ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ
বিপর্যয় পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসনের কাজ দ্রুতগতিতে হবে কি না, তা নিয়ে আগেই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল ওয়েনাড়ের ধস বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের মধ্যে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে নিজেদের দাবি-দাওয়া জানিয়ে এসেছেন তাঁরা। ভোটপ্রচারে সেই বিষয়টিকেই কাজে লাগাতে শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা।
শনিবার ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন সিপিআই প্রার্থী সত্যেন মোকারি। তাঁর দাবি, রাজ্যের বাম সরকার যেভাবে পুনবার্সন দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তা গোটা বিশ্বের কাছে একটি মডেল। এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। বর্ষীয়ান এই বাম নেতার দাবি, ওয়েনাড়ে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কোনওরকম সাহায্য করেনি কেন্দ্রের মোদি সরকার।
প্রচারে পিছিয়ে নেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। ইতিমধ্যেই একটি আবেগঘন চিঠিতে ওই ভয়াবহ ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। দাদা রাহুল গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে ওই দিনগুলোয় এলাকা পরিদর্শনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা। শুরু থেকেইে তাঁরা যে মানুষের পাশে রয়েছেন, সেই কথা বারবার বোঝাতে চেয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটারদের মন জয়ে সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী নব্যা হরিদাসও। গৈরিক শিবিরের এই তরুণ নেত্রীর বক্তব্য, সবসময় ওয়েনাড়বাসীর পাশে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বরং পুনর্বাসন দেওয়ার ক্ষেত্রে সেভাবে কিছুই করেনি রাজ্যের সরকার। এখন দেখার এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে কোন দল ভোট বৈতরণী পার করতে পারে।
ধসে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। সরকারি হিসেবে এই বিপর্যয়ে ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৪৭ জনের কোনও সন্ধান মেলেনি। ফাইল চিত্র