বারো হাতের পোশাকটি শরীর ছুঁলেই জাদু। তার কদর না করে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে কেউ? নানা রূপে শাড়ির খোঁজে অন্বেষা দত্ত।
শাড়ি পরতে খুব ভালোবাসি। আমার অন্যতম প্রিয় পোশাক। প্রেপ-টু থেকে শাড়ি পরতে শিখে গিয়েছিলাম! পাঁচ বছর বয়স হবে তখন...। তারপর থেকে পছন্দের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে শাড়ি। কোনও বিশেষ উৎসব বা অনুষ্ঠানে শাড়িই পরে যেতে ভালোবাসি।
শীত আসছে। চুলকে রুক্ষ হতে দেবেন না। বরং আগে থেকেই সাবধান হোন। কোন চুলে কেমন যত্ন? বিউটিশিয়ান শাহনাজ হুসেনের পরামর্শ শোনালেন কমলিনী চক্রবর্তী।
আবহাওয়ায় হিমেল ভাব বাড়ছে। অনেকেই এই সময় চুলের দেখভাল নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তবে ঘরোয়া উপায়ে নিমেষেই মিলবে সমাধান। জানালেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
শ্রী-এর ডিজাইনার শুভশ্রী বসু এবার পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন ব্লাউজ নিয়ে। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ত্রিনয়নী ব্লাউজ। কটন, লিনেন অথবা ইক্কতের মধ্যে ত্রিনয়ন প্রিন্ট করেছেন তিনি। রংগুলো এমন বেছেছেন, যাতে অনেক শাড়ির সঙ্গে পরা যায়।
এবার আলোর উৎসবকে আরও আলোময়, আরও রঙিন করে তুলতে চেয়েছেন ডিজাইনার শ্যামসুন্দর বসু। তাই তাঁর রাইকিশোরী কালেকশনস-এর দেওয়ালি স্পেশাল লেহেঙ্গা-চোলি সেজেছে বিচিত্র বর্ণের সুতোয় তৈরি সূক্ষ্ম জারদৌসি কারুকাজে। দীপাবলির আলো যাঁরা অঙ্গে ধারণ করতে চান, তাঁদের জন্য ডিজাইনার জারদৌসির সঙ্গে মিশিয়েছেন স্টোনওয়ার্ক।
পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবের মরশুমে এনেছেন জমকালো শাড়ি ও অন্য পোশাকের সম্ভার। তিনি বললেন, ‘সবসময় গয়না দিয়েই যে কোনও পোশাক সর্ম্পূণ করতে হবে, এমনটা মনে করি না। বরং পোশাকের টেক্সচার, ফ্যাব্রিক আর লুকে গুরুত্ব দিই।’
দীপাবলি আর ভাইফোঁটার ফ্যাশনের সুলুকসন্ধানে সোমা লাহিড়ী
আজ কালীপুজো। উৎসবের শেষ বেলায় পোশাকে এসেছে তারই ছোঁয়া। রোশনাইয়ে উজ্জ্বল জমকালো, কখনও বা সাদামাটা প্রিন্টে শাড়ি-সাজ অনন্য। খোঁজ দিচ্ছেন অন্বেষা দত্ত।
পোশাকের সঙ্গে মানানসই ব্যাগ না থাকলে কিন্তু সাজ সম্পূর্ণ হয় না। কোন সাজে কেমন ব্যাগ ব্যবহার করবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার পোশাক ও অনুষ্ঠানের ধরনের ওপর। ডিজাইনারদের মতামত শোনালেন কমলিনী চক্রবর্তী।
সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
পাঁচ দিনের ‘ল্যাকমে ফ্যাশন উইক ২০২০’-এ তৈরি হয়েছিল রাশি রাশি সৃষ্টিকথা। তফাত একটাই। এবার সামনাসামনি সরগরম নেই। ফ্যাশন শো ডিজিটালে বন্দি। নামীদামি ডিজাইনারদের সমারোহ অবশ্য কমেনি তাতে। মুম্বই থেকে দেবারতি ভট্টাচার্য তুলে দিলেন তারই কিছু মুহূর্ত।
রুহানিয়াত রাত
‘ল্যাকমে ফ্যাশন উইক’ শুরুর আয়োজন সবসময়ই উজ্জ্বল। এবারের সূচনার রাতটি এঁকেছিলেন নামজাদা ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা। তাঁর ‘রুহানিয়াত’-এর সংগ্রহে ছিল পঞ্জাব, আওয়াধ, মোগল, কচ্ছের রাজঘরানার নানা রাজবেশ। মণীশের এই রাজকীয় আয়োজন আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তাঁর নকশায় তৈরি মণিমুক্তোখচিত জমকালো অলঙ্কারে। পুরুষদের জন্য মণীশের আয়োজনে ছিল লম্বা এবং ছোট ঝুলের বাহারি কুর্তা। তাঁর সৃষ্টির ছোঁয়ায় যে কোনও নারী হয়ে ওঠেন অপরূপা। রুহানিয়াত রাতে মণীশের নকশা করা সাবেকি কুর্তা, খাদা দোপাট্টা, ঘরারা, লেহেঙ্গা-চোলি এবং ইজার সালোয়ার পরে ভিডিও আলো করেছিলেন মডেলরা। মণীশের এই আয়োজনকে আরও উষ্ণ করে তুলেছিলেন বলিউড তারকা কার্তিক আরিয়ান। শো-স্টপার ছিলেন তিনিই।
তারুণ্যের ‘তারামতী’
গৌরাঙ্গ মানেই এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। এবার তাঁর নতুন কালেকশনের নাম ছিল ‘তারামতী’। গোলকুণ্ডার সপ্তম সুলতান আবদুল্লা কুতুব শাহের আমলের গায়িকা-নর্তকী তারামতীকে মনে রেখে খ্যাতনামা ডিজাইনার গৌরাঙ্গ এনেছিলেন তারুণ্যে রাঙানো এই সংগ্রহ। শিল্পের সঙ্গে জীবনকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন তারামতী। ইক্কত, কাঞ্চি, কোটা, উপ্পাডা, বেনারসি, কানি, ভেঙ্কটগিরি, পৈঠানি, জামদানির ক্যানভাসে আড়ি, চিকনকারি, পেতিত-পয়েন্ট এমব্রয়ডারি (সুতোর সূক্ষ্ণ কাজ), শিভোরি, কাঁথা, রঙিন কচ্ছ ইত্যাদি কারুকাজ এঁকে সেই শিল্পপ্রেমের কথাই মনে করাতে চেয়েছেন গৌরাঙ্গ।
রংবাহারি ‘ফুলকারি’
সাদার ওপর রংবাহারি ফুলের নকশায় ল্যাকমের আসরকে রঙিন করে তোলেন ডিজাইনার সুকৃতি-আকৃতি। তাঁদের আয়োজনে ছিল পঞ্জাবের ‘ফুলকারি’ নকশা। নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়ে ছিল এই রঙিন আয়োজন। সাদা লেহেঙ্গা, চোলি, কুর্তা, লং স্কার্ট, কোট, জ্যাকেটের ওপর রংবাহারি ফুলকারি নকশা ছিল নয়নাভিরাম। এছাড়া সাদা-কালোর মেলবন্ধনে এক ভিন্ন স্বাদ নিয়ে আসেন এই দুই তরুণী ডিজাইনার। তাঁদের ডিজাইন করা পোশাকে বর্ণময় হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের দুই মুখ রাধিকা মদন এবং অপারশক্তি খুরানা।
কুণালের অভিজাত রাত
চতুর্থ রাতে ডিজাইনার কুণাল রাওয়ালের সম্ভারে ছিল মোনোক্রোমের অভিজাত উপস্থিতি। ‘নেক্সা’ গাড়ির কালার প্যালেট তাঁর প্রেরণা। তাই কালো, সাদা, ধূসর, রঙের পার্টি পোশাক নিয়েই তৈরি তাঁর এই ব্যতিক্রমী আয়োজন। এই তিন রঙের ক্যানভাসে তিনি ব্যবহার করেছিলেন মেটালিক উপাদান। কুণালের ডিজাইন করা পোশাকে ছিল নিখুঁত কাশ্মীরী কাজ। আর তাঁতে বোনা কাপড়ের ওপর জ্যামিতিক প্যাটার্নের নান্দনিক উপস্থিতিও বেশ চোখ জুড়ানো।
প্লাস্টিকের পুনর্জন্ম
‘আর-এলান’-এর ‘গ্রিন গোল্ড’ প্রোজেক্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে দুই ডিজাইনার পঙ্কজ-নিধি ল্যাকমের আঙিনায় এক নতুন শিল্পকথার জন্ম দেন। ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতল থেকে উচ্চমানের তন্তুর জন্ম দিয়ে ফ্যাশন দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলেছে ‘আর-এলান’। পঙ্কজ-নিধি উন্নতমানের সুতি, কটন সিল্ক আর শিফন দিয়ে পাফ স্লিভ ব্লাউসন (ছোট জ্যাকেটের মতো), বেল্ট দেওয়া ফুল-ফ্লেয়ার ম্যাক্সি, ব্র্যালেট স্টাইলের টপের সঙ্গে লং স্কার্ট, স্লিম প্যান্ট, বোতাম ছাড়া জ্যাকেট সহ আরও নানা হালফ্যাশনের আরামদায়ক পোশাক নিয়ে এসেছিলেন।
মোহময়ী শেষ রাত
ল্যাকমের শেষ রাত উজ্জ্বল এবং রঙিন হয়ে ওঠে ডিজাইনার সাক্ষা ভাট, কিন্নি কামাত এবং রিমজিম দাদু-র নান্দনিক নিবেদনে। সাক্ষা-কিন্নির এবারের আয়োজন ‘বানজারা’ অর্থাৎ যাযাবর সম্প্রদায় দ্বারা অনুপ্রাণিত। মিররের কাজ, সুতোর কাজ, বাটিক, ব্লক প্রিন্ট, মধুবনি সহ বিভিন্ন পরিবেশনায় এই আয়োজন ছিল রঙিন। রিমজিম উৎসবের রং হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন গোল্ড, সিলভার, গাঢ় সবুজ, গাঢ় নীল এবং কালোকে। মেটালিক আবহে জ্যামিতিক নানা মোটিফ মেলে ধরেন রিমজিম। ল্যাকমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে এই শেষ আয়োজনকে মোহময়ী করে তোলেন বলিউড অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুর।
