Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। কিন্তু এতটা পথ পেরিয়েও তারা আজ দিশাহারা। রাত থেকে ভোর দখল সব হল, তবু জনসমর্থনের তল ছুঁতে পারল না সিপিএম তথা বামপন্থীরা। আসন্ন উপ নির্বাচনেও শূন্যই নাচছে ভাগ্যে। তৃণমূলকে উপড়ে ফেলার স্বপ্ন এবারও মুখ থুবড়ে পড়ল। মমতা আবারও জিতে গেলেন। তার প্রধান কারণ বিরোধীরা বিশেষ করে সিপিএমের পোড়খাওয়া তাত্ত্বিকরা তৃণমূলের শ্রেণি চরিত্রটাকেই গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বুঝে উঠতে পারেননি। লাইন খুঁজতে খুঁজতে নিজেরাই কখন বেলাইন হয়ে গিয়েছেন।
লন্ডনে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণ সভার ফাঁকে রুপোর উপর সোনার জল করা মহার্ঘ্য ছড়িতে আলতো চাপ দিয়ে কোনও প্রবাসী কমরেড বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কথা আওড়ালেই কি এই বঙ্গে দল বাঁচবে? কিংবা কোনও অনাবাসীর হতাশ স্বগতোক্তি ‘শি ইজ আ টেরিবল লেডি, ডেস্ট্রয়েড ওয়েস্ট বেঙ্গল ফর দ্য লাস্ট ওয়ান ডেকেড। আওয়ার পার্টি মাস্ট গিভ আ বিফিটিং রিপ্লাই, মিঃ সেলিম!’ এই সংলাপ নিঃসন্দেহে কল্পিত কিন্তু মোটেই অবাস্তব নয়। এর উত্তরে লাল দলের অধুনা কাণ্ডারী সেলিম সাহেবের হাসি কতটা ফিকে কিংবা চওড়া হয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু এটা বিলক্ষণ জানি, দূর ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে স্যুটেড বুটেড হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নমাখা উচ্ছ্বাস প্রকাশ যতটা সহজ, বাংলায় 
ফিরে মাঠে ঘাটে তা করে দেখানো ততটাই কঠিন। রক্তক্ষরণ থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই। কথাটা বর্তমান আলিমুদ্দিন কর্তারাই নন, ওই প্রকাণ্ড বাড়িটার ইট কাঠ পাথরেরও বিলক্ষণ জানা। আর জানা বলেই কোনও এক অজ্ঞাত কারণে একদা লাল দুর্গ নৈহাটিতে নকশালদের আসন ছাড়া হল বিনা দ্বিধায়। দলের অন্দরে হাজারো প্রশ্ন তুলেই। আর হাড়োয়া আসনটি পেল মাত্র কয়েক মাস আগে চরম বিশ্বাসভঙ্গ করা আইএসএফ। যদি সংখ্যালঘু ভোটে একটু দোলা লাগে। যদিও সে আশা দুরাশা। বেশ বোঝা যাচ্ছে, পরতে পরতে আপস করা ছাড়া হীনবল আলিমুদ্দিনের আর আজ কোনও উপায় নেই! অস্বস্তিটা এখানেই। বাংলায় ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চতুর্মুখী আকার নিয়েছে, যা এখানকার শাসকের জন্য নিঃসন্দেহে সুসংবাদ। এর পর যদি ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট হয়?
শুধু বাঙালিই নয়, বাংলার মাঠে ঘাটে এখনও লাল ফেরানোর আশা বুকে নিয়ে ঝান্ডা বয়ে বেড়ানো শীর্ণ কমরেড মাত্রই জানেন টানা আড়াই মাসেরও বেশি আড়াল আবডাল থেকে নাগরিক আন্দোলনকে অক্সিজেন জুগিয়েও দলীয় স্তরে সংগঠন এখনও দমছুট। সেই অক্সিজেনের ফেলে দেওয়া সিলিন্ডার থেকে একটুও ফিরে আসেনি শকুনের মতো ভাগাড়ের উপর দিয়ে উড়ে চলা বামেদের ভাগ্যে। চরম শ্বাসকষ্টে অস্থির লাল পার্টির গাত্রদাহটা এখানেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের শুধু ক্ষমতাচ্যুতই করেননি, ১৩ বছর পরও দলের রক্তক্ষয় অব্যাহত রাখার একমাত্র কারিগর। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের এত বড় অরাজনৈতিক একটা আন্দোলনের পরও সর্বত্র বামেদের হতাশার এই বারোমাস্যা শুনতে হয় কান পেতে। ডাক্তারদের আন্দোলন থেকে দল কী পেল, সব তো শূন্য! এত বড় নাগরিক আন্দোলন, মিথ্যার বেসাতির পরও ভোট পাটিগণিতে লাল পার্টি শূন্য হয়ে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষমা করবে তো!
আসলে সিপিএম আছে সেই পুরনো তাত্ত্বিক একাকিত্বের মোড়কেই। সেই কারণেই উপ নির্বাচন ভুলে তারা যথারীতি মন দিয়েছে আসন্ন পার্টি কনফারেন্সে। ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেয়ে, জনসাধারণের দুয়ারে ছুটে যাওয়ার তুলনায়, নুইয়ে পড়া সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বিন্যাসই এই মুহূর্তের প্রায়োরিটি। বিস্তর তাত্ত্বিক কচকচানির পর আবার পার্টির লাইন ঠিক হবে! কংগ্রেসকে দশ মাইল দূরে ঠেলে আপাতত বাংলায় চতুর্মুখী লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রশস্ত হচ্ছে। বলি রাজনৈতিক লাইন ঠিক করতে করতেই যে দলটা বুড়ো হয়ে গেল তার ঘুরে দাঁড়ানো কি আদৌ সম্ভব? সীতারাম নেই। কারাত দম্পতির হাতে দল গেলে কংগ্রেস নৈকট্য ধাক্কা খেতে বাধ্য। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত ধার ও ভারের নেতা নেই। তার উপর বাংলা ও কেরল লাইন দুই মেরুতে। তেলে জলে মিশ খায় না কোনওদিনই। কারাত জমানায় উদারপন্থীরা নিঃসন্দেহে বেকায়দায় পড়তে চলেছেন। 
যদি বলি, আড়াই মাসের ডাক্তারদের আন্দোলন এরাজ্যের ক্ষয়িষ্ণু বিরোধীদের জাতটাকেই নষ্ট করে দিল। তাহলে সত্যের খুব অপলাপ হবে কি? স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সিপিএমের ধর্ম জাত সব গেল, পেটও ভরল না। আর বঙ্গ বিজেপি এখনও তৃণমূল ভেঙে বেরিয়ে আসা দলবদলুদের উপরই আগাগোড়া নির্ভরশীল পরগাছা শক্তি। ডাক্তারদের অরাজনৈতিক আন্দোলন প্রথম থেকেই ওদের সিলেবাসের বাইরে, কারণ ওখানে হিন্দু-মুসলমান বিভাজন নেই। দাঙ্গা হাঙ্গামা নেই। কিন্তু প্রথম থেকে আন্দোলনকে তা দিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অতিবাম দুঃস্বপ্নও যে মাঠে মারা গেল স্রেফ নেতৃত্ব দেওয়ার লোকের অভাবে। যাঁদের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা তাঁরা লড়াইকে বিরোধী শিবিরে পৌঁছে দেওয়ার বদলে দলীয় সম্মেলন নিয়েই ব্যস্ত। আড়াই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের ৬টি আসনের উপ নির্বাচনে তুল্যমূল্য লড়াই দেওয়ার চেয়ে তাঁদের কাছে ঢের গুরুত্বপূর্ণ পার্টি কনফারেন্স। সবচেয়ে হতাশার কথা এই মাটি কামড়ে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার লড়াইয়ে সিপিএম লড়ছে ৬টি আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে। বাঁকুড়ার তালডাংরায়। আর যে আইএসএফ গত লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ সিপিএমকে কার্যত পথে বসিয়েছিল তারাও বামফ্রন্টের থেকে হাড়োয়া আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছে। এর কারণ হতে পারে দু’টো। হয় সিপিএম সমস্ত বিরোধী শক্তিকে একজোট করতে চাইছে। আর না-হয় কোথাও জেতার সম্ভাবনা নেই, স্রেফ জামানত জব্দ হওয়ার আতঙ্কে আপাতত অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রাখাকেই শ্রেয় মনে করছে। তবে ছাব্বিশ সালের বিধানসভা ভোট যখন আর মাত্র ষোলো মাস দূরে তখনও জোটের নামে এই বজ্জাতি কিংবা ছেলেমানুষিই প্রমাণ করে রাজ্যের বিরোধী শক্তি কতটা ছন্নছাড়া। কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে নকশালদের সঙ্গে হাত মেলানো কোনও সুস্থ রাজনৈতিক লক্ষণ হতে পারে না। কিংবা হাড়োয়ায় মুসলিমরাই নির্ণায়ক শক্তি বলে দলের ভিতর নানা প্রশ্ন সত্ত্বেও নৌশাদ সিদ্দিকির দলকে আসনটা ছেড়ে দেওয়া। প্রমাণিত হল, সাময়িক আবেগ থাকলেও তথাকথিত আড়াই মাসের আন্দোলনের কোনও রাজনৈতিক অভিমুখ ছিল না। বিক্ষিপ্ত আবেগ আর উস্কানিতে ভাসতে ভাসতেই তা হারিয়ে গিয়েছে সময়ের গর্ভে।
জন্ম থেকে দেখে আসছি, এই বাংলায় বামেদের লড়াই মূলত দুই শক্তির সঙ্গে। নকশাল ও কংগ্রেস। বাহাত্তর সাল ও তার আগের সিপিএমের ইতিহাস ঘাঁটলে একথাই বারংবার উঠে আসে। এক সময় এদের ‘কংশালও’ বলত বঙ্গীয় কমরেডরা। ক্ষমতা গেলে বেঁচে থাকার তাগিদে জাত ধর্ম দুই বিসর্জন দেয় মানুষ। সেই অঙ্কেই এবার নৈহাটিতে নকশাল প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে বামেরা। উল্টোদিকে দু’টি বিধানসভা ভোটে জোট গড়ে লড়া কংগ্রেস দল কিন্তু ৬টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএমের মতো ভাবের ঘরে চুরি করেনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতই সমালোচনা করুন, তাঁর গান, কবিতা, আঁকা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিন রাজ্যের বিরোধীরা তাঁর জনভিত্তির রসায়ন খুঁজে পান না। গত প্রায় দেড় দশক ক্ষমতায় থাকার পরও তিনিই রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রীও বটে। একই অঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী নেত্রী। এই উজ্জ্বল ভাবমূর্তিতে কালি দিতে পারেনি কেউ। বিরোধী বলে সিপিএম কিংবা বিজেপি যাঁদের  প্রজেক্ট করেছে তাঁদের অসম্মান না করেই বলছি, কেউ কোনও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি। তাই শেষমেশ পড়ুয়া ডাক্তারদের আড়ালে মুখ লুকনোটাকেই শ্রেয় মনে করেছে। এই সীমাবদ্ধতা নিয়ে সওয়া একবছর দূরে বিধানসভার লড়াইয়ের সমীকরণ কতটা জমে, আপাতত সেদিকেই সবার নজর। তবে ডাক্তাররা অনশন তুলতেই আন্দোলনে যেভাবে প্রতিবাদের পুকুর শুকিয়ে গিয়েছে তাতে বাম ও নকশালদের ষড়যন্ত্রও যে মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত। এ রাজ্যে জনসমর্থনের খতিয়ানে খুব হেরফের হওয়ার ইঙ্গিত নেই।
27th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
একনজরে
পুজোর পাশাপাশি ধূপগুড়ির এসটিএস ক্লাবের সাহিত্য পত্রিকা ‘অর্জুন’ সাহিত্য জগতে নজর কেড়েছে। একটা সময় ক্লাবের মুখপাত্র থাকলেও এখন পত্রিকাটি হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের শিল্প সংস্কৃতি চর্চার ...

মহিলাকে খুন। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য শহরের হাই প্রোফাইল এলাকায় তাঁর মৃতদেহ পুঁতে ফেলা হয়। কানপুরের এক মহিলাকে খুনের ঘটনার সঙ্গে যেন হুবহু মিলে গিয়েছে ...

নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হারের শোকে ডুবেছে ক্রিকেট মহল। পুনে টেস্ট তিনদিনের মধ্যে হাতছাড়া হওয়ার সঙ্গেই চুরমার হয়েছে এক যুগ ধরে দেশের মাঠে দাপটের রেকর্ড। সমালোচনার কাঁটায় তাই বিদ্ধ রোহিত শর্মার দল। টিম ইন্ডিয়ার পারফরম্যান্স নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ...

মঙ্গলকোটের উরস উৎসবকে ঘিরে দুই বাংলার মেলবন্ধন ঘটল। উৎসবে যোগ দিতে সুদূর বাংলাদেশ থেকে এলেন বহু মানুষ। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমালেন উরস উৎসবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪২০: মিং সাম্রাজ্যে বেজিং প্রথম রাজধানী হিসেবে সরকারী স্বীকৃতি পেল
১৪৯২: ইতালিয়ান নাবিক অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস কিউবা আবিষ্কার করেন
১৮৬৬: বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের জন্ম
১৮৬৭: অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদভূত সমাজকর্মী, লেখিকা,শিক্ষিকা তথা স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতার জন্ম
১৮৮৬:  আজকের দিনে ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসাবে স্ট্যাচু অব লিবার্টি উৎসর্গ করে
১৯২২: বেনিতো মুসোলিনির নেতৃত্বে ইতালির ফ্যাসিস্ত সরকার রোম দখল করে
১৯৫৫: মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের জন্ম
২০০২: বিশিষ্ট কবি ও অবিস্মরণীয় ছড়াকার, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক অন্নদাশঙ্কর রায়ের  মৃত্যু
২০০৬: ঢাকায় বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের একদল কর্মী বিরোধী দলের এক সভায় হামলা চালায় খুন করে বিরোধী দলের ১৪ কর্মীকে
২০০৯: পেশোয়ারে বোমা বিস্ফোরণে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়। জখম হয় ২১৩ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৯ টাকা ১১০.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৫ টাকা ৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
26th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
27th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১১ কার্তিক, ১৪৩১, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪। একাদশী পরে দিবা ৭/৫১। পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র ২৪/১৩ দিবা ৩/২৪। সূর্যোদয় ৫/৪২/৪০, সূর্যাস্ত ৪/৫৮/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৩ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ১০/৫৫ মধ্যে পুনঃ ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ গতে ৮/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৫ গতে ১১/২১ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪৩১, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪। একাদশী দিবা ৯/৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/২৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/২০ মধ্যে ও ৮/৪৮ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ১০/৫৫ মধ্যে ও ২/২৪ গতে ৩/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৮ গতে ৮/৩৩ মধ্যে ও ২/১০ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৬ গতে ১১/২১ মধ্যে। 
২৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আট দফা দাবি জানিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল জুনিয়র চিকিৎসকদের নতুন সংগঠন
একাধিক দাবি জানিয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিল জুনিয়র চিকিৎসকদের ...বিশদ

12:57:49 PM

পূর্ব লাদাখের দেপসাং ও ডেমচকে ভারত ও চীনের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে, প্রথম দফার পেট্রলিং শুরু হবে শীঘ্রই: সূত্র

12:57:45 PM

৯৫৮ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

12:46:00 PM

বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির ছক বানচাল, ধৃত ৬
বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির ছক বানচাল করল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ...বিশদ

12:43:00 PM

আগামী ৩০-৩১ অক্টোবর ব্রাজিলের ফোর্তালেজায় জি২০ শিক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে ভারতের হয়ে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার

12:38:00 PM

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় গিরিখাতে পড়ল রাওয়ালপিন্ডিগামী যাত্রীবাহী বাস, হত ২, জখম ৩৬

12:31:10 PM