Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন। সরকারটি ছিল ‘অস্থায়ী’—কারণ গণতান্ত্রিক ভাবনায় আস্থাশীল নেতাজি মনে করতেন, ভারত স্বাধীন হলে এ-দেশের জনসাধারণই তাঁদের নেতা ও সরকার নির্বাচন করবে। নেতাজির আজাদ হিন্দ সরকারের দায়িত্ব—পরাধীন মাতৃভূমিকে ব্রটিশ শক্তির নাগপাশ থেকে মুক্ত করা। 
দেশের মানুষের কাছে অতিপরিচিত চরকা শোভিত ত্রিবর্ণ পতাকা, যা ছিল তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেসের, সেটাই হল আজাদ হিন্দ সরকারের পতাকা। ব্যাঘ্র শোভিত ত্রিবর্ণ হল আজাদ হিন্দ সরকারের সামরিক দপ্তরের আজাদ হিন্দ ফৌজের নিশান। সরকারের উপদেষ্টা হলেন বিপ্লবী রাসবিহারী বসু। আর রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধমন্ত্রী, বৈদেশিক মন্ত্রী এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও সদস্যাদের মধ্যে আজাদ হিন্দ ফৌজের মতোই হিন্দু, মুসলিম, শিখ, ইশাহি প্রভৃতি সব ধর্মের মানুষজন ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল প্রচার, শিক্ষা, অর্থ প্রভৃতি দপ্তর। সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কয়েকদিনের মধেই নেতাজির আজাদ হিন্দ সরকারকে প্রকাশ্যে একে একে লিখিতভাবে স্বীকৃতি জানায় বিভিন্ন রাষ্ট্র। তাদের মধ্যে ছিল জার্মানি, জাপান, ক্রোয়েশিয়া, চীন, মানচুকো, ফিলিপাইনস, বার্মা, ইতালি, থাইল্যান্ড প্রভৃতি। এছাড়া স্বীকৃতি জানান আয়ারল্যান্ডের ডি-ভ্যালেরা। পরবর্তীকালে আরও জানা যায় যে, রাশিয়ার স্তালিনও আজাদ হিন্দ সরকারকে সমর্থন করেছিলেন। এমনকী সে-দেশে এই নয়া সরকারের দূতাবাস খোলারও ব্যবস্থা হয়। সরকার প্রতিষ্ঠার দিন সিঙ্গাপুরের ক্যাথে হলে ছিল দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ অগণিত গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের ভিড়। সুভাষচন্দ্র আবেগমথিত কণ্ঠে বলেন, ‘ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে বলছি যে, আমি সুভাষচন্দ্র বসু ৩৮ কোটি ভারতবাসীর মুক্তির জন্য আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’ 
কিছুদিনের মধ্যেই আজাদ হিন্দ সরকার পূর্ব এশিয়ার প্রবাসী ভারতীয়দের একান্ত আপন হয়ে উঠল। লোকবল আর অর্থবলে বলীয়ান আজাদ হিন্দ প্রকৃত অর্থেই হয়ে উঠল ভারতের মুক্তি সংগ্রামের জন্য প্রকৃত ভারতীয় মুক্তি ফৌজ। বিশ্বে নজির সৃষ্টি করে তৈরি হল নারী বাহিনী, ঝাঁসি রেজিমেন্ট, বালসেনা ও আজাদ হিন্দ দল। ভারতীয় মুক্তি সংঘ হয়ে উঠল আজাদ  হিন্দ সরকারের অন্যতম চালিকা শক্তি। আজাদ হিন্দ সরকার যুদ্ধ ঘোষণা  করল আমেরিকার বিরুদ্ধে। মূল লক্ষ্য, ভারত থেকে ব্রিটিশকে হটানো—ইংরেজ রাজশক্তিকে তাদের দেশেই ফিরে যেতে হবে। ভারত হল ভারতবাসীর জন্য। প্রবাসী ভারতীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত দানের অর্থেই গড়ে উঠল আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক। জাপান থেকে বিপুল সমরাস্ত্র ও উপকরণ ক্রয়ের দাম ও বৈদেশিক ঋণ মেটানো হয় দেশবাসীর অর্থে। ক্রমশ ব্যাঙ্কের সম্পদ বৃদ্ধি পেতে থাকে। 
সাধারণ সিভিল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা সেনা 
ও গোয়েন্দা বাহিনীর জন্য তিন থেকে আট মাসের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। মোট  নয়টি জায়গায় স্থাপন করা হয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেগুলি তৈরি হয় পেনাং, সোনান, সেরামবান, ইপো, সালেটার, কুয়ালালামপুর, স্যান্ডিক্রাফট এবং রেঙ্গুনে। নিসুনে অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। ট্রেনিদের দৈহিক, মানসিক এবং আত্মিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সেনা বাহিনীকে নেতাজি হুঁশিয়ার করে দেন, বিপক্ষের  নারীদের প্রতি যেন কোনোরূপ অসম্মান প্রদর্শন করা না-হয়। 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে নারীর অপমানের অনেক ঘটনা ঘটেছিল। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ, তাদের হাতে কোথায় নারীর অসম্মানের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ৩০৩ রাইফেল, রিভালভার, বেয়নেট, মেশিনগান, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক, মাইনস, মর্টার, হাতবোমা প্রভৃতির ব্যবহার শেখানো হতো। এছাড়া দেওয়া হতো সামান্য জাপানি ভাষার জ্ঞান এবং জুডো, ড্রিলের সঙ্গে গেরিলা প্রশিক্ষণও।
আজাদ হিন্দ বাহিনীতে নেতাজি সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে এসেছিলেন। তৎকালীন প্রেক্ষিতে ব্যাপারটি প্রায় অসম্ভবই ছিল। সৈন্যরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ  নির্বিশেষে একই পাচকের রান্না একসঙ্গে বসে আহার করতেন। অংশ নিতেন একে অন্যের ধর্মীয় উৎসবে। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জাঠ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকী পার্বত্য  জনজাতির মানুষজনও নেতাজির প্রতি  এবং আজাদ  হিন্দ বাহিনীর উপর আস্থা রেখেছিলেন। নেতাজি সায়গন, সিঙ্গাপুর, টোকিও, রেঙ্গুন ও  ব্যাঙ্ককে আজাদ হিন্দ বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। দৈনিক ‘আজাদ হিন্দ’ পত্রিকা, ইয়ং ইন্ডিয়া, স্বতন্ত্র ভারতম, স্বতন্ত্র ইন্ডিয়া, যুব ভারতম প্রভৃতি পত্র-পত্রিকা ইংরেজি, তামিল ও মালয়ালম ভাষায় নিয়মিত প্রকাশ হতে থাকে। প্রবাসী ভারতীয়রা স্বাধীন  ভারতবর্ষের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আজাদ হিন্দ সরকারের শরিক হয়ে ওঠেন। 
জাপানের সুপ্রিমো জেনারেল তোজো লিখিতভাবে জানান, ভারতের  কোনও জমি যদি জাপ সৈন্য কিংবা আজাদি সেনা দখল করে, সেই জমি হবে আজাদ হিন্দ সরকারের। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ দুটি আজাদ হিন্দ সরকারকে অর্পণ  করেন তিনি। ১৯৪৩-এর ৩০ ডিসেম্বর অখণ্ড ভারতের প্রথম ভূখণ্ড আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ারে প্রথম আজাদ হিন্দের জাতীয়  পতাকা ওড়ে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের নামকরণ করা হয় যথাক্রমে ‘শহিদ দ্বীপ’ ও ‘স্বরাজ দ্বীপ’। ভারতের মূল ভূখণ্ড দখলের লড়াইয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনারা অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দেন। সেটা বিরোধী পক্ষের সেনানায়কেরাও স্বীকার করেন। এই ব্যাপারে ইম্ফল, কোহিমা এবং আরাকানে আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে ইংরেজ বাহিনীর যুদ্ধ উল্ল্যেখযোগ্য। কালাদান উপত্যকায়  জাপানি এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের  সৈন্যরা ইংরেজ সেনাদের উপর চরম আঘাত হানেন। হাকাফালাম-সহ বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। ১৯৪৪-এর এপ্রিলে মণিপুরের মৈরাংয়ে আজাদ হিন্দের বিজয় পতাকা উড়েছিল কর্নেল সৌকত মালিকের নেতৃত্বে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের মোরে থেকে আরম্ভ করে প্যালেল, বিষেণপুর, মৈরাং প্রতি অঞ্চলে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈন্যরা ১৫০০ বর্গমাইল দখল করেন। কোনও কোনও জায়গায় আজাদ হিন্দ সেনাদের সঙ্গে ইঙ্গ-মার্কিন সেনাদের হাতাহাতি এবং মরণপণ যুদ্ধও হয়েছে। হাজার হাজার আজাদি সেনার বুকের তাজা রক্তে উত্তর পূর্ব ভারতের পার্বত্য মাটি ভিজে গিয়েছিল। অবশ্য সেই বিজয় সাড়ে তিনমাসের বেশিকাল ধরে রাখা যায়নি।
পার্বত্য বর্ষার সমস্যা ছিল। ওইসঙ্গে বাধা হয়েছিল সমরাস্ত্র ও খাদ্যের অপ্রতুলতা। কয়েকজনের বিশ্বাসঘাতকতার আঘাতও 
নেমে এসেছিল। সর্বোপরি ছিল জাপানের শক্তিক্ষয়ের মতো মহাবিপদ। আজাদ হিন্দ যুদ্ধবন্দিদের বিচারকে কেন্দ্র করে ভারত জুড়েই প্রবল গণ আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্র-যুব-নৌ-বিদ্রোহ সারা ভারতে ইংরেজ শাসনের ভিত্তি দুর্বল করে দেয়। ফলে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় ইংরেজ। 
নিরুদ্দেশ যাত্রার প্রাক্কালে ১৫ আগস্ট, ১৯৪৫-এ স্বাক্ষরিত এক বিশেষ নির্দেশনামার শেষে নেতাজি লিখেছিলেন, ‘... পৃথিবীতে কোনও শক্তি নেই যা ভারতকে পরাধীন রাখতে পারে। ভারত  স্বাধীন হবেই এবং খুব শীঘ্রই।’
বিদেশি ও বিপক্ষের ঐতিহাসিক, সেনানায়ক এবং রাষ্ট্রপ্রধানরাও একবাক্যে স্বীকার করেন যে, আজাদ হিন্দ বাহিনীর রক্তক্ষয়ী মরণপণ লড়াই ইংরেজকে ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল। নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনী ভারতীয় উপমহাদেশের বাসিন্দাদের এক চিরন্তন উত্তরাধিকার। সেখানে দেশের মুক্তির জন্য জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে প্রকৃত স্বাধীনতার সাধনাই ছিল শেষকথা। ২১ অক্টোবর আজও সমান প্রাসঙ্গিক। বর্তমান ও আগামীর ভারতবর্ষকে এই দিনটি এখনও পথ দেখাতে পারে। জয় হিন্দ।
 লেখক বিশিষ্ট নেতাজি গবেষক। মতামত ব্যক্তিগত
 
21st  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
পাঁচ মাসের কম ব্যবধানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে ফের একবার মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। গত ১ জুন ইউরোপ সেরার ...

প্রথম দিন প্রচারে নেমেই বাজিমাত করলেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। কখনও খোশ মেজাজে কচিকাঁচাদের সঙ্গে খেললেন ফুটবল, আবার কখনও মন্দির ও মাজারে গিয়ে জয়ের জন্য প্রার্থনাও করলেন। তবে এদিন ঢাক, ঢোল, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে ব্যাপক সাড়া পেলেন তৃণমূল ...

সিতাইয়ের আদাবাড়ি থেকেই রাজনীতির সূচনা জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার। এই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই প্রধান হন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন জগদীশ। সেই ...

গত সেপ্টেম্বরে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের সর্বাধিক রাজস্ব আদায় হয়েছে। ওই মাসে ৩৮ কোটির বেশি টাকা জমা পড়েছে কোষাগারে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বাবদ জমা হয়েছে সবচেয়ে বেশি টাকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক তোতলামি সচেতনতা দিবস
১৪৯৪: ইতালীয় নাবিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার দ্বিতীয় আবিষ্কার অভিযান শুরু করেন
১৫৯৯: লন্ডনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু হয়
১৭৬০: নবাব মীর জাফর আলী খান পদচ্যুত হয়
১৭৬৪: বাংলা ও বিহারে নবাবী আমলের অবসান হয় এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়
১৭৭৪: কলকাতায় প্রথম সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৩৩: নিউইয়র্কে বিখ্যাত মেট্রোপলিটন অপেরা হাউস উদ্ধোধন করা হয়
১৮৬২: আব্রাহাম লিংকন ক্রীতদাস মুক্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৯২২: খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রতাপচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৩৪: প্রথম বারের মতো ফটোগ্রাফ রেকর্ডিং চালু হয়
১৯৩৭: কিংবদন্তী অভিনেতা, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ রচয়িতা তথা পরিচালক কাদের খানের জন্ম
১৯৫১:  বাঙালি পদার্থবিদ, বাংলা সাহিত্যের রহস্য রোমাঞ্চ ও কল্পবিজ্ঞানের জনপ্রিয় লেখক অনীশ দেবের জন্ম
১৯৫৪: কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু
১৯৫৭: অভিনেত্রী কিটু গিদোয়ানির জন্ম
১৯৬৪: রাজনীতিবিদ তথা বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জন্ম
১৯৬৫: ভারতের কলকাতা মহানগরীতে প্রথম ইণ্ডেন কোম্পানির 'এলপিজি' (রান্নার গ্যাসের) সংযোগ দেওয়া হয়
১৯৮৮: অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জন্ম
২০০২: যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
২০০৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের মৃত্যু
২০০৮: চন্দ্রায়ন-১-এর সূচনা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৭ টাকা ১১১.৬৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৮ টাকা ৯৩.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৯/৩৫ রাত্রি ১/৩০। মৃগশিরা নক্ষত্র ০/২৮ প্রাতঃ ৫/৫১ পরে আর্দ্রা নক্ষত্র ৫৯/৫৮ শেষরাত্রি ৫/৩৯। সূর্যোদয় ৫/৩৯/৫০, সূর্যাস্ত ৫/২/৩০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ৯/১৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৮ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৫০ গতে উদয়াবধি। ৭/৫ গতে ৮/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৮ গতে ৮/১২ মধ্যে। 
৫ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৭/৩৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১১/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৭ মধ্যে ও ৭/২১ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ৯/১০ গতে ১১/৪৭ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৩/১৬ মধ্যে ও ৫/১ গতে ৫/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ গতে ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৮ গতে ৮/১৩ মধ্যে। 
১৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুন কাণ্ড: ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল পুলিস

01:50:00 PM

পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারতের প্রস্তাবে সায় চীনের
অবশেষে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা ও অচলাবস্থা কাটতে চলেছে। প্রকৃত ...বিশদ

01:48:00 PM

পাইকপাড়ায় পথ দুর্ঘটনা, হত ২
শহরে ফের পথ দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু। আজ, মঙ্গলবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ...বিশদ

01:47:54 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিলেন আর জি করের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা

01:42:19 PM

ছয় জেলায় আপাতত আবাস প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ বন্ধের নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের
আবাস প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ আপাতত ছয় জেলায় ...বিশদ

01:37:00 PM

মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে একটি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম ৯

01:33:23 PM