুঁদ হয়ে থাকতেন। শ্যুটিং ফ্লোরে আমরা মানিকদার জন্মদিনও পালন করেছিলাম। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র শ্যুটিং চলাকালীন মানিকদার জন্মদিন পড়েছিল। বাড়ির বাইরের উঠোনে সাঁওতালি নৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রচুর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শ্যুটিং সেরে ফিরে মানিকদা তো দেখে অবাক। বললেন, ‘তোমরা করেছ কী! এটা তো একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল।’ তবে বুঝতে পেরেছিলাম মুখে বললেও তিনি মনে মনে খুশিই হয়েছিলেন। মনে পড়ছে ওইদিন সাঁওতাল রমণীদের সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুরও নাচের তালে পা মিলিয়েছিলেন।    
মানিকদার সঙ্গে ছবিদার (বিশ্বাস) একটা মজার ঘটনা বলি। তাহলে দুই মহারথী সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। ‘দেবী’তে একটা দৃশ্যে ছবিদাকে পড়ে যেতে হবে। ছবিদার হাঁপানি ছিল। তাই ওইভাবে শট দিতে তাঁর আপত্তি ছিল। তিনি করলেন কী, শ্যুটিংয়ের দিন গোটা বুকে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে ফ্লোরে চলে এলেন! বললেন, ‘মিস্টার রায়, বুঝতেই পারছেন আমি তো এই শট দিতে পারব না।’ মানিকদা ছিলেন বুদ্ধিমান। বুঝতেই পেরেছিলেন ছবিদা মজা করছেন। তখন ছবিদাকে সুব্রতদা বললেন, ‘আপনি যতটা পারেন শটটা দিন, আমি ঠিক শট কেটে নেব।’ কিন্তু মানিকদাও নাছোড়বান্দা। ঠিক বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যবস্থা করলেন। তারপর দুটো শটে ওকে হয়ে গেল। ছবিদা হেসে মানিকদাকে বললেন, ‘আমি নিজেকে চালাক ভাবতাম। কিন্তু আপনি যে আমার থেকে আরও বড় চালাক সেটা আজকে বুঝতে পারলাম।’    
একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। মানিকদা সারা জীবনে প্রচুর পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। ওঁর সঙ্গে আমি কখনও বিদেশ সফর করিনি। তবে তিনি জাতীয় পুরস্কার নেওয়ার সময় বেশ কয়েকবার আমি সঙ্গে গিয়েছিলাম। জাতীয় পুরস্কার শুনলেই আমাদের মনের মধ্যে কী ভীষণ উত্তেজনা হতো। অথচ, ওইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনেও মানুষটার মধ্যে উত্তেজনার লেশমাত্র থাকত না। বিদেশ থেকে ‘গোল্ডেন লায়ন’ কিংবা ‘গোল্ডেন বেয়ার’ পুরস্কার নিয়ে এলেন। আমরা সবাই এয়ারপোর্টে ওঁকে রিসিভ করতে গিয়েছি। তখনও দেখতাম একদম নির্লিপ্ত। আসলে অত বড় মাপের মানুষ বলেই হয়তো সাফল্যকে কখনও তিনি কাজের উপরে স্থান দেননি।  
২৩ এপ্রিল ১৯৯২। মনে হয়, আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা দিন। বেলভিউ থেকে খবর এল মানিকদা আর নেই। যেন আমার দ্বিতীয়বার পিতৃবিয়োগ হল। মনে হয়েছিল পায়ের তলা থেকে যেন মাটিটাই সরে গেল। মানিকদাকে শেষযাত্রায় দেখতে যাইনি। কারণ যে মানুষটার সঙ্গে এত স্মৃতি, তাঁকে সামনে ওই অবস্থায় দেখার শক্তি আমার মধ্যে ছিল না। সারাদিন চুপ করে বাড়িতে বসেছিলাম। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। আমি জানি, আজকে মানিকদার নতুন করে কিছু পাওয়ার নেই। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আজকে আমার মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা কি তাঁর জীবনদর্শন ও কাজকে সেইভাবে উদ্‌যাপন করলাম? বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতবাসী কি তাঁকে যোগ্য সম্মান দিতে পেরেছে? ১৯৯৭ সালে পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে গেস্ট লেকচারার হিসেবে গিয়েছি। মানিকদার ছবি নিয়ে পড়াতে গিয়ে ছাত্রদের থেকে শুনতে হল, ‘আমরা তো হিন্দি ছবি তৈরি করব। আমাদের সেইভাবে শেখান।’ অবাক হয়ে শুধু ওদের দিকে তাকিয়েছিলাম! নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে আরও সিরিয়াস হন। মনে মনে একটা স্বপ্ন দেখি— কলকাতায় সত্যজিৎ রায়ের সমস্ত কাজ নিয়ে একটা বিশ্বমানের সংগ্রহশালা তৈরি হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সত্যজিৎ উৎসাহীরা সেখানে হাজির হয়ে মানুষটাকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারবেন। জানি এটা বাস্তবায়িত হলেও আমি হয়তো দেখে যেতে পারব না। কিন্তু যেখানেই থাকি না কেন, সেদিন আমার থেকে খুশি আর কেউ হবে না।    
                                                                                                                           অনুলিখন: অভিনন্দন দত্ত
18th  April, 2021
একুশের জয়
চব্বিশের স্বপ্ন
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাই সুবিধা। বিরোধীরা কখনওই তাঁকে সিরিয়াসলি নেয় না। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে নিজের রাজনীতির ঘুঁটি সাজিয়ে যেতে পারেন... মসৃণভাবে। কারণ, আগাগোড়া বিরোধী দল ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে যান। বিশদ

09th  May, 2021
নতুন স্ট্রেইনে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী?

এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিন কাজ করছে। ভাইরাসটার চরিত্র বুঝতে বা নতুন প্রজাতির ভাইরাসের উৎস কী, তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে। বিশদ

25th  April, 2021
দেশজুড়ে কেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ?

মাসখানেক খানিকটা স্বস্তির শ্বাস নিলেও ফের করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে দেশবাসীকে। ব্যতিক্রম নয় এ রাজ্যও। সকলের একটাই প্রশ্ন, এটাই কি সেকেন্ড ওয়েভ? এই মারণভাইরাস থেকে নিস্তার পেতে প্রার্থনা করছে গোটা ভারত। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পুনের আইসিএমআর-ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর তথা নয়াদিল্লির আইসিএমআর (হেড কোয়ার্টার)-এর এপিডেমিনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিসেস ডিভিশনের প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডার মতামত শুনলেন সন্দীপ স্বর্ণকার।
  বিশদ

25th  April, 2021
সাহিত্যের  সত্যজিৎ

সত্যজিৎ রায় শুধু সিনেমার নন, তিনি সাহিত্যেরও। সিনেমার জন্যই তিনি ভুবনজয়ী, চিনেছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। সিনেমার নতুন ভাষা আবিষ্কার  করেছেন তিনি। বিশদ

18th  April, 2021
বাঙালি ব্যক্তিত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

সাধারণত ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় দিল্লি গেলে প্রথমদিকে উঠতেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাসভবনে।  পরবর্তীকালে ডাঃ জে পি গাঙ্গুলির বাড়িতে। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হঠাৎ জরুরি তলব করলেন। সেবার দেখা গেল প্রয়োজনটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিধানচন্দ্র রায় উঠলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। একদিন দু’দিন নয়। একটানা তিনদিন। বিশদ

11th  April, 2021
একশোয় ভিক্টোরিয়া
রজত চক্রবর্তী

কলকাতার ভোর হল আজ সমবেত কীর্তন আর খোল-করতালের শব্দে। উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে ঘোমটার ফাঁক দিয়ে দেখে নিল বউ-ঝিয়েরা। কে মারা গেল! দু’হাত কপালে ঠেকিয়ে পেন্নাম ঠোকে। ছেলেরা নিমদাঁতন দাঁতে চিবতে চিবতে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিশদ

04th  April, 2021
সত্যধর্মের দোলোৎসব
সুখেন বিশ্বাস

ফাগুনের দোলপূর্ণিমা। গাছে গাছে নতুন পাতা। শাখায় শাখায় শিমুল-পলাশের রোশনাই। ফুলে-ফলে ফাগুন যেন এক নতুন পৃথিবী। দোলের আবিরে একদিকে রঙিন বাংলার আকাশ-বাতাস, অন্যদিকে ডালিমতলা, হিমসাগর আর বাউল-ফকিরদের আখড়া। বিশদ

28th  March, 2021
কুম্ভে অমৃতের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কাটিহারের মণিহারি ব্লকের কমলা পাসোয়ানের প্রিয় শখ হারিয়ে যাওয়া। এই ১৪ বছর বয়সে সে চারবার হারিয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই মেলায়। কখনও কুম্ভে। কখনও শোনপুরে। কী আশ্চর্য! চারবারই আবার ফিরে এসেছে বাবা-মায়ের কাছে। ‘এই প্রথম কুম্ভে এলেন?’ নিরঞ্জনী আখড়ার বাইরের রাস্তায় ভাণ্ডারা হবে। বিশদ

21st  March, 2021
তারকার রাজনীতি
রাহুল চক্রবর্তী 

লাইট। সাউন্ড। ক্যামেরা। অ্যাকশন। শব্দগুলো বদলে গিয়ে হয়েছে— জয় বাংলা। জয় শ্রীরাম। ইনক্লাব জিন্দাবাদ। মোদ্দা কথা— সুসজ্জিত চেহারার ছোট কিংবা বড়পর্দার চেনা মুখগুলো আজ অচেনা গণ্ডিতে ধরা দিচ্ছেন। বিশদ

14th  March, 2021
রাস্তায় পাতা হয়েছে
রাখালদাসের ভাঙা বাড়ির ইট 
বিশ্বজিৎ মাইতি

সিন্ধু নদের শুকনো গর্ভের মাটি ও ভাঙা ইট সরিয়ে ইতিহাসের খোঁজ করছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক ইট সরিয়ে ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন মহেঞ্জোদারো নগরী তিনি পৃথিবীর বুকে তুলে ধরেছিলেন।  
বিশদ

07th  March, 2021
সভ্যতার ঊষাকাল
হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো
কৃষ্ণেন্দু দাস

সালটা ১৯২১। ঠিক একশো বছর আগে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের হরপ্পা অঞ্চলে শুরু হল প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। খোঁজ পাওয়া গেল কয়েক হাজার বছর প্রাচীন এক নগর সভ্যতার। পরের বছর খনন কাজ শুরু হয় সিন্ধুপ্রদেশের মহেঞ্জোদারোতে। দেশভাগের পর এ দু’টি অঞ্চল এখন পাকিস্তানের অন্তর্গত।
বিশদ

07th  March, 2021
উপেক্ষিত বিজ্ঞানী 

‘আত্মঘাতী’ বাঙালির ড্রয়িংরুমে তাঁরা কেবলই ছবি। ব্রাত্য। বিস্মৃত। উপেক্ষিত। কেউ নোবেল সিম্পোসিয়ামে বক্তব্য রাখার ডাক পেয়েছেন, আবার কারওর গবেষণার খাতা হাতিয়ে নোবেল পকেটে পুরেছেন অন্য কেউ। গোটা পৃথিবী তাঁদের অবদানে ঋদ্ধ-সমৃদ্ধ, অথচ নিজভূমে তাঁরাই রয়ে গিয়েছেন বিস্মৃতির অন্ধকারে। আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের আত্মভরী প্রত্যুষে তেমনই চার বরেণ্য বাঙালি বিজ্ঞানীর বেদনা-বিধুর কাহিনি শোনাচ্ছেন মৃন্ময় চন্দ। 
বিশদ

28th  February, 2021
বাঙালির বিজয় দিবস 
পবিত্র সরকার

যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, বিংশ শতাব্দীতে এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ঘটনা কী ঘটেছিল, তা হলে অনেকেই হয়তো বলবেন, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা বা দেশভাগ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের একটা ভালো (!) দিক এই যে, তা সাম্রাজ্যবাদের মৃত্যুঘণ্টা বাজাল, আর তারই ফলে, ভারতীয় উপমহাদেশ তার বহুবাঞ্ছিত ‘স্বাধীনতা’ লাভ করল।  
বিশদ

21st  February, 2021
কচিকাঁচাদের ভ্যালেন্টাইন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রেমের প্রকাশ নানা রকম। বাঙালির কৈশোরের প্রথম প্রেম অবশ্যই নন্টে ফন্টে, বাঁটুল দি গ্রেট বা হাঁদা ভোঁদা। এগুলির স্রষ্টা যিনি, তিনিও তো এক অর্থে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনই বটে। বঙ্গের কিশোর-কিশোরীদের প্রথম ভালোবাসাকে আজও তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। আজ ভালোবাসার দিবসে পদ্মশ্রী নারায়ণ দেবনাথের অমর সৃষ্টিকে ফিরে দেখার চেষ্টা। বিশদ

14th  February, 2021
একনজরে
শিলিগুড়িতে ফের ভাঙন ধরল বামফ্রন্টে। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের ভরাডুবির দু’সপ্তাহের মধ্যে বুধবার বামফ্রন্ট ত্যাগ করলেন দুই নেতা। তাঁরা হলেন আরএসপির রামভজন মাহাত ও সিপিএমের ...

করোনার সংক্রমণ এড়িয়ে সুরক্ষিতভাবে বাড়িতে বসেই গয়না কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ উপলক্ষে থাকছে হরেক অফারও। ...

বাড়ির উঠোনে বেড়া দিয়ে ঘেরা ছোট্ট ঘর। সেখানে রান্না করছিলেন গৃহবধূ দীপালি সর্দার। পাশের মাটির ঘরের নিকনো বারান্দায় রাখা ফোন হঠাৎই বেজে উঠল। রান্না ফেলে ...

বিতর্ক যতই থাকুক, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের অন্যতম ভরসার জায়গা বিদেশি সাহায্য। বুধবার তা আরও একবার স্পষ্ট  করে জানাল মোদি সরকার। করোনায় সহায়তার জন্য এদিন সেই দেশগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM