যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
বিদায়ী বসন্তের প্রখর সূর্যকিরণ উপেক্ষা করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম মন্দিরনগরী কালনার উদ্দেশ্যে। পুর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত কালনা একটা প্রাচীন এবং বর্ধিষ্ণু জনপদ। কালনা খেয়াঘাট থেকে টোটো চড়ে চকবাজারের মধ্যে দিয়ে দশ মিনিটেই গিয়ে পৌঁছলাম কালনা রাজবাড়ি মন্দির চত্বরে। মন্দির চত্বরে রয়েছে বিভিন্ন আমলে বর্ধমান রাজাদের দ্বারা স্থাপিত টেরাকোটার নকশায় অলংকৃত একাধিক মন্দির। প্রথমেই প্রবেশ করলাম নবকৈলাশ বা কালনার বিখ্যাত ১০৮ শিবমন্দির চত্বরে। ওই চত্বরের মন্দিরগুলি ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেকটি মন্দির বাঙলা আটচালা ঘরের রীতিতে গড়া।
এরপর গেলাম রাস্তার বিপরীত দিকে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য মন্দির চত্বরের দিকে। এই চত্বরে রয়েছে অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে তৈরি একাধিক মন্দির। এক চূড়া বিশিষ্ট বিশাল প্রতাপেশ্বর শিবমন্দিরটির দেওয়ালের টেরাকোটার নকশা অতি সুন্দর। এর সামনেই প্রাচীন রাসমঞ্চ। তারপর লালজি মন্দির। সেখানে টেরাকোটার নকশায় ফুটে উঠেছে শিকারের দৃশ্য, বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি, নৌকা বাইচের দৃশ্য ছাড়াও নানা সামাজিক দৃশ্য। মন্দিরের উল্টোদিকে রয়েছে নানা রঙের কারুকাজশোভিত গিরিগোবর্ধন মন্দির। মন্দিরগুলির কোনওটিতে শিবলিঙ্গ আবার কোনওটিতে কৃষ্ণমূর্তি স্থাপিত। অসাধারণ স্থাপত্যকীর্তি সম্পন্ন কৃষ্ণচন্দ্রের মন্দিরটি পঁচিশ চূড়া বিশিষ্ট। টেরাকোটা নকশায় অলংকৃত মন্দিরের দেওয়ালগুলি। ইতিমধ্যে সূর্য পশ্চিম দিগন্তে ঢলে পড়েছে। মন্দির চত্বর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে যাওয়ার জন্য রক্ষীদের তৎপরতাও শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দির চত্বরের সামনে থেকে একটা টোটোতে উঠে ভাগীরথীর ফেরিঘাটের উদ্দেশে রওনা দিলাম।
কীভাবে যাবেন : হাওড়া বা ব্যান্ডেল রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে অম্বিকা কালনা স্টেশনে পৌঁছে সেখান থেকে গাড়ি, অটো বা টোটোতে মন্দির চত্বরে পৌঁছনো যাবে।
কালনা শহরে রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল এবং লজ। আগাম বুকিং করে নিলেই ভালো।