Bartaman Patrika
বিকিকিনি
 

নিসর্গ ছোঁয়া দেওরিয়াতাল

পাণ্ডবদের এই তালেই বন্দি করে রেখেছিলেন যক্ষরাজ। পাখি ও প্রকৃতির সাম্রাজ্য ঘুরে এসে কলম ধরলেন রমেন ভট্ট।

হরিদ্বার থেকে সকালে বেরিয়ে উখিমঠ পৌঁছেছি দুপুর পার করে বিকেলের মুখে। মাঝে দু’এক জায়গায় চা-পকোড়া খেতে থেমেছিলাম মাত্র, বাকি সময় টানা চলেছে গাড়ি। এ পথে দেবপ্রয়াগ আমার খুব প্রিয় জায়গা। অলকানন্দা আর ভাগীরথীর সঙ্গমের উপর দাঁড়িয়েই সময় কেটে যায়। মনে হয়, জীবন বয়ে চলে বহু দূর! তার কূলকিনারা পাওয়া এ মনুষ্যজীবনের কর্ম নয়। রাস্তার উপর চায়ের দোকান। ক্লান্ত শরীর তখন এক কাপ গরম চায়ের জন্য উৎসুক। চায়ের কাপ হাতে দেবপ্রয়াগের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম। দুই রঙের জল একে অপরের সঙ্গে মিশছে, জলের স্রোতে বয়ে যাচ্ছে সামাজিক টুকরো টুকরো চিত্র। এ দৃশ্য যে কোনও সিনেমাকে হার মানায়। মন উৎফুল্ল হয়। আবার এক কোণে ছোট্ট মানবজীবন নিয়ে কোনও এক গভীর বিষাদও যেন খেলা করে বেড়ায়। চা খেয়ে আবার গাড়ি ছোটে সামনের দিকে। রুদ্রপ্রয়াগে এসে গাড়ি থামাই। উপর থেকে সঙ্গমের দিকে তাকিয়ে অলোকানন্দাকে ছেড়ে মন্দাকিনীর সঙ্গ ধরি। বাকি পথ সে-ই আমাদের সঙ্গী। 
বাসস্ট্যান্ডকে ঘিরে একটা বাজার তৈরি হয়েছে উখিমঠে। ছোট্ট পাহাড়ি শহর। কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর অবস্থান। কেদারনাথ আর মদমহেশ্বরের শীতকালীন আবাসস্থল। যার জন্য তীর্থযাত্রীদের আনাগোনা বছরভর। ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরকে ঘিরেই সবকিছু আবর্তিত হয় উখিমঠে। 
শহর ছেড়ে একটু দূরে পাহাড়ের ঢালে লাল রঙের বিরাট বাড়িটা বছরের পর বছর ধরে সকলের নিশ্চিন্ত আশ্রয়স্থল। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, উখিমঠ। আশ্রয়হীনের আশ্রয়, ক্ষুধার্তের খাবারের ঠিকানা। পাহাড়ের ওপাশে গুপ্তকাশী। মাঝে গভীর খাদ। 
উখিমঠ থেকে রাস্তা চলে গিয়েছে চোপতা হয়ে যোশীমঠ। আমরা চোপতার আগে বাঁদিকে পাহাড়ের সরু গলিপথে ঢুকে পড়ি। কিছু দূরেই পাহাড়ি গ্রাম ‘সারি’। ছবির মতোই ঢেউ খেলানো সবুজ পাহাড়ের ঢালে রঙিন ছোট ছোট বাড়ি। কান পাতলেই পাখির কিচমিচ। সারিগ্রাম থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে পাকদণ্ডী পথ উঠে গিয়েছে এক্কেবারে পাহাড়ের চূড়ায়। সেই পাহাড় ডিঙিয়ে কিছু দূর হাঁটলে স্বচ্ছ জলের বিরাট জলাশয়  দেওরিয়াতাল। চারদিকে সারবদ্ধ পাহাড়। তার মাথায় জঙ্গলের জটলা। তারই মাঝে স্ফটিকস্বচ্ছ এই পুষ্করিণী। 
এ নিয়ে আমার দ্বিতীয়বার। আবারও একই হোটেলে এসেছি। হোটেলের মালিক বিক্রমকে তাই গতবারের ছবি দেখিয়ে বলি ‘চিনতে পারছ? ছবি দেখালাম কেন জানো? দু’পয়সা কমাবে বলে!’ হা হা হেসে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল বিক্রম, ‘ঘরের ভাড়া না হয় কমাব। কিন্তু উপরের ঘর তো ফাঁকা নেই। নীচের ঘর খালি আছে। চলবে?’ 
‘চারটে দেওয়াল আর মাথার উপর ছাদ আছে তো?’ আমার এমন প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলে বিক্রম।  
পাতলা অন্ধকার নেমেছে সারিগ্রামের বুকে। আকাশ তার রং বদলাচ্ছে। দূরের বরফচূড়াগুলো আলোয় মাখামাখি। সান্ধ্য আড্ডায় বসেছি হোটেলের ঝুল বারান্দায়। সামনের পাহাড়ের খাদে এখন জমাট বাঁধা অন্ধকার। হঠাৎ দেখলে গা ছমছম করে উঠবে। আকাশে কুমড়োফালির চাঁদ উঠেছে। মধ্য এপ্রিলের ঠান্ডা বেশ কয়েক জোড়া জামাকাপড় ভেদ করে হাড়ে টোকা মারছে। বিক্রমের বাবার রান্নার হাতটা খুব ভালো। গরম গরম পকোড়া দিয়ে গিয়েছেন আমাদের। গরম কফি দিতেও দেরি করেননি। আমার সঙ্গীটি আবার ভীষণ মিশুকে। যেখানেই যায় বন্ধুত্ব জমিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে এক কাপ চা নিয়ে বেসুরেই সে ধরেছে দেশোয়ালি গান।  তারই ফাঁকে সুযোগ বুঝে বিক্রমের বাবার কাছে দেওরিয়াতালের গল্পটা শুনতে চাইলাম। 
একটু ভেবে নিয়ে শুরু করলেন তিনি, ‘ছোট পাণ্ডবকে যুধিষ্ঠির খুবই ভালোবাসতেন। তা সেও যখন জল নিয়ে ফিরল না তখন যুধিষ্ঠির আর স্থির থাকতে পারল না। ধ্যানে বসে যোগবলে জানতে পারল এই পাহাড়ের মাঝে কাকচক্ষু পুষ্করিণীর কথা। সেখানেই যক্ষরাজ বন্দি করেছেন চার পাণ্ডবকে। যক্ষরাজকে প্রণাম করে ভাইদের মুক্তি প্রার্থনা করলে যক্ষরাজ কঠিন শর্ত আরোপ করলেন। শর্ত মেনে যক্ষরাজের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ভাইদের মুক্ত করে আনলেন যুধিষ্ঠির। চার পাণ্ডব যেখানে বন্দি ছিলেন সেটাই হল দেওরিয়াতাল। দেবতারা নির্দিষ্ট সময়ে স্নানও করতে আসেন এখানে। তাই তো নাম হয়েছে দেওরিয়াতাল। কাল গেলেই দেখতে পাবেন পবিত্র জলরাশি। তবে সকাল সকাল পৌঁছতে হবে। নাহলে কিন্তু অর্ধেক রোমাঞ্চই মাটি। তালের জলে পাহাড় চূড়ার ছবিই দেখতে পাবেন না।’ পরের দিন সকালে খুব তাড়াহুড়ো করেও ভোর ছ’টার আগে আমরা বেরতে পারলাম না। 
হোটেলের সামনেই দেওরিয়াতাল প্রবেশদ্বার লেখা একটা বড় তোরণ। সেখান থেকেই শুরু হয়ে যায় চড়াই ভাঙা। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে হাঁটতে মন্দ লাগছিল না। একটু পরেই গরম লাগতে শুরু করল।  সোয়েটার জ্যাকেট চালান করতে হল পিঠের ব্যাগে। চারদিকে ছোটবড় গাছের প্রাচুর্য। পাখির ডাক অনুসরণ করলেই চোখে পড়ে রংবেরঙের সুন্দর সুন্দর পাখি। পাখিদের কলতানে যাত্রাপথ মধুর হয়। এখনও বেশ কিছু গাছে লাল রডোডেনড্রন ফুটে রয়েছে। আমরা তিনজন ছাড়া আর কাউকে চোখে পড়ছে না। হাঁটতে হাঁটতে একটা সমতল জায়গায় বিশ্রাম নিতে দাঁড়াই। উপর থেকে সারিগ্রামকে খুব সুন্দর লাগে। আশপাশের গাছগুলোতে প্রচুর পাখির দেখা মিলছে। বিভিন্ন জাতের পাখি। লাফিং থ্রাশ, হিমালয়ান বুলবুল আরও কত নাম। একদম মাথার উপর লাল রঙের একটা ঘর নজরে পড়ল। দু’-একজন মানুষও রয়েছে মনে হল। সুতরাং ওই ঘরটা পর্যন্ত উঠতেই হবে বুঝলাম। রাস্তা খুব দুর্গম নয়। পাথর বাঁধানো চওড়া পথ। তবে চড়াই খুব। দেখতে দেখতে লালরঙের ঘরটার সামনে পৌঁছে যাই। ঘরের মালিক সাদরে আমন্ত্রণ জানাল ভিতরে বসার জন্য। চা তৈরি করতে করতেই গল্প জমে ওঠে। এখনও পর্যটকদের আনাগোনা সেভাবে শুরু হয়নি। তবে শীতকালে ব্যবসা ভালোই হয়েছিল। আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যেই ট্যুরিস্টদের ঢল নামবে। বললেন, এখান থেকে দেওরিয়াতাল সামান্যই রাস্তা। সামনের পাহাড়টার মাথায় উঠেই ডানদিকের রাস্তা ধরে নামার পালা। ঘড়িতে দেখলাম প্রায় আটটা বাজে। যতই নামছি টলটলে জলভর্তি দেওরিয়াতাল স্পষ্ট হচ্ছে। প্রায় ৮০০০ ফুট উঁচুতে চতুর্দিকে ঢেউ খেলানো পাহাড় ঘিরে রেখেছে যেন এক অমূল্য রত্নকে। তালের জল স্পর্শ করে স্বপ্নের জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে আসি। এতদিনের জমানো স্বপ্নপূরণে মন প্রফুল্ল হয়। দূরে কুয়াশার মধ্যে দিয়ে মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে  শৃঙ্গ সমেত পুরো চৌখাম্বা রেঞ্জ। আকাশ খুব পরিষ্কার থাকলে দেওরিয়াতালের  জলে ওই পর্বতশৃঙ্গের পরিষ্কার প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। তবে সেটা দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। আমাদের ক্ষেত্রে ভাগ্য মোটেও সুপ্রসন্ন ছিল না। দু’বারই ওই দুর্লভ দৃশ্য দর্শনে বঞ্চিত হলাম। তবে মাঝে মাঝে ক্ষণিকের জন্য মেঘ সরে গেলে চৌখাম্বার উঁকিঝুঁকি মুগ্ধ করেছে। অপার বিস্ময়ে চেয়ে থেকেছি সেই দিকে। কাঠঠোকরার ঠক ঠক শব্দে ঘোর ভেঙেছে। ভীষণ রঙিন একটা কাঠঠোকরা একমনে  খাবারের খোঁজে ব্যস্ত। 
লাফিং থ্রাশটা শিস দিতে দিতে মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল কে জানে কোন অচিনপুরে! মোহনচূড়াটা আবার আত্মপ্রেমে মগ্ন। প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝেও নিজের মাথার ঝুঁটি সামলাতে ব্যস্ত। এসব দেখতে 
দেখতে সময় কেটে যায় নিজের ছন্দে। প্রকৃতি যেন অবাধ সাম্রাজ্যবিস্তার করেছে এখানে। দেওরিয়াতাল দর্শন শেষে আমরা ফিরে চলি মায়ার সংসারে। 
কীভাবে যাবেন: হরিদ্বার থেকে উখিমঠ বাসে/ভাড়ার গাড়িতে। উখিমঠ থেকে সারিগ্রাম। সারিগ্রাম থেকে দেওরিয়াতাল দেড়/দু’ ঘণ্টার হাঁটাপথ। বর্ষার দু’-একমাস বাদে সারা বছরই মনোরম।
                               ছবি: লেখক
28th  October, 2023
বাড়ির ভোল বদলে হোক হোম স্টে

তিনতলা বাড়ি। ১৪জন সদস্য। সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামছে ছোটরা। একতলার রান্নাঘরে নানা স্বাদের জলখাবার তৈরিতে ব্যস্ত বড়মা। হাতে হাতে গুছিয়ে দিচ্ছে মেজমা, সেজমা।
বিশদ

02nd  December, 2023
 টু  ক  রো  খ ব র

মুক্তিযুদ্ধ পেরিয়ে গিয়েছে সেই ১৯৭১-এ। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পর কেমন আছে বাংলাদেশ? কেমন আছে তাদের সমাজ ও গণতন্ত্র?
বিশদ

02nd  December, 2023
পড়শিনগর ঘাটশিলা

সুবর্ণরেখা নদীর ঘাটে শায়িত শতসহস্র শিলা, আর সেই থেকেই জায়গাটার নাম হল ঘাটশিলা। অন্তত জনশ্রুতি তাই বলে। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার ছোট্ট শহর এই ঘাটশিলা।
বিশদ

02nd  December, 2023
এক সকালে হিড়িম্বা মন্দিরে
সফরনামা

পুরাণ ও প্রকৃতির বন্ধুত্ব হয়েছে মানালির হিড়িম্বা মন্দিরে। ঘুরে এসে বর্ণনা দিলেন প্রীতম সরকার।
বিশদ

25th  November, 2023
উৎসবের পরে ফিটনেস 

আড্ডা, রাত জেগে ঠাকুর দেখা, যা প্রাণ চায় খাওয়া। রুটিনের দফারফা করে কেটেছে উৎসব পর্ব। শীত সামনে। পিকনিক, বিয়েবাড়ি, পার্টির মরশুমও। এখন সুস্থ থাকতে মানতে হবে কিছু শর্ত। লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
বিশদ

25th  November, 2023
 টু  ক  রো  খ ব র

‘আজকের অন্নপূর্ণা’ সিজন ৩ শুরু করল আইটিসি-র মশলা ব্র্যান্ড সানরাইজ। রান্নাবান্নার এই জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সম্প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি৫। এর আগের দু’টি সিজন জুড়ে ‘আজকের অন্নপূর্ণা’ মন ছুঁয়ে গিয়েছিল সব গৃহিণীর। ভালো খাওয়ানো ও ভালো রান্না করার ইচ্ছে যাঁদের, ক্লাউড কিচেন বা রেস্তরাঁ খোলার স্বপ্ন যাঁরা
বিশদ

25th  November, 2023
ঘরবাড়ির ঘড়ি

ঘড়ি দিয়ে ঘর সাজানোর নানা পরিকল্পনার কথা লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। বিশদ

18th  November, 2023
নীল জল সাদা বালির দ্বীপ রস অ্যান্ড স্মিথ

জলের রং এমন নীল যেন কলম ডুবিয়ে লেখা যায়। তারই মাঝে জেগে ঘন সবুজ দু’টি দ্বীপ, রস আর স্মিথ। আন্দামানের দ্বীপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিখছেন তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক। বিশদ

18th  November, 2023
 টু  ক  রো  খ ব র

তাজ তাল কুটির উদ্বোধন করল ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি (আইএইচসিএল)। কলকাতা বিমানবন্দর এলাকায় নিউ টাউনে তৈরি এই তালকুটির তাজ-এর তালিকায় নয়া সংযোজন। বিশদ

18th  November, 2023
আলো ফুলে ঘরের বাহার

দীপাবলির আগে আলো ও ফুলের যুগলবন্দিতে সাজিয়ে তুলুন নিজের অন্দরমহল। কোন ঘরে কেমন সাজ? জানালেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

11th  November, 2023
 টুকরো  খবর

ধনতেরসে সেজে উঠেছে বউবাজার ও সল্ট লেকের রাখাল চন্দ্র দে জুয়েলার্স। এবছর ‘সমৃদ্ধির ধনতেরস’ অফারে সবরকম হলমার্ক গয়নার মজুরির উপর ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন
বিশদ

11th  November, 2023
 টু  ক  রো  খ ব র

দীপাবলি উৎসবে সোনা ও হীরের গয়নার বার্ষিক প্রদর্শনী ‘ধনতেরস ড্যাজেল’-এর আয়োজন করল শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স। এই মরশুমে এখানে থাকছে বিশেষ ধরনের গয়নার সম্ভার ও আকর্ষণীয় অফার। সোনার গয়নায় পাবেন প্রতি গ্রামে ২৭৫ টাকা ছাড়। বিশদ

04th  November, 2023
মন্দিরময় কালনা 

মন্দিরের দেওয়ালের কারুকাজ, নকশা ইত্যাদির প্রতি আগ্রহ থাকলে সপ্তাহান্ত ভ্রমণে কালনা ঘুরে আসতেই পারেন। সেসবের বিস্তারিত খোঁজ দিলেন হারান ভৌমিক।    বিশদ

04th  November, 2023
মা লক্ষ্মীর ঘরে একদিন

লক্ষ্মীপুজোর দিনগুলো ঠিক কেমন যেন ছিল? শৈশব হাতড়ে দেখতে গেলে শুধু যেন ভেসে আসে নাড়ু, ভোগ আর পুরোহিত মশাইয়ের দেরি করে আসা।
বিশদ

28th  October, 2023
একনজরে
পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...

আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM