Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি। অনেকেই তাঁর মতামতের ঘোরতর বিরোধী এবং ওই দলে আমিও অবশ্য পড়ি। কিন্তু সকলেই একটা ব্যাপারে একমত না-হয়ে পারেন না যে, ভাগবতজির ভাষণ দর্শক-শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে, আর এই জিনিসটা ২০১৪ সালের পর থেকে বিশেষভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে।
তাঁর কথাগুলিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) তরফের বক্তব্য হিসেবেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তার কারণ আরএসএস নামক সংগঠনটির প্রকৃতি ও কাঠামো এবং সেখানে তিনিই সরসঙ্ঘচালক বা সংগঠনের শীর্ষকর্তা। সকলের এটাই বিশ্বাস যে, সংঘ-প্রধানই আরএসএসে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বের অধিকারী। তাই, মোহন ভাগবতের ভাষণগুলিকে অবশ্যই গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত এবং, ইদানীং সেটাই হয়ে থাকে। 
শীতল বাতাস 
গত জুন মাসে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই মোহন ভাগবত একটি ভাষণ দেন। সেখানে তাঁর উল্লেখযোগ্য পরামর্শের মধ্যে ছিল—‘অহংকার ত্যাগ করে বিনয়প্রদর্শনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।’ লোকসভা নির্বাচনের পরে এটাই ছিল তাঁর প্রথম জনসাধারণের উদ্দেশে ভাষণ। তাতে তিনি আরও বলেছিলেন:
• রাজনৈতিক দলগুলির কাছে যে সভ্যতা ভদ্রতা শালীনতা প্রত্যাশিত, নির্বাচনী ভাষণে ব্যবহৃত মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক ভাষায় তা নষ্ট হচ্ছে। 
• আপনার প্রতিপক্ষ কোনও শত্রু নন, তিনি একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন মাত্র। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে শুধু বিরোধী বলুন। বিরোধীদের মতামতও বিবেচনা করা উচিত। 
• এছাড়া, একজন সত্যিকারের ‘সেবক’ মর্যাদা বজায় রাখেন। ‘আমি এই কাজ করেছি’ বলার মতো অহংকার তাঁর ভিতরে থাকে না। 
ভাগবতজির ওই ভাষণের বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহল থেকে এটাই বলা হয়েছিল যে, কথাগুলির লক্ষ্য ছিলেন একজনই—নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর নির্বাচনী প্রচার। 
মোহন ভাগবত তাঁর পরবর্তী উল্লেখযোগ্য ভাষণটি দেন গত জুলাই মাসে। সেখানে তাঁর একটি উক্তি প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে, ‘একজন মানুষ সুপারম্যান হতে চায়, তারপর হতে চায় একজন দেবতা এবং অবশেষে একজন ভগবান!’ নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন যে তাঁর জন্ম ‘জৈবিকভাবে’ নয়। ভাগবতজির এই মন্তব্য স্পষ্টতই মোদিজির জন্মরহস্য তত্ত্বকেই খারিজ করে বইকি। মোদিজি গর্ভসঞ্চার, গর্ভধারণ এবং সন্তান প্রসবের ধারণাকে অস্বীকার করে থাকলে তিনি কি নিজেকে ‘সৃষ্ট’ বলে দাবি করছেন! আর এখানেই মোহন ভাগবত কি সেই ইঙ্গিতই করেছেন যে, নরেন্দ্র মোদি তাঁর বাগাড়ম্বরের সীমা অতিক্রম করেছেন? 
একটি ঠান্ডা তরঙ্গ 
আরএসএসের শততম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে মোহন ভাগবত তাঁর তৃতীয় ভাষণটি দিয়েছেন গত ১২ অক্টোবর বিজয়াদশমীর দিন। সেটি আমি পড়েছি একটি সংবাদ প্রতিবেদন আকারে এবং ইংরেজিতে (টাইমসঅফইন্ডিয়া.ইন্ডিয়াটাইমস.কম)। তাঁর বক্তব্য আমাকে হতাশ করলেও আমি মোটেই আশ্চর্য হইনি। কেননা, আরএসএসের প্রতিষ্ঠিত আদর্শগত অবস্থানেই ফিরে গিয়েছেন মোহন ভাগবত। তাঁর ভাষণ ধর্ম, সংস্কৃতি, ব্যক্তিগত ও জাতীয় চরিত্র, শুভ ও ন্যায়ের জয় এবং আত্ম-গৌরব প্রভৃতি শব্দ ও প্রবাদে বিন্যস্ত ছিল। হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাতের প্রতি দৃষ্টিপাত করেও ৪৩ হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে তিনি কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন প্রসঙ্গ এনেও তিনি শুভেচ্ছা জানাননি সেখানকার নতুন সরকারকে। মণিপুরের ঘটনা সম্পর্কে শুধু ‘উপদ্রুত’ শব্দটি উচ্চারণ করেই দায় সেরেছেন ভাগবতজি। 
মোহন ভাগবতের ভাষণের বাকি অংশটি ছিল একদম মোদিসুলভ—একটি জাতি হিসেবে ভারত কীভাবে শক্তিশালী হয়েছে, কীভাবে দুনিয়া আমাদের সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধকে গ্রহণ করছে এবং কীভাবে বিশ্বমঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি, শক্তি, খ্যাতি ও অবস্থান ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। তাঁর ভাষণে আরও ছিল—দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রচেষ্টা প্ররোচনা পাচ্ছে, কিছু স্বঘোষিত উদারপন্থী দেশ অন্য দেশকে আক্রমণ করতে বা তাদের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারগুলিকে অবৈধ বা হিংসাত্মক উপায়ে উৎখাত করতে দ্বিধা করে না, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার মতলবি প্রচেষ্টা অব্যাহত প্রভৃতি। মোহন ভাগবত গুরুতর অভিযোগগুলির কোনও প্রমাণ অবশ্য দেননি।  বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে টানা বলে গিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে—‘কোনোরকম প্ররোচনা ছাড়াই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্মম নৃশংস অত্যাচার’, ‘হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাথার উপর বিপদের খাঁড়া ঝুলে আছে’ এবং ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের’ বিপদ। তাঁর মতে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের ফলে ভারতের জনসংখ্যা ভারসাম্য হারাচ্ছে। পরিশেষে, মোদির মতোই উপসংহার টেনেছেন তিনি, ‘সারা পৃথিবীর এই শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত যে, অসংগঠিত এবং দুর্বল হয়ে থাকার অর্থ, দুষ্টদের ঔদ্ধত্যকে আমন্ত্রণ জানানো।’  
ব্যক্তিগত অভিমত
‘হিন্দু’ শব্দের পরিবর্তে ‘মুসলিম’ শব্দটি ব্যবহার করুন, বিশেষ করে উপসংহারে, এবং তখন এটাই দেখা যাবে যে, বক্তা প্রতিটি সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পক্ষে ওকালতি করছেন। মোহন ভাগবতের প্রতিটি চিন্তাভাবনা এবং শব্দ ভারতে মুসলমান ও দলিতদের দুর্দশার বর্ণনা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কথাগুলি সমানভাবে প্রযোজ্য হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ, বিশ্বযুদ্ধপূর্ব জার্মানিতে ইহুদি, মাতৃভূমিতে ফিলিস্তিনি, সংখ্যাগরিষ্ঠের দাপটে ভীত-শঙ্কিত প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং সর্বত্র মহিলা প্রসঙ্গে। কে আগ্রাসী আর কে সেই আগ্রাসনের শিকার—তা নির্ভর করে একজন মানুষ কোন অবস্থানে বসে সেটা দেখছেন বা বিচার করছেন তার উপর। 
আরএসএস আধুনিক রাজনৈতিক ভাষণের ভাষা আয়ত্ত করেছে বলেই মনে হচ্ছে। যেমন মোহন ভাগবত উদারভাবে সেই শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন—ডিপ স্টেট, ওকিজম, কালচারাল মার্ক্সিস্ট, ফাইন্ডিং ফল্ট লাইনস এবং অলটারনেটিভ পলিটিক্স। ভাগবতজি ‘শহুরে নকশাল’ এবং ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ কথা দুটি মিস করেছেন!  তিনি ‘আরব বসন্ত’ এবং ‘প্রতিবেশী বাংলাদেশে সম্প্রতি যা ঘটেছে’ তার উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে ‘ভারতের চারপাশে একই ধরনের অপচেষ্টার’ বিরুদ্ধে আমাদের সতর্কও করেছেন তিনি। আমি আশ্চর্য হচ্ছি এটা ভেবে যে, আরব বসন্ত অথবা বাংলাদেশের একটি স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিদ্রোহের মধ্যে ‘মন্দ’ কী ছিল? উল্লেখ্য, বিরোধী নেতাদের কারাগারে বন্দি রেখে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনে ‘জয়ী’ হয়েছিল ঢাকার ওই সরকার।  
মনে হচ্ছে, আরএসএস ও বিজেপি নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়ে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের প্রতিস্পর্ধী হবেন না কেউ, তাহলে তিনি সাহসী হবেন তাঁর কর্তৃত্ব জাহির এবং বিরোধী দলের দুর্নাম করতে। একইভাবে মোদিজি তাঁর সেইসব নীতির অনুসরণে প্ররোচিত হবেন যাতে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, বৈষম্য, ক্রনি পুঁজিবাদ, সামাজিক নিপীড়ন, সাম্প্রদায়িক সংঘাত এবং অবিচার বহাল তবিয়তে চলতে পারে। এখন মোদিসুলভ আরও কথা এবং কর্মকাণ্ডের জন্য নিজেকে তৈরি রাখুন। 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
21st  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ৬৪ বছর পর পুনর্নির্মাণ হচ্ছে একটি হিন্দু মন্দিরের। এর জন্য ১ কোটি পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করল সরকার।  ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের রবি নদীর পশ্চিম তীরের নারোয়ালের জাফরওয়াল শহরে রয়েছে বাওলি ...

গত সেপ্টেম্বরে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের সর্বাধিক রাজস্ব আদায় হয়েছে। ওই মাসে ৩৮ কোটির বেশি টাকা জমা পড়েছে কোষাগারে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বাবদ জমা হয়েছে সবচেয়ে বেশি টাকা। ...

জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত জম্মু ও কাশ্মীর। গান্ধেরবালের সোনমার্গে রবিবারের হামলার নিন্দায় সরব সারা দেশ। এরইমধ্যে সোমবার ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা ফরেন্সিক পরীক্ষা করেছেন। ...

পাঁচ মাসের কম ব্যবধানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে ফের একবার মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। গত ১ জুন ইউরোপ সেরার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক তোতলামি সচেতনতা দিবস
১৪৯৪: ইতালীয় নাবিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার দ্বিতীয় আবিষ্কার অভিযান শুরু করেন
১৫৯৯: লন্ডনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু হয়
১৭৬০: নবাব মীর জাফর আলী খান পদচ্যুত হয়
১৭৬৪: বাংলা ও বিহারে নবাবী আমলের অবসান হয় এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়
১৭৭৪: কলকাতায় প্রথম সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৩৩: নিউইয়র্কে বিখ্যাত মেট্রোপলিটন অপেরা হাউস উদ্ধোধন করা হয়
১৮৬২: আব্রাহাম লিংকন ক্রীতদাস মুক্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৯২২: খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রতাপচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৩৪: প্রথম বারের মতো ফটোগ্রাফ রেকর্ডিং চালু হয়
১৯৩৭: কিংবদন্তী অভিনেতা, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ রচয়িতা তথা পরিচালক কাদের খানের জন্ম
১৯৫১:  বাঙালি পদার্থবিদ, বাংলা সাহিত্যের রহস্য রোমাঞ্চ ও কল্পবিজ্ঞানের জনপ্রিয় লেখক অনীশ দেবের জন্ম
১৯৫৪: কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু
১৯৫৭: অভিনেত্রী কিটু গিদোয়ানির জন্ম
১৯৬৪: রাজনীতিবিদ তথা বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জন্ম
১৯৬৫: ভারতের কলকাতা মহানগরীতে প্রথম ইণ্ডেন কোম্পানির 'এলপিজি' (রান্নার গ্যাসের) সংযোগ দেওয়া হয়
১৯৮৮: অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জন্ম
২০০২: যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
২০০৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের মৃত্যু
২০০৮: চন্দ্রায়ন-১-এর সূচনা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৭ টাকা ১১১.৬৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৮ টাকা ৯৩.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৯/৩৫ রাত্রি ১/৩০। মৃগশিরা নক্ষত্র ০/২৮ প্রাতঃ ৫/৫১ পরে আর্দ্রা নক্ষত্র ৫৯/৫৮ শেষরাত্রি ৫/৩৯। সূর্যোদয় ৫/৩৯/৫০, সূর্যাস্ত ৫/২/৩০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ৯/১৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৮ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৫০ গতে উদয়াবধি। ৭/৫ গতে ৮/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৮ গতে ৮/১২ মধ্যে। 
৫ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৭/৩৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১১/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৭ মধ্যে ও ৭/২১ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ৯/১০ গতে ১১/৪৭ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৩/১৬ মধ্যে ও ৫/১ গতে ৫/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ গতে ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৮ গতে ৮/১৩ মধ্যে। 
১৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারতের প্রস্তাবে সায় চীনের
অবশেষে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা ও অচলাবস্থা কাটতে চলেছে। প্রকৃত ...বিশদ

01:48:00 PM

পাইকপাড়ায় পথ দুর্ঘটনা, হত ২
শহরে ফের পথ দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু। আজ, মঙ্গলবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ...বিশদ

01:47:54 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিলেন আর জি করের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা

01:42:19 PM

ছয় জেলায় আপাতত আবাস প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ বন্ধের নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের
আবাস প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ আপাতত ছয় জেলায় ...বিশদ

01:37:00 PM

মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে একটি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম ৯

01:33:23 PM

কমনওয়েলথ গেমস ২০২৬: ক্রিকেট, হকি ও কুস্তির মতো খেলাগুলি বাদ পড়ল তালিকা থেকে

01:00:59 PM