প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
সুবর্ণ রায় পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তবু তাঁর ভাবনার জাল তিনি বিস্তার করেন বিভিন্ন পথে। নিজের মনের চিন্তাধারাগুলোকে গুছিয়ে তৈরি করেন এক একটা ছবি। একান্ত নিজস্ব ভাবনা দিয়ে আঁকা টুকরো টুকরো গল্প সেগুলো। তাঁর ভাবনার জগতের কোথাও কিন্তু ইট-কাঠ-কংক্রিটের রাজত্ব নেই। ‘র্যান্ডম সাবটেরেনিয়ান মোজেক’ বইটি পড়তে পড়তে বারবারই মনে হচ্ছিল একেবারে ছাপোষা কথা বলার ধরনে কী অদ্ভুতভাবে নিজের ভাবনাগুলোকে বয়ে নিয়ে গিয়েছেন লেখক। তাঁর ভাবনার মতোই বইয়ের লেখাগুলোও বিচিত্র পথে এগিয়েছে। একান্ত নিজস্ব খারাপলাগা, ভাবনা বা জীবনের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলোও এমনভাবে লেখক সাজিয়েছেন যা ব্যক্তিগত হয়েও বহুমুখী রূপ নিয়েছে। পাঠক পড়তে গিয়ে লেখকের মনোভাবের সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছেন নিজের অজান্তে। সংলাপের স্টাইলে লেখা গোটা বইটিতে কোথাও অন্য কিছু ভাবার সুযোগ পাবেন না পাঠক। এমনই সাবলীল লেখার ধরন। তবে ভাষার ব্যবহার অনেক সময়ই আর একটু উন্নতির দাবি রাখে। কোথাও হয়তো নিজের ব্যক্তিগত ভাবনার স্বচ্ছ্বতা বজায় রাখতে গিয়ে ভাষার কারুকাজগুলো অনেকটাই মার খেয়েছে। তবে বইয়ের ধরন ও বিষয়ের নতুনত্বে ভাষার ঊষ্ণতা অনেকটাই ঢাকা পড়ে গিয়েছে। ভাবনার বিস্তার অবশ্যই আকর্ষণীয়। তবে তা সম্পূর্ণই গতানুগতিকও বটে। জীবনের ওঠাপড়াগুলোকে বইয়ের পাতায় সাজিয়ে দেওয়ার ভাবনাটাও অবশ্যই অভিনব। ফলে বইটি ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক। অনেকটা আত্মকথনের মতো। পরিচ্ছেদগুলোও সেই আত্মকথনের স্টাইল ধরে রেখেছে। নতুনত্বের স্বাদ নিতে চাইলে পাঠক অবশ্যই একবার উল্টেপাল্টে দেখতে পারেন সুবর্ণ রায়ের বইটি। র্যান্ডম সারটেরেনিয়ান মোজেক:২০১২-২০১৮। ইঙ্কস্টেট প্রকাশনা। ৩৯৯ টাকা।