সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
সংস্থার অন্যতম সদস্য পৃথা চক্রবর্তী বললেন, ‘সুন্দরবনে জনজীবন বিপর্যস্ত। একে তো জলা জংলা জমি, তার উপর আবার প্রতিদিনই প্রায় নদী একটু একটু করে গ্রাস করছে জমির অংশ। এর উপর রয়েছে ‘বাঘে নেওয়া’-র গল্প। রোজই কোনও না কোনও ঘরের পুরুষকে বাঘে নেয় (খায়)।’ অসহায় বউগুলোর তখন বাচ্চা মানুষ করে, রোজগারের পথ খুঁজতে হিমশিম অবস্থা হয়। সেই ধরনের মহিলাদের জন্য রোজগারের উপায় তৈরি করতে এগিয়ে আসে পথের পথিক। সাহায্যের বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে, বললেন পৃথা। রোজগার নেই, খাবার সংস্থান নেই, ফলে অপুষ্টিতে ভোগে বেশিরভাগ মা ও শিশু। তাদের জন্য রোগ অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় সংস্থার তরফে। তাছাড়া স্বামীকে বাঘে খেয়েছে এমন বিধবা বউদের জন্য রয়েছে হস্তশিল্প প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। আচার আর বড়ি বানানো শিখে অনেকেই রোজগার করছেন। এছাড়াও সফট টয়েজ, গয়না ইত্যাদি শেখানোর ব্যবস্থাও করেছে পথের পথিক। এ তো গেল মহিলাদের কথা, তাদের বাচ্চাদের জন্য প্রাথমিক স্কুলের ব্যবস্থাও করছে এই সংস্থা। যদিও পুত্রসন্তানরা যতটা আগ্রহী পড়াশোনা শিখতে কন্যাসন্তানরা ততটা নয়। পৃথা জানালেন, এর জন্য অনেকাংশেই মায়েরা দায়ী। তাঁরা এখনও মনে করেন মেয়েদের পড়িয়ে কী হবে? সেই তো বিয়ে দিতেই হবে। বেশি শিক্ষিত মেয়ের আবার বর জুটবে না, ইত্যাদি। মায়েদের শিক্ষিত করার চেষ্টাও আমরা করছি। তার জন্য সাইকোলজিকাল ক্যাম্প করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে সেই বিষয়ে কথা চলছে, এখনও কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।’