প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
শীতের রাতে ঘুমের ওমটুকু আরও উষ্ণ করে তুলতে পারে ভালো মানের লেপ, বালাপোশ, কম্বল। আজকাল হঠাৎই শীত কমে গিয়েছে ঠিকই। তবে প্রবাদ মানলে মাঘের শীতে নাকি বাঘ পালায়। তাই সেই শীতকে কাবু করতে হলে প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে পৌষেই। রাতের ঘুমকে জোরদার করার প্রয়োজনে কিনে ফেলতে হবে নরম-গরম লেপ, কম্বল। অনলাইন হোক বা অফলাইন, প্রয়োজনীয় জিনিসটি বেছে কিনে নিন এইবেলা। কোথায় কেমন দামে মিলবে সেসব? রইল হদিশ।
কম্বল: শীতের কম্বল ভালো না হলে ঘুমের দফারফা। ঠান্ডা আটকাবে ও গরম রাখবে শরীর, এমন কম্বলই হোক প্রথম পছন্দ। তবে কম্বল কেনার আগে কিছু মূল বিষয় বুঝে নেওয়া ভালো।
কোন ব্ল্যাঙ্কেট কখন উপযোগী: কম্বল নানা ধরনের হয়। মিঙ্ক, কোরাল, কমফর্টর, ফ্লিস, দোহার, উলেন ইত্যাদি। সাধারণত ০-১৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা পর্যন্ত আবহাওয়ায় মিঙ্ক কম্বল খুব উপযোগী। গরম কালে এসিতে শুয়ে গায়ে চাপা দেওয়ার জন্য ভরসা রাখতে পারেন দোহার, ফ্লিস ও কমফর্টরের ওপর। ১০-১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার জন্য উলেন কম্বলও খুব ভালো। মাঘের শীতে কম্বল কিনতে হলে ভরসা রাখুন মিঙ্ক ও উলেন কম্বলের ওপর।
মিঙ্ক ব্ল্যাঙ্কেট: সিঙ্গল বা ডাবল দু’রকম বেডের মাপেই কিনতে পারেন এমন মিঙ্ক কম্বল। একজনের জন্য কিনলে সিঙ্গল মাপই যথেষ্ট। অনলাইনের সেল থেকে কিনলে এমন সিঙ্গল মিঙ্ক কম্বলের দাম পড়বে ৪০০ টাকার মধ্যে। ডাবল মাপের মিঙ্ক ব্ল্যাঙ্কেট অনলাইনে সেলের মাধ্যমে কিনলে ৭০০ টাকার মধ্যেই পাবেন। তবে সেক্ষেত্রে জিনিস হাতে নিয়ে, পরখ করে কেনার জো নেই। কলকাতার হাতিবাগান, নিউ মার্কেট, গজকুমার, বড়বাজার বা জেলার যে কোনও বড় বড় বাজার এলাকা থেকে সিঙ্গল মাপের মিঙ্ক ব্ল্যাঙ্কেট কিনলে দাম পড়বে ১০০০ টাকার কাছাকাছি। একটু নামী সংস্থার ব্ল্যাঙ্কেট কিনতে চাইলে সিঙ্গলের দাম বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২ হাজার টাকা। ডাবল হলে ২৭০০-৪০০০-টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে মূল্য।
উলেন ব্ল্যাঙ্কেট: উলের কম্বলও শীতে ভালোই আরাম দেবে। এটি নরম ও তিন স্তরের। সিঙ্গল বেডের উপযোগী বা একজনের ব্যবহারের উপযুক্ত এমন কম্বলের ওপর অনলাইনে ছাড় চলছে। দাম পড়বে ৫০০ টাকার মতো। অফলাইনে কিনলে এই জিনিসই পাবেন ১০০০-২০০০ টাকার মধ্যে। দু’জন ব্যবহারের মতো উলের কম্বলের দাম পড়বে ১৫০০ টাকার আশপাশে। তবে এই ধরনের কম্বল অনলাইনে কিনলে অনেক সময় আকার ও উলের মান মনের মতো হয় না। তাই পরখ করে কেনাই ভালো। এতে উলের মান, কম্বলের ওজন ও আড়-বহর সবটা বুঝে
কেনা যায়।
লেপ: সিঙ্গল ও ডাবল দু’রকম মাপে কিনতে পারেন লেপও। কম্বলের চেয়ে লেপ কিছুটা মোটা হয়। অন্তত তিনস্তর বিশিষ্ট হওয়ায় লেপ গায়ে দিলে আরামও বেশি হয়। একার ব্যবহারের লেপ কিনতে হলে দাম পড়বে প্রায় ১০০০ টাকা। তবে অনলাইনে অফারে কিনলে ৮০০-৯০০ টাকাতেও কিনতে পারেন এটি। দু’জনের মাপে কিনলে দাম পৌঁছবে ১৫০০-১৭০০ টাকার মধ্যে। একটু ভালো মানের হলে ২০০০ টাকার মধ্যেও পেতে পারেন। তবে লেপ অনেকেই বাড়িতে ধুনুরি ডেকে বানিয়ে নিতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে দাম একটু বেশি পড়লেও জিনিসের মান খুবই ভালো হয়। একার জন্য তেমন লেপ বানাতে চাইলে বাজেট ১০০০-১৫০০-এর মধ্যে রাখাই ভালো। দু’জনের মাপে বানাতে খরচ পৌঁছবে ২০০০ টাকায়।
বালাপোশ: বাড়িতে ছেঁড়া বা পুরনো কাপড় থাকলে এই শীতের বাজারে বালাপোশ তৈরি করিয়ে নেওয়াই ভালো। তুলোর গরম পেতে লেপের চেয়েও বালাপোশের চাহিদা বেশি। বিভিন্ন দর্জিপাড়ায় বালাপোশ তৈরির ব্যস্ততা এই সময় চরমে ওঠে। অনেক সময় বাড়ি বয়ে এসেও ধুনুরিরা লেপ-বালাপোশের নানা অর্ডার নিয়ে যান। নকশিকাঁথার মতো বালাপোশের জন্মও এই বাংলায়। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ-র জামাই সুজাউদ্দিনের হাত ধরে বালাপোশের পরিচয় পান সকলে। নবাবি বালাপোশ অবশ্য ছিল মুর্শিদাবাদের সিল্কের কাপড় ও আতর মাখানো তুলো দিয়ে তৈরি। আমজনতার বালাপোষে মুর্শিদাবাদি সিল্কের জায়গায় এল সুতির নরম কাপড় ও কার্পাস তুলো। কাপড় নিজেরা দিলে ছোট আকারের বালাপোশ বানাতে খরচ পড়ে প্রায় ৮০০ টাকা। বড় আকারের হলে তা বেড়ে ১৫০০-২০০০ টাকার মতো দাম পড়বে।
তাহলে আর দেরি কেন? শীতে নরম-গরম আরাম এবার হাতের মুঠোয়!