Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ গণেশ এতশত বুঝত না। ‘তাহার মেজাজের এই আকস্মিক উত্তাপ গণেশের কাছে বড়োই দুর্বোধ্য ঠেকিল। অত তাহার ভবিষ্যতের কথা ভাবিবার, হিসাব করিবার ক্ষমতা নাই। বউ থাকিলে মাঝে-মাঝে ছেলেমেয়ে হয় এই পর্যন্ত সে জানে, সুবিধা অসুবিধার কথাটা ভাবিয়া দ্যাখে না। তা ছাড়া পৃথিবীতে মানুষ আসিলে তাহাকে খাওয়ানোর দায়িত্ব যে মানুষের নয়, যিনি জীব দেন তাঁর, গণেশ এটা বিশ্বাস করে।’ 
একই পথের পথিক দুই চরিত্রকে ভিন্ন সুতোয় গেঁথেছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সুতো বিশ্বাসের, অন্যটি অনিশ্চয়তা, অবিশ্বাসের। অন্ধকারের মধ্যেও একটি চরিত্র আলোর ঠিকানা খুঁজেছে, আর অন্যটি প্রাপ্তির আনন্দ ভুলে ডুবেছে উদ্বেগ-আশঙ্কার পদ্মানদীতে। প্রশ্নটা দৃষ্টিভঙ্গির। যে যেমন চোখে জীবনকে দেখে, জীবন তার কাছে আসে ঠিক তেমনভাবেই। বিজয়া দশমীতে যখন জলের স্রোতে মায়ের নিরঞ্জন হয়, কারও কারও মন হাঁটা দেয় উদাসের দেশে। কেউ কেউ তখনই আবার প্রশ্ন করে, ‘আগামী বছর সপ্তমীটা কবে?’ ক্যালেন্ডার লেখা শুরু হয়ে যায় তখন থেকেই। মনে মনে। সূচনা হয় নতুন কাউন্ট ডাউনের। দু’জনের মধ্যে ভুলটা কে? কেউ না। শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গির তফাত। গণেশের বিশ্বাস ঈশ্বরে। আর কুবের মাঝির বর্তমান যন্ত্রণায়। আসলে ঘড়ির কাঁটা... ফেলে আসা প্রত্যেক মুহূর্ত জন্ম দেয় কোনও না কোনও ঘটনার। তাতে যেমন ইতিবাচক রসদ থাকে, তেমনই মন চাইলে নেগেটিভ তরঙ্গ খুঁজে পেতেও খুব একটা বেগ পেতে হয় না। ওই যে বললাম, ফারাকটা দৃষ্টিভঙ্গির। এক শিক্ষিকা একবার বলেছিলেন, দূর জেলা থেকে পুজোর ঠিক আগে যখন কলকাতায় ফিরতেন, তার চাপ ভোলার নয়। স্কুলে ছুটি পড়ার আনন্দ প্রবল ভিড়ের ত্রাসে বাসের জানালার ফাঁক গলে কোথায় যেন পালিয়ে যেত। কিন্তু তারপরই তিনি আবিষ্কার করতেন, বাসের ছাদে কারা যেন সব উঠে পড়েছে। জানতেন তিনি, ওরা ঢাকি। পুজোয় যখন তিনি বাড়ি ফিরছেন, তারা চলেছে কাজের সন্ধানে। চলতি বাসের ছাদে বসেই যখন ঢাকে তারা বোল তুলত, সে ছিল এক নির্বিকল্প মাদকতা। ভিড়, ঘাম, অস্বস্তির অনুভূতিগুলো বদলে যেত কাশবনের ফাঁক দিয়ে মা দুর্গার মণ্ডপে যাওয়ার দৃশ্যে। নাঃ, তার মধ্যে কোনও দ্বিধা ছিল না। কোনও স্বার্থ ছিল না। রাজনীতিও না। শুধু ছিল বিশ্বাস। 
এবার পুজোর চারটে দিন পেরনোর পর সত্যি বলতে সেই বিশ্বাসটা কেমন একটু ফ্যাকাশে লাগল। সবই আছে, কিন্তু বিশ্বাসের গেলাসটা কোথায় যেন একটু চিড় খেয়েছে। আর জি করের চারতলা থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্রতিবাদ, মানুষের যোগদান, শিয়ালদহ কোর্ট, শীর্ষ আদালত, সিবিআই, সঞ্জয় রায়, নমনীয় সরকার, বাড়তে থাকা দাবি, সরতে থাকা মানুষের কাঁধ, অনশন... এই পুরো ঘটনাক্রমের মধ্যে কোথাও কি বিশ্বাসটাই উধাও হয়ে যায়নি? প্রতিদিন ফিরে যেতে যেতে ডাক্তার এবং সরকারি হাসপাতালের উপর বিশ্বাস হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ। অপারেশনের নির্দিষ্ট ডেট অনির্দিষ্টকালের গর্ভে হারিয়েছে। ঘটিবাটি বিক্রি করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন অনেকেই। সরকারি হাসপাতালে তালা পড়ার জোগাড় হয়েছে, অথচ বেসরকারি চেম্বার চলেছে লাগাতার। বরং আরও বেশি ফুলেফেঁপে উঠেছে। বাংলাদেশের রোগী আসা কমে যাওয়া সত্ত্বেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই দু’মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি মুনাফা করেছে। অবিশ্বাস জন্মানোটা কি অস্বাভাবিক?
সিংহভাগ দাবি মেনে নেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। কেন? মূলত দু’টি দাবির উপর এখনও চেপে বসে আছেন তাঁরা। প্রথমত, মেডিক্যাল কলেজের নির্বাচন। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ। প্রথমটি অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। নির্বাচিত সংগঠন সর্বত্র প্রয়োজন। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি শুধু প্রশাসনে পড়ুয়াদের মতামত প্রকাশের সুযোগই দেয় না, ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতা এবং বাস্তববোধের সঙ্গে পরিচয়ও ঘটায়। পরবর্তীকালে যে প্রফেশনেই তারা যাক না কেন, রাজনীতির বেসিক জ্ঞানের একটা ইতিবাচক প্রভাব থেকেই যায়। এর আগে মুখ্যসচিব মৌখিক আশ্বাস ডাক্তারদের দিয়েছেন যে, নির্বাচন হবে। কিন্তু তাঁরা চাইছেন লিখিত। প্রথম দাবি। কিন্তু বলতে পারেন, দ্বিতীয় দাবিটি কি নিঃসংশয়? কেউ হয়তো জানতে পেরেছেন, তাঁর কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু তার মানে কি তিনি দোষী হয়ে গেলেন? সেই দোষ কোথায় প্রমাণিত হয়েছে? কোন কোর্টে। মিডিয়া ট্রায়াল যদি অন্যায় হয়, পাবলিক ট্রায়ালও তাই।
আন্দোলনকারীরা যদি বলতেন, স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। দোষ প্রমাণ হলে শাস্তি দিতে হবে। সেটা গণতান্ত্রিক এবং সংবিধান সম্মত। কিন্তু অভিযোগ কানে আসা মানেই যদি সাজা দেওয়ার দাবি ওঠে, তাহলে সেটা প্রতিষ্ঠানকেই চ্যালেঞ্জ জানানো নয় কি? কাল আরও পাঁচটা সেক্টর থেকে জুনিয়ররা সরকারের কাছে এসে দাবি করতেই পারে, আমাদের উপরতলাকে পছন্দ নয়। সরাতে হবে। তখন সরকার কী করবে? মেনে নেবে? সেটা কিন্তু হবে না। হতে পারে না। সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। প্রক্রিয়া আছে। আইন আছে। তার বাইরে কেউ নয়। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা জুনিয়র ডাক্তার—কেউই নয়। অর্থাৎ, অবিশ্বাস কিন্তু এক পক্ষের নয়। দু’পক্ষেরই।
লালবাজারের তদন্তে আস্থা না রেখে সিবিআই চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরাই। কিন্তু এখন সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছে। ৫৫ দিন তদন্তের পর তারা যে ‘প্রথম চার্জশিট’ পেশ করেছে, তা আন্দোলনকারীদের মোটেই পছন্দ হয়নি। আরও বেশি কিছু আশা করেছিলেন তাঁরা। মানে এটা কি ধরে নেওয়াই যায়, আর জি করে ধর্ষণ-খুনের ব্যাপারে তাঁরাও বেশ কিছুটা জানেন? তাই শুধু সঞ্জয়কে দোষী হিসেবে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে? জেনে থাকলে নিশ্চয়ই তাঁরা সিবিআইকে জানিয়েছে। তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা সেইসব তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে চার্জশিট পেশ করল না কেন? উত্তর একটাই হতে পারে—অভিযোগ এবং দাবির সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ তাঁরা পাননি। সিবিআইও জানে, দুমদাম কারও নাম চার্জশিটে তুলে দেওয়া যায় না। সেটা প্রমাণ করতে হয় কোর্টে। তাই জুনিয়রদের অবিশ্বাসের কাঠগড়ায় এখন নতুন সংযোজন হয়েছে—সিবিআই। অবিশ্বাস তদন্ত প্রক্রিয়াকে। অবিশ্বাস বিচার ব্যবস্থার উপর।
সময় গড়াচ্ছে। আর সেইসঙ্গে আন্দোলনের মাঝে তৈরি হওয়া ফাঁক ভরাট করছে রাজনীতি। সিপিএম প্রকাশ্যে বলছে, বিরোধী দল না থাকলে আন্দোলন হারিয়ে যাবে। আর দানা বাঁধবে না। একে জিইয়ে রাখতে গেলে তাদের চাই। কয়েকজন বামপন্থী চিকিৎসক ইতিমধ্যে নেতৃত্বের ঝান্ডা নিজে থেকেই হাতে তুলে নিয়েছেন। ডাক্তারদের একাংশ তা মেনে নিয়েছে, অন্য অংশ মানছে না। অভয়ার বিচারের দাবিতে শুরু হওয়া প্রতিবাদের রাজনীতিকরণ চাইছেন না তাঁরা। তাই ফাটল স্পষ্ট। মতের অমিল অনশন নিয়েও। রাজ্য সরকার স্টেটাস রিপোর্ট দিচ্ছে, অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। অসুস্থ হয়ে পড়ছে একের পর দুই, দুইয়ের পর তিন। যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তারা। তরুণ রক্ত। রাজ্যের এবং দেশের ভবিষ্যৎ। প্রতিবাদী মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত এক সিনিয়র চিকিৎসকই বলছিলেন, ‘এটা কি সমাধানসূত্র? এই অনশনের মানে কী? অনশনে বসার পর সরকারকে ডেডলাইন দেওয়ার অর্থ কী? সরকার চাপে পড়েছে, এটা যদি ধরে নিই... তাহলে নিঃসন্দেহে জুনিয়র ডাক্তারদের চাপ আরও বেশি।’ তাঁর কথায় একটা বিষয় স্পষ্ট—সম্মানজনক এসকেপ রুট মিলছে না। নির্বাচন এবং স্বাস্থ্যসচিবকে সরালে, সেটা একটা বেরিয়ে আসার পথ হতে পারে। মানুষকে দেখানো যাবে, এই আমরা জিতলাম। জয় কি সত্যিই এতে আসবে? সরকার এই দাবি মেনে নিলেও কিন্তু জয় আসবে না। কারণ, এর সবটাই হবে ব্ল্যাকমেলের রাজনীতির উপর দাঁড়িয়ে। প্রতিষ্ঠানকে অস্বীকার করে। 
স্কুলবেলায় আমরা প্রায় সবাই একটা গল্প পড়েছিলাম—মধুসূদন দাদা। সেই যে ছোট্ট ছেলেটি ভয় পেত ঘন জঙ্গল পেরিয়ে স্কুলে যেতে। চোখ বন্ধ করে ডাক দিত... মধুসূদন দাদা। তখনই দেখা দিতেন তিনি। জঙ্গল পার করে পৌঁছে দিয়ে আসতেন ছোট্ট ছেলেটিকে। স্কুলের উৎসবে সবাইকে কিছু না কিছু নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। ছেলেটির দায়িত্ব পড়েছিল দই আনার। গরিব, দু’বেলা ঠিকমতো খেতে না পাওয়া মা কীভাবে ছেলের স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য দইয়ের ব্যবস্থা করবেন? মধুসূদন দাদাই দিয়েছিলেন ছেলেটিকে... একটি ছোট্ট পাত্র। শিক্ষক হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এতে সব ছাত্রের হবে নাকি? কিন্তু ওই পাত্রের দই সবটা একজনকে উপুড় করে দেওয়ার পরই অবাক হয়েছিলেন শিক্ষক। পাত্র ফের ভরে গিয়েছে দইতে। সবার হয়েছিল... সমানভাবে। কারণ, ছেলেটি বিশ্বাস রেখেছিল মধুসূদন দাদার উপর। ছেলেবেলায় ওই গল্পটি থেকে আমরা শিখেছিলাম বিশ্বাস করতে। ঈশ্বরের উপর। মানুষের উপর। নিজের উপর। প্রতিষ্ঠানের উপর। এই প্রতিষ্ঠান আমরাই প্রত্যেকে মিলে গড়েছি তিলে তিলে। আমরাই ভোট দিয়েছি। আমরাই বেছে নিয়েছি সরকারকে। পাঁচ বছর সময় আমরাই দিয়েছি তাদের। তাহলে এই অসহিষ্ণুতা, অবিশ্বাস কেন? কেন আমাদের চিন্তাভাবনা আর একটু র‌্যাশনাল হবে না? বাম এবং অতি বাম দলগুলি লাগাতার প্রেস বিবৃতি ইস্যু করছে। ভাষণ দিচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি টুইট করছেন। প্রত্যেকের লক্ষ্য কিন্তু একটাই—সরকার। বিচার নয়। অবিশ্বাসের খোঁচায় সেটা কোথাও একটা মুখ লুকিয়েছে। 
দেবীপক্ষ শেষ হতে চলেছে। চিরাচরিত জীবন। পাওয়া না পাওয়ার টানাপোড়েন। স্বপ্ন দেখা এবং ভেঙে যাওয়া। এই নিয়েই কাটবে একটা বছর। কিন্তু তারপরও থাকবে আশা। আগামীর জন্য। আসছে বছর আবার হবে। এটাই বিশ্বাস... আস্থা। সময়ের উপর। 
শুভ বিজয়া।
15th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
একনজরে
নিমতলায় গঙ্গার ভাঙনের জেরে কংক্রিটের ঘাটের একাংশ অনেকদিন ধরেই ভাঙছে। সিঁড়ি ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। ঘাটের সামনের যে অংশের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে তার ফাঁক গলে ...

সব্জির বাজারে গিয়ে কার্যত মাথায় হাত পড়ছে আমজনতার। কাঁচালঙ্কা কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। ডাবল সেঞ্চুরি পার করে আড়াইশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে লঙ্কা। দাম শুনেই ...

এবার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট ১২০ নয়, ৬০ দিন আগে থেকে কাটা যাবে। এই খবর পেয়েই খুশি আম জনতা। অনেকেই বলছেন, মনে হচ্ছে এর ফলে ট্রেনের টিকিট একটু হলেও সহজলভ্য হবে। ...

বিমানে বোমাতঙ্ক থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না কিছুতেই। সোমবার থেকে শুরু হয়েছিল বিমানে বোমা রাখার হুমকি। বৃহস্পতিবারও তাতে ছেদ পড়ল না। এদিনও হুমকির জেরে  ফের একের পর এক বিমানে আতঙ্ক ছড়াল। গত চারদিনে এই নিয়ে মোট ২০টি বিমান এমন হুমকির মুখে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭১: কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের মৃত্যু
১৯১৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম
১৯৩১: গ্রামাফোনের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের মৃত্যু
১৯৪০: টলিউড অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা ওমপুরীর জন্ম
১৯৫৬: বিখ্যাত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার জন্ম
১৯৬১: প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার গ্ল্যাডস্টোন স্মলের জন্ম
১৯৮০: কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৪: বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক শঙ্কু মহারাজের
২০১৮: বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ১৯/৫ দিবা ১/১৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/৩০ দিবা ১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৫/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ২/৫৭। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/০। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৫ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
১৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ডেনমার্ক ওপেনের শেষ আটে সিন্ধু
ডেনমার্ক ওপেনের শেষ আটে পিভি সিন্ধু। বৃহস্পতিবার তিনি হারালেন বিশ্বের ...বিশদ

09:45:00 AM

পান্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় প্রাক্তন ভারতীয় গোয়েন্দার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় একজন প্রাক্তন ...বিশদ

09:41:37 AM

প্রথম টেস্ট (প্রথম ইনিংস): ১৮ রানে আউট ড্যারিল মিচেল, নিউজিল্যান্ড ১৯৩/৪ (তৃতীয় দিন)

09:40:00 AM

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ল দিল্লি, একধাক্কায় কমে গেল বাতাসের গুণগত মান

09:38:00 AM

হাওড়ার কুলগাছিয়ায় গাড়ির ধাক্কায় এক ট্রাফিক পুলিসের মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিসের। আজ, শুক্রবার ...বিশদ

09:35:00 AM

শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
শহরের ঘুম ভাঙল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবরে। আজ, শুক্রবার ভোর ...বিশদ

09:30:10 AM