Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

রত্নগর্ভা হয়েই থেমে নেই 
চৈতালি শান্তা প্রিয়াঙ্কা

তাঁদের প্রত্যেকের সন্তান অল্প বয়সেই সাফল্যের ছোঁয়া পেয়েছে জীবনে। তার পিছনে মায়েদের অবদান কতটা? মাদার্স ডে উপলক্ষে সেই মায়েদের কথা লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।

বাঁশিতে মন
বাঁশি হাতে তুলে নিলে চারপাশের জগৎ এক নিমেষে ভুলে যায় ছেলেটা। তিন ধরনের বাঁশি বাজাতে ওস্তাদ এগারো বছরের অনির্বাণ রায়। পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার মতো ব্যক্তিত্বের সামনে বসে বাঁশি বাজিয়েছে সে। পেয়েছে ড. এম এস সুব্বুলক্ষ্মী ফেলোশিপ ও নানা পুরস্কার।
অনির্বাণের মা চৈতালি রায় নিজে গানবাজনার পরিবেশে বড় হয়েছেন। তাঁর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন বাড়িতে তাঁর কাকার কাছ গান শেখা শুরু। বিয়ে করেছেন যাঁকে, সেই লোকনাথ রায়ের ঠোঁটে বাঁশির সুর। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেমেয়েরাও চৈতালির মতো সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়ে হয়ে উঠছে। ছেলে অনির্বাণের যেমন বাঁশি বাজানোর ঝোঁক, মেয়ে মৈত্রেয়ী মায়ের মতো গানের টানে মাতোয়ারা। ক্লাসিকালেই তালিম নিচ্ছে সে। মা যে গান করেন, তা বুঝতে শেখা তার আড়াই বছর বয়স থেকেই। তারপর গানের শুরু।
কিন্তু অনির্বাণের ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন হয়নি। চৈতালি বললেন, ‘চার বছর বয়স পর্যন্ত ওর কোনও উৎসাহ কিছু বুঝিনি। মেয়ে একদিন গুরুজির শেখানো বেশ শক্ত একটা অংশ রেওয়াজ করছিল। তখন সেই সরগম হঠাৎ অনির্বাণ বলতে থাকে কোনওরকম তালিম ছাড়াই।’ অবাক হয়ে বরকে ফোন করেছিলেন তিনি। সাড়ে চার বছর বয়সের ছেলের হাতে বাঁশি ধরিয়ে দেন বাবাই। সে ফুঁ দিতে পারছে তখন। তারপর মাত্র সাত দিনের মাথায় সারেগামা তুলে নেয় সে। ‘এটা করতে অনেকেরই অনেক সময় লাগে,’ বলছিলেন মা। বাবা বুঝলেন, এ ছেলের হবে। তারপর বাঁশি হয়ে গেল অনির্বাণের নিত্যসঙ্গী।
মা হিসেবে কীভাবে পাশে ছিলেন চৈতালি? উত্তরপাড়ায় তাঁদের ছোট্ট ফ্ল্যাটের চারদিকে চার কোণে রেওয়াজ করেন সকলে। লকডাউনে সকাল থেকে সন্ধে টানা রেওয়াজ চলেছে। এখন অনলাইন ক্লাসের জন্য রেওয়াজে একটু টান পড়ছে। কিন্তু ক্লাসের আগেই দেড় ঘণ্টা রেওয়াজ করতে ভোলে না অনির্বাণ। চৈতালির ১৭ বছরের মেয়েও পড়াশোনায় ভালো। তবে সে যা বড় হয়ে গিয়েছে, তাতে তাকে আর বলতে হয় না পড়ার কথা। মা দেরিতে উঠলেও সে ঠিক পড়াশোনা করে নেয়। অনির্বাণ দিদিকে এভাবেই চোখের সামনে দেখছে। এটা বড় স্বস্তির জায়গা চৈতালির কাছে।
স্কুল শুরুর আগে যে রেওয়াজ করতে হবে, অনির্বাণকে আগেই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মা। যেদিন অনলাইন ক্লাস শুরু হল, মা অ্যালার্ম দিয়ে রাখলেন সাতটায়। ছেলে সাড়ে ছ’টায় উঠে কখন রেওয়াজ শুরু করে দিয়েছে, মা টেরও পাননি। বাঁশি শুনে চোখ মেলেছেন মা!
চারজনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আছে সুস্থ প্রতিযোগিতাও। ছেলে একটা রাগ বাঁশিতে তুললে, মেয়ে অন্য ঘরে অন্য রাগ সাধছে। ছেলের ভুল হলে মা বা দিদি ধরিয়ে দেয়। ছেলেও বড়দের ভুল ধরিয়ে দেয়। বলে ওঠে, ‘কোমল পর্দা লাগছে না!’
মা হিসেবে আর একটি ব্যাপারে অনির্বাণকে নিয়ে খুব গর্বিত চৈতালি। এই যুগে কোনও বাচ্চা বিশেষ করে কিশোররা মোবাইল ছাড়া চলতেই পারে না। সেখানে অনির্বাণের মোবাইল-নেশা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন তিনি। মোবাইল শুধু লাগে ক্লাস করার জন্য। বন্ধুবান্ধব তো মোবাইল নিয়ে গেম খেলে। ও আবদার করে না? চৈতালির সাফ কথা, ‘ইলেভেন-টুয়েলভের আগে কোনও মোবাইল নয়। আর ওই ক্লাসেও মোবাইলটা প্রয়োজনেই শুধু ব্যবহার করবে। গেম খেলার জন্য নয়।’ মায়ের মতোই বাবাও এই শাসনে বেঁধে রেখেছেন ছেলেমেয়েকে।
চৈতালির স্বপ্ন, সময়ের তোড়ে গা ভাসানো নয়, বাচ্চা দুটো সুন্দরভাবে মানুষ হয়ে উঠুক। গান বা বাঁশি বাজানো পুজোর সমান, সাধনার বিষয়— সবসময় এটাই ওদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। আর সঙ্গে মানেন, ‘দু’দিন ভালো গাইল বা বাজাল, তারপর হারিয়ে গেল, তার কোনও দাম নেই। অনেক প্রতিভা হারিয়ে যায় সঠিক অনুশীলনের অভাবে।’ মায়ের কাছ থেকে শিশু মৌলিক শিক্ষাটা পায়। সে কথা মনে রেখেই বাড়িতে কখনও সিরিয়াল দেখেন না চৈতালি। টিভি আছে খবর আর ছেলের কার্টুন দেখার জন্য। তারও সময় বাঁধা— এক ঘণ্টা। তাছাড়া ছেলেকে দেখান হলিউডের ভালো পুরনো ছবি।
চৈতালি বলেন, ‘অনেক বাচ্চাকেই বাবা-মা অনেক কিছু বলেন। সবাই কি শোনে?’ সেদিক থেকে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন এই মা। তাঁর বাচ্চারা কথা শোনে। এখন মনেপ্রাণে ঈশ্বরের কাছে তিনি চান, আরও দশ বছর এভাবেই সাধনায় লেগে থাকুক তাঁর সন্তানেরা। তাহলে হয়তো একটা জায়গায় পৌঁছতে পারবে।
সন্তানের সুখেই মায়ের সুখ, এটা যেমন সত্যি, তেমনই নিজের তো সেভাবে গান নিয়ে এগনো হল না, দুঃখ হয় না? চৈতালি বলেন, ‘না সেভাবে নয়। আমার বাপের বাড়ি ছিল গ্রামের দিকে। সেখানে ক্লাসিকাল সঙ্গীত শেখান, এমন কাউকে পাইনি। কাকুর কাছে শিখেছি যতটা পেরেছি। প্রিয় শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। রেডিওয় তাঁর গান শোনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম। অনেক অনুষ্ঠান করেছি। আধুনিক গানই বেশি। এখন সবরকম গানই শেখাই। তবে ছেলে মেয়ে বর সবাই ক্লাসিকালে মন দিয়েছেন। সব মিলে সুরের অফুরান জোগান আমাদের বাড়িতে। তাই দুঃখ কীসের?’
সংসার সামলে, গানের স্কুল সামলে অনির্বাণকে সময় দিতে পারেন কতটা? একটু লজ্জা পেয়ে বলেন চৈতালি, ‘ওর বাবা খুব ভালো রান্না করতে পারেন। তাই মেয়ের যখন সাড়ে তিন বছর বয়স, তখন আমি গান শিখতে গেলে ওর বাবা সংসারের সব কাজ সামলে দিতেন। গান শিখে ফিরতে দেরি হতো। এখনও মেয়েকে নিয়ে গান শেখাতে নিয়ে গেলে উনিই সংসারের ভার নেন। ভীষণ পরিশ্রমী মানুষ। কোনও কুঁড়েমি নেই। এটাই বড় প্রাপ্তি আমার।’
কোডিং জ্ঞান
আলিপুরদুয়ারের অনুব্রত সরকারের মাথায় আছে কোডিংয়ের জাদু। মাত্র আট বছর বয়সে অ্যাপ বানিয়ে চমকে দিয়েছিল সে। সেটির নাম ছিল, ‘ওয়াটার ইন লিটার’ অ্যাপ। পেয়েছে নানা সম্মানও। আছে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল- ‘কোডিং ভিডিওজ বাই অনুব্রত সরকার’। এগারো বছরের এই ছেলে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়।
অনুব্রতর মা শান্তা ভট্টাচার্যর কথায়, ‘ছোট থেকেই ওর কম্পিউটারের দিকে ঝোঁক। সব বাচ্চার এই সময়ে যেমন হয়। আমি রান্নাবান্না, ঘোরাফেরা, কাজকর্মের মধ্যেই খেয়াল রাখতাম ও কী করছে কম্পিউটারে বসে। ভিডিও গেমের নেশা কিন্তু ছিল না। আর অ্যাপ নিয়ে ওর বাবা বা আমার, কারওরই কোনও আগ্রহ ছিল না। ওর কীভাবে হল, জানি না!’ শান্তা এবং তাঁর স্বামী, দু’জনেই স্কুলশিক্ষক। তাঁদের আর এক মেয়ে আছে। স্কুলের কাজের বাইরে সন্তানদের নিয়েই তাঁদের জীবন। তাঁরা যা কিছু করেন, তাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব ওদেরই, বুঝিয়ে দেন শান্তা। কোনও ভালো কাজ করলে অনুব্রতর একটাই আবদার, মায়ের হাতের মাটন বিরিয়ানি।
ছেলে সাফল্য পেলেও মাথা ঘুরে যায়নি, ভবিষ্যতেও সেটা যাতে না হয় খেয়াল রাখেন মা। প্রযুক্তিগত জিনিস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে কোনও ভুল হয়ে গেলে বাচ্চাকে মারধর বা বকুনি দেন না শান্তারা। তিনি মনে করেন, ‘বাচ্চার আস্থা অর্জনে তাকে গল্পের মাধ্যমে সহজভাবে বিষয়টা বোঝানো উচিত। কেন জিনিস নষ্ট করেছো, এই বলে দু’ঘা বসিয়ে দিলে বাচ্চার কোনও উন্নতি হয় না। বরং মায়ের যত্ন এবং বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বাচ্চা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বড় হয়ে উঠতে পারে।’
অনলাইনে বা প্রযুক্তিগতর কোনও সমস্যা হলে ছেলের কাছেই শিখে-জেনে নেন শান্তা। তাঁর ছেলেমেয়ে দু’জনেই বাধ্য। বাবা-মায়ের নির্দেশ ওদের কাছে শেষ কথা। অনুব্রতও দিদির সঙ্গে অনেকটা সময় কাটায়। ছেলের চোখের উপর যাতে চাপ না পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখেন মা। কম্পিউটার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির সময় বেঁধে দেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের মতো এবার কোডিংয়ের ওপর বইও লিখছে অনুব্রত। ছোটবেলা থেকে কোনও একটা কাজ ধরলে শেষ না করে ছাড়ে না সে। একবার মাকে দাবা খেলতে দেখেছিল দিদির সঙ্গে। তারপর সে নিজেও মায়ের সঙ্গে বসে যায় দাবা নিয়ে। এবং বেশ গর্বের সঙ্গেই মা এখন বলেন, ছেলে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছে দাবা শেখার কিছুদিনের মধ্যে।
ছেলে-মেয়ের জন্যই বেঁচে থাকা? নিজের শখ বলতে কিছু মনে হয় না? ‘আমার কোনও বিশাল কিছু চাহিদা ছিল না জানেন। একটা চাকরি করব, স্বাবলম্বী হব। একটা ভালো সংসার, স্বামী সন্তান— সবই তো পেয়েছি। তাই কিছু অতৃপ্তি নেই আমার। মা হিসেবে খেয়াল রাখি বাচ্চাদের আচরণ যেন ভালো হয়, যেন ভালো মানুষ হয় ওরা। মা হিসেবে কেবল চাই আমার সন্তানদের মাধ্যমে সমাজকে আরও ভালো মানুষ উপহার দিতে। সেটা যদি কোনও মা-বাবা না পারেন, তা তাঁদেরই ব্যর্থতা। বাচ্চা যত বড়ই হোক, যারা কষ্টে আছে, তাদের কথা যেন না ভোলে। এটা সবসময় বোঝাই। ছোট মনে এধরনের কথা গোড়া থেকেই গেঁথে দিতে পারলে ওরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিখবে। এটুকুই জীবনে চাওয়া,’ এক নিঃশ্বাসে বলে যান তৃপ্ত শান্তা।
লক্ষ্যভেদ
আসানসোলের ছেলে অভিনব সাউ। তিন বছর আগে শ্যুটিংয়ে রাজ্য থেকে তরুণতম স্টেট চ্যাম্পিয়ন। ২০১৮ সালে ত্রিবান্দ্রমে ৬২তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে আন্ডার ১৮ ও আন্ডার ২১ দু’টিতে সোনা লাভ। তারপরই তরুণতম ন্যাশনাল শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নের খেতাব জয়।
অভিনবের মা প্রিয়াঙ্কা সাউ জানালেন ছেলের আট বছর বয়সেই পুরস্কার পাওয়া একটা টার্নিং পয়েন্ট। তবে বাবার ইচ্ছে থেকেই ছেলের শ্যুটিংয়ে আগ্রহ জন্মায়। জাতীয় স্তরে সোনা পাওয়ার পর আরও ভালো করে প্রশিক্ষণের শুরু। যখন যেখানে ট্রেনিংয়ে যেতে হয়েছে, প্রিয়াঙ্কা ছুটে গিয়েছেন ছেলেকে নিয়ে। প্রয়োজনে অন্য শহরে (মুম্বইয়ে টানা এক দেড় মাসও থেকেছেন) রাত কাটানো বা কোথাও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা, কোনওটাই পরিশ্রম বলে মনে হয়নি তাঁর। শুধু মনে হয়েছিল, ছেলের জন্য এটুকু করতে হবে। ছেলেও মায়ের ওপরে পুরোপুরি নির্ভরশীল। শ্যুটিং নিয়ে আলোচনাটা বাবার সঙ্গে হলেও বাকি ‘ব্যাকআপ’ পুরোটাই মা। বায়না বা জেদ নেই অভিনবের। মোবাইলে একটু গেম খেলতে চাওয়া ছাড়া খুব কিছু চাহিদাও নেই তার। আসানসোলের রাইফেল ক্লাবে ট্রেনিং করে সে। কারণ লকডাউনে অন্য শহরে যাওয়া আর সম্ভব হয়নি। শ্যুটিংয়ের খুঁটিনাটি না বুঝলেও ছেলেকে সফল হতে দেখাটাই প্রিয়াঙ্কার বেঁচে থাকার চাবিকাঠি।
08th  May, 2021
তুমি মায়ের মতোই ভালো

করোনাকালের বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মায়ের মতো যত্ন দেওয়ার চেষ্টা করছেন চার কন্যা। তাঁদের কথা লিখেছেন রজত চক্রবর্তী। বিশদ

08th  May, 2021
চোখের আড়ালেই থাকে তাদের শ্রম

শ্রমিক ধর্মঘট অথবা আন্দোলন। আট ঘণ্টা শ্রমের দাবি। শব্দগুলো সব আমাদের চেনা ও জানা। মে দিবস কী, তা কাউকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতে হয় না। কিন্তু হতাশার বিষয় একটাই, আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের সেই আন্দোলনের ১৩৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে, অথচ শ্রমিক বলতে এখনও আমরা শুধু পুরুষদের কথাই ভাবি। বিশদ

01st  May, 2021
গাড়ি চালিয়ে ভাগ্য জয় অনীতার

ইন্দোরের এক নিম্নবিত্ত পরিবারে অনীতা বর্মার জন্ম। অভাব আর অনটনের মাঝে তাঁকে পড়াশোনা শেখানোর স্বপ্নও দেখতে পারেননি বাবা মা। অল্প বয়সেই বরং মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন দিনমজুরের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের পরেও বিধি বাম। বিশদ

01st  May, 2021
ইট কাঠ কংক্রিটের শ্রমিক ফতিমা

ব্রাজিলের মেয়ে ফতিমা ওয়েলহ্যাম গতানুগতিক পেশায় যেতে চাননি কখনওই। তাঁর বরাবরই শখ ছিল দু’হাত কাজে লাগিয়ে রোজগার করবেন। তাই ২০০৮ সালে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ শেখায় মন দিলেন। বিশদ

01st  May, 2021
দুই চাকার 
মেকানিক যমুনা

স্বামী শিল্পী। তবু সচ্ছলতা নেই তাঁর জীবনে। স্বামীর রোজগারের কোনও ঠিকঠিকানা নেই। কখনও কাজ পান, কখনও পান না। আর না পেলে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে ওঠে ইন্দোর নিবাসী যমুনা সাগোরের। তিনি ছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু নিদারুণ দারিদ্র্যর হাত থেকে বাঁচার জন্য একদিন পথে নেমে পড়লেন। বিশদ

01st  May, 2021
টাইগার প্রিন্সেস লতিকা

নয়ের দশকের গোড়ার দিকেও চিত্রটা বেশ অন্যরকম ছিল। মেয়েরা ততদিনে অনেকাংশেই ঘর সামলে রোজগেরে হয়ে উঠেছিল বটে, কিন্তু সেই রোজগারের কিছু নির্দিষ্ট গণ্ডি ছিল। সেই গণ্ডিগুলো আজও যে খুব একটা বদলে গিয়েছে তা নয়, তবু মেয়েরা নিজেদের কর্মদক্ষতার কারণে এখন নির্দিষ্ট বেড়া ডিঙিয়ে অনেকক্ষেত্রেই নিজেদের প্রমাণ করেছেন। বিশদ

24th  April, 2021
ভিমিও লিডার অঞ্জলি সুদ

অঞ্জলি সুদ-এর ধরনধারণ বরাবরই একটু ভিন্ন। ছোট থেকে তিনি বড্ড একরোখা। নিজে যা করবেন বলে মনে করেন সেটা করেই ছাড়েন। শুধুমাত্র ঝোঁকের বশে তিনি ম্যাসাচুসেটস বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন ১৪ বছর বয়সে। বিশদ

24th  April, 2021
ফোর্বসের মহিলা ইন্দ্রা নুয়ি

পেপসির তিনি সিইও ছিলেন। এখন অ্যামাজন কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরের অন্যতম। তিনি ইন্দ্রা নুয়ি। ভারতীয় এই মহিলার জন্ম চেন্নাইতে। সেখানকার স্কুলেই পড়েছেন। তারপর ১৯৭৮ সালে ম্যানেজমেন্ট পড়ার জন্য মার্কিন দেশে পাড়ি জমান। সেখানেই শুরু হয় তাঁর পেশাদারি জীবন। বিশদ

24th  April, 2021
পাপড়ি জৈনের ভিন্ন ভাবনা

ফ্যাশন শো তো অনেক দেখেছেন, কিন্তু স্পেশাল চাইল্ডদের নিয়ে ফ্যাশন শো দেখেছেন কি? ডিজাইনার পাপড়ি জৈন সেই কাজ঩঩টিই করেছেন। গত ১৪ মার্চ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রয়াসের সঙ্গে তিনি মঞ্চস্থ করেছেন এক বিশেষ ধরনের ফ্যাশন শো। বিশদ

24th  April, 2021
চিন্তাধারা পাল্টাক পুরুষ,
বাধাহীন হবে নারীর উন্নয়ন

নানা সাফল্য সত্ত্বেও মেয়েরা এখনও সমাজে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক’। মেয়েদের উন্নতির জন্য সব স্তরেই সামাজিক ভাবনার বদল দরকার। কীভাবে সেই বদল আনা যায় সে বিষয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘স্বয়ম’-এর প্রধান অনুরাধা কাপুর। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

17th  April, 2021
তিন দেশে  বাল্যবিবাহ রোধ

ইন্দোনেশিয়া, মিশর ও তানজানিয়া এতদিনে নারী স্বাধীনতার মর্ম বুঝেছে। সম্প্রতি এই দেশগুলির সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী এখানে বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। এমনকী, মেয়েদের শিক্ষা, স্বাধীনতা ও স্বনির্ভরতার প্রসার ও প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিশদ

17th  April, 2021
মঙ্গল অভিযানে কোমর
বেঁধেছেন বারবারা ব্রাউন

নাসার মার্স মিশনের প্রধান পদে রয়েছে আফ্রো-মার্কিন নারী বারবারা ব্রাউন। স্পেস সায়েন্স নিয়ে তাঁর দীর্ঘ গবেষণা। বস্তুত, স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে গবেষণায় রীতিমতো দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা, সেখানে যাওয়ার উপযুক্ত স্পেসক্রাফ্টের অন্দরসজ্জার নকশা ইত্যাদি নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক আগ্রহ। বিশদ

17th  April, 2021
টেসি টমাসের আকাশছোঁয়া সাফল্য

‘টেসি টমাসের নাম বলিউডের যে কোনও অভিনেতার চেয়ে অনেক বেশি ছড়ানো উচিত। তাঁর উজ্জ্বল মুখই হয়ে উঠবে নতুন প্রজন্মের মেয়েদের অনুপ্রেরণা।’— এমন কথাই বলেছেন মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা। টেসি টমাস ‘অগ্নিপুত্রী’ নামেই বেশি পরিচিত। বিশদ

17th  April, 2021
একনজরে
বিতর্ক যতই থাকুক, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের অন্যতম ভরসার জায়গা বিদেশি সাহায্য। বুধবার তা আরও একবার স্পষ্ট  করে জানাল মোদি সরকার। করোনায় সহায়তার জন্য এদিন সেই দেশগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। ...

করোনার সংক্রমণ এড়িয়ে সুরক্ষিতভাবে বাড়িতে বসেই গয়না কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ উপলক্ষে থাকছে হরেক অফারও। ...

দলের নির্দেশে নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনশ্রী খাঁড়া। তিনি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মা। বিধানসভা ভোটে বনশ্রীদেবী তৃণমূলের হয়ে সেভাবে প্রচারে নামেননি বলে দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ। সেজন্য তাঁকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল দল। ...

শিলিগুড়িতে ফের ভাঙন ধরল বামফ্রন্টে। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের ভরাডুবির দু’সপ্তাহের মধ্যে বুধবার বামফ্রন্ট ত্যাগ করলেন দুই নেতা। তাঁরা হলেন আরএসপির রামভজন মাহাত ও সিপিএমের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM