Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই।
তারই মাঝে যে অমল ধবল পালে হাওয়া লাগে। হাওয়া বয়ে যায় মন্দ মধুর ছন্দে। প্রকৃতির আচরণের এই নিরপেক্ষতা কে আটকাবে! তাই কবিকে প্রতিবারই শরতে বলতে হয়, ‘দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া’। সেই নৌকা, তিনি লক্ষ করেন, কোনও এক সাগরের পার, অজানা সুদূর থেকে অমূল্য ধনসম্পদ বয়ে আনে। সব চাওয়া-পাওয়া ফেলে সেই আনন্দে কবি এখন শুধু ভেসে যেতে চান। পিছনে মেঘের গুরু-গর্জন, জল ঝরছে অঝোরে। কবি সেসব পরোয়া করতে চান না। কেননা মেঘের ঘনঘটা ছিন্ন করে তাঁর মুখে সোনারোদ এসে পড়েছে। তিনি সেই পবিত্র আলোয় স্নাত হতে চান আজ। বিপন্নতা বোধ করলেই আমরা কাণ্ডারীকে খুঁজি। কবিও খুঁজে পেয়েছেন তাঁকে, যিনি সমস্ত হাসিকান্নার ধন। তিনি সেই পরমাত্মার কাছে জানতে চান, ‘কোন সুরে আজ বাঁধিবে যন্ত্র, কী মন্ত্র হবে গাওয়া।’ এতক্ষণ যাঁকে নিয়ে এত কথা হল, তাঁর বিচরণ মনোজগতে, ভাবনার জগতেই কেবল। কিন্তু সেই দেবী নিজেকে বেশিক্ষণ লুকিয়ে রাখতে পারলেন না তো! কবিকে তাই আনন্দে গেয়ে উঠতে হল, ‘আমার নয়ন-ভুলানো এলে’। কবি যখন আমাদের হৃদয়ের কাছে মুখটি বাড়িয়ে এই গান ধরেন, তখন বঙ্গসন্তানের মাদুর্গা ছাড়া আর কারও মুখই মনে আসে না বোধহয়। শিশির ভেজা ঘাসে ঘাসে অরুণ রাঙা চরণ ফেলে এগিয়ে আসছেন তিনি। আবির্ভূত হচ্ছেন দশ হাত দিয়ে মেঘের আবরণ ছিঁড়ে ছিঁড়ে। অমনি আমাদের হিয়ার মাঝে সোনার নূপুর বেজে উঠছে। এই চরম দুর্দিনে বরাভয়ও জাগছে বইকি। কেননা, ‘ডান হাতে যার খড়্গ জ্বলে, বাঁ হাতে করে শঙ্কাহরণ/ দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ।’ হবে নাই-বা কেন? তিনিই তো মহাশক্তি—শুধু সন্তানের জন্ম দেন না, তাকে সবরকমে লালন-পালন করেন এবং তাঁর হাতে দুষ্টের দমনও চলে সমানে—আমাদের বাঁচা ও বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনাবিল রাখতে।
আজ মহাষষ্ঠী। দেবী বছরে একবারই সপরিবারে আসেন আমাদের মাঝখানে। তিনি ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন। প্রথমে জানতে চেয়েছি, ‘শরতে আজ কোন্ অতিথি এলে প্রাণের দ্বারে।’ কিন্তু তিনি স্বয়ংপ্রকাশিত হতেই সেই আমরাই বলেছি, ‘আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দগান গা রে’ এবং ‘তোমার মোহন রূপ কে রয় ভুলে।’ আমাদের মন প্রাণ সমস্ত সত্তা দিয়েই তাঁকে বরণ করে নিয়েছি আমরা। কিন্তু এইভাবে যাঁকে কাছে পেয়েছি এবং বুকের মাঝখানে সবচেয়ে দামি আসনখানি পেতে দিয়েছি, তিনি কি আর আমাদের দূর গ্রহের কেউ রইলেন? তিনি আর কঠিন কঠোর কোনও দেবতা থাকতে পারলেন কি একটুও? ভারতীয় সংস্কৃতি তাঁকে আত্মার আত্মীয়, পরমাত্মীয় করেছে। তাঁর ঠাঁই হয়েছে আমাদেরই তৈরি ঘরে। প্রয়োজনে তাঁকে সন্তানের স্নেহ ভালোবাসাও দিই—প্রিয় বস্ত্র ও অলংকার পরাই, সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারটি খাওয়াই, পাখা নেড়ে হাওয়া করি, ঘুম পাড়াই, তাঁকে গান শোনাই, তাঁকে ঘিরে বাদ্যসহকারে নৃত্য করি, আমাদের ইহজাগতিক সমস্ত সুন্দরই উজাড় করে দিই তাঁর কাছে।
এমন আনন্দের পরিসরে কে আর গণ্ডি এঁকে দিতে চায়, কে চায় যে তা ছোট হোক। আমাদের সহজাত আকাঙ্ক্ষাই এমন আনন্দের দু-কূল ভাসিয়ে দিয়েছে—এবারও। করোনা মহামারীর রক্তচক্ষুও পুজোর আনন্দ থেকে বাঙালিকে দূরবর্তী করতে পারেনি। বাংলাদেশ পরিস্থিতি, আর জি কাণ্ড, বন্যা, মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের আবহ প্রভৃতি একজোট হয়ে এবারও বাঙালিকে গৃহবন্দি করতে পারেনি। বস্তুত মহালয়া পার করে দেবীপক্ষে প্রবেশ করতেই শহর কলকাতা, শহরতলি, কল্যাণী ছাড়িয়ে বাংলার প্রায় সর্বত্র মানুষ পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে। ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঠাকুর দেখেছেন। এসে গিয়েছেন যথারীতি বিদেশি অতিথিরাও।
দেবদেবী আমাদেরই হাতে সাকার হলেও ভিতরে ভিতরে নিরাকারই তাঁরা। মৃত্যু বা বিনাশ বলে কিছু নেই তাঁদের। তাই মাদুর্গা এবং তাঁর চার সন্তান—গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে এক কাঠামোয় বিসর্জন দিতে পারি আমরা। বিচ্ছেদ বিরহ মাত্রই দুঃখের কষ্টের যন্ত্রণার। তবু আমরা মাটির প্রতিমাকে বিসর্জন দেব, এমনকী শোভাযাত্রাসহকারে। এ‍টা আমরা পারব, কেননা আমাদের হৃদয় জুড়ে থাকবে মায়ের চিন্ময়ী রূপখানি। আমরা আরও জানি, ‘আসছে বছর আবার হবে’। মা তো চিরদিনের জন্য সন্তানকে ফেলে যান না। তাঁর প্রস্থানের প্রতিটি পদক্ষেপে লেখা হয়ে যায় আগমনির সুর। প্রতিমা বিসর্জন দিয়েই আমরা মগ্ন হয়ে যাই তাঁর আগমনের কাউন্ট ডাউনে। কিন্তু দেবী যতক্ষণ পুজোমণ্ডপে অধিষ্ঠিত রয়েছেন ততক্ষণ তাঁকে ঘিরেই চলবে আমাদের আনন্দযজ্ঞ। আজকের দিনটি ধরে, আনন্দ লুটে নেওয়ার আরও চারদিন আমাদের হাতে। সবাই ঠাকুর দেখুন, আনন্দ করুন। তবে এসব কোনোভাবেই যেন অন্যের দুঃখকষ্ট, এমনকী সামান্য অসুবিধারও কারণ না-হয়, সবটাই করতে হবে দেশজ রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং অবশ্যই আইনকানুন মেনে। আনন্দের আতিশয্য যেন নিজেরও বিপদের কারণ না-হয় কোনোভাবে, তার নিশ্চয়তা নিজেকেই দিতে হবে।
বিবর্তন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। দুর্গোৎসবও তার অংশভাক। ভগবান রামচন্দ্র দেবীর অকালবোধন করেছিলেন। রামচন্দ্র ভারতবাসীর আদর্শ রাজা। প্রতিটি মানুষ রামরাজ্যের বাসিন্দা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। কিন্তু স্বাধীন ভারতও রামরাজ্য উপহার দিতে পারেনি। উল্টে শ্রীরামচন্দ্রের পবিত্র মূর্তি আর জন্মতিথি ঘিরে ‘প্রজাদের’ যার পর নাই দুঃখ-যন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্ট‍ায় থাকেন একদল স্বঘোষিত রামভক্ত! রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার ফয়সালা রাজনীতির কারবারিরাই করুন। সাধারণ মানুষ তার মধ্যে না ঢুকে দেবীর অকালবোধনকে গ্রহণ করে ভালোই করেছে। তবে বঙ্গদেশে শরতে দেবী দুর্গার আরাধনার প্রাচীনত্ব নিয়ে বিতর্ক মেটেনি। এমন বিতর্কে কান না দিয়ে মানুষ দুর্গোৎসব উদযাপনেই মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছে। তার ফলে ব্যাপারটি দিকে দিকে সুন্দরের প্রতিযোগিতার রূপ পেয়েছে। প্রত্যেকবার আরও সুন্দর করাই পাখির চোখ সকলের। সূচনা পর্বে প্রতিযোগিতায় ছিল ধনাঢ্য পরিবারগুলি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—বড়িশায় সাবর্ণ রায়চৌধুরী, শোভাবাজারে নবকৃষ্ণ দেব, কুমোরটুলির গোবিন্দরাম মিত্র, নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র রায়, প্রাণকৃষ্ণ সিংহ, কেষ্টচন্দ্র মিত্র, রামহরি ঠাকুর, বারাণসী ঘোষ, দর্পনারায়ণ ঠাকুর, রামদুলাল দে সরকার, সুখময় রায়, মদনমোহন দত্ত, কেষ্টচন্দ্র মিত্র, বৈষ্ণবচরণ শেঠ, রূপলাল মল্লিক, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রাণকৃষ্ণ হালদার, মতিলাল শীল প্রভৃতি পরিবার। একেক পরিবারের একেক দিকে নামডাক হয়। প্রবাদে পরিণত হয়—মা এসে গয়না পরেন জোড়াসাঁকোর শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়িতে, ভোজন করেন অভয়চরণ মিত্র বাড়িতে আর রাতে নাচগান দেখেন শোভাবাজার রাজবাড়িতে।’ দাঁ মশাই নাকি প্যারিস থেকে হিরে চুনি পান্নার গয়না গড়িয়ে এনেছিলেন! সেকালের পারিবারিক পুজোর জাঁকই, কলকাতাসহ বাংলার বিভিন্ন বিগ বাজেটের সর্বজনীন পুজোগুলিতে এসে পড়েছে নাকি?
আমরাও এই বিবর্তনের অংশীদার ও সাক্ষী থেকে সামনে সুন্দরের দিকেই এগিয়ে যাই তবে। ওইসঙ্গে গ্রহণ করি পুজোর দু-দুটি অনবদ্য উপহার। অবশেষে এসেছে আমাদের প্রাণের ভাষা, বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি এবং ঘোষিত হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার নির্ঘণ্ট। মাতৃভাষার এই কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি নিয়েই যেন আমরা থেমে না যাই। এতে আমাদের দায়িত্ব বরং বেড়ে গেল। বাংলাভাষার চর্চা ও ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। বাংলাভাষায় ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে আরও ভালো ভালো বই। স্টাইল মেরে ‘বাংলিশ’ বা ‘বাংহি’ বলার প্রবণতা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে ক্রমে। এই অবাঞ্ছিত স্টাইল হীনমন্যতা থেকেই। আমরা নিশ্চয় চাইব না, ‘ধ্রুপদী’ তকমা নিয়ে বাংলাকেও সংস্কৃতের মতো ‘ডেড ল্যাঙ্গুয়েজ’ করে ফেলতে। উচ্চশিক্ষার প্রধান বাহন এবং সরকারি কাজে ও আদালতে বাংলাভাষার ব্যবহার বৃদ্ধি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে কোনোদিনই পৌঁছতে পারব না আমরা। এবারের বইমেলা যেন বাংলাভাষার এই বিরাট স্বীকৃতির সঙ্গে যথাযথ সংগত করতে পারে, এই প্রত্যাশাও থাকবে আমাদের। তবেই পুজো দেখার সঙ্গে পুজোর উপহার দুটিও আমাদের জন্য যথার্থ আনন্দদায়ক হয়ে উঠতে পারবে।
09th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
একনজরে
উৎসবের মরশুম বলে কথা, সাদামাটা খাবার পাতে দিলে চলে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পদের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন ...

ময়নাগুড়িতে এ বছর কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমার চাহিদা সব থেকে বেশি। স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি প্রতিমার থেকে কৃষ্ণনগরের ছাঁচের প্রতিমা বিক্রি করে দোকানিরাও খুশি। অপরদিকে, কৃষ্ণনগরের প্রতিমা ...

শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...

টানা তিনমাস বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা। ১৯ জুলাই থেকে দুই বাংলার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ট্র্যাকে নামা বন্ধ হয়। সেইসময় থেকেই ওপারে শুরু হয় চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM