কোভিডের মধ্যে যতই মন খারাপ হোক, বাঙালি জীবনের আনন্দানুষ্ঠান কি ভুলে থাকা যায়? জামাইয়ের জন্য মনকাড়া পোশাকের ব্যবস্থা এখন করে ফেলতে পারেন বাড়িতে বসেই। কী ধরনের পাঞ্জাবি তৈরি করছেন ডিজাইনারেরা, রইল তার হদিশ। লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।
বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক হওয়ার পাশাপাশি তাঁর প্রতিভা বহুমুখী। বাঙালির গর্বের আর এক নাম, সত্যজিৎ রায়। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে ফ্যাশন দুনিয়াও। সাজপোশাকে কীভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন এই স্রষ্টা, লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নন্দলাল বসু। বাঙালির দুই আন্তরিক নাম। দু’জনের যৌথ কাজ ‘সহজ পাঠ’ বাংলা ভাষায় শিশুশিক্ষার অন্যতম অবলম্বন। ২৫ বৈশাখের প্রাক্কালে শাড়ির নকশায় সহজ পাঠকে তুলে এনেছেন বাঙালি ডিজাইনাররা। তাঁদের কথা লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
অধিকাংশ মহিলার প্রিয় পোশাকের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকেই থাকে শাড়ি। এমন জিনিসের কদর না করলে কি চলে? কীভাবে যত্ন করবেন তার? লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।
শরীরের সব দিকে যখন নজর দিই, তখন নখই বা বাদ যায় কেন? নখের যত্নও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিউটি এক্সপার্ট শ্যারন রডরিগেজ এই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন। লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।
চুল না ভিজিয়ে চট করে ফ্রেশ লুক আনতে চান? জেনে নিন তার উপায়।
চৈত্র অবসান আসন্ন। বাতাসে বৈশাখী গান। নববর্ষকে আগাম স্বাগত জানাতে ডিজাইনার পোশাকে সাজলেন সোহিনী-রণজয়। রইল অন্য নানা পোশাকের খোঁজও। লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।
গত ১৭ থেকে ২১ মার্চ হয়ে গেল ‘এফডিসিআই ল্যাকমে ফ্যাশন উইক ২০২১’। সেখানে সামার-ফ্রেন্ডলি পোশাকের সম্ভার ছিল দেখার মতো। মুম্বই থেকে কয়েকজন 
দিনের বেলার গরম হাওয়া মনে করিয়ে দিচ্ছে এল সুতির দিন, হাল্কা পোশাকের দিন। ডিজাইনার ও পোশাক বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তেমন পোশাকের খোঁজ দিচ্ছেন অন্বেষা দত্ত।
গরমে সবচেয়ে বড় সমস্যা ঘাম হওয়া। আর সেই ঘাম মুছতে মুছতে মুখের ত্বক সেনসিটিভ হয়ে যায়। তাই কাজের জন্য যাঁদের রোজ বেরতে হয়, তাঁদের জন্য শর্মিলার পরামর্শ, দু’ঘণ্টা অন্তর অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন লাগান। আজকাল অনেকেই ওয়েট ওয়াইপস দিয়ে মুখ মোছেন। ঘেমেনেয়ে একসা হলে মুখে ওয়াইপস দিলে আরাম বোধ হয় বইকি।
শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
নামেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম। আপিস যাতায়াতের ঝক্কি কমেছে ঠিকই তবে আদতে কাজ বেড়েছে হাজার এক। বাড়ির কাজে সাহায্যকারীরা লকডাউনে আটকে রয়েছেন নিজেদের বাড়িতে। কেউ কেউ আবার এই অতিমারীর দিনে তাঁদের সবেতন ছুটি দিয়েছেন। তাই বাড়ির জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের যাবতীয় দায়িত্ব এসে পড়েছে কাঁধে। বাড়ির পুরুষমানুষটি যতই হাতে হাতে সাহায্য করুন না কেন, বেড়ে যাওয়া কাজ নাভিশ্বাস তুলেছে অনেকেরই। সঙ্গে অনভ্যস্ত হাতে বাসন মাজা, ঘরদোর পরিষ্কার করার মতো কাজ করতে করতে ত্বকের বারোটা বাজছে। এই অবস্থায় মুশকিল আসান কি কিছুই নেই? আলবাত আছে! একটু চোখ-কান খোলা রাখলে কাজের ভার লাঘব করার পাশাপাশি ত্বকের খেয়ালও রাখতে পারেন আপনি। বাজারচলতি আধুনিক কিন্তু পকেটসই কিছু জিনিস হয়ে উঠতে পারে এর সমাধান। তাতে সময় বাঁচবে আবার কঠিন কাজ হবে সহজ।
মাইক্রোফাইবার গ্লাভস: বাসন মাজা হোক বা রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার, মশলার কৌটো ঘষেমেজে নতুনের রূপ দিতে চান বা বাড়ির পুরনো কোনও তাককে সাফসুতরো করার কসরত, এমন গ্লাভস হাতে পরে নিলে কাজ যেমন সহজ হবে, হাতও তেমন আরামে থাকবে। সাবান ও ডিটারজেন্টের ক্ষারের অনু, ধুলো-ময়লা ঘষাঘষি ইত্যাদি হাতের ত্বককে আর নরম থাকতে দেয় না। ত্বকের ক্ষতিও করে। এই ধরনের গ্লাভস সেই ক্ষতি থেকে ত্বককে বাঁচায়। খুব উচ্চমানের মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি এই গ্লাভস সাধারণত ৮ ইঞ্চি×১১ ইঞ্চির মাপে হয়। উন্নতমানের মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি এই গ্লাভস দিয়ে ঘন তেল ময়লাও সহজেই পরিষ্কার করা যায়। দু'দিকেই ফাইবার থাকায় ভিজে হোক বা শুকনো, যে কোনও ভাবেই এটি ব্যবহার করা যায়। মূলত, ধুলো ঝাড়া, জিনিসপত্র ধোয়ামোছার কাজ করার জন্য এই গ্লাভস খুব উপযোগী।
গ্লাভসটিকে সাফ করার উপায়ও সহজ। সামান্য ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে কেচে নেওয়া যায়। শুকনো হয়ও তাড়াতাড়ি। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট সহ নানা অনলাইন স্টোর বা যে কোনও সুপার মার্কেটে এমন গ্লাভস পাবেন। দামও একেবারে সাধ্যের মধ্যে।
সিলিকন স্ক্রাবার গ্লাভস: মাইক্রোফাইবারের গ্লাভস যেমন ধোয়ামোছার কাজ অনেক সহজে করে, তেমন এই স্ক্রাবার গ্লাভস আবার বাসন মাজা, বেসিন ও বাথরুম পরিষ্কার করা, পোষ্যকে স্নান করানো ইত্যাদির জন্য খুব কাজে আসে। হাতের সঙ্গে সাবান, ডিশ ওয়াশ বা ডিটারজেন্টের সরাসরি ছোঁয়া লাগে না। এটি সাধারণ গ্লাভসের মতোই দেখতে, কেবল তালুর অংশে সিলিকনের স্ক্রাবার যুক্ত রয়েছে। ফলে ঘষে পরিষ্কার করার কাজে এই গ্লাভস খুব কার্যকর। এই ধরনের গ্লাভস উচ্চমানের সিলিকন দ্বারা তৈরি বলে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ সহ্য করতে পারে। একে পরিষ্কার করার ঝক্কিও কম। দু'মিনিট গরম হলে ফুটিয়ে নিলেই ফের তা ব্যবহার উপযোগী হবে। এই গ্লাভস ব্যবহারের ফলে হাতের ত্বক যেমন নিশ্চিন্তে থাকে, তেমনই সিলিকন গ্লাভস খালি হাতের চেয়ে অনেক দক্ষতার সঙ্গে পরিষ্কারের কাজটা সারে। সময়ও লাগে কম। তাই সময় ও ত্বক দুই বাঁচাতেই এমন গ্লাভসের জুড়ি নেই। যে কোনও অনলাইন প্লাটফর্ম ও সুপার মার্কেটে এমন গ্লাভস পাবেন। শহরতলির কয়েকটি বড় মুদিখানার দোকানও এমন গ্লাভস পাবেন। দাম একেবারেই সাধ্যের মধ্যে।
স্পিন মপ: সনাতনী ন্যাতার আধুনিক সংস্করণ এই মপ। অনেকেই পিঠে বা কোমরের ব্যথায় নিচু হয়ে মোছামুছির কাজ সারতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই স্পিন মপ খুব উপযোগী। এই স্পিন মপের সঙ্গে একটি কলসমেত বাকেটও দেওয়া হয়। দু'টি নিয়েই একটা সেট হয়।
একটা লম্বা স্টিলের রডের সঙ্গে মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি মপ যুক্ত করা হয়। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে এই মপ। স্টিলের রডের গায়ে একটি ক্লিপ লক থাকে, যা রডটিকে সুবিধামতো হাতের নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর একটি সুইচ থাকে যা এই ভিজে মপকে নিংড়ে নিতে সাহায্য করে।এর মধ্যেই ডিস্পেন্সারের জায়গা করা থাকে। জলের মধ্যে সেটি মিশিয়ে তাতে মপ ডুবিয়ে তা নিংড়ে মোছার কাজ সারতে পারেন। নোংরা জল পাল্টে নেওয়ার ব্যবস্থাও ওই বাকেটে থাকে। তাই বারবার জল পাল্টে আনার ঝঞ্ঝাটও এতে নেই। এই ধরনের মপিং সিস্টেমে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ঘরের প্রতিটি কোনা মুছে ফেলা যায়। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে বলে মপটি সহজেই অনেক দুরূহ কোণে পৌঁছে তা সাফ করতে পারে। বাজারচলতি বেশ কিছু সংস্থা এমন স্পিন মপ প্রস্তুত করে। অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন এমন মপ। বড় কোনও সুপার মার্কেটেও মিলবে এই মপ সেট। বাড়িতে এই সেট থাকলে কোমর আর পিঠের ব্যথাকে পাত্তা না দিয়েই ঘর পরিষ্কারের কাজ সহজ হবে।
ছুরি-কাঁচির কম্বো: রান্নার দিদিকে ছুটি দিলেই দুশ্চিন্তা শুরু হয় অনেক পরিবারে। আর এখন তো অফিসের কাজ ও নিত্যকাজের সঙ্গে যোগ হয়েছে রান্নাবান্নাও। এদিকে তাড়াহুড়োর সময় বঁটি ব্যবহার করার অভ্যাস আজকাল অনেক বাড়িতেই নেই। অনভ্যস্ত হাত হলে কেটে যাওয়ার ভয়ও থাকে। তার চেয়ে বরং কাটাকাটির কাজটি সহজ করে নিন। হাতের কাছে মজুত রাখুন কাঁচি
ও ছুরি। তরকারি কাটার কাজ বঁটি ছাড়াই ঝড়ের গতিতে এগবে এবার। অনলাইনে যেমন অর্ডার করতে পারেন, তেমনই স্টেশনারি বড় দোকান থেকেও কিনতে পারেন এমন সেট।
স্ক্র্যাপার-পিলার: কায়দা করে কাটা স্যালাড হোক বা ঝিরিঝিরি করে সবজি কাটা। কিংবা আলু পটলের খোসা ছড়ানো বা মিহি করে পেঁয়াজ থেঁতো--- রান্নায় এগুলোও একটা বড় অংশ। আর এসব ক্ষেত্রে বঁটি ব্যবহার যেমন অসুবিধার তেমন কাটতে গিয়ে হাত কেটে যাওয়ার ভয়ও রয়েছে। তবে পিলার ও স্ক্র্যাপার হাতের কাছে থাকলে এসব কাজই নামমাত্র পরিশ্রমে নিমেষে হয়। পেঁয়াজ-রসুন থেঁতো করার কাজেও স্ক্র্যাপার কাজে আসে। সময় ও শ্রম বাঁচানো পিলার ও স্ক্র্যাপার তাই রান্নাঘরের খুব দরকারি জিনিস। নানা আকার ও নকশায় এই পিলার ও স্ক্র্যাপার পাওয়া যায়। অনলাইন ছাড়াও রান্নার সরঞ্জাম পাওয়া যায় এমন দোকানে এগুলো পাবেন সহজেই। এবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ির কাজ সারতে সঙ্গী করুন গেরস্থালির এইসব বন্ধুকে। তবেই তো ত্বক ও শরীরকে কষ্ট না দিয়ে ঘরসংসারের কাজ এগবে হু হু করে।
মাইক্রোফাইবার গ্লাভস: বাসন মাজা হোক বা রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার, মশলার কৌটো ঘষেমেজে নতুনের রূপ দিতে চান বা বাড়ির পুরনো কোনও তাককে সাফসুতরো করার কসরত, এমন গ্লাভস হাতে পরে নিলে কাজ যেমন সহজ হবে, হাতও তেমন আরামে থাকবে। সাবান ও ডিটারজেন্টের ক্ষারের অনু, ধুলো-ময়লা ঘষাঘষি ইত্যাদি হাতের ত্বককে আর নরম থাকতে দেয় না। ত্বকের ক্ষতিও করে। এই ধরনের গ্লাভস সেই ক্ষতি থেকে ত্বককে বাঁচায়। খুব উচ্চমানের মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি এই গ্লাভস সাধারণত ৮ ইঞ্চি×১১ ইঞ্চির মাপে হয়। উন্নতমানের মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি এই গ্লাভস দিয়ে ঘন তেল ময়লাও সহজেই পরিষ্কার করা যায়। দু'দিকেই ফাইবার থাকায় ভিজে হোক বা শুকনো, যে কোনও ভাবেই এটি ব্যবহার করা যায়। মূলত, ধুলো ঝাড়া, জিনিসপত্র ধোয়ামোছার কাজ করার জন্য এই গ্লাভস খুব উপযোগী।
গ্লাভসটিকে সাফ করার উপায়ও সহজ। সামান্য ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে কেচে নেওয়া যায়। শুকনো হয়ও তাড়াতাড়ি। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট সহ নানা অনলাইন স্টোর বা যে কোনও সুপার মার্কেটে এমন গ্লাভস পাবেন। দামও একেবারে সাধ্যের মধ্যে।
সিলিকন স্ক্রাবার গ্লাভস: মাইক্রোফাইবারের গ্লাভস যেমন ধোয়ামোছার কাজ অনেক সহজে করে, তেমন এই স্ক্রাবার গ্লাভস আবার বাসন মাজা, বেসিন ও বাথরুম পরিষ্কার করা, পোষ্যকে স্নান করানো ইত্যাদির জন্য খুব কাজে আসে। হাতের সঙ্গে সাবান, ডিশ ওয়াশ বা ডিটারজেন্টের সরাসরি ছোঁয়া লাগে না। এটি সাধারণ গ্লাভসের মতোই দেখতে, কেবল তালুর অংশে সিলিকনের স্ক্রাবার যুক্ত রয়েছে। ফলে ঘষে পরিষ্কার করার কাজে এই গ্লাভস খুব কার্যকর। এই ধরনের গ্লাভস উচ্চমানের সিলিকন দ্বারা তৈরি বলে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ সহ্য করতে পারে। একে পরিষ্কার করার ঝক্কিও কম। দু'মিনিট গরম হলে ফুটিয়ে নিলেই ফের তা ব্যবহার উপযোগী হবে। এই গ্লাভস ব্যবহারের ফলে হাতের ত্বক যেমন নিশ্চিন্তে থাকে, তেমনই সিলিকন গ্লাভস খালি হাতের চেয়ে অনেক দক্ষতার সঙ্গে পরিষ্কারের কাজটা সারে। সময়ও লাগে কম। তাই সময় ও ত্বক দুই বাঁচাতেই এমন গ্লাভসের জুড়ি নেই। যে কোনও অনলাইন প্লাটফর্ম ও সুপার মার্কেটে এমন গ্লাভস পাবেন। শহরতলির কয়েকটি বড় মুদিখানার দোকানও এমন গ্লাভস পাবেন। দাম একেবারেই সাধ্যের মধ্যে।
স্পিন মপ: সনাতনী ন্যাতার আধুনিক সংস্করণ এই মপ। অনেকেই পিঠে বা কোমরের ব্যথায় নিচু হয়ে মোছামুছির কাজ সারতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই স্পিন মপ খুব উপযোগী। এই স্পিন মপের সঙ্গে একটি কলসমেত বাকেটও দেওয়া হয়। দু'টি নিয়েই একটা সেট হয়।
একটা লম্বা স্টিলের রডের সঙ্গে মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি মপ যুক্ত করা হয়। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে এই মপ। স্টিলের রডের গায়ে একটি ক্লিপ লক থাকে, যা রডটিকে সুবিধামতো হাতের নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর একটি সুইচ থাকে যা এই ভিজে মপকে নিংড়ে নিতে সাহায্য করে।এর মধ্যেই ডিস্পেন্সারের জায়গা করা থাকে। জলের মধ্যে সেটি মিশিয়ে তাতে মপ ডুবিয়ে তা নিংড়ে মোছার কাজ সারতে পারেন। নোংরা জল পাল্টে নেওয়ার ব্যবস্থাও ওই বাকেটে থাকে। তাই বারবার জল পাল্টে আনার ঝঞ্ঝাটও এতে নেই। এই ধরনের মপিং সিস্টেমে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ঘরের প্রতিটি কোনা মুছে ফেলা যায়। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে বলে মপটি সহজেই অনেক দুরূহ কোণে পৌঁছে তা সাফ করতে পারে। বাজারচলতি বেশ কিছু সংস্থা এমন স্পিন মপ প্রস্তুত করে। অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন এমন মপ। বড় কোনও সুপার মার্কেটেও মিলবে এই মপ সেট। বাড়িতে এই সেট থাকলে কোমর আর পিঠের ব্যথাকে পাত্তা না দিয়েই ঘর পরিষ্কারের কাজ সহজ হবে।
ছুরি-কাঁচির কম্বো: রান্নার দিদিকে ছুটি দিলেই দুশ্চিন্তা শুরু হয় অনেক পরিবারে। আর এখন তো অফিসের কাজ ও নিত্যকাজের সঙ্গে যোগ হয়েছে রান্নাবান্নাও। এদিকে তাড়াহুড়োর সময় বঁটি ব্যবহার করার অভ্যাস আজকাল অনেক বাড়িতেই নেই। অনভ্যস্ত হাত হলে কেটে যাওয়ার ভয়ও থাকে। তার চেয়ে বরং কাটাকাটির কাজটি সহজ করে নিন। হাতের কাছে মজুত রাখুন কাঁচি
ও ছুরি। তরকারি কাটার কাজ বঁটি ছাড়াই ঝড়ের গতিতে এগবে এবার। অনলাইনে যেমন অর্ডার করতে পারেন, তেমনই স্টেশনারি বড় দোকান থেকেও কিনতে পারেন এমন সেট।
স্ক্র্যাপার-পিলার: কায়দা করে কাটা স্যালাড হোক বা ঝিরিঝিরি করে সবজি কাটা। কিংবা আলু পটলের খোসা ছড়ানো বা মিহি করে পেঁয়াজ থেঁতো--- রান্নায় এগুলোও একটা বড় অংশ। আর এসব ক্ষেত্রে বঁটি ব্যবহার যেমন অসুবিধার তেমন কাটতে গিয়ে হাত কেটে যাওয়ার ভয়ও রয়েছে। তবে পিলার ও স্ক্র্যাপার হাতের কাছে থাকলে এসব কাজই নামমাত্র পরিশ্রমে নিমেষে হয়। পেঁয়াজ-রসুন থেঁতো করার কাজেও স্ক্র্যাপার কাজে আসে। সময় ও শ্রম বাঁচানো পিলার ও স্ক্র্যাপার তাই রান্নাঘরের খুব দরকারি জিনিস। নানা আকার ও নকশায় এই পিলার ও স্ক্র্যাপার পাওয়া যায়। অনলাইন ছাড়াও রান্নার সরঞ্জাম পাওয়া যায় এমন দোকানে এগুলো পাবেন সহজেই। এবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ির কাজ সারতে সঙ্গী করুন গেরস্থালির এইসব বন্ধুকে। তবেই তো ত্বক ও শরীরকে কষ্ট না দিয়ে ঘরসংসারের কাজ এগবে হু হু করে।
