Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

সংবাদপত্র জগতের ইতিহাসে সাংবাদিক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারাবাস একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা। ১৮৮৩ সালের এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের কোনও এক মামলায় বড়বাজারের বাসিন্দা বটুকনাথ পণ্ডিতের কাছে যে শালগ্রাম শিলা ছিল, তা বিচারপতি জন ফ্রিসেন নরিসের নির্দেশে আনা হয় হাইকোর্টের বারান্দায়। এই পবিত্র শিলা আনা হয়েছিল বাদী এবং প্রতিবাদী উভয়পক্ষের আইনজীবীদের পরামর্শেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠে গেল, শালগ্রাম শিলা কি অপবিত্র হয়ে গেল কোর্টে আনার জন্য?
এই ঘটনার সমালোচনা করে ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘The Brahmo Public Opinion’ পত্রিকার সম্পাদক ভুবনমোহন দাস (দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের বাবা) ১৮৮৩ সালের ১৯ এপ্রিল সংখ্যায় বেশ খানিকটা লেখেন। এরপর সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সম্পাদিত ইংরেজি পত্রিকা ‘The Bengalee’তে এর পাঁচদিন পর ২৪ এপ্রিল ভুবনমোহন দাসের লেখার প্রেক্ষিতে আরও কিছু লেখেন। ফলে এই শালগ্রাম বিষয়ক লেখা থামল না। ভুবনমোহন দাস ওই একই বিষয়ে আবার লিখলেন ২৬ এপ্রিল তাঁর পত্রিকায়। এরপর সুরেন্দ্রনাথও পবিত্র শালগ্রাম শিলাকে কোর্ট চত্বরে আনার ঘটনাকে তীব্র সমালোচনা করে সম্পাদকীয় লিখলেন ২৮ এপ্রিলের সংখ্যায়। যার অংশবিশেষ হল, ‘What are we to think of Judge who is so ignorant of the feeling of the people and so disrcspectful of their cherished conviction, as to drag into court and then to inspect, an object of worship which only Brahmins are allowed to approach?’ আর এই মন্তব্যেই শুরু হয়ে গেল আদালত অবমাননার মামলা। ২ মে, ১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’
এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। বেশ কিছু মিটিং-মিছিল সংগঠিত হল। স্টার থিয়েটারের সভাতে সভাপতিত্ব করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সুরেন্দ্রনাথের জীবনীকার সূর্যকুমার ঘোষাল লিখছেন—‘অভিযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ ও রামকুমার দে’র সম্বন্ধে কর্ত্তব্যাকর্ত্তব্য স্থিরীকরণের নিমিত্ত ৩রা মে বৃহস্পতিবার সুরেন্দ্রনাথের সুহৃদমিলনরূপ পরামর্শ-সভা বসিল। আনন্দমোহন বসু, মনোমোহন ঘোষ, শ্রীযুক্ত মন্মথনাথ মল্লিক, শ্রীযুক্ত তারকনাথ পালিত, এই চারিজন বিশিষ্ট আইনাভিজ্ঞ পণ্ডিত তালতলার বেঙ্গলি অফিসে সম্মিলিত হইলেন।’
তখনকার দিনে নামকরা সাহেব ব্যারিস্টার জ্যাকসন সাহেব, গ্রিফিত এভানস্‌ সা঩হেব, ট্রিভিলিয়ান সাহেব, রবার্ট এ্যালেন সাহেবদের কাছে আর্জি জানানো হল সুরেন্দ্রনাথের পক্ষে দাঁড়াতে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এঁরা কেউই রাজি হলেন না। অবশেষে সুরেন্দ্রনাথের পক্ষে দাঁড়ালেন উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গণেশচন্দ্র চন্দ্র (ড. প্রতাপচন্দ্র চন্দ্রর ঠাকুর্দার বাবা)।
৩ মে, রাতটা সুরেন্দ্রনাথ ও রামকুমার দে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের খিদিরপুরের বাড়িতে কাটালেন। সেখানেই মামলাটি নিয়ে গভীর আলাপ-আলোচনাও হল। ৪ মে, সকলেই হাইকোর্টে হাজির হলেন। এই মামলায় ছিলেন পাঁচজন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি রিচার্ড গার্থ, আর অন্যেরা হলেন, ম্যাকডোনেল সাহেব, কানিংহ্যাম সাহেব, নরিস সাহেব এবং রমেশচন্দ্র মিত্র। সরকারের পক্ষে দাঁড়ালেন ব্যারিস্টার চার্লস, পল এবং টিয়াপকার সাহেব।
রামকুমার দে বললেন, ‘আমি ইংরেজি লেখাপড়া জানি না; সম্পাদকের দায়িত্বে ও আদেশে ছাপার কার্য্য করিয়া থাকি।’
সুরেন্দ্রনাথ বললেন, ‘আমারই আদেশে রামকুমার দে কার্য্য করিয়া থাকে। অতএব উহার দায়িত্বের জন্য আমিই সম্পূর্ণ দায়ী... আমি আমার কৃত সমালোচনা অকপটে প্রত্যাহারপূর্ব্বক আদালতের নিকট ভ্রান্তিদোষ স্বীকার করিতেছি এবং তজ্জনিত দণ্ডবিধান হইতে নিষ্কৃতি চাহিতেছি।’ সেদিনের মতো মামলা মুলতুবি রইল।
৫ মে, শনিবার রায় দানের দিন। এদিন আদালত চত্বরে লোকে লোকারণ্য। কোর্টের বাইরেও হাজার হাজার মানুষ, বহু ছাত্র এসেছেন। ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন পরবর্তীকালের স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। তিনি তখন বিএ ক্লাসের ছাত্র। এমনকী পাইকপাড়ার ইন্দ্রচন্দ্র সিংহ এক লক্ষ টাকা নিয়ে আদালতে উপস্থিত, উদ্দেশ্য— যদি সুরেন্দ্রনাথের জরিমানা হয়, তাহলে টাকাটা তিনিই দিয়ে দেবেন।
রায়ে রামকুমার দে মুক্তি পেলেন, কিন্তু সুরেন্দ্রনাথের দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হল। পাঁচ বিচারপতির মধ্যে চারজন ইংরেজ বিচারপতি যখন কারাদণ্ডের পক্ষে মত দিলেন, তখন একমাত্র ভারতীয় বিচারপতি রমেশচন্দ্র মিত্র বলেছিলেন—আসামীর শুধুমাত্র জরিমানা করলেই আইনের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। না, তাঁর কথা শোনা হয়নি, বরং তাঁকে কারাবাসের পক্ষেই মত প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল, তিনি রাজি হননি।
সুতরাং সুরেন্দ্রনাথের জেল হয়ে গেল। আদালতের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল জনতা। সুরেন্দ্রনাথ গেলেন প্রেসিডেন্সি জেলে। উল্লেখ করতেই হবে— সাহেবদের পত্রিকা ‘The Statesman’ কিন্তু এর বিরুদ্ধে কলম ধরেছিল। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও কালো ফিতে ধারণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ‘The Indian Mirror’ সহ বহু সংবাদপত্র সুরেন্দ্রনাথের পাশে ছিল। সমগ্র ভারত জুড়ে অসংখ্য মিটিং মিছিল হয়েছিল।
সুরেন্দ্রনাথের কারামুক্তি ঘটে ৪ জুলাই, ১৮৮৩ সালে। ‘প্রবাসী’ সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ১৯২৫ সালে স্মৃতিচারণ করলেন—‘সেকালে সুরেন্দ্রনাথ কিরূপ লোকপ্রিয় ছিলেন, তাঁহার মুক্তির সময় আবার পরিচয় পাওয়া যায়। যেদিন তাঁর খালাস পাইবার কথা, সেই দিন অতি প্রত্যুষে হাজার হাজার লোক প্রেসিডেন্সি জেলের অভিমুখে যাত্রা করে। উহা তখন হরিণবাড়ি জেল নামে অভিহিত ছিল। এখন গড়ের মাঠে যেখানে ভিক্টোরিয়া স্মৃতি মন্দির অবস্থিত, উহা তাহার নিকট ছিল। সেদিন শেষ রাত্রি হইতে মুষলধারে বৃষ্টি হইতে থাকে। আমরা ভিজিতে ভিজিতে জেলের ফটকের নিকট পৌঁছিয়া কিছুক্ষণ পরে জানিতে পারিলাম যে, তাঁহাকে রাত্রি থাকিতেই মুক্তি দিয়া গাড়ি করিয়া তালতলায় তাঁহার পৈতৃক বাটিতে পৌঁছাইয়া দেওয়া হইয়াছে। তখন আবার জনতা তালতলা অভিমুখে রওনা হইল। সেখানে গিয়া দেখিলাম, সুরেন্দ্রনাথের গৃহ জনাকীর্ণ, আর স্থান নাই; তাঁহার বন্ধু আনন্দমোহন বসু মহাশয় বক্তৃতা করিতেছেন।’
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক সাংবাদিক রামগোপাল সান্যাল মশাই ১৮৮৯ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত বই ‘A General Biography of Bengal Celebrities’-এ সুরেন্দ্রনাথের কারামুক্তির দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন— ‘চার জুলাই তাঁকে (সুরেন্দ্রনাথ) অভিনব উপায়ে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল কর্তৃপক্ষ জানতেন যে, তাঁর সম্মানে বিরাট জনপ্রিয় সমাবেশ হবে, তাই তাঁকে জেলের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক নজিরবিহীন, পথ অবলম্বন করলেন। জেলার সাহেব তাঁকে ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে তুলে দিলেন এবং একটি হ্যাকনি গাড়িতে চাপিয়ে লোয়ার সার্কুলার রোড ধরে চালাবার নির্দেশ দিলেন, কেন না জেলার সাহেব জানতেন এই রাস্তায় জনসাধারণ জমায়েত হবেন না। আর এইভাবেই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন।’ (বঙ্গানুবাদ)
সূর্য্যকুমার ঘোষাল লিখছেন—‘সুরেন্দ্রনাথ যদিও গর্ভধারিণীর নিকট তালতলায় থাকিতেন না, কিন্তু প্রতিদিনই প্রায় জননীর সহিত সাক্ষাৎ করিতেন... কারামুক্ত সুরেন্দ্রনাথ জননীকে প্রণামাদি করিয়া, সমাগত বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন প্রভৃতিকে যথোপযুক্ত অভিবাদন করিলেন। তৎপরে জানিতে পারিলেন যে, জেলের নিকট অসংখ্য লোক তাঁহার জন্য প্রতীক্ষা করিতেছেন। কাজেই আবার তিনি জেলখানার নিকট গমন করিলেন। সুরেন্দ্রনাথকে পাইয়া সকলে আনন্দ সহকারে তাঁহাকে পুষ্পমাল্যে বিভূষিত করিলেন। অনন্তর সকলেই তাঁহার সহিত তালতলায় আসিলেন। বেলা দশটার সময় সুরেন্দ্রনাথ সকলকে আদর আপ্যায়ণে ও বন্ধুবান্ধবগণকে প্রীতিভোজে পরিতুষ্ট করিলেন।’
সুরেন্দ্রনাথের এই কারাবাসের পরবর্তীকালে সুদূরপ্রসারী ফল হয়েছিল। জাতীয় সংহতি এবং জাতীয়তাবোধের উন্মেষে ইন্ধন জুগিয়েছিল সমগ্র ভারতেই। পথ প্রশস্ত হয়েছিল ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’ এবং ‘ন্যাশনাল কংগ্রেস’ প্রতিষ্ঠারও।
* তথ্যসূত্র: কর্মবীর সুরেন্দ্রনাথ-সূর্য্যকুমার ঘোষাল (১৯১১)/ মাসিক বসুমতী, শ্রাবণ, ১৩৩২/ A Nation in Making (1925)/ প্রবাসী ভাদ্র, ১৩০২)
স্কেচ  লেখক 
10th  November, 2019
রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

 দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো।
বিশদ

08th  December, 2019
আ ম্মা হী ন তামিল রাজনীতি
রূপাঞ্জনা দত্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিলনাড়ুর কাছে এটা একটা বিশেষ দিন। মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়ত ভিড়। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘আম্মা নাল্লামাগা ইরঙ্গ’। ‘আপনি ভালো থাকুন’। ওইদিন তিনিও যেতেন মন্দিরে। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসা বিলোতে। সেটাকে অবশ্য ‘পুরাচি থালাইভি’র আশীর্বাদ বলেই গণ্য করত সবাই।   বিশদ

01st  December, 2019
অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।  
বিশদ

24th  November, 2019
অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই।
বিশদ

17th  November, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

 রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
বিশদ

03rd  November, 2019
ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

 কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
বিশদ

27th  October, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না।
বিশদ

15th  September, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: অজ্ঞাতপরিচয় এক সাধুর মৃত্যু হল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার রাতে তারাপীঠের শ্মশান থেকে অসুস্থ ওই সাধুকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে তারাপীঠ থানার পুলিস। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।   ...

অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: স্কুলের কাছে ‘প্রায়র পারমিশন’ (পিপি) এসে পৌঁছনোর আগেই শিক্ষক পদপ্রার্থীদের হাতে তা চলে আসছে। আর তার প্রতিলিপি নিয়েই স্কুলে যোগ দিতে চলে আসছেন শিক্ষকরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ঘটনা ঘটছে। বদলির আবেদন করা শিক্ষকদের হাতে এই পিপি ...

জম্মু, ৯ ডিসেম্বর (পিটিআই): কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাক সেনা। সোমবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে ভারতীয় সেনার চৌকি লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। ...

ওয়েলিংটন, ৯ ডিসেম্বর (এএফপি): ছবির মতো সুন্দর হোয়াইট আইল্যান্ড। ভ্রমণের আনন্দে মশগুল পর্যটকের দল। ভরদুপুরে হঠাৎ করে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। সোমবার নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। জখম ১৮ জন। সরকারি সূত্রে খবর, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM