Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
কথিত আছে, রঘু ও গগন ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে ঘটে ফুল চড়িয়ে পুজো করতেন। যদি ঘট থেকে ফুল পড়ত, তাহলে তাঁরা ডাকাতি করতে যেতেন। ফুল না পড়লে যেতেন না। তাঁরা মনে করতেন, ফুল পড়া মানে মায়ের আশীর্বাদ রয়েছে। একদিন তাঁরা ডাকাতি করতে বেরিয়েছিলেন। যেতে যেতে হাজির হয়েছিলেন সিঙ্গুরের এই পুরুষোত্তমপুর গ্রামে। সেখানে রঘু ও গগন ডাকাতই ঘট স্থাপন করে মা কালীর পুজো শুরু করেছিলেন। ডাকাতদের প্রতিষ্ঠিত পুজো বলেই আমাদের মায়ের নাম ডাকাত কালী।
রঘু ও গগন ডাকাত ঘটে পুজো শুরু করার পর পুরুষোত্তমপুরের পাশের চালকেবাটি গ্রামের এক মোড়লকে মা কালী স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। তিনি গোরুর পিঠে ধানের বস্তা নিয়ে শেওড়াফুলি যাচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তখনই মা কালী তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন, ঘটে পুজোর বদলে যেন প্রতিমায় পুজো হয়। আর প্রতিমা যেন তিনিই তৈরি করেন। স্বপ্নাদেশে মা তাঁকে জানান, বাজারে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়ি ফিরে যেতে। মায়ের স্বপ্ন পেয়ে ওই মোড়ল বাড়ি ফিরে যান। বাড়িতে গিয়ে দেখেন, তাঁর ধানের বস্তার ওজন কয়েকশোগুণ ভারী হয়ে গিয়েছে। তিনি অবাক হয়ে যান। তারপর বস্তার মুখ খুলতেই তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। কারণ, ধানের বস্তা তখন মোহরের বস্তায় পরিণত হয়েছে।
কিন্তু, প্রতিমা তৈরির পর মা থাকবেন কোথায়? বাইরে তো রাখা যাবে না। কারণ, ঝড়-বৃষ্টিতে তো মাটির প্রতিমা নষ্ট হয়ে যাবে। সে কথা প্রার্থনা করে ওই মোড়ল মাকে জানালেন। তারপর মা কালী বর্ধমানের মহারাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন, তাঁর মন্দির তৈরি করে দেওয়ার জন্য। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই মহারাজা তাঁর জন্য মন্দির স্থাপন করেন। মন্দির তৈরির হওয়ার পর মন্দিরের ভিতরে ওই মোড়ল মায়ের প্রতিমা তৈরি করেন। সেই থেকে এখানে প্রতিমায় পুজো শুরু হয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর মায়ের প্রতিমা তৈরি করা হয়। অর্থাৎ পাঁচ বছরে এখানে নবকলেবর হয়। মায়ের পুজো করার জন্য বর্ধমানের মহারাজাই আমাদের পূর্বপুরুষদের সেবাইত হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন। তারপর থেকে আমরাই মায়ের পুজো করে আসছি। এখানে ছ’জন সেবায়েত রয়েছেন। প্রতি ছ’বছর অন্তর আমাদের পুজোর দায়িত্ব পড়ে।
যে সময় এই পুজো শুরু হয়, সেই সময়ের ডাকাতরা সবাই শুদ্র সম্প্রদায়ের ছিলেন। যেহেতু, রঘু ও গগন ডাকাত ঘটে পুজো শুরু করেছিলেন, তাই শূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষেরাই গঙ্গা থেকে ঘটের জন্য জল নিয়ে আসেন। সেই প্রথার অন্যথা হয়নি এখনও। কালীপুজোর সময় বছরে একবারই ঘটের জল বদল করা হয়। কারও দেখা চলে না। তাই জল বদলের সময় মন্দিরের দরজাও বন্ধ থাকে।
এই ডাকাত কালী পুজোয় আগে নরবলি দেওয়া হতো বলে শোনা যায়। এখন ছাগ বলি দেওয়া হয়। তবে, এই ছাগ বলিরও নির্দিষ্ট একটি নিয়ম রয়েছে। কালীপুজোর রাতে চার প্রহরে চারবার বলি দেওয়া হয়। কালীপুজোর পরদিন গোধূলিলগ্নে আরও একবার ছাগ বলি দেওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। সেই সন্ধিক্ষণের বলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময় মিশকালো ছাগ বলি দেওয়া হয়। সেই ছাগের গায়ে কোনও সাদা অথবা খয়েরি ছাপ থাকা চলে না।
কালীপুজোর আগে টানা ন’দিন এখানে চণ্ডীপাঠ হয়। আটদিন ধরে হয় মায়ের অষ্টমঙ্গলা। এখানে সারাবছরই মায়ের নিত্যপুজো হয়। ভোর প্রহরে ও সন্ধ্যায় আরতিও করা হয়। তবে, কালীপুজোর সময় এই ডাকাত কালী মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে তিল ধারণের জায়গা থাকে না।
এই ডাকাত কালী মন্দিরে মা সারদাদেবীকে নিয়েও একটি কাহিনী রয়েছে। তিনি একবার জয়রামবাটি-কামারপুর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই এই চত্বরে একটি গাছের তলায় তিনি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসেছিলেন। তখন একদল ডাকাতের খপ্পরে পড়েন তিনি। কিন্তু সারদাদেবীকে আটকাতে গিয়ে স্বয়ং মা কালীর দর্শন পান ডাকাতরা। তারপর ডাকাতরা মা সারদাকে ছেড়ে দেন। গাছতলায় বসিয়ে মাকে তাঁরা চাল-কড়াই ভাজাও খেতে দিয়েছিলেন। তাই কালীপুজোর সময় এখনও প্রতিবছর আমাদের এখানে মাকে চাল-কড়াই ভাজা উৎসর্গ করা হয়। সিঙ্গুরের পুরুষোত্তমপুরে এই ডাকাত কালী মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত। কালীপুজোর দিন এই মন্দির হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র।
 লেখক সিঙ্গুরের ডাকাত কালী মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত
কল্লোল ভট্টাচার্য
(মনোহর ডাকাতের কালী পুজোর বর্তমান প্রধান সেবায়েত)
যখন ছোট ছিলাম, তখন বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসে ডাকাতদের সম্পর্কে পড়েছি। সেখান থেকেই জেনেছি, ডাকাতদের উপাসনা করত শক্তির দেবী মা কালীর। ছোটবেলায় সিনেমাতেও দেখতাম, ডাকাতরা কীভাবে লুটের পর মা কালীর কাছে এসে সেগুলি সঁপে দিত। বুঝতে শেখার পর জানতে পারি, আমি যে বাড়ির সদস্য, সেই পরিবার ডাকাত কালীবাড়ির পুজোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। শুধু যুক্ত বললে কম বলা হবে কারণ, গোটা পুজোর দায়িত্বভারই আমাদের পরিবারের। ঠাকুর্দা, বাবার পর আমি এখন সেই ১২৮ বছর পুরনো পুজোর দায়িত্বে।
পুরনো দিনের ডাকাত বলতে সাহিত্য-উপন্যাস-গল্পে ভবানী পাঠক, রঘু ডাকাত, দেবী চৌধুরানীর নাম বারবার উঠে এসেছে। আমরা যে ‘ডাকাতিয়া কালীপুজো’ করি, সেটি শুরু করেছিলেন এক ডাকাতেরই পালিত ছেলে। বর্তমানে যে রাস্তাটি মনোহরপুকুর রোড বলে খ্যাত, তা ওই ডাকাতেরই নামে। ‘মনোহর ডাকাত’। আমি শুনেছি, পুরনো বাংলার ডাকাতরা যেমন হতেন, তেমনই ছিলেন এই মনোহর বাগদি।
দক্ষিণ কলকাতার পূর্ণ দাস রোডের উপরে যেখানে আমাদের বাড়ি বা মন্দির, সেখানে ১০০-১৫০ বছর আগে একটা খাল আর ঘন জঙ্গল ছাড়া কিছুই ছিল না। সেখানেই নিজের ডেরা তৈরি করেছিলেন মনোহর ডাকাত। নিজের দল তৈরি হওয়ার পর মা শক্তিকে পুজো করতেন তিনি। কষ্টি পাথরের মা কালীর প্রতিমা তৈরি করে মনোহর ডাকাত পুজো শুরু করেন। মনোহর ডাকাত বিশ্বাস করতেন, মাকে পুজো করে ডাকাতি করতে বের হলে, তাঁদের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা যে কাজের জন্য যাচ্ছেন, মায়ের আশীর্বাদে সেই কাজে সফল হবেন। তাই তাঁরা মাকে সর্বশক্তিমান বলে মনে করতেন।
মনোহর বাগদি অবিবাহিত ছিলেন। একটি ছোট্ট ঘরে তাঁর বৃদ্ধা কাকিমার সঙ্গে থাকতেন। তাঁর ঘরের লাগোয়াই ছিল কালী মন্দির। গাছের তলায় কষ্টি পাথরে তৈরি মাকে পুজো করতেন মনোহর বাগদি। কালীঘাটের মন্দিরে সেই সময় বহু মানুষ আসতেন। এখন যেটা আদি গঙ্গা, তা আগে বিশাল নদী ছিল। নৌকা পথে পুণ্যার্থীরা মন্দিরে আসতেন। মনোহর ডাকাতদের দলবল সেই পুণ্যার্থীদের মালপত্র লুট করতেন এবং সোনা-রুপো-মুক্তোর গয়না এবং দামী দামী সামগ্রী এনে মায়ের পায়ে নিবেদন করতেন। লুটের সামগ্রী শুধু নিবেদন নয়, চলত ভয়ঙ্কর নরবলি। আমি শুনেছি, নরবলি দেওয়ার পর আশপাশের গাছগুলিতে মুণ্ড ঝুলিয়ে রাখা হতো। মায়ের কাছে সেই বলির মাংস উৎসর্গ করা হতো। বিশালদেহী মনোহর ডাকাত এবং তাঁর দলবল ছাড়া এই জঙ্গলে কারও প্রবেশাধিকার ছিল না।
মনোহর ডাকাত যখন মৃত্যুশয্যায়, তখন তিনি তাঁর পালিত ছেলে হারাধন বাগদিকে বলেছিলেন, সে যেন একটা মন্দির তৈরি করে। আর সেই মন্দিরেই যেন ওই কষ্টি পাথরের প্রতিমাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। হারাধন বাগদি একটি মন্দির তৈরি করে, সেখানে মাকে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর হারাধন বাগদির বংশই সেই মন্দিরের দেখাশুনা করত। এখন মানুষ যে মন্দিরটি দেখেন, সেটি ১৯৮১ সালে গড়ে তোলেন কামাখ্যাচরণ মুখোপাধ্যায় নামে একজন সাধু। মায়ের নিত্যপুজোর ভারও নেন তিনি। সেই সময় নরবলিতে রাশ টানা হলেও, লাগাতার পশুবলি হতো। মন্দির চত্বরেই একটি শিব মন্দির রয়েছে। শুনেছি, তাঁর নীচেই ওই সাধুকে সমাধিস্থ করা হয়।
এরপর এই এলাকায় সভ্যতার বিকাশ হতে থাকে। ব্রিটিশ সরকার এখানে ঘর-বাড়ি তৈরি করে। সেই সময় এক ব্রিটিশ সাহেব আমার ঠাকুর্দা কালীভূষণ ভট্টাচার্যকে বলেন, এই মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব নিতে। পাশাপাশি তিনি মন্দিরটির সংস্কারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আমার ঠাকুমা চপলাবালাদেবী পুজো করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে মন্দিরের সংস্কার শুরু হয়। আগে যেখানে প্রতিমা ছিল, সেখান থেকে বর্তমান জায়গায় নিয়ে আসা হয়। ঠাকুর্দার পর আমার বাবা কান্তিভূষণ ভট্টাচার্য মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্ব পান। তাঁর থেকে পাই আমি। নরবলি বা পশুবলি-দুটোই এখন অতীত। এখন চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতি অমাবস্যায় পুরোহিতরা এসে পুজো করেন। কালীপুজোয় যতক্ষণ অমাবস্যা থাকে, ততক্ষণ পুজো চালু থাকে। বাঙালি-অবাঙালি মানুষের ভিড়ে এই ডাকতিয়া কালীবাড়ি অন্য রূপ নেয়।
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  উজ্জ্বল দাস
 
27th  October, 2019
আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

 রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
বিশদ

03rd  November, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না।
বিশদ

15th  September, 2019
আগুন বাজার
বীরেশ্বর বেরা

 ‘কেন? আপনি যে পটল বেচছেন, এমন পটল তো আমরা ৩০-৩২ টাকায় কিনছি!’ গ্রাম্য যুবক তাঁর আপাত-কাঠিন্যের খোলস ছেড়ে সহজ হয়ে গেলেন হঠাৎ। তেলের টিনের উপর চটের বস্তা বেঁধে টুলের মতো বসার জায়গাটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বসুন তাহলে, বলি। বিশদ

08th  September, 2019
সমাপ্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

মহাত্মা গান্ধীর প্রকাশিত রচনাবলীর খণ্ড সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ পর্যন্ত জওহরলাল নেহরুর লেখা নিয়ে প্রকাশিত যত রচনা আছে, তা প্রায় ৫০ খণ্ড অতিক্রান্ত। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সারা জীবনের যাবতীয় রচনা সমন্বিত করে এখনও পর্যন্ত ১৬টি খণ্ডসংবলিত রচনাবলী প্রকাশ পেয়েছে। 
বিশদ

01st  September, 2019
রাজীব ৭৫
মণিশঙ্কর আইয়ার

 ছিয়াশি সালের ডিসেম্বর। অঝোরে তুষারপাত হচ্ছে। আমরা যাচ্ছি কাশ্মীর। কিন্তু একটা সময় আর্মি জানাল, আর যাওয়া সম্ভব নয়। এত তুষারপাতে হেলিকপ্টার ওড়ানো যাবে না। তাহলে? যাব কী করে? বাকিরাও বলল, দিল্লি ফিরে চলুন। কিন্তু প্রধাননমন্ত্রী বললেন, তা হয় না। যাব যখন বলেছি যেতে হবে। লোকেরা অপেক্ষা করে থাকবে যে!
বিশদ

25th  August, 2019
শতবর্ষে  সারাভাই
মৃন্ময় চন্দ

চন্দ্রযান-২’র সাফল্যে গর্বিত ভারত। অভিজাত মহাকাশ ক্লাবের সদস্যদেশগুলির সঙ্গে ভারত আজ এক পংক্তিতে। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ঈর্ষণীয় সাফল্যের রূপকার নিঃসন্দেহে ক্ষণজন্মা বিরল প্রতিভাধর মিতভাষী এক বিজ্ঞানী—বিক্রম সারাভাই। একার হাতে যিনি গড়ে দিয়ে গেছেন ভারতের বিপুলা মহাকাশ সাম্রাজ্য। ১২ই আগস্ট ছিল তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। বিশদ

18th  August, 2019
জয় জওয়ান

ঝুঁকি শব্দটি যখনই উল্লেখ করা হয়, তখনই তার সঙ্গে আবশ্যিকভাবে যুদ্ধের বিষয়টি এসে পড়ে। কিন্তু শুধু যুদ্ধে নয়, ঝুঁকি রয়েছে প্রশিক্ষণ পর্বেও। একজন যুদ্ধবিমানের পাইলটকে নানাভাবে তৈরি হতে হয়। আকাশপথে সেই প্রশিক্ষণ যখন শুরু হয়, তখন প্রতিটি স্তরেই ঝুঁকি থাকে। সেগুলো অতিক্রম করে সাফল্য পাওয়াই একজন পাইলটের কাছে চ্যালেঞ্জ। বিশদ

11th  August, 2019
জাতীয়তাবাদ ও রবিঠাকুর 
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা তাঁর কাছে আলাদা। বিশ্বাস করতেন, গ্রামই ভারতের চেতনা। সম্পদ। তাই শুধু ইংরেজ বিরোধিতা নয়, রবিঠাকুরের লক্ষ্য ছিল ভারতের উন্নয়ন। ভারতবাসীর উন্নয়ন। তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলা। অন্যরকম তাঁর স্বদেশপ্রেম। আরও এক ২২ শ্রাবণের আগে স্মরণ এই অন্য রবীন্দ্রনাথকে। 
বিশদ

04th  August, 2019
একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর আসা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। সরকারের এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে স্কুলগুলিতে যে অতিরিক্ত ক্লাসরুমের বন্দোবস্ত করতে হবে, তার ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রাস উৎসবকে সামনে রেখে নবদ্বীপে ফেরিঘাটগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হল। রাসের দিনগুলিতে ফেরিঘাট দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। ফলে তাদের পারাপার ও নিরাপত্তা নিয়ে নবদ্বীপের ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছেন। পাশাপাশি নবদ্বীপ পুরসভা ও ব্লক প্রশাসনও এনিয়ে তৎপর। ...

রাঁচি, ৭ নভেম্বর (পিটিআই): ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারের দাবি, না খেতে পেয়ে তিনি মারা গিয়েছেন। যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফে অনাহারে মৃত্যুর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৮ টাকা ৭২.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১২ টাকা ৯৩.৪৫ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৪ টাকা ৮০.৪৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ কার্তিক ১৪২৬, ৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ১৬/৩০ দিবা ১২/২৫। পূর্বভাদ্রপদ ১৫/৫৯ দিবা ১২/১২। সূ উ ৫/৪৮/২৭, অ ৪/৫২/২১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৪ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৫ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৩ মধ্যে। 
২১ কার্তিক ১৪২৬, ৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ১৫/৫৮/১৯ দিবা ১২/১২/৪৩। পূর্বভাদ্রপদ ১৭/৫৮/২৫ দিবা ১/০/৪৫, সূ উ ৫/৪৯/২৩, অ ৪/৫৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৫০ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৫/২১ গতে ৯/৫৮/২০ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৮/২০ গতে ১১/২১/১৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৭/১৬ গতে ৯/৪৪/১৭ মধ্যে। 
১০ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: টসে জিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট নিল দিল্লি

07:13:52 PM

আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মিথুন: উচ্চবিদ্যায় ভালো ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৬২- সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি পুরুষ ওস্তাদ আলাউদিন খাঁর জন্ম।১৮৯৫- জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

আগামীকাল অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট

09:17:50 PM

এবার হকি বিশ্বকাপ ভারতে
২০২৩ সালে পুরুষদের এফআইএইচ হকি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। ...বিশদ

05:08:38 PM

পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী
 মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সরকার গড়ার ...বিশদ

05:01:39 PM