ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ
এনিয়ে উত্তর কানপুরের ডিসিপি শ্রবণ কুমার সিং জানিয়েছেন, ওই মহিলার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য উঠে আসে। ওই মহিলা শহরের এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী। রকানপুরের গ্রিন পার্ক এলাকায় অভিযুক্ত বিমলের জিমে যেতেন তিনি। ধীরে ধীরে বিমলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু হঠাৎ করে বিমলের বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় শুরু হয় ঝামেলা। কয়েকদিন জিমে যাওয়া বন্ধ করে দেন মহিলা। এরপর গত ২৪ জুন তিনি জিমে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি।
পুলিস জানতে পেরেছে, ওই দিন জিমে গিয়ে বিমলের সঙ্গে ঝামেলা হয় ওই মহিলার। কিছুক্ষণ পর গাড়ি করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু ঝগড়া চরম আকার নেয়। এরইমধ্যে মেজাজ হারিয়ে মহিলার ঘাড়ে ঘুষি মারে বিমল। এর জেরে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর তাঁকে খুন করে অভিযুক্ত। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি জেলাশাসক বাংলোর কাছে একটি জায়গায় পুঁতে ফেলা হয়। অভিযুক্ত ভেবেছিল শহরের হাইপ্রোফাইল এলাকায় দেহ মাটিতে পুঁতে রাখলে পুলিসের নজর এড়ানো যাবে। তবে শেষরক্ষা হল না। সেদিনের সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজও হাতে পেয়েছে পুলিস। এরপর অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। যদিও অভিযুক্তর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর পরকীয়ার কথা অস্বীকার করেছেন মহিলার স্বামী। তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীর।