Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ভোটের ভারত 

রাত নামল দশাশ্বমেধ ঘাটে। অন্ধ ভিক্ষুককে প্রতিবন্ধী ফুলবিক্রেতা এসে বলল, চলো ভান্ডারা শুরু হয়েছে। ফুল বিক্রেতার হাত ধরে অন্ধ ভিক্ষুক এগিয়ে গেল বিশ্বনাথ গলির দিকে। পোস্টার, ফ্লেক্স, টিভি চ্যানেল আর সভামঞ্চ থেকে মুখ বাড়িয়ে এসব দেখে গোপনে শ্বাস ফেলল ভোটের ভারত! যে ভারত ঘুরে দেখলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
 
সবরমতী আশ্রম, আমেদাবাদ:
ওই দেখুন মেয়েটাকে। লক্ষ্মী ওর নাম। নদীর সামনের ওই জায়গাটায় রোজ প্রার্থনা হয় সন্ধ্যায়। দেখতে পাচ্ছেন। এই প্রার্থনাস্থলে ওর কিন্তু সকালে, দুপুরে আর সন্ধ্যায় তিনবার ঝাড়ু দেওয়ার কথা। কিন্তু ও আশ্রমে যেখানেই থাকুক এই মীরা কুটিরে প্রাঙ্গণ, ওই যে বিনোবা কুটিরের পিছনের রাস্তা, হৃদয়কুঞ্জের পিছনের বাগান আর সামনের প্রার্থনাস্থল, সর্বত্র মাঝেমধ্যেই ছুটে ছুটে আসে দেখতে। কী দেখতে? পাতা পড়েছে কিনা, সবরমতীর হাওয়া কোনও কাগজ উড়িয়ে নিয়ে এসেছে কিনা। ওর একটাই লক্ষ্য বুঝলেন। সেটা হল ঘাসে যেন পাতা না থাকে, কাগজের টুকরো যেন ওকে হারাতে না পারে সারাদিনে একবারও। হাসিটা লক্ষ্য করছেন তো! সবরমতী আশ্রমের যে হৃদয়কুঞ্জে ১৯১৮ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত থাকতেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী আর তাঁর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধী সেই ভবনের দীর্ঘ বারান্দায় যিনি ভোরের বাসে চলে চরকা নিয়ে বসে যান দিনভর, সেই লতা বেন নিজেই গর্বিত পড়াশোনা না শেখা লক্ষ্মীর জন্য। বললেন, ঠিক ১০ মিনিট বসে থাকুন এখানে। দেখবেন অন্তত একজন দুজন হলেও হাত থেকে কিছু একটা ফেলবে মাটিতে। জুতো না খুলেই দেখবেন উঠে পড়বে বারান্দায়, চিৎকার করে করে কথা বলবে, তীব্রস্বরে হাসাহাসি করবে। তাঁদের দেখেই বুঝতে পারবেন তাঁরা শিক্ষিত, বড়লোক। অথচ, খুব সহজ একটা জিনিস তাঁরা জানেন না। কোথায়, কীভাবে আচরণ করতে হয়। এই বোধ অর্জন করা জীবনের এক কঠিন সাধনা। ওই লক্ষ্মী আমাকে শিক্ষা দেয়। কারণ ওকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ও সেটাকে কাজ হিসাবে নেয়নি। একটা যেন মিশন হিসাবে নিয়েছে। তাই কেউ কিছু না বললেও দৌড়ে দৌড়ে ঝাড়ু নিয়ে এসে দিনভর নিজের মনের টানেই যেন সফল রাখছে। গান্ধীজি কী শিখিয়েছিলেন জানেন তো। সারাক্ষণ নিজেকে ব্যস্ত রাখতে। লতা বেন চরকা কাটছেন। বলছেন চরকা কাটা নেহাৎ প্রতীকি। আসল বার্তা হল, শুধুই চুপ করে বসে না থাকা। অলসতা থেকে মনকে দূরে রাখতে নিরন্তর চরকা কাটা এক শিক্ষা। আপনাকে চরকাই কাটতে হবে তার বাধ্যবাধকতা নেই। অন্য কিছু করুন। অন্তত করুন। ওই যে দেখছেন না লক্ষ্মী তিনবার ঝাড়ু দিয়েই তো সারাদিন বসে থাকতে পারতো! তা তো করছে না! ঝাড়ু দিচ্ছে। ওটাই ওর কাছে চরকা! ভোট দেবেন না? দেব! লতা বেনের মুখে হতাশা। তবে কী জানেন, আগে নেতাদের থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে আর জানতে পারতাম। রাজনীতির বাইরে অনেক সামাজিক আর নৈতিক শিক্ষা দিতেন তাঁরা। এখন নেতাদের মুখের কথাগুলো কেমন যেন হালকা হালকা হয়ে গিয়েছে। ওই দেখুন ওই দেখুন...দেখা গেল ভরদুপুরে নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্মী আবার ঝাড়ু দিতে ছুটছেন... কিছু পাতা পড়েছে প্রার্থনাস্থলে...। সরাতে হবে।

পঞ্চবটি, নাসিক:

৬ বছর বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর ঠিক এখানেই এসে মা বসেছিলেন। নাসিক থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম দেওড়া। মাত্র দুবারই স্বামীর সঙ্গে এসেছিলেন সেই গ্রাম্য মহিলা নাসিক শহরে। স্বামীর মৃত্যুর পর সেই নাসিক শহরে স্থায়ীভাবে চলে আসতে হল ছেলেকে নিয়ে। স্বামীর সেই জায়গাতেই বসে জুতো সারাইয়ের কাজ শুরু করলেন। পাশে বসে ছেলে শিখে দিতে শুরু করল সেই কাজ। আজ ঠিক সেখানে বসে আছেন সেই ছেলে সঞ্জয় ঠাকরে। মুচির কাজ করতে করতে বয়স হয়ে গেল ৪৯। মুচির পুত্র সঞ্জয় মুচি হয়েছেন। নাসিক পঞ্চবটিতে বসে সারাদিনে কতই বা রোজগার হয়। অতএব সঞ্জয়ের দুই ছেলেও তো হয়তো মু঩চিই হবে! পড়াশোনার যা খরচ সেটা কী সংসার সামলে চালানো সম্ভব? সঞ্জয় থ্যাকারে অবশ্য খুশিই হবেন ছেলেদের সম্পর্কে প্রশ্ন করলে। কারণ তিনি ওদের কথা বলতে ভালেবাসেন। আমি নিজে সেভেন পাশ। আমার বড় ছেলে মুম্বই পুলিসের সাব ইন্সপেক্টর। আন্ধেরিতে পোস্টিং। মেজ ছেলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। টাটায় চাকরি করছে। ছোট ছেলে কমার্স পড়ছে। সিএ করার ইচ্ছে! আমি কী আর পারব বলুন! এই জুতো সেলাই, পালিশ, আর ব্যাগ তৈরি করে মাসে ১২ হাজার টাকা আয়। এই যে আমি এখানে সারাদিন বসে মুচির কাজ করতাম। আর ছেলেরা এখানেই পাশের ওই কংক্রিটের স্ল্যাবে বসে পড়তো। আত্মীয়-পরিজন সাহায্য করেনি? হাসলেন সঞ্জয়। আমি তো মামার মেয়েকে বিয়ে করেছি। তাই কেউ কথা বলে না। সঞ্জয়ের একটা পা প্রতিবন্ধী। এই মামার মেয়ে না থাকলে আমার সবথেকে বড় ক্ষতি হয়ে যেত জানেন তো। আমি অনেক পরে জানতে পেরেছি যে ও অনেকদিন রাতে খায়নি। জল খেয়ে থেকেছে। ছেলেদের পড়ার টাকার জন্য। আমি ওকেই বা একা কেন এরকম করতে দেব। তারপর আমরা দুজনেই মাঝেমধ্যেই এক বেলা খেতাম না। কিছুটা খাবারের টাকা বেঁচে যেত। এই যে সামান্য ফুটপাথের গুমটির সামনে দিয়ে গেলে আত্মীয়দের অনেকে মুখ অন্যদিকে করে যেত জানেন। আর আমার ছেলেদের দেখে ওঁদের ছেলেরা হয়তো দু একবার কথা বলতে এখানে বসেছে। সেই দোষে নিজেদের ছেলেদের অামার সামনেই মেরেছে। বলেছে, ছোটলোকদের সঙ্গে মিশবি না। বাড়িতে এসে আমি আর স্ত্রী কাঁদতাম। আজ সব কিছুর জবাব দিয়েছি তাই না বলুন! সবথেকে বড় শান্তি কী জানেন ? আমিই আমার বংশের শেষ মুচি। আর কেউ থাকবে না। নিজের বংশের জন্য ঩তো একটা কিছু করতে পারাম বলুন! সঞ্জয় থ্যাকারে শিবসেনাকে ভোট দেবেন। কেন? অন্য কোনও কারণ নয়। শিবসেনা নেতা গণেশ আপ্তে আমার দুই ছেলেকে ইডব্লুএস সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। তাই স্কুলে ফি লাগেনি। ওটুকুর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আর কিছু চাই না!

রামঘাট, নাসিক:
গোদাবরীতে জল নেই। তাই পূণ্যার্থী নেই। রামঘাট ফাঁকা। তপোবনে দোকান বন্ধ। যখন পূণ্যার্থীর ভিড় হয় তখন মহেন্দ্র দীক্ষিত পুরোহিত। আর যখনই ভিড় নেই তখন মহেন্দ্র দীক্ষিত টাইপিস্ট। পঞ্চবটি মার্কেটে। তিনটে পুরানো টাইপরাইটারের টেবিলের নীচেই রাখা থাকে পার্মানেন্ট পুরোহিতের পোশাক। আজকাল সেই পোশাক বেরোচ্ছে না। কারণ, গোদাবরীতে জল নেই। একটু বর্ষা পড়ুক। গোদাবরীতে জল আসুক। তখন গমগম করবে নাসিকের রামঘাট। মহেন্দ্র দীক্ষিত পুরোহিতের পোশাক বের করবেন। আর টাইপরাইটার তখন থাকবে কাপড় দিয়ে ঢাকা। সুতরাং যদি জিজ্ঞাসা করা যায় মহেন্দ্র দীক্ষিতের পেশা কী? তার একমাত্রিক উত্তর হয় না। সেটা নির্ধারণ করে গোদাবরীর জল। জল থাকলে তিনি ব্রাহ্মণ পুরোহিত। গোদাবরী শুকিয়ে গেলে মহেন্দ্র দীক্ষিত টাইপিস্ট। কিন্তু, এরকম বিকল্প নেই রামঘাটের গোদাবরীর ঠিক উপরেই পুলিস ওয়াচ টাওয়ারের সামনে বসে থাকা রমেশ শেখর আর স্ত্রী চান্দুবালার। শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের রাজু নাকা থেকে রোজ ভোর ৬ টার বাসে আসা এই রামঘাটে। সঙ্গে একটা বহু পুরনো ওজন মেশিন। সামনে ওজন মেশিনটা রেখে হাতে একটা ঘন্টা বাজান রমেশ শেখর। তাঁর হাত যখন ব্যথা করে তখন বাজান চান্দুবালা। প্রতিদিন ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা আয় হয়। স্বামী-স্ত্রীর চলে যায়। ভোট দেন না? রমেশ শেখর মাথা নাড়ান। কেন? ভোটকে কেমন দেখতে হয় তা তো জানি না। আমরা দু’জন ২২ বছর ধরে শুধু একটাই কাজ করে আসছি। ভোরের বাসে রামঘাট। রাতের বাসে রাজু নাকা। রাজনীতি, সরকার আর নেতারাও আমাদের কাছে কখনও আসেনি। ওরা আমাদের দেখতে পায় না। আমরাও তো দেখতে পাই না ওদের। হ্যাঁ। রমেশ শেখর আর তাঁর স্ত্রী ভোট, রাজনীতি, সরকার, নেতা কাউকেই দেখতে পান না। কারণ, রামঘাটে মানুষকে ওজন করতে দিনভর ডেকে চলা এই দম্পতি অন্ধ। সন্তান? নেই। কেন? চান্দুবালা কম কথা বলেন। এই প্রথম মুখ খুলছেন। বললেন মোক্ষম কথা। যদি সেও অন্ধ হয়? আমরা তো দুজনেই অন্ধ। তাকে কে দেখবে? আমাদের ভাত যোগায় যে, সেই ওজন মেশিন কেমন দেখতে হয় সেটাই তো আজ পর্যন্ত জানতে পারিনি! আর একজন অন্ধ ভারতবাসী আনতে চাননি তাঁরা। রামঘাটে গোদাবরী নদীতীরের অন্ধ দম্পতি তাহলে চোখেই অন্ধ, তাঁদের অন্তরের দৃষ্টি তো আমাদের থেকেও স্বচ্ছ!

শিপ্রা নদীর ব্রিজ, উজ্জয়িনী:
আমাদের কাছে মহাকাল সব। তিনিই বাঁচিয়ে রেখেছেন আমাদের এই উজ্জয়িনীকে। আগে তো অনেক কারখানা ছিল আশেপাশে। শুনেছি বাবার কাছে। সব কারখানা বন্ধ। এখানেই ছিল গোয়ালিয়রের রাজা সিন্ধিয়াদের রাজত্ব। তাই উজ্জয়িনীতে অসংখ্য স্কুল, মন্দির, ছোট ছোট কারখানা সবই সিন্ধিয়াদের তৈরি। কিন্তু আজ আর কিছুই নেই। বললেন, অটোচালক। চলুন না একবার ঘুরিয়ে দেব সব মন্দির। মন্দির তো অনেক আছে। তবে সবথেকে প্রধান মন্দির ১২ টা। ৬ টা শহরের মধ্যে। ৬ টা শহরের বাইরে। প্রত্যেক মন্দিরের একটা দারুণ ইতিহাস আর গল্প আছে। যেতে যেতে শুনবেন। একমাত্র এই শহরেই আছে ভূখি মাতার মন্দির। মানে অনাহার দেবীর মন্দির। এরকম নাম কেন? এরকম আবার দেবী আছে নাকি? অটো চালক বিরক্ত! নেই মানে? আপনারা জানেন না বলেই থাকবে না? একবার উজ্জয়িনীতে দেখা গেল খাবার নেই। কারও বাড়িতেই খাবার থাকছে না। চারদিকে অনাবৃষ্টি। ফসল নেই। হাহাকার। অনেক খুঁজে দেখা গেল এক নারী দোকান বাজারের সব খাবার একাই খেয়ে নিচ্ছে। স্বয়ং মহারাজা বিক্রমাদিত্য সেই নারীকে শহরের বাইরে নির্বাসন দিলেন। সেই নারীর একটাই শর্ত। তাঁকে মন্দির করে দিতে হবে। সেখানে তিনি পূজিতা হবেন। সেই থেকে শুরু ভূখি মাতার মন্দির। আর তারপর থেকে আজ পর্যন্ত উজ্জয়িনীতে কেউ না খেতে পেয়ে থাকে না। আপনি নিজেই একবার ট্রাই করবেন। সারাদিন খাবেন না। পকেটে পয়সা থাকলেও খাবেন না। দেখবেন এমন একটা পরিস্থিতি সারাদিনে একবার তৈরি হবেই যে আপনাকে খেতেই হবে। সে প্রসাদও হতে পারে কিংবা ভাণ্ডারা! উজ্জয়িনীতে কোনও রাজা এসে রাত কাটায় না তো। উজ্জয়িনীর রাজা একজনই। মহাকাল। অন্য কোনও রাজা এখানে এসে রাত কাটানোর চেষ্টা করলেই মৃত্যু অবধারিত। যে একবার মহাকালের শরণ নিয়েছে তার আর কোনও চিন্তা নেই। ডাল-রুটি জুটেই যাবে। অটোচালক শিবরাজ সিং চৌহানকে ভোট দিয়েছিলেন। কারণ শিবরাজ মানুষ ভালো। অনেক কাজও করেছেন। এই যে উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরকে সবদিক থেকে সাজানো গোছানো তো সব উনি করলেন। আর তাই জন্যই আজ এত ভিড় হচ্ছে। একবার কুম্ভমেলার সময় আসবেন। দেখবেন এখন আর থাকার কোনও প্রবলেম নেই। শিপ্রা নদীর ঘাটে যে মওলানা মাজার আছে সেখানেও কুম্ভযাত্রীরা থাকতে পারেন। এত মহাকালের ভক্ত, শিবরাজ সিং চৌহানের ভক্ত অটোচালক নির্ঘাৎ বেশ জবরদস্ত হিন্দুত্ববাদী। যেভাবে উজ্জয়িনীর মন্দিরের সব কন্ঠস্থ তা দেখে তো তাই মনে হয়। এবং ভুল মনে হয়। এই অটোচালকের নাম সাদিক আলি শাহ! সারাক্ষণ বললেন আল্লাতালাহ ছাড়া আর দু’জন তাঁর জীবনের চালিকাশক্তি। মহাকাল আর তাঁর ওয়ালিদ সাহেব আব্বা হজৌর। আব্বা আমাদের চার ভাইকে হাম্বালি করে বড় করেছেন। হাম্বালি? হ্যাঁ...মানে হল কুলি। দেওয়াস বাসস্ট্যান্ডের কুলি। আজও করেন। আমাদের থেকে পয়সা নেন না জানেন তো। আজও আমাদের গোটা একান্নবর্তী পরিবার চলে আব্বুর বাসস্ট্যান্ডে কুলিগিরির টাকায়! এই হলেন আমার ওয়ালিদ সাহাব। তাই তো বললাম স্যার, ওয়ালিদ সাহাব, আল্লা তালাহ আর মহাকাল এই হল আমাদের রক্ষাকর্তা। কল্পনা বিলাস হোটেলের উল্টোদিকের গলিতে ঢোকার আগে সাদিক আলি শাহ বললেন, মহকাল মন্দিরে ভোরের মঙ্গল আরতিটা দেখবেন তো? আগে থেকে টিকিট কাটতে হয়...দেখার মতো ব্যাপার কিন্তু...শ্মশানের মৃতদেহের ছাই দিয়ে আরতি হয়। তার মানে কী কিছু বুঝলেন? তার মানে পুরানো ছাই দিয়ে তো আর ভস্মারতী হবে না! রোজ নতুন মৃতদেহের ছাই অবশ্যই চাই। আর তাই কালভৈরব শ্মশানের আগুন কখনও নেভে না। সাদিক আলি শাহ মুসলিম নাকি? কে বলল? তিনি একখণ্ড অন্য ভারত! ইন্ডিয়ার আড়ালে থাকা।

ইন্টারসিটি প্যাসেঞ্জার: গোরক্ষপুর টু বারাণসী, জেনারেল বগি:
সত্যেন্দ্র পাসোয়ান বসার জায়গা পাননি। সুধীর কুমারও তাই। প্রথমজন দানাপুরে বাড়ি। সুধীরকুমারের মোগলসরাই। আশ্চর্য স্বভাব তো যুবকের? জেনারেল কামরা এই প্রাণান্তকর ভিড়ে যেখানে সবাই একটুখানি জায়গায় জন্য হাঁসফাঁস করছে, তখন যতবার কোনও স্টেশন থেকে বাচ্চা কোলে মহিলা অথবা বৃদ্ধবৃদ্ধা উঠছেন আর একটু পর এগোতে পারছেন না, ততবার সুধীরকুমার তাঁদের টেনে নিয়ে আসছেন, বাচ্চাকে কোলে নিয়ে কোনো এক বাঙ্কে তুলে দিয়ে একজন না একজন পুরুষ যাত্রীকে সিট থেকে তুলেই ছাড়বেন। হাসতে হাসতে এবং করজোড়ে। ...তাঁর একটাই কথা লেডিজ হ্যায়...বুজুর্গ হ্যায়...থোড়া কষ্ট কিজিয়ে না...! নিজের সিট অবশ্য সবার আগে ছেড়ে দিয়েছেন দেওরিয়া স্টেশন আসার আগেই। সুধীর কুমার সত্যেন্দ্র পাসোয়ান আর প্রকাশ দুবের মধ্যে রাজনীতির আলোচনা শুরু করার আসল কারণ সহজ। এখন উত্তরপ্রদেশের একটাই প্রশ্ন। অখিলেশ যাদব আর মায়াবতীর জোট কতটা বেগ দেবে মোদিকে? সেই প্রশ্ন থেকে শুরু হওয়া চর্চা স্বাভাবিকভাবে যেখানে পৌঁছল তা হল ইউপি বিহারের কাস্ট পলিটিক্স। আর তারপর সংরক্ষণ। গোটা দেশের কমন সমস্যা দেখা গেল একই। সরকারি স্কুলের হাল খারাপ। সব মনোযোগ প্রাইভেট স্কুলে। হবে না কেন? সত্যেন্দ্র পাসোয়ান বললেন, সরকারি স্কুলগুলোয় তো সমাজের উচ্চ বর্গের লোকজন ছেলেমেয়েদের পাঠায় না। তাহলে আমি সরকারি স্কুলে নিজেরে ছেলেমেয়েকে পাঠাবোও না, আবার মুখে সারাক্ষণ সমালোচনা করব এটা চলবে কেন? এর সমাধান কী? দেশের এক প্রধান সমস্যার এক চমৎকার সমাধান পাওয়া গেল গোরক্ষপুর থেকে বারাণসী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে। প্রকাশ দুবে বললেন, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ হওয়া দরকার। সরকারি স্কুলে যে আগাগোড়া পড়েছে সে আগে সরকারি চাকরিতে চান্স পাবে। এই ক্লজ রাখা উচিত এখন। দেখবেন দলে দলে সব সরকারি স্কুলে পাঠানো শুরু হবে। মউ জংশন থেকে মেয়ে আর কোলের নাতনিকে উঠে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন রবি প্রসাদ। যাবেন বারাণসী। মেয়েকে স্বামীগৃহে পৌঁছে দিতে। কোথায় বসবেন? জায়গা নেই। তাতে কী হয়েছে? সুধীর কুমার আছেন তো? তিনি এবার নিজের মেয়েকে নিচের সিট থেকে তুলে ওপরের বাংকে পাঠিয়ে দিলেন। আর সেখানে বসলেন রবি প্রসাদের মেয়ে নাতনি। এই গরমে কালো রঙের সাফারি। গোঁফ সাদা। চুল সাদা। রবিপ্রসাদকে যে কোনও বিহারীর মতোই দেখতে। বৈশিষ্ট্য কিছু নেই। চুপ করে ছিলেন। চন্দোলিতে বাড়ি। ওখানে কে জিতবে? মহেন্দ্র পাণ্ডে তো এবার মনে হয় ব্যাকফুটে? ফ্লাইওভারটা হয়েছে? সুধীর কুমারের প্রশ্ন। রবিপ্রসাদ বললেন, রাবণ যখন মৃত্যুর দোরগোড়ায় তখন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র ভাই লক্ষ্ণণজীকে বললেন মহাপণ্ডিত রাবণের সঙ্গে দেখা করে তাঁর কিছু জ্ঞান সঞ্চয় করে নাও। লক্ষ্ণণ গেলেন এবং রাবণ কিছুই বললেন না। রামচন্দ্র বললেন, তুমি নিশ্চয়ই মাথার কাছে দাঁড়িয়েছিলে। পায়ের কাছে দাঁড়াও। না হলে জ্ঞান তোমার কাছে আসবে কেন? অবনত হতে শেখো। রাবণ এবার লক্ষ্ণণজীকে বললেন, লক্ষ্মণ তিনটি বিষয় মনে রেখো। শুভকাজে কোনও দেরি করবে না। আর অশুভ কাজ যত পারবে পিছিয়ে দাও। একসময় শুভবুদ্ধি জাগবে, সেই অশুভ কাজ আর তোমার হাত দিয়ে হবে না। দ্বিতীয় কথা হল, কোনও গোপন কথা কখনও কাউকে বলবে না। আমার মূত্যুর গোপন রহস্য বিভীষণকে জানিয়ে দিয়েছিলাম বলেই দেখলে আমার পতন হল। আর তৃতীয় কথা হল শত্রু কিংবা প্রতিপক্ষকে কখনওই দুর্বল ভাববে না। আমি ভগবানের কাছে পরাজিত হব না এই বর চেয়েছিলাম। মানুষ আর বানরকে তাচ্ছিল্য করেছিলাম। তাঁরাই আমার পরাজয়ের কারণ হল। তাই আমাদের ওই ফ্লাইওভার যদি প্রথমেই করে দিতেন মহেন্দ্র পান্ডে তাহলে হয়তো এবার তাঁকে এত টেনশনে থাকতে হত না। ভালো কাজটা করতে দেরি করলেন। আর কাজটাই হল না। মানুষ তাঁকে আর বিশ্বাস করছে না। এই হয়। রবি প্রসাদ চুপ করে গেলেন। কিন্তু ততক্ষণে বাকিরা তো অমৃতের স্বাদ পেয়েছেন। রাজনীতি আর ভোটের কথা কে আলোচনা করে সময় নষ্ট করবে? অতএব কালো ররে সাফারি পরা রবিপ্রসাদকে সিট ছেড়ে দিলেন প্রকাশ দুবে। সকলেই ঘিরে রইলেন রবি প্রসাদকে। বললেন, মহারাজ আরও কিছু বলুন। কথায় গানে, অসাধারণ স্মরণে এরপর তুলসীদাসী রামায়ণ শুরু করলেন তিনি। নিমেষে গোরক্ষপুর বারাণসী ইন্টারসিটি প্যাসেঞ্জার হয়ে উঠল বারাণসীর ঘাট। এবং সবথেকে বিস্ময়কর হল ট্রেন বারাণসীতে আসা পর্যন্ত গোটা কামরা ছিল স্তব্ধ মন্ত্রমুগ্ধ। অনেক আগেই জানালা থেকে ভোট চর্চা পালিয়েছে। আর নামার আগে ওই গরিব ভারতবাসী ওই কথককে দিলেন ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকার নোট! তিনি নেবেন না কিছুতেই। কিন্তু ওটা তো রীতি। রামায়ণ পাঠ শোনার পর দিতেই হবে! অতএব আমাকেও দিতে হল একটা ১০ টাকার নোট! ওটা ছিল এক টুকরো প্রকৃত ভারত দেখার প্রণামী।

দশাশ্বমেধ ঘাট, বারাণসী:
নৌকার মাঝি কেদার নিষাদ পেয়েছেন ৪০জনের একটা ট্যুরিস্ট টিম। প্রথমে সবকটা ঘাট দেখানো হবে। তারপর সন্ধ্যারতী। ঠিক আছে? কেদার নিষাদকে পাওয়া যাবে গঙ্গা নিধি সেবার নীচেই হনুমান মন্দিরের নীচে সর্বদা। এই ঘাটের বহু পুরনো মাঝি। ১০০ টাকা করে পার হেড। ভাবছেন ধর্মেন্দ্রপূরণ সিং। ভাবছেন প্রকাশ রামচন্দ্র গায়কোয়াড়। ভাবছেন রাজেন্দ্র আন্দওয়াল। এত টাকা খরচ হয়ে যাবে? কিন্তু সব ঘাটে একবার করে প্রার্থনা করলে যদি কাজটা হয়? তাই সকলে যাওয়া মনস্থ করলেন। ধর্মেন্দ্রপূরণ সিং ৪০ জনের এই গ্রামবাসী নিয়ে কেন এসেছেন কাশী? মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের বাঁকড়ি গ্রামের এই কৃষকের দল কাশী এসেছেন একটা মনস্কামনা পূরণের আশায়। পুজো দিতে বাবা বিশ্বনাথের কাছে। কী সেই মনস্কামনা? এ বছর যেন বর্ষা বেশি হয়। শুধু এটা চাইতে ৪০ জন কৃষক সেই জলগাঁও থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরেরগ্রাম থেকে এসেছেন বারাণসী। কারণ গত তিন বছর বর্ষা হয় না। এক একর জমিতে ১০ কুইন্টাল কাপাস আর মক্কা হলে কিছু লাভ হবে। কিন্তু তিন বছর ধরে বর্ষা নেই। তাই এক একরে ২ কুইন্টাল করে ফসল হচ্ছে। আমাদের গ্রামে আর কেউ মেয়ের বিয়ে দেয় না স্যার... মেয়ের খাওয়া জুটবে না এই ভয়ে...। ধীরে ধীরে গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সকলে পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছে অন্য কোথাও। শুধু জলের অভাবে একটা গ্রাম আস্তে আস্তে শূন্য হয়ে যাবে...।
তারপর রাত নামল দশাশ্বমেধ ঘাটে। অন্ধ ভিক্ষুককে প্রতিবন্ধী ফুলবিক্রেতা এসে বলল, চলো ভান্ডারা শুরু হয়েছে। ফুলবিক্রেতার হাত ধরে অন্ধ ভিক্ষুক এগিয়ে গেল বিশ্বনাথ গলির দিকে। জৈষ্ঠের তপ্ত হাওয়া ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল একবার। তারপর সেও এগল। ভান্ডারার দিকে! পোস্টার, ফ্লেক্স, টিভি চ্যানেল আর সভামঞ্চ থেকে মুখ বাড়িয়ে এসব দৃশ্যাবলী দেখে গোপনে শ্বাস ফেলল
ভোটের ভারত!
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  স্বাগত মুখোপাধ্যায়
19th  May, 2019
জল সঙ্কট 

কল্যাণ বসু: দুধ সাদা ধুতি পাঞ্জাবি, মাথায় নেহরু টুপি, গলায় মালা ঝুলিয়ে মন্ত্রী দু’হাত জোড় করে হাসিমুখে মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন। চারদিকে জয়ধ্বনি, হাততালি। মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মন্ত্রী বলতে শুরু করেছেন সবে।  বিশদ

07th  July, 2019
জগন্নাথের ভাণ্ডার
মৃন্ময় চন্দ

‘রথে চ বামনং দৃষ্ট, পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে’। অর্থাৎ, রথের রশি একবার ছুঁতে পারলেই কেল্লা ফতে, পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি। আসলে সর্বধর্মের সমন্বয়ে বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এক মূর্ত প্রতিচ্ছবি এই রথযাত্রা। সেই কারণেই নিউজিল্যান্ডের হট প্যান্টের গা ঘেঁষে সাত হাত কাঞ্চীপূরমীয় ঘোমটা টানা অসূর্যমপশ্যা দ্রাবিড়ীয় গৃহবধূও শামিল হন রথের রশি ধরতে। অর্কক্ষেত্র, শঙ্খক্ষেত্র আর শৈবক্ষেত্রের সমাহারে সেই মিলন মহানের সুরটিই সতত প্রতিধ্বনিত নীলাচলে। তাই নীলাচলপতির দর্শনে অক্ষয় বৈকুণ্ঠ লাভের আশায় ভিড়ের ঠেলায় গুঁতো খেতে খেতে চলেন সংসার-বঞ্চিত বাল্যবিধবারা। একই মনোবাসনা নিয়ে চলেছেন অন্ধ, চলেছেন বধির, চলেছেন অথর্ব।
বিশদ

30th  June, 2019
স্টেফির হাফ সেঞ্চুরি
প্রীতম দাশগুপ্ত

 মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, ক্রিস এভার্টরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই শুরু করেছেন তখন। ঠিক একই সময়ে জার্মানির অখ্যাত শহর ব্রুয়ে বেড়ে উঠছিল স্টিফানি মারিয়া গ্রাফ। ১৯৬৯ সালের ১৪ জুন জার্মানির ম্যানহাইনে জন্ম স্টিফানির। মেয়ের দুষ্টুমি বন্ধের দাওয়াই হিসেবে স্টিফানির বাবা পিটার তার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন একটা পুরনো টেনিস র‌্যাকেট।
বিশদ

23rd  June, 2019
বাঙালি জীবনের গল্পই ছিল তাঁর ছবির বিষয় 
রঞ্জিত মল্লিক

ঢুলুদার সঙ্গে কাজ করা আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। অমন রসিক মানুষ খুব কমই দেখেছি। মৃণাল সেন কিংবা সত্যজিৎ রায়ের মধ্যেও আমি রসবোধ দেখেছি। কিন্তু ঢুলুদার রসবোধ তুলনাহীন। 
বিশদ

16th  June, 2019
শতবর্ষে স্রষ্টা 
সন্দীপন বিশ্বাস

সবাই তাঁকে চেনেন ঢুলুদা নামে। পোশাকি নাম অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। সেই মানুষটির হাত দিয়ে বেরিয়েছিল ‘আহ্বান’, ‘অগ্নীশ্বর’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’-এর মতো অমর ছবি। আগামী মঙ্গলবার, ১৮ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ।  
বিশদ

16th  June, 2019
ধ্বংসের প্রহর গোনা 
মৃন্ময় চন্দ

আরও একটা বিশ্ব পরিবেশ দিবস গেল। অনেক প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি...। কিন্তু দূষণ বা অবৈজ্ঞানিক নির্মাণ কি কমছে? উদাসীনতায় আজ ধ্বংসের মুখে যে এরাজ্যের সমুদ্রতটও! 
বিশদ

09th  June, 2019
বিরাট সম্ভাবনা ভারতের

রাতুল ঘোষ: প্রায় দেড় মাসব্যাপী সাত দফার লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা হয়েছে। অতঃপর পরবর্তী দেড় মাস আসমুদ্রহিমাচলব্যাপী ভারতবর্ষের সোয়াশো কোটি জনগণ আন্দোলিত হবেন দ্বাদশ আইসিসি বিশ্বকাপ ঘিরে।
বিশদ

02nd  June, 2019
মোদি ম্যাজিক
সমৃদ্ধ দত্ত

আর নিছক জয় নয়। দেখা যাচ্ছে জয় খুব সহজ তাঁর কাছে। ২০ বছর ধরে কখনও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে, কখনও প্রধানমন্ত্রী হয়ে জিতেই চলেছেন। সুতরাং ওটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। তাহলে এরপর টার্গেট কী? সম্ভবত ইতিহাস সৃষ্টি করা। এক রেকর্ড সৃষ্টি করাই লক্ষ্য হবে নরেন্দ্র মোদির। কিসের রেকর্ড?
বিশদ

26th  May, 2019
মাসুদনামা

অবশেষে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহার। ভারতের কূটনীতির কাছে পরাস্ত চীন এবং পাকিস্তান। কীভাবে উত্থান হল তার? রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্তে মোদির লাভই বা কতটা হল? লিখলেন শান্তনু দত্তগুপ্ত
বিশদ

12th  May, 2019
কবিতর্পণ 

তিনি রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রী। জোড়াসাঁকো ও শান্তিনিকেতনে শৈশব কাটানোর সুবাদে কবিগুরুকে খুব সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। যদিও শৈশবের বেশিরভাগ স্মৃতিই কালের নিয়মে ঢাকা পড়েছে ধুলোর আস্তরণে। তবুও স্মৃতির সরণিতে কিছু ঘটনা ইতিউতি উঁকি মেরে যায়। একসময়ে নিজে অভিনয় করেছেন সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহের মতো পরিচালকদের ছবিতে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মঞ্চেও। আজ তিনি অশীতিপর। আরও একটি পঁচিশে বৈশাখের আগে ঠাকুরবাড়ির কন্যা স্মিতা সিংহের কবিতর্পণের সাক্ষী থাকলেন বর্তমানের প্রতিনিধি অয়নকুমার দত্ত। 
বিশদ

05th  May, 2019
চিরদিনের সেই গান
শতবর্ষে মান্না দে 
হিমাংশু সিংহ

২৫ ডিসেম্বর ২০০৮। কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহ। একসঙ্গে আসরে প্রবাদপ্রতিম দুই শিল্পী। পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত মান্না দে ও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একজনের বয়স ৮৯ অন্য জনের ৭৭। মঞ্চে দুই মহান শিল্পীর শেষ যুগলবন্দি বলা যায়।  
বিশদ

28th  April, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম।
বিশদ

21st  April, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে দিল্লিতে বিধায়কদের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের দাবিতে আনা একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ...

 বিএনএ, চুঁচুড়া: ডাক্তারের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রোগীর বাড়ির লোকজন বিক্ষোভ দেখালেন পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। অবিলম্বে ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে তাঁরা দাবি করেন। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। ...

লখনউ, ১১ জুলাই (পিটিআই): দেশের বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে এই অভিযোগ করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। একই সঙ্গে ‘দলবদলু’ বিধায়কদের সদস্যপদ ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেন পাঁচ ও ছয়ের দশকে বাংলার অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার সৌমেন কুণ্ডু (৭৭)। গত পাঁচ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সৌমেন কুণ্ডু বাংলা ও রেলের হয়ে রনজি ট্রফি খেলেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১

11th  July, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৫৫ টাকা ৬৯.২৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.১০ টাকা ৮৭.২৪ টাকা
ইউরো ৭৫.৬৬ টাকা ৭৮.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,২০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৪৮/৪০ রাত্রি ১২/৩১। বিশাখা ২৭/১৪ দিবা ৩/৫৭। সূ উ ৫/৩/১৩, অ ৬/২০/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২২ গতে ১১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে।
২৬ আষাঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৫৩/৮/৩৭ রাত্রি ২/১৮/৩৩। বিশাখানক্ষত্র ৩৪/৮/৪১ সন্ধ্যা ৬/৪২/৩৪, সূ উ ৫/৩/৬, অ ৬/২৩/৬, অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৩/৬ গতে ১০/৩/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/৩/৬ গতে ১১/৪৩/৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৩/৬ গতে ১০/২৩/৬ মধ্যে।
৮ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৩: কলকাতা বন্দর থেকে ছাড়ল ভারত নির্মিত প্রথম বাষ্পচালিত জাহাজ ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজাবাজারে গুলি চালনার ঘটনায় ধৃত ১ 

06:47:00 PM

চৌবাগা খালে বাস উল্টে জখম বেশ কয়েকজন 

06:32:34 PM

মুর্শিদাবাদের প্রদীপপাড়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে গুলি করে খুন

04:06:59 PM

৮৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:59:16 PM