Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। এভাবেই অদৃষ্টবাদের সঙ্গে সখ্য করে বেঁচে থাকি আমরা, মানে সমাজের অন্তত নব্বই শতাংশ মানুষ। ছন্নছাড়া, হা-হতোস্মি জীবনের মধ্যেও লক্ষ্মীছেলের মতো স্থায়ী সুখ অনুভব করতে শিখে গিয়েছি। আমরা কালী, শীতলা, শনিদেবের সঙ্গে মা লক্ষ্মীরও আরাধনা করি। প্রার্থনা করি ধনসম্পদের। সেই তাগিদেই আজ ঘরে ঘরে কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা হবে। আমরা প্রার্থনা করব, ‘মাগো, ধন দাও, সম্পদ দাও! আমাদের লক্ষ্মীলাভ হোক।’ কিন্তু ঘরে ধন-সম্পদ আগমের জন্য যে উদ্যমটুকু দরকার, তার ধারকাছ দিয়েও আমরা ঘেঁষতে রাজি নই। 
অথচ সেই প্রাচীন কাল থেকেই আমরা লক্ষ্মীলাভের জন্য অধ্যবসায়ের সঙ্গে পরিশ্রম করে চলেছি। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের উদ্যমহীনতা ও দূরদৃষ্টির অভাবের কারণে লক্ষ্মী চঞ্চলা হয়েছেন। আমাদের বাংলার অতুল সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। প্রাচীন কালে যে ব্রাহ্মণ্য ধর্মশাস্ত্র দেখি, সেখানে মূলত তিনটি বৃত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, কৃষি, পশুপালন এবং বাণিজ্য। সেইসঙ্গে বাঙালি কারিগরি শিল্পেও নিজের দক্ষতার প্রমাণ রেখেছিল। বিভিন্ন প্রাচীন প্রমাণ থেকে কিংবা ইবন বতুতা সহ বেশ কয়েকজনের লেখা থেকে জানা যায় বাঙালির বাণিজ্য উদ্যমের কথা। আমাদের এই বাংলা থেকে বহু খাদ্যশস্য, মশলা, আখ, গুড়, পান, সুপুরি, চিনি, লবণ,এলাচ, লবঙ্গ, মসলিন বিদেশে রপ্তানি করা হতো। এছাড়া, তেজপাতা, সুগন্ধী তেল যেত মিশরের বিখ্যাত বন্দর আলেকজান্দ্রিয়ায়। বাঙালির কৃষিদক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ দক্ষতা, হস্তশিল্প সংক্রান্ত দক্ষতা ছিল অপরিসীম। কারুশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, অলঙ্কার শিল্প কাংসশিল্পে বাঙালির দক্ষতা ছিল সন্দেহাতীত। এছাড়া বয়নশিল্পে বাঙালির খ্যাতি ছড়িয়েছিল সারা বিশ্বে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে বাংলার এন্ডি, মুগা এবং কার্পাসজাত বস্ত্রের সুখ্যাতি করা হয়েছে। মনসামঙ্গল ও চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে আমরা চাঁদ সদাগর ও ধনপতি সদাগরের বাণিজ্য যাত্রার কথা পাই। 
বাঙালির শিল্প ও বাণিজ্যের অবনতি ঘটতে থাকে মুঘল আমল থেকে। পরবর্তীকালে ইংরেজ আমলে সেই পতন ত্বরান্বিত হয়। বাংলার বাণিজ্যের মূল শক্তি ছিল গঙ্গা এবং সরস্বতী। সরস্বতী নদী যতদিন বহমান ছিল, ততদিনই সপ্তগ্রামের বন্দরে এসে দাঁড়াত অসংখ্য পণ্যবাহী জাহাজ। পাঠানরা বেশ কয়েকবার সপ্তগ্রাম লুট করেছিল। ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মুঘলরা হুগলি দখল করার পর থেকেই সপ্তগ্রামের ধ্বংস শুরু হয়। পরবর্তীকালে দেখা যায় বাঙালি লক্ষ্মীর সাধনা ছেড়ে জমিদারি পত্তনের দিকে ঝুঁকল। পরিশ্রম কম, অথচ আয়েস বেশি। তাই অর্থবান বাঙালি বা঩ণিজ্যপ্রীতি হারিয়ে জমিদারির পায়রা ওড়ানো, বুলবুলির লড়াই আর বাঈনাচের মধ্যে জীবনের সারবত্তা খুঁজে পেল। আর মধ্যবিত্ত বাঙালি মাথা কুটতে লাগল একটা চাকরির জন্য। ফলে স্বদেশি শিল্পের ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটতে লাগল।  
তা সত্ত্বেও পরবর্তীকালে আমরা পেয়েছি বহু বাঙালি উদ্যোগপতি। এঁদের মধ্যে আবার অনেকেই জমিদার শ্রেণির। লটারিতে টিকিট কিনে জয়ী হয়েছিলেন গোকুলচাঁদ মিত্র। তাঁর ছিল লবণের ব্যবসা। পাশাপাশি তিনি সাহেবদের পোষা ঘোড়ার জন্য খাদ্য সরবরাহ করতেন। লবণ ব্যবসায় পয়সা কামিয়েছিলেন দয়ারাম বসুও। তিনি ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লবণের পাবলিক সেলের চিফ এজেন্ট। 
জাহাজ ব্যবসা করে ঘরে লক্ষ্মীকে বেঁধে রেখেছিলেন রামদুলাল সরকার। দত্তবাড়ির পাঁচ টাকার বেতনের কর্মচারী নিজের বুদ্ধিমত্তায় কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। তাঁর দুই পুত্র ছাতুবাবু ও লাটুবাবু। রামদুলালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছিলেন নিমতলার গঙ্গাধর মিত্র। তাঁর পাঁচ ছেলের মধ্যে একজন হলেন প্যারীচাঁদ মিত্র। ডিরোজিওর ছাত্র প্যারীচাঁদ সেকালের এক বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। নিজের ব্যবসা ছাড়াও তিনি ইংরেজদের কয়েকটি কোম্পানি যেমন গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল, বেঙ্গল টি কোম্পানি, হাওড়া ডকিং কোম্পানি লিমিটেডের ডিরেক্টর হয়েছিলেন। 
ইংরেজ ব্যবসায়ী জোব চার্নককে কলকাতায় আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন সপ্তগ্রামের রাজারাম মল্লিক। তিনিও ছিলেন একজন বড় ব্যবসায়ী।  তাঁর পপৌত্র নিমাইচরণ মল্লিক বা নিমু মল্লিকও ছিলেন বড় ব্যবসায়ী। মহীশূর যুদ্ধের সময় ইংরেজরা তাঁর কাছ থেকে আটচল্লিশ লক্ষ টাকা ধার করেছিল। শর্ত ছিল ষাট টাকায় সুদ দিতে হবে চল্লিশ টাকা। নিমু মল্লিকের প্রপৌত্র ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ মল্লিক বা ডি এন মল্লিক। চায়ের ব্যবসা করে তিনি বিশাল সম্পত্তি বানিয়েছিলেন। বাঙালিদের মধ্যে তিনিই প্রথম রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করেন। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন ব্যবসায় অত্যন্ত বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তাঁকে বলা হয় আধুনিক কর্পোরেট মনস্ক মানুষ। আফিম, রেশম, কয়লা, লবণ চিনি থেকে জাহাজের ব্যবসা সবেতেই তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন। ব্যাঙ্কের ব্যবসাও তিনি শুরু করেন। কার অ্যান্ড টেগোর কোম্পানিতেও তাঁর শেয়ার ছিল। তিনিই প্রথম মনে করেছিলেন বাঙালির বাণিজ্যের উন্নতির জন্য দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি দরকার।    
সেই সময়ের এক ব্যবসায়ী প্রীতিরাম মাড় বর্তমান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের বাঁশ ঝাড় কিনে সেই বাঁশ বেচে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন। তিনি কাস্টমস হাউসে চাকরি করতেন এবং পাশাপাশি চালের ব্যবসাও করতেন। পরে তাঁরা দাস পদবি গ্রহণ করেন। প্রীতিরামের পুত্রবধূই হলেন রানি রাসমণি।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বাঙালিকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য ব্যবসার কথা বলেছিলেন। তিনি জানতেন, বাণিজ্যই আমাদের সমৃদ্ধির দরজা খুলে দিতে পারে। বাঙালিকে আবার হীনমন্যতা দূর করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে গেলে বাণিজ্যের পথে যেতেই হবে। তিনি শুধু উপদেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি। নিজেও একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। বেঙ্গল কেমিক্যাল তৈরি করে হয়েছিলেন সফল উদ্যোগপতি। মাত্র ৭০০ টাকার পুঁজি নিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আজও সেই ব্যবসা এগিয়ে চলেছে।
১৮২০ সালের মধ্যে বড়বাজার হয়ে উঠল ভারতের বৃহত্তম পাইকারি ব্যবসার কেন্দ্র। এখান থেকে সারা দেশে মাল পাঠানো হতো। সে সময় দেখা যাচ্ছে, এখানে ৫৯ জন বড় ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। তাঁদের মধ্যে ২৩ জনই ছিলেন বাঙালি। মূলত ১৮৭৬ সালের পর থেকে সারা ভারতের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখানে এসে ব্যবসার ঘাঁটি একে একে দখল করতে লাগলেন। তৎকালীন বোম্বাই, উত্তরপ্রদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসতে লাগলেন। এরপর এলেন গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ থেকেও বহু ব্যবসায়ী। তারপর এল যোধপুর এবং মারওয়াড় থেকে। বড়বাজারের দখলদারি হারাতে থাকে বাঙালি।
১৮৩১ সালে কলকাতার ব্যবসার জগতে একটা বড় ধাক্কা নেমে আসে। একসময় নীল চাষের দৌলতে সাহেবরা এই শহরে বড়বাজারের আশপাশে অনেকগুলি এজেন্সি হাউস গড়ে তুলেছিল। তারা নীল ব্যবসায় প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু মন্দার কারণে নীলের দাম কমে গেল। বহু কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে বন্ধ করে দিল। এই সব এজেন্সির সঙ্গে ব্যবসা করতেন যেসব বাঙালি, তাঁরাও বিপাকে পড়ে গেলেন। একটা হিসাবে দেখা যাচ্ছে আনন্দমোহন পাল ও সুবলচন্দ্র পালের ক্ষতি হয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা, রাধামোহন পাল ও কৃষ্ণমোহন পালের ক্ষতি হয়েছিল এক লক্ষ টাকা, গঙ্গাগোবিন্দ শীল ও হরগোবিন্দ শীলের ক্ষতি হয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা, বিশ্বম্ভর পাইন ও চন্দ্রকুমার পাইনের ক্ষতি হয়েছিল ষাট হাজার টাকা, রামনারায়ণ দে ও মাধবচন্দ্র দে’র ক্ষতি হয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা, মথুরামোহন সেনের ১৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছিল এবং সুবলচন্দ্র নন্দীর ক্ষতি হয়েছিল পঞ্চাশ হাজার টাকা। এই ক্ষতি বাঙালির ব্যবসা মানসিকতার ওপর চরম আঘাত হানল। অনিশ্চিত বাজার নিয়ে সংশয় দেখা দিল। তখন ইংরেজদের বহু ব্যবসা কলকাতার মারোয়াড়িরা কিনে নিতে থাকেন। বহু বাঙালি ব্যবসায়ীও আর ভরসা না করে ব্যবসা বিক্রি করে দেন। সেগুলিই কিনে নিতে থাকেন কলকাতার অবাঙালি ব্যবসায়ীরা। এভাবেই বাণিজ্য বসতে লক্ষ্মীর তত্ত্বকে জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিল বাঙালি। ব্যবসার অনিশ্চিত জীবন ছেড়ে বাঙালি ঢুকে পড়তে চাইল চাকরির নিশ্চিত খোপে। ক্রমে ক্রমে সরে গেল সে লক্ষ্মীর সাধনা থেকে।
অথচ বাঙালি খুব ভক্তিভরে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর পুজো করে। কোজাগরী পূর্ণিমায় নিজের সামর্থ্যটুকু উজাড় করে মা লক্ষ্মীর পুজো করে। আলপনায় সাজায় তার ঘর, উঠোন, আঙিনা। লক্ষ্মীর পা আঁকে, ধানের ছড়া আঁকে, পদ্ম আঁকে, মাছ আঁকে। এই আলপনার মধ্য দিয়ে যেন বিমূর্ত ওঠে বাঙালির প্রার্থনা, এসো মা লক্ষ্মী, বোসো ঘরে, আমার এই ঘরে থেকো আলো করে কিংবা সেই শাশ্বত আর্তি প্রকাশ পায়, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। আজ কোজাগরীর জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাতে বাঙালি তার লক্ষ্মী আরাধনার মধ্য দিয়ে এই সামান্য আর্তিটুকই মায়ের কাছে প্রকাশ করবে। ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে / সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।
16th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
একনজরে
এবার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট ১২০ নয়, ৬০ দিন আগে থেকে কাটা যাবে। এই খবর পেয়েই খুশি আম জনতা। অনেকেই বলছেন, মনে হচ্ছে এর ফলে ট্রেনের টিকিট একটু হলেও সহজলভ্য হবে। ...

বিমানে বোমাতঙ্ক থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না কিছুতেই। সোমবার থেকে শুরু হয়েছিল বিমানে বোমা রাখার হুমকি। বৃহস্পতিবারও তাতে ছেদ পড়ল না। এদিনও হুমকির জেরে  ফের একের পর এক বিমানে আতঙ্ক ছড়াল। গত চারদিনে এই নিয়ে মোট ২০টি বিমান এমন হুমকির মুখে ...

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে একের পর এক বিপর্যয়ের সামনে ভারতীয় দল। বুধবার বৃষ্টিতে বল গড়ায়নি মাঠে। বৃহস্পতিবার খেলা শুরু হলেও ব্যাটিং ধসে বেসামাল রোহিত শর্মারা। ...

নিমতলায় গঙ্গার ভাঙনের জেরে কংক্রিটের ঘাটের একাংশ অনেকদিন ধরেই ভাঙছে। সিঁড়ি ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। ঘাটের সামনের যে অংশের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে তার ফাঁক গলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭১: কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের মৃত্যু
১৯১৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম
১৯৩১: গ্রামাফোনের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের মৃত্যু
১৯৪০: টলিউড অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা ওমপুরীর জন্ম
১৯৫৬: বিখ্যাত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার জন্ম
১৯৬১: প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার গ্ল্যাডস্টোন স্মলের জন্ম
১৯৮০: কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৪: বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক শঙ্কু মহারাজের
২০১৮: বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ১৯/৫ দিবা ১/১৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/৩০ দিবা ১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৫/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ২/৫৭। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/০। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৫ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
১৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট (প্রথম ইনিংস): ৫ রানে আউট টম ব্লানডেল, নিউজিল্যান্ড ২০৪/৫ (তৃতীয় দিন)

09:56:00 AM

দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকায় যমুনা নদীতে বিষাক্ত ফেনা

09:55:00 AM

ডেনমার্ক ওপেনের শেষ আটে সিন্ধু
ডেনমার্ক ওপেনের শেষ আটে পিভি সিন্ধু। বৃহস্পতিবার তিনি হারালেন বিশ্বের ...বিশদ

09:45:00 AM

পান্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় প্রাক্তন ভারতীয় গোয়েন্দার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় একজন প্রাক্তন ...বিশদ

09:41:37 AM

প্রথম টেস্ট (প্রথম ইনিংস): ১৮ রানে আউট ড্যারিল মিচেল, নিউজিল্যান্ড ১৯৩/৪ (তৃতীয় দিন)

09:40:00 AM

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ল দিল্লি, একধাক্কায় কমে গেল বাতাসের গুণগত মান

09:38:00 AM