Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’ 
একইসঙ্গে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইতিহাসে ‘কলঙ্ক’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আন্তোনিও গুতেইরেস। কারণ, সম্প্রতি প্যালেস্তাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলের প্রায় ছয় দশকের দখলদারির অবসান চেয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রায় সব দেশ সেই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানায়। ফলে ইজরায়েলও তার বদলা নেওয়া শুরু করেছে। দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিবাহিনীর উপর শুরু হয়েছে ইজরায়েলের বোমা বর্ষণ। একইসঙ্গে প্যালেস্তাইনের গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে শুরু হয়েছে ইজরায়েলের নতুন আক্রমণ। এই একের পর এক হামলাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘকে তারা পাত্তাই দেয় না!
নেতানিয়াহু এক আবেগপ্রবণ ও ক্যারিশম্যাটিক বক্তা। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘকেই ‘অন্ধকারের ঘর’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। বলেছিলেন, এই ইহুদিবিদ্বেষী পিত্তে ভরা জলাভূমিতে অধিকাংশই ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি অমানবিক। গত দশকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অনেক প্রস্তাব পাস হয়েছে। সবই ভণ্ডামি, দ্বিমুখী নীতি ও রসিকতা। নেতানিয়াহু প্রশ্ন তুলেছিলেন, আপনারা কাকে বেছে নেবেন? ইজরায়েল? 
গণতন্ত্র ও শান্তির পাশে দাঁড়াবেন নাকি ইরানের সঙ্গে? নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিবাদে অনেক বিশ্বনেতা সেদিন সাধারণ অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। কিন্তু তাতে ইজরায়েলের কিছু যায় আসেনি!
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদকে বলা হয় বিশ্বের আইন পরিষদ। বিশ্বের সব দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এখানে প্রায় সব আন্তর্জাতিক প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। আর এই সংস্থার বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনকে এখন অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলেন ‘টকিং শপ’। অধিবেশনের প্রথম এক-দুই দিন সবাই কান পেতে থাকেন। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা চীনা রাষ্ট্রপ্রধান সেই সময় ভাষণ দেন। সবাই তাঁদের কথা শুনতে, নিদেনপক্ষে সাংবাদিক হিসেবে ‘কভার’ করতে আগ্রহী। দিন যত যায়, আগ্রহ তত কমে। শেষের দিকে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে এমন রাজকীয় যে সাধারণ পরিষদকক্ষ, তাতে কথা শোনার লোক থাকে হাতে গোনা কয়েকজন। তা-ও অধিকাংশই যার যার নিজের দেশের নেতার ভাষণ শোনার জন্য। যেই সেই নেতার ভাষণ শেষ, তাঁর সমর্থকরাও এক এক করে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান। নামেই বিশ্বসভা, আসলে রাষ্ট্রপ্রধানরা সবাই যাঁর যাঁর নিজের দেশের, নিজেদের সাফল্যের গান শুনিয়ে যান। বাকিরা কেন শুনবে সেসব কথা? আসলে এটাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনের প্রকৃত চিত্র। এখানে কোনও দেশের সমস্যা সমাধানে কেউ চিন্তিত নন। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ বিতর্ক ব্যাপারটা কতটা খেলো হয়ে উঠেছে, তার এক উদাহরণ দিয়েছিলেন ইয়ান উইলিয়ামস। যিনি একসময় রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেছিলেন, বেশ কয়েক বছর আগে, এক বক্তা তাঁর প্রতিবেশী দেশের উদাহরণ দিয়ে বললেন, পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক প্রশাসনের জাঁতাকলে দেশটির মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে। সে কথা শুনে সবাই তো অবাক। কারণ, যে দেশটির কথা বলা হচ্ছে সেটি এক বছর আগেই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। পরে জানা গেল, বক্তা এক বছর আগে দেওয়া ভাষণের কপি ভুল করে আবার পড়ে শোনাচ্ছেন। সম্ভবত তিনি নিজেই সেই ভাষণ দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে ভুলে গিয়েছিলেন।
অথচ, ১৯৪৫ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন আশা করা হয়েছিল এই বিশ্ব সংস্থাটি দুনিয়া থেকে যুদ্ধ, অনুন্নয়ন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঠেকাবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যে দেশগুলি জার্মানি ও তার মিত্রদের পরাস্ত করে তারাই এই সংস্থা গঠনের আসল চালিকা শক্তি। রাষ্ট্রসঙ্ঘকে নিয়ে আশা ও উৎসাহের সেটাই আসল কারণ। কিন্তু খুব বেশি দিন লাগেনি দেশগুলির বন্ধুত্বে চিড় ধরতে। শুরু হয়ে গিয়েছিল পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। যারা যুদ্ধ ঠেকাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দেখা গেল তারাই যুদ্ধ বাধাতে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। বিশ্বকে এক করার বদলে তাকে বিভক্ত করে যার যার প্রভাব বলয়ে আনাই তাদের আসল লক্ষ্য। এরপর ৭৯টি বছর কেটে গিয়েছে। অবস্থা বদলায়নি, বরং বহুগুণে অবনতি ঘটেছে। একটা বিষয় লক্ষ্য করুন, পাঁচটি দেশকে তাদের সার্বিক গুরুত্বের কারণে এই সংস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ‘ভেটো’ প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়েছে। দেখা যায়, বহু অধিবেশনে সেই পাঁচ দেশের অনেকেই অনুপস্থিত থাকেন। গত বছর, ২০২৩ সালের কথাই ভাবুন। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচজনের একজন অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ, তখন তিনি প্রতিবেশী এক দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ব্যস্ত। আরও এক প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির কারণ, এক রাজা তাঁর দেশে সফরে আসবেন, তাঁর দেখভাল করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। এমনকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি—যিনি মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই নিজের দেশে সাড়ম্বরে জি ২০–এর শীর্ষ বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছিলেন— তিনিও অধিবেশনে থাকতে পারেননি। দুই দিনের বৈঠক করে তিনি হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন! বিশ্বনেতাদের জন্য কোনটা অগ্রাধিকার, এ থেকেই বোঝা যায়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে, সে কথা স্বয়ং মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেস স্বীকার করেছেন। শান্তিরক্ষার বাইরে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ জলবায়ু–সংকটের মোকাবিলা। আর মাত্র ১০ বছরের মধ্যে যদি ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা কমিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে বিশ্ব ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়বে। এ জন্য একদিকে প্রয়োজন জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যেমন সূর্য বা বাতাসের ব্যবহার বাড়ানো। অথচ যাঁরা এই বিশ্বের হর্তাকর্তা, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি গ্যাস-তেলের কারবারি। ৭৭তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এক ভাষণে গুতেইরেস বলেছিলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বদলে আমরা বিশ্বকে খণ্ডবিখণ্ড করে ফেলছি। লক্ষ্য অর্জনের বদলে আমরা একে–অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যে সংস্থাটি তার চালিকাশক্তি হারিয়ে ফেলছে।’ মহাসচিব তাঁর স্বভাবজাত কূটনৈতিক ভাষা ত্যাগ করে সেই ভাষণে স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘আমাদের বিভক্তি বাড়ছে, অসাম্য বাড়ছে, লক্ষ্যপূরণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। বড় বিপদে পড়ে গিয়েছি আমরা।’
কোনও সন্দেহ নেই, এই বিপদের কারণ বিশ্বের বড় রাষ্ট্রগুলি নিজেরাই তৈরি করেছে। ২০২২ সালে প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণের মাধ্যমে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্যতম স্থপতি রাশিয়া নিজেরাই সংস্থাটির প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদের একটি প্রধান প্রতিশ্রুতিই— কোনও দেশ, তা সে ছোট বা বড় যা–ই হোক, কোনও অবস্থাতেই অন্য কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয়, এমন কাজ করবে না। রাশিয়া ঠিক সেই কাজটি করেছে। রাশিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রতিশ্রুত পথে এগয়নি। শুধু তা–ই নয়, অসামরিক জনগণের উপর যে নির্বিচার বোমাবাজি রাশিয়া করে চলেছে, তাকে বলা হচ্ছে ‘জেনোসাইড’। স্বয়ং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধাপরাধের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘভুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। শুধু রাশিয়া নয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘভুক্ত অধিকাংশ বৃহৎ রাষ্ট্র বেশিরভাগ দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় সমস্যার মোকাবিলায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ না হয়ে নিজের পছন্দমতো রাস্তা খুঁজে নিচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে এখন নখদন্তহীন একটি পোষ্য মাত্র, তার এক বড় কারণ, এই সংস্থাটিকে এড়িয়ে বিশ্বের দেশগুলি যে যার মতো ছোট ছোট জোট গঠন করে নিয়েছে। বিশ্বের তিন মোড়ল আমেরিকা, চীন ও রাশিয়া— তাদের নেতৃত্বে নানা জোট গড়ে তুলেছে। যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ গঠিত হয়েছিল, অর্থাৎ সব রকমের আন্তর্জাতিক প্রশ্নে সমন্বিত কাজ— তা অনুসরণের বদলে এখন বড় বড় দেশ যে যার মতো নিজেদের প্রভাবাধীন জোট গড়ে সেখানেই বিচারসভা বসাচ্ছে। জি ৭, জি ২০ বা ব্রিকস— এসবই এক অর্থে ছোট ছোট রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে ক্রমেই তার প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে, তার এক বড় কারণ এই সংস্থা বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে বদলাতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের দিকে তাকান। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পরিষদের ভূমিকা সবচেয়ে বড়। যে পাঁচটি দেশ সেই ১৯৪৫ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো অধিকার নিয়ে বসে আছে, তার তিনটিই ইউরোপের। ফ্রান্স বা ব্রিটেন একসময় বিশ্বশক্তি ছিল, এখন তারা নিজেদের অতীতের ছায়ামাত্র। তাহলে কী হবে? বাস্তবতা মেনে সরে দাঁড়াতে বললে তারা কখনই রাজি হবে না। আফ্রিকা মহাদেশ বা আরব দেশগুলি থেকে এই পরিষদে কোনও স্থায়ী সদস্য নেই। তৃতীয় বিশ্ব থেকে চীন আছে বটে, কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে বৃহত্তম ভারত তেমন সুযোগ থেকে বঞ্চিত। লাতিন আমেরিকার কোনও দেশেরও সেখানে পা রাখার স্থায়ী কোনও জায়গা নেই। গত সাত দশকে বিশ্ব বদলেছে, কিন্তু বিশ্ব সংস্থা বদলায়নি। সবাই এ কথা মানেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘকে ঢেলে সাজাতে হবে, কিন্তু ঢেলে সাজাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের সম্মতি। সেই সম্মতিও আসবে না, অচলাবস্থারও নিরসন হবে না।
এরপরও রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে যদি কারও মনে কোনও দ্বিধা থাকে, দয়া করে গাজা, লেবাননের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া অনাথ শিশুদের অথবা এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মার্কিন ছাত্রছাত্রীকে প্রশ্ন করুন। সঠিক উত্তর তাঁরাই দিতে পারবেন। আসলে ৭৯ বছর ধরে গোটা দুনিয়া জেনে গিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’!
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...

গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার তদন্ত নিয়ে ভারতের উপর চাপ বজায় রাখল আমেরিকা। বুধবার ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ভারতের তদন্ত যথাযথ ভাবে হচ্ছে এটা না দেখা পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবে না। ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ...

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা, জখম ৪ জওয়ান

08:21:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পুরীতে টোটো-অটো বের হলেই ধরছে পুলিস
পুরীর রাস্তায় এখন টোটো বা অটো বের হতে দেখলেই পুলিস ...বিশদ

08:11:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে আজ বিকেল ৫টা থেকে আগামীকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান ওঠা-নামা বন্ধ

08:07:00 PM

সরকারি জমি বেহাত প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাওয়া নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভ উগরে ...বিশদ

07:49:37 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: যাত্রীদের যাতে কোনওরকম সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য শিয়ালদহ চত্বরে মোতায়েন একাধিক সরকারি বাস

07:40:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ফাঁকা শিয়ালদহ স্টেশন

07:30:00 PM