Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ গণেশ এতশত বুঝত না। ‘তাহার মেজাজের এই আকস্মিক উত্তাপ গণেশের কাছে বড়োই দুর্বোধ্য ঠেকিল। অত তাহার ভবিষ্যতের কথা ভাবিবার, হিসাব করিবার ক্ষমতা নাই। বউ থাকিলে মাঝে-মাঝে ছেলেমেয়ে হয় এই পর্যন্ত সে জানে, সুবিধা অসুবিধার কথাটা ভাবিয়া দ্যাখে না। তা ছাড়া পৃথিবীতে মানুষ আসিলে তাহাকে খাওয়ানোর দায়িত্ব যে মানুষের নয়, যিনি জীব দেন তাঁর, গণেশ এটা বিশ্বাস করে।’ 
একই পথের পথিক দুই চরিত্রকে ভিন্ন সুতোয় গেঁথেছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সুতো বিশ্বাসের, অন্যটি অনিশ্চয়তা, অবিশ্বাসের। অন্ধকারের মধ্যেও একটি চরিত্র আলোর ঠিকানা খুঁজেছে, আর অন্যটি প্রাপ্তির আনন্দ ভুলে ডুবেছে উদ্বেগ-আশঙ্কার পদ্মানদীতে। প্রশ্নটা দৃষ্টিভঙ্গির। যে যেমন চোখে জীবনকে দেখে, জীবন তার কাছে আসে ঠিক তেমনভাবেই। বিজয়া দশমীতে যখন জলের স্রোতে মায়ের নিরঞ্জন হয়, কারও কারও মন হাঁটা দেয় উদাসের দেশে। কেউ কেউ তখনই আবার প্রশ্ন করে, ‘আগামী বছর সপ্তমীটা কবে?’ ক্যালেন্ডার লেখা শুরু হয়ে যায় তখন থেকেই। মনে মনে। সূচনা হয় নতুন কাউন্ট ডাউনের। দু’জনের মধ্যে ভুলটা কে? কেউ না। শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গির তফাত। গণেশের বিশ্বাস ঈশ্বরে। আর কুবের মাঝির বর্তমান যন্ত্রণায়। আসলে ঘড়ির কাঁটা... ফেলে আসা প্রত্যেক মুহূর্ত জন্ম দেয় কোনও না কোনও ঘটনার। তাতে যেমন ইতিবাচক রসদ থাকে, তেমনই মন চাইলে নেগেটিভ তরঙ্গ খুঁজে পেতেও খুব একটা বেগ পেতে হয় না। ওই যে বললাম, ফারাকটা দৃষ্টিভঙ্গির। এক শিক্ষিকা একবার বলেছিলেন, দূর জেলা থেকে পুজোর ঠিক আগে যখন কলকাতায় ফিরতেন, তার চাপ ভোলার নয়। স্কুলে ছুটি পড়ার আনন্দ প্রবল ভিড়ের ত্রাসে বাসের জানালার ফাঁক গলে কোথায় যেন পালিয়ে যেত। কিন্তু তারপরই তিনি আবিষ্কার করতেন, বাসের ছাদে কারা যেন সব উঠে পড়েছে। জানতেন তিনি, ওরা ঢাকি। পুজোয় যখন তিনি বাড়ি ফিরছেন, তারা চলেছে কাজের সন্ধানে। চলতি বাসের ছাদে বসেই যখন ঢাকে তারা বোল তুলত, সে ছিল এক নির্বিকল্প মাদকতা। ভিড়, ঘাম, অস্বস্তির অনুভূতিগুলো বদলে যেত কাশবনের ফাঁক দিয়ে মা দুর্গার মণ্ডপে যাওয়ার দৃশ্যে। নাঃ, তার মধ্যে কোনও দ্বিধা ছিল না। কোনও স্বার্থ ছিল না। রাজনীতিও না। শুধু ছিল বিশ্বাস। 
এবার পুজোর চারটে দিন পেরনোর পর সত্যি বলতে সেই বিশ্বাসটা কেমন একটু ফ্যাকাশে লাগল। সবই আছে, কিন্তু বিশ্বাসের গেলাসটা কোথায় যেন একটু চিড় খেয়েছে। আর জি করের চারতলা থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্রতিবাদ, মানুষের যোগদান, শিয়ালদহ কোর্ট, শীর্ষ আদালত, সিবিআই, সঞ্জয় রায়, নমনীয় সরকার, বাড়তে থাকা দাবি, সরতে থাকা মানুষের কাঁধ, অনশন... এই পুরো ঘটনাক্রমের মধ্যে কোথাও কি বিশ্বাসটাই উধাও হয়ে যায়নি? প্রতিদিন ফিরে যেতে যেতে ডাক্তার এবং সরকারি হাসপাতালের উপর বিশ্বাস হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ। অপারেশনের নির্দিষ্ট ডেট অনির্দিষ্টকালের গর্ভে হারিয়েছে। ঘটিবাটি বিক্রি করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন অনেকেই। সরকারি হাসপাতালে তালা পড়ার জোগাড় হয়েছে, অথচ বেসরকারি চেম্বার চলেছে লাগাতার। বরং আরও বেশি ফুলেফেঁপে উঠেছে। বাংলাদেশের রোগী আসা কমে যাওয়া সত্ত্বেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই দু’মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি মুনাফা করেছে। অবিশ্বাস জন্মানোটা কি অস্বাভাবিক?
সিংহভাগ দাবি মেনে নেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। কেন? মূলত দু’টি দাবির উপর এখনও চেপে বসে আছেন তাঁরা। প্রথমত, মেডিক্যাল কলেজের নির্বাচন। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ। প্রথমটি অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। নির্বাচিত সংগঠন সর্বত্র প্রয়োজন। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি শুধু প্রশাসনে পড়ুয়াদের মতামত প্রকাশের সুযোগই দেয় না, ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতা এবং বাস্তববোধের সঙ্গে পরিচয়ও ঘটায়। পরবর্তীকালে যে প্রফেশনেই তারা যাক না কেন, রাজনীতির বেসিক জ্ঞানের একটা ইতিবাচক প্রভাব থেকেই যায়। এর আগে মুখ্যসচিব মৌখিক আশ্বাস ডাক্তারদের দিয়েছেন যে, নির্বাচন হবে। কিন্তু তাঁরা চাইছেন লিখিত। প্রথম দাবি। কিন্তু বলতে পারেন, দ্বিতীয় দাবিটি কি নিঃসংশয়? কেউ হয়তো জানতে পেরেছেন, তাঁর কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু তার মানে কি তিনি দোষী হয়ে গেলেন? সেই দোষ কোথায় প্রমাণিত হয়েছে? কোন কোর্টে। মিডিয়া ট্রায়াল যদি অন্যায় হয়, পাবলিক ট্রায়ালও তাই।
আন্দোলনকারীরা যদি বলতেন, স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। দোষ প্রমাণ হলে শাস্তি দিতে হবে। সেটা গণতান্ত্রিক এবং সংবিধান সম্মত। কিন্তু অভিযোগ কানে আসা মানেই যদি সাজা দেওয়ার দাবি ওঠে, তাহলে সেটা প্রতিষ্ঠানকেই চ্যালেঞ্জ জানানো নয় কি? কাল আরও পাঁচটা সেক্টর থেকে জুনিয়ররা সরকারের কাছে এসে দাবি করতেই পারে, আমাদের উপরতলাকে পছন্দ নয়। সরাতে হবে। তখন সরকার কী করবে? মেনে নেবে? সেটা কিন্তু হবে না। হতে পারে না। সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। প্রক্রিয়া আছে। আইন আছে। তার বাইরে কেউ নয়। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা জুনিয়র ডাক্তার—কেউই নয়। অর্থাৎ, অবিশ্বাস কিন্তু এক পক্ষের নয়। দু’পক্ষেরই।
লালবাজারের তদন্তে আস্থা না রেখে সিবিআই চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরাই। কিন্তু এখন সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছে। ৫৫ দিন তদন্তের পর তারা যে ‘প্রথম চার্জশিট’ পেশ করেছে, তা আন্দোলনকারীদের মোটেই পছন্দ হয়নি। আরও বেশি কিছু আশা করেছিলেন তাঁরা। মানে এটা কি ধরে নেওয়াই যায়, আর জি করে ধর্ষণ-খুনের ব্যাপারে তাঁরাও বেশ কিছুটা জানেন? তাই শুধু সঞ্জয়কে দোষী হিসেবে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে? জেনে থাকলে নিশ্চয়ই তাঁরা সিবিআইকে জানিয়েছে। তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা সেইসব তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে চার্জশিট পেশ করল না কেন? উত্তর একটাই হতে পারে—অভিযোগ এবং দাবির সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ তাঁরা পাননি। সিবিআইও জানে, দুমদাম কারও নাম চার্জশিটে তুলে দেওয়া যায় না। সেটা প্রমাণ করতে হয় কোর্টে। তাই জুনিয়রদের অবিশ্বাসের কাঠগড়ায় এখন নতুন সংযোজন হয়েছে—সিবিআই। অবিশ্বাস তদন্ত প্রক্রিয়াকে। অবিশ্বাস বিচার ব্যবস্থার উপর।
সময় গড়াচ্ছে। আর সেইসঙ্গে আন্দোলনের মাঝে তৈরি হওয়া ফাঁক ভরাট করছে রাজনীতি। সিপিএম প্রকাশ্যে বলছে, বিরোধী দল না থাকলে আন্দোলন হারিয়ে যাবে। আর দানা বাঁধবে না। একে জিইয়ে রাখতে গেলে তাদের চাই। কয়েকজন বামপন্থী চিকিৎসক ইতিমধ্যে নেতৃত্বের ঝান্ডা নিজে থেকেই হাতে তুলে নিয়েছেন। ডাক্তারদের একাংশ তা মেনে নিয়েছে, অন্য অংশ মানছে না। অভয়ার বিচারের দাবিতে শুরু হওয়া প্রতিবাদের রাজনীতিকরণ চাইছেন না তাঁরা। তাই ফাটল স্পষ্ট। মতের অমিল অনশন নিয়েও। রাজ্য সরকার স্টেটাস রিপোর্ট দিচ্ছে, অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। অসুস্থ হয়ে পড়ছে একের পর দুই, দুইয়ের পর তিন। যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তারা। তরুণ রক্ত। রাজ্যের এবং দেশের ভবিষ্যৎ। প্রতিবাদী মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত এক সিনিয়র চিকিৎসকই বলছিলেন, ‘এটা কি সমাধানসূত্র? এই অনশনের মানে কী? অনশনে বসার পর সরকারকে ডেডলাইন দেওয়ার অর্থ কী? সরকার চাপে পড়েছে, এটা যদি ধরে নিই... তাহলে নিঃসন্দেহে জুনিয়র ডাক্তারদের চাপ আরও বেশি।’ তাঁর কথায় একটা বিষয় স্পষ্ট—সম্মানজনক এসকেপ রুট মিলছে না। নির্বাচন এবং স্বাস্থ্যসচিবকে সরালে, সেটা একটা বেরিয়ে আসার পথ হতে পারে। মানুষকে দেখানো যাবে, এই আমরা জিতলাম। জয় কি সত্যিই এতে আসবে? সরকার এই দাবি মেনে নিলেও কিন্তু জয় আসবে না। কারণ, এর সবটাই হবে ব্ল্যাকমেলের রাজনীতির উপর দাঁড়িয়ে। প্রতিষ্ঠানকে অস্বীকার করে। 
স্কুলবেলায় আমরা প্রায় সবাই একটা গল্প পড়েছিলাম—মধুসূদন দাদা। সেই যে ছোট্ট ছেলেটি ভয় পেত ঘন জঙ্গল পেরিয়ে স্কুলে যেতে। চোখ বন্ধ করে ডাক দিত... মধুসূদন দাদা। তখনই দেখা দিতেন তিনি। জঙ্গল পার করে পৌঁছে দিয়ে আসতেন ছোট্ট ছেলেটিকে। স্কুলের উৎসবে সবাইকে কিছু না কিছু নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। ছেলেটির দায়িত্ব পড়েছিল দই আনার। গরিব, দু’বেলা ঠিকমতো খেতে না পাওয়া মা কীভাবে ছেলের স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য দইয়ের ব্যবস্থা করবেন? মধুসূদন দাদাই দিয়েছিলেন ছেলেটিকে... একটি ছোট্ট পাত্র। শিক্ষক হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এতে সব ছাত্রের হবে নাকি? কিন্তু ওই পাত্রের দই সবটা একজনকে উপুড় করে দেওয়ার পরই অবাক হয়েছিলেন শিক্ষক। পাত্র ফের ভরে গিয়েছে দইতে। সবার হয়েছিল... সমানভাবে। কারণ, ছেলেটি বিশ্বাস রেখেছিল মধুসূদন দাদার উপর। ছেলেবেলায় ওই গল্পটি থেকে আমরা শিখেছিলাম বিশ্বাস করতে। ঈশ্বরের উপর। মানুষের উপর। নিজের উপর। প্রতিষ্ঠানের উপর। এই প্রতিষ্ঠান আমরাই প্রত্যেকে মিলে গড়েছি তিলে তিলে। আমরাই ভোট দিয়েছি। আমরাই বেছে নিয়েছি সরকারকে। পাঁচ বছর সময় আমরাই দিয়েছি তাদের। তাহলে এই অসহিষ্ণুতা, অবিশ্বাস কেন? কেন আমাদের চিন্তাভাবনা আর একটু র‌্যাশনাল হবে না? বাম এবং অতি বাম দলগুলি লাগাতার প্রেস বিবৃতি ইস্যু করছে। ভাষণ দিচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি টুইট করছেন। প্রত্যেকের লক্ষ্য কিন্তু একটাই—সরকার। বিচার নয়। অবিশ্বাসের খোঁচায় সেটা কোথাও একটা মুখ লুকিয়েছে। 
দেবীপক্ষ শেষ হতে চলেছে। চিরাচরিত জীবন। পাওয়া না পাওয়ার টানাপোড়েন। স্বপ্ন দেখা এবং ভেঙে যাওয়া। এই নিয়েই কাটবে একটা বছর। কিন্তু তারপরও থাকবে আশা। আগামীর জন্য। আসছে বছর আবার হবে। এটাই বিশ্বাস... আস্থা। সময়ের উপর। 
শুভ বিজয়া।
15th  October, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিউ আলিপুরে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজট, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

07:38:00 PM

পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ, হতাহতের খবর নেই

07:38:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (৭ মিনিট)

07:37:00 PM

নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অকুস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন, উপস্থিত রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার

07:34:00 PM

কুয়েতের শেখ সাদ আল আবদুল্লাহ ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

07:32:00 PM

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিহারে ৯৪ লক্ষ পরিবারের আয় ৬ হাজার টাকার কম, কাটিহারে বললেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব

07:30:00 PM