আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
উপকরণ: চালের গুঁড়ো ১৫০ গ্রাম, দুধ ২০০ মিলি, নারকেল করানো ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো সামান্য, বেশ কয়েকটি কাঁঠাল পাতা, ধানের কুরো।
প্রণালী: দুধ চালের গুঁড়ো নারকেল কোরা চিনি এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এমনভাবে মিশ্রণটি বানাবেন যাতে খুব পাতলা বা খুব ঘন না হয়। এবার এক একটি কাঁঠাল পাতায় এই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। তারপর কাঁঠাল পাতা খুব সাবধানে মুড়ে নিন, যাতে মিশ্রণটা কোনও দিক থেকে বেরিয়ে না যায়। এবার পাতা স্টিমারে বসিয়ে সিদ্ধ করতে হবে ৮ থেকে ১০ মিনিট বা যতক্ষণ সেটি সেদ্ধ না হয়ে যায়। এরপর নতুন খেজুর গুড় দিয়ে পিঠেটি পরিবেশন করুন।
ক্ষীর ভরা নৌকা পিঠে
উপকরণ: চালের গুঁড়ো ১৫০ গ্রাম, সামান্য নুন, খোয়া ক্ষীর ৫০ গ্রাম, নলের গুড় পরিমাণ মতো, নারকেল বাটা ১টা, ১/২ কাপ ঘন দুধ, ১ কাপ গুঁড়ো দুধ, এক চামচ ঘি।
প্রণালী: প্রথমে কড়াইতে সামান্য জল দিয়ে তাতে নুন এবং এক চামচ ঘি দিয়ে ভালোভাবে গরম করে নিন। এরপর চালের গুঁড়ো দিয়ে পাঁচ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তারপর ঢাকাটি সরিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে তাতে নারকেল বাটা মিশিয়ে দিন। এরপর আরও দশ মিনিটের জন্য সেটি ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবার কড়াই থেকে নামিয়ে ভালোভাবে এই মিশ্রণ মেখে মণ্ড তৈরি করে নিন। সেই মণ্ড থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নৌকার আকারে গড়ে নিন। তারপর তা ভালোভাবে ভাপিয়ে সিদ্ধ করে নিন। অপর দিকে কড়াইতে এক চামচ ঘি এবং হাফ কাপ দুধ দিয়ে তাতে এক কাপ গুঁড়ো দুধ এবং খোয়া ক্ষীর মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করুন। তাতে দিয়ে দিন সামান্য নতুন গুড়। কড়াই থেকে ছেড়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর নৌকার মধ্যে তৈরি করা পুর এবং উপর থেকে আরো কিছুটা গুড় দিয়ে পরিবেশন করুন ক্ষীর ভরা নৌকা পিঠা।
ঝাল পিঠে
উপকরণ: ২টি মাঝারি সাইজের আলু, ফুলকপি অল্প পরিমাণ ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা, আদা কুচি, কাঁচা বাদাম ভাজা, নুন স্বাদ মতো, হলুদ গোটা জিরে সামান্য, সাদা তেল প্রয়োজন মতো, ২ কাপ চালের গুঁড়ো।
প্রণালী: প্রথমে কড়াইতে সামান্য জিরে ফোড়ন দিয়ে তাতে আদা কুচি কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে আলু আর ফুলকপি কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। এরপর তাতে নুন এবং হলুদ মিশিয়ে আবারও কিছুক্ষণ অল্প আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। আলু এবং ফুলকপি গলে যাওয়া পর্যন্ত সব্জি আঁচেই রাখুন। বেশ মাখোমাখো হলে তাতে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। ঝাল পিঠের পুর একদম তৈরি। এরপর কড়াইতে সামান্য জল গরম করুন। তাতে দু’চামচ সাদা তেল এবং সামান্য পরিমাণ নুন দিয়ে দু’কাপ চালের গুঁড়ো দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন পাঁচ মিনিট। এরপর ঢাকা খুলে আবারও একটু নাড়াচাড়া করে আরও পাঁচ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবার কড়াই থেকে নামিয়ে ভালো করে মেখে মণ্ড তৈরি করে নিন। তার থেকে ছোট ছোট করে বলের আকারে গড়ে নিন। এরপর বাটির মতো তৈরি করে তাতে পুর দিন। তা পুলির আকারে তৈরি করে নিন। এরপর সেগুলোকে ভালোভাবে ভাপিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ঝাল পিঠে রেডি।
মোয়ার ফুল পিঠে
উপকরণ: জয়নগরের মোয়া ৬-৮টি, চালের গুঁড়ো ১ কাপ, ময়দা ১ ১/২ কাপ, সুজি ৩ টেবিল চামচ, ১ চিমটে নুন, বিটের রস ১ কাপ, সাদা তেল সামান্য।
প্রণালী: প্রথমে একটি বিটকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে সামান্য জল দিয়ে ব্লেন্ডারে মিক্স করে ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। বিটের রস পেয়ে যাবেন। এবার একটি পাত্রে ময়দা এবং সুজি নিয়ে সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে একটু ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। তাতে দিয়ে দিতে হবে অল্প একটু নুন। এতে চালের গুঁড়ো মেশাতে হবে। এবং অল্প অল্প করে বিটের রস দিয়ে একটি প্যানকেকের ব্যাটার তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি খুব ঘন বা খুব বেশি পাতলা যেন না হয়। এবার ননস্টিক প্যানে সামান্য তেল ব্রাশ করে এই ব্যাটার একটু পরিমাণ দিয়ে তার উপর মোয়া গুঁড়ো করে দিন। উপর থেকে আবারও মিশ্রণ ঢেলে দিন। এমনভাবে যাতে মোয়ার পুরটা পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায়। এবার একটি ছোট চামচ দিয়ে চারপাশে ফুলের পাপড়ির মতো করে ব্যাটার অল্প অল্প করে দিয়ে দিতে হবে। এই পিঠেটি দেখতে সম্পূর্ণ গোলাপি রঙের ফুলের মতো হবে। খুব সাবধানে এই পিঠেটা গড়তে হবে যাতে তা ভেঙে না যায়।