আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এই ফাউন্ডেশন সমাজের পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের ও মহিলাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে কাজ করতে শুরু করেছে এই ফাউন্ডেশন। ওই বছরই তাঁরা উত্তর কলকাতার বস্তি এলাকার বাচ্চাদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে তাদের সঙ্গে এগিয়ে এসেছে পার্ক সার্কাস ডন বসকো স্কুল এবং রামকৃষ্ণ মিশন।
এখানে যেমন সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের পড়াশোনা করিয়ে তাদের মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার পথ দেখানো হয়, ঠিক তেমনি সমাজে প্রচুর বাচ্চা আছে যাদের ব্যাগ, বই, খাতা, পেনসিল সহ পড়াশোনা করার বহু প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার সামর্থ নেই। এই সামর্থ্যহীন বাচ্চাদের বই, খাতা, ব্যাগ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করেছে এই ফাউন্ডেশন। উত্তর কলকাতার বস্তি এলাকার ২ হাজার ৩০০ শিশুকে তারা এই সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও তাঁরা শিশুদের মানসিক বিকাশের কথা মাথায় রেখে পাজল গেম, বাদ্যযন্ত্র গেম, হোয়াইট বোর্ড, চুম্বক, ম্যাগনিফাইং গ্লাস, অ্যাবাকাস প্রভৃতিও প্রদান করেছে। এছাড়াও তারা ১১৫টি স্কুলে বাচ্চাদের জ্ঞান বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদান করেছেন। রাখী বসুর চিন্তাধারা অনুযায়ী সমস্ত শিশুদেরই মানসিক ও শারীরিক বিকাশ অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কারণ বাচ্চারাই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, শিশুদের আনন্দ প্রদান করার জন্যও এই মেমোরিয়াল গত বছর দুর্গাপুজোর সময় ধন উৎসব পালন করেছে।
কিছু সংখ্যক বাচ্চা আর মহিলাকে তাঁর সংস্থা দুর্গাপুজোর সময় নতুন জামাকাপড় প্রদান করে। যাতে তাদের পুজো খুশির বার্তা বহন করতে পারে। এছাড়াও বড়দিনের সময় বাগবাজার এলাকার কিছু বাচ্চার জন্য ‘খুশির বড়দিন’ পালন করে এই ফাউন্ডেশন।
বর্তমানে জ্যোতি বসু মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন রাখী বসুর হাত ধরে দেশের সমস্ত পিছিয়ে পড়া বাচ্চা আর মহিলাদের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। রাখী বসু আশাবাদী তাঁর কাজে সাহায্য করতে সমাজের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন।
সাক্ষাৎকার: কাকলি পালবিশ্বাস
এক নজরে
জন্ম তারিখ: ২৪ জুলাই
ডাক নাম: রাখী
রাশি: লিও
প্রিয় অভিনেতা: আমির খান
প্রিয় অভিনেত্রী: শাবানা আজমি
প্রিয় সিনেমা: শোলে, দঙ্গল
প্রিয় গায়ক: কিশোরকুমার
প্রিয় গায়িকা: লতা মঙ্গেশকর
হবি: কাজ করা আর ছেলের সঙ্গে কমেডি ছবি দেখা।
প্রিয় খাবার: রাজমা চাওল, চিকেন
প্রিয় ফল: আম
প্রিয় ফুল: গোলাপ
স্বপ্ন: যে সমস্ত বাচ্চা আর মহিলাদের জন্য কাজ করছি, তাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে চাই।
প্রিয় বন্ধু: আমার ছেলে শুভোজ্যোতি
প্রিয় রং: লাল
প্রথম প্রেম: স্কুলে, থাক সে কথা!
স্মরণীয় মুহূর্ত: যখন মা হলাম
জীবনের সংজ্ঞা: নিজেও হাসুন, অন্যদেরও হাসির উপাদান জোগান।
ভালোবাসার সংজ্ঞা: কাউকে ভালোবাসলে তাকে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।