প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
সাহেব চট্টোপাধ্যায়
দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করতে একদমই ভালোবাসি না। দোকানে ঢুকলে কী কিনব আর কী কিনব না, তা ঠিক করে উঠতে পারি না। সবকিছু কেমন একটা গুলিয়ে যায়। মনে হয় সবই কিনে ফেলি। তাই ওই দিকটা আমার বউ মিলির ঘাড়েই ফেলে দিয়েছি। আর ও এ ব্যাপারে খুবই দক্ষ। বিশেষ করে ফ্যাশন ব্র্যান্ড, কোন জামার সঙ্গে কী প্যান্ট পরতে হবে, এসব ও খুব ভালো জানে। ফলে আমার যাবতীয় কেনাকাটা সব ও-ই করে। আমি একদম কিছুই কিনি না বললে অবশ্য মিথ্যে কথা বলা হবে। কারণ নিজের জুতোটা আমি নিজেই কিনি। ওটা অন্য লোককে দিয়ে হবে না। আর জুতোর ব্যাপারে আমি বরাবরই বাটার ওপর নির্ভরশীল, সেই ছোটবেলা থেকেই। জামাকাপড়ের ব্যাপারে অবশ্য আমি নির্ভর করি টমি হিলফিগার, জারা, অ্যাডিডাস আর বেনেটনের উপর। আর একটা জিনিস আমি কিনি। সেটা হল আমার জিমের জিনিসপত্র আর অ্যাকসেসরিজ। তবে সেটা অনলাইনেই কিনি। দোকান-বাজারে যেতে হলে আমার গায়ে জ্বর আসে। বাজার কী জিনিস, তা তো জানিই না। লেক মার্কেটের কোন গেট দিয়ে ঢোকা যায় তা-ও হয়তো বলতে পারব না। আমার বাবা খুব ভালো বাজার করতেন। মনে আছে ছোটবেলায়, তখন আমি হাফপ্যান্ট, বাবার সঙ্গে একবার বাজারে গিয়েছি। আমাদের একটা ল্যান্ডমার্ক গাড়ি ছিল। সেটায় চেপেই গিয়েছি। বাবা কী করতেন, গাড়িটা বাজার থেকে অনেকটা দূরে রাখলেন। আমি তার কারণ জিজ্ঞেস করতে বললেন, গাড়ি থেকে নামতে দেখলেই দোকানিরা জিনিসের দাম বেশি হাঁকবে। তাই দূরে রাখি। তা সেদিন সত্যিই এক মাছবিক্রেতা আমাদের গাড়ি থেকে নামতে দেখে ফেলেছিলেন। বাবাকে সে গাড়ির কথা বলতেই বাবা অম্লানবদনে বলে দিল, ‘আরে ও তো আমার বাবুর গাড়ি, আমি তো ড্রাইভার, আর এ হল বাবুর ছেলে!’ তা বাবার মতো তো দূরের কথা, আমি বাজার দোকান করতেই পারি না। একবার মা আমাকে পাড়ার দোকান থেকে ঝিঙে, কাঁচালঙ্কা আর পটল কিনে আনতে বলেছিল। আমি সেটা একটা কাগজে লিখে নিয়ে গিয়েছিলাম। তা দোকানদার মহিলা আমাকে বললেন, ঝুড়ি থেকে বেছে নিতে, কিন্তু কোনটা যে ঝিঙে সেটাই আমি জানতাম না! বাধ্য হয়ে সে কথা ওঁকে বলতে হল। তখন উনিই সব বেছে ওজন করে দিলেন।
পল্লবী মুখোপাধ্যায়
আমি মোটেই শপোহলিক নই। তবে কেনাকাটার ব্যাপারে বেশ ‘চুজি’। নিজের জিম লুক এবং ক্যাজুয়াল পোশাক নিয়ে পাগলামো রয়েছে। তাই কেনাকাটা করতে গিয়ে অন্যান্য পোশাক বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত গুচ্ছের জিমের পোশাক কিনে ফেলি।
ব্র্যান্ড নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই আমার। অনায়াসে মুম্বইয়ের লোখন্ডওয়ালার বাজার থেকেও পোশাক কিনে ফেলি। আসল কথা হল, পোশাক ক্যারি করতে পারা। যে পোশাক ক্যারি করতে পারে সে পাজামার ওপর টি-শার্ট পরেও স্মার্টলি যে কোনও জায়গায় যেতে পারে। অনলাইনে যে কেনাকাটা করি না তা নয়, তবে সশরীরে দোকানে গিয়ে কিনতেই ভালো লাগে। অনলাইনে কখনও কিছু দেখে হঠাৎ পছন্দ হয়ে গেলে তখন কেনার কথা ভাবি। পোশাকের মধ্যে শাড়িই প্রিয়। তবে প্রায়ই ধন্দে পড়ে যাই কোনটা কিনব। তাই বেশিরভাগ সময়েই মা আমার সঙ্গী হন। কখনও বিশেষ কোনও বন্ধুবান্ধবকেও সঙ্গে নিই।
সৌমিতৃষা কুণ্ডু
শপিং করা আমার ফেভারিট হবি। শপিং করতে ভীষণ ভালো লাগে। আর ফেভারিট ব্র্যান্ড হল ‘জারা’। অনলাইন শপিং নয়, দোকানে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করাই আমার পছন্দ। এ ব্যাপারে প্রধান সঙ্গী মা-বাবা। পোশাকের ব্যাপারে পছন্দ মূলত ওয়েস্টার্ন, আর ভারতীয় পোশাকের মধ্যে ঘাঘরা-চোলি। শপিংয়ের ব্যাপারে সাউথ সিটি আর কোয়েস্ট মল হল আমার ফেভারিট ডেস্টিনেশন। জাঙ্ক জুয়েলারি কিনতে আমায় গড়িয়াহাট আর দক্ষিণাপণে যেতেই হয়। দক্ষিণাপণ থেকে ঘর সাজানোর জিনিসপত্রও কিনি। ইলেকট্রনিক গ্যাজেটসের মধ্যে আমার প্রিয় অ্যাপলের প্রোডাক্ট। তবে সেটাও দোকান থেকেই কিনি।
সুদীপ মুখোপাধ্যায়
বাড়ির যাবতীয় যা কিছু কেনার সবটাই স্ত্রী করে থাকেন। এমনকী আমার পোশাকআশাক পর্যন্ত। আমি অনলাইনে মাঝেমধ্যে কিছু কিছু জিনিস কিনি। তবে সেগুলো হয় ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস, নয়তো বাড়ির ছাদ-বাগানের জন্য গাছের চারা, সার, টব ইত্যাদি। বাড়ির ছাদে বাগান করাটা আমার শখ। সম্প্রতি লেক গার্ডেন্স থেকে বেহালার নতুন বাড়িতে উঠেছি। সেখানেই ছাদে একটা বিশাল বাগান বানিয়েছি। তাই নিয়েই অবসর সময় কাটে।
আর বাজার করতে, মানে শাক-সব্জি, মাছ-মাংস ইত্যাদি কিনতেও আমি খুব ভালোবাসি। একসময় লেক মার্কেট থেকে নিয়মিত বাজার করতাম। বাজারে ঘুরে ঘুরে ভালো টাটকা সব্জি, মাছ দরদাম করে কেনাটা ছিল আমার অভ্যেস। কিন্তু বেহালায় চলে গিয়ে এ অভ্যেস বদলে গিয়েছে। কারণ নতুন জায়গায় ‘ভক্তদের’ সামলে বাজার করা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। লেক মার্কেটে এ সমস্যাটা ছিল না। সেখানে তো আমি পাড়ারই ছেলে ছিলাম। স্টার হিসেবে ভক্তদের সামলাতে হতো না।
রোহন ভট্টাচার্য
আমি নিজে কিনি খুব কম। প্রয়োজনীয় সবকিছুই হয় বাবা-মা নয়তো প্রিয় বান্ধবীই কিনে থাকেন। তবে নিজের জন্য না কিনলেও বাবা-মা, দিদি, ভাগ্নে-ভাগ্নিদের জন্য এবং অবশ্যই প্রিয় বান্ধবীর জন্য কেনাকাটা করি। সেসব কিন্তু দোকান থেকেই কিনতে ভালো লাগে, অনলাইনে নয়। মা’র জন্য শাড়ি কিনি গড়িয়াহাট থেকে। বাকি সব কিছুর জন্য নির্ভর করি সাউথ সিটি মলের ওপর। টালিগঞ্জ থেকে ফেরার পথে সাউথ সিটিতে বাজার করে বাড়ি ফিরি। সব্জি আর মাছ কিনতেও খুবই ভালো পারি। স্থানীয় বাজার থেকেই এসব কিনি। লকডাউনের সময়েও নিয়মিত বাজার করেছি। আর আমার মা’র মতে, আমি নাকি খুব ভালো মাছ চিনে কিনতে পারি। এমনকী বাবার থেকেও ভালো!