আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
উপকরণ: দুধ ৭৫০ মিলি, মিল্ক পাউডার ৩ চামচ, গোটা ছোট এলাচ ২টো, ছোট এলাচের গুঁড়ো সামান্য, চিনি প্রয়োজন মতো, বোঁদে ৩০০ গ্ৰাম, খোয়া ক্ষীর ২৫০ গ্ৰাম, ১০-১২টা কাজুবাদাম গুঁড়ো করা, জাফরান ১ চিমটে।
প্রণালী: প্রথমে দুধটা গরম করতে হবে। হাল্কা গরম হলে এক হাতা দুধ বাটিতে নিয়ে তার সঙ্গে মিল্ক পাউডার গুলে নিতে হবে। খুব ভালো ভাবে গুলবেন যাতে কোনও ডেলা না থাকে। আর অল্প একটু দুধে জাফরানটা ভিজিয়ে চাপা দিয়ে রাখতে হবে। এবার দুধ বারবার হাতা দিয়ে নেড়ে নেড়ে ঘন করতে হবে। আর চারপাশের সরগুলো চেঁছে নিয়ে দুধে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর মিল্ক পাউডার গোলা দুধ মিশিয়ে নাড়তে হবে। তারপর খোয়া ক্ষীর গুঁড়িয়ে নিয়ে দুধে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর কাজুবাদাম গুঁড়ো ও জাফরান দুধে মিশিয়ে দিতে হবে। নাড়তে নাড়তে এবার দুধটা অনেকটা ঘন হয়ে এলে তাতে বোঁদে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর আন্দাজ মতো চিনি যদি লাগে তবেই মেশাবেন, না হলে নয়। তারপর ছোট এলাচের গুঁড়ো ছড়িয়ে বোঁদের পায়েস নামিয়ে নিন। একটু ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
কমলালেবুর পায়েস
উপকরণ: ১ লিটার দুধ, মিল্ক পাউডার ৪ চামচ, ছোট এলাচ ৩টি, খোয়া ক্ষীর ৩০০ গ্ৰাম, চিনি স্বাদমতো, কমলালেবু ৩টি, ড্রাই ফ্রুটস (আমন্ড কুচি, ভাঙা কাজু, কিশমিশ), কেশর সামান্য।
প্রণালী: ডেকচিতে দুধ ঢেলে নিয়ে মিডিয়াম আঁচে গ্যাসে বসিয়ে হাতা দিয়ে নেড়ে নেড়ে দুধটা ঘন করতে হবে আর সঙ্গে ছোট এলাচ দিয়ে ফোটাতে হবে। যখন দুধ অনেকটা ঘন হবে তখন মিল্ক পাউডার দিয়ে আরও ভালো করে নাড়তে হবে সঙ্গে আমন্ড কুচি, ভাঙা কাজু ও কিশমিশ দিয়ে নেড়ে খোয়া ক্ষীর গুঁড়ো করে দিতে হবে। ভালো করে নাড়তে হবে। দুধটা যখন ক্ষীরের মতো হয়ে যাবে তখন গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। আর দুধটা ঠান্ডা করতে হবে। এবার তিনটে কমলালেবুকে ছাড়িয়ে গায়ের সাদা রোঁয়া ফেলে দিয়ে দুটো লেবুর রস বের করে ছেঁকে রেখে দিতে হবে। আর একটা কমলালেবুকে ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। দুধ ঠান্ডা হলে ফ্রিজে এক ঘন্টা রেখে ঠান্ডা করতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে কমলালেবুর রস ও টুকরো করা কমলালেবু সব দুধে মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিয়ে আবার ও আধঘন্টা ফ্রিজে রেখে তারপর পরিবেশন করতে হবে।
লাউয়ের পায়েস
উপকরণ: ১/২ লিটার দুধ, লাউ ৩০০ গ্ৰাম, ছোট এলাচ ২টো, তেজপাতা ১টা, ঘি ২ চামচ, কিসমিস, ১/২ কাপ নারকেল কোরানো, ২ চামচ চালের গুঁড়ো, খেজুরের গুড় ১/২ কাপ।
প্রণালী: লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে লম্বা করে চার ভাগ করে নিতে হবে আর লাউয়ের বীজের অংশ বাদ দিয়ে নিয়ে লাউটা গ্ৰেট করে নিতে হবে। এরপর তা ভালো করে চিপে জল বের করে নিতে হবে। এবার একটা ফ্রাই প্যানে দুই চামচ ঘি দিয়ে ছোট এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে নেড়ে নিয়ে লাউ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিতে হবে। খুব বেশি ভাজা হবে না। এবার কিসমিস দিয়ে নাড়াচাড়া করে লাউ নামিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইতে দুধ গরম করতে দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে। ফুটে গেলে লাউয়ের ভাজাটা দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। লাউ নরম হলে চালের গুঁড়ো অল্প জলে গুলে দুধে দিতে হবে। সঙ্গে নারকেল কোরা দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। দুখ ঘন হলে এবং সব একসঙ্গে মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঠান্ডা করতে হবে। তারপর খেজুর গুড় মেশাতে হবে।
লুচির পায়েস
উপকরণ: ১ লিটার দুধ, মিল্ক পাউডার ৪ চামচ, চিনি স্বাদ মতো, কিশমিশ, ছোট এলাচ গুঁড়ো ও গোটা খানিকটা, ২ কাপ ময়দা, ঘি ময়ান দেওয়ার জন্য, সাদা তেল, গোলাপ জল ১ চামচ।
প্রণালী: ময়দা ঘি ময়ান দিয়ে মেখে নিন। ছোট ছোট লুচি বানিয়ে ভেজে রাখুন। এবার এক লিটার দুধ ফুটিয়ে ঘন করে মিল্ক পাউডার মিশিয়ে দিন। হাফ লিটারের সমান করে নিন। পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। কিশমিশ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ছোট এলাচ গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন। গোলাপ জল মিশিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এরপর এক এক করে ভাজা লুচি ওই ঘন দুধে দিয়ে এক পিঠ দুধে ভিজে গেলে অন্য পিঠ পাল্টে দিন। এইভাবে তৈরি হবে লুচির পায়েস।
ছবি: প্রদীপ পাত্র