Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই।
তারই মাঝে যে অমল ধবল পালে হাওয়া লাগে। হাওয়া বয়ে যায় মন্দ মধুর ছন্দে। প্রকৃতির আচরণের এই নিরপেক্ষতা কে আটকাবে! তাই কবিকে প্রতিবারই শরতে বলতে হয়, ‘দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া’। সেই নৌকা, তিনি লক্ষ করেন, কোনও এক সাগরের পার, অজানা সুদূর থেকে অমূল্য ধনসম্পদ বয়ে আনে। সব চাওয়া-পাওয়া ফেলে সেই আনন্দে কবি এখন শুধু ভেসে যেতে চান। পিছনে মেঘের গুরু-গর্জন, জল ঝরছে অঝোরে। কবি সেসব পরোয়া করতে চান না। কেননা মেঘের ঘনঘটা ছিন্ন করে তাঁর মুখে সোনারোদ এসে পড়েছে। তিনি সেই পবিত্র আলোয় স্নাত হতে চান আজ। বিপন্নতা বোধ করলেই আমরা কাণ্ডারীকে খুঁজি। কবিও খুঁজে পেয়েছেন তাঁকে, যিনি সমস্ত হাসিকান্নার ধন। তিনি সেই পরমাত্মার কাছে জানতে চান, ‘কোন সুরে আজ বাঁধিবে যন্ত্র, কী মন্ত্র হবে গাওয়া।’ এতক্ষণ যাঁকে নিয়ে এত কথা হল, তাঁর বিচরণ মনোজগতে, ভাবনার জগতেই কেবল। কিন্তু সেই দেবী নিজেকে বেশিক্ষণ লুকিয়ে রাখতে পারলেন না তো! কবিকে তাই আনন্দে গেয়ে উঠতে হল, ‘আমার নয়ন-ভুলানো এলে’। কবি যখন আমাদের হৃদয়ের কাছে মুখটি বাড়িয়ে এই গান ধরেন, তখন বঙ্গসন্তানের মাদুর্গা ছাড়া আর কারও মুখই মনে আসে না বোধহয়। শিশির ভেজা ঘাসে ঘাসে অরুণ রাঙা চরণ ফেলে এগিয়ে আসছেন তিনি। আবির্ভূত হচ্ছেন দশ হাত দিয়ে মেঘের আবরণ ছিঁড়ে ছিঁড়ে। অমনি আমাদের হিয়ার মাঝে সোনার নূপুর বেজে উঠছে। এই চরম দুর্দিনে বরাভয়ও জাগছে বইকি। কেননা, ‘ডান হাতে যার খড়্গ জ্বলে, বাঁ হাতে করে শঙ্কাহরণ/ দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ।’ হবে নাই-বা কেন? তিনিই তো মহাশক্তি—শুধু সন্তানের জন্ম দেন না, তাকে সবরকমে লালন-পালন করেন এবং তাঁর হাতে দুষ্টের দমনও চলে সমানে—আমাদের বাঁচা ও বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনাবিল রাখতে।
আজ মহাষষ্ঠী। দেবী বছরে একবারই সপরিবারে আসেন আমাদের মাঝখানে। তিনি ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন। প্রথমে জানতে চেয়েছি, ‘শরতে আজ কোন্ অতিথি এলে প্রাণের দ্বারে।’ কিন্তু তিনি স্বয়ংপ্রকাশিত হতেই সেই আমরাই বলেছি, ‘আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দগান গা রে’ এবং ‘তোমার মোহন রূপ কে রয় ভুলে।’ আমাদের মন প্রাণ সমস্ত সত্তা দিয়েই তাঁকে বরণ করে নিয়েছি আমরা। কিন্তু এইভাবে যাঁকে কাছে পেয়েছি এবং বুকের মাঝখানে সবচেয়ে দামি আসনখানি পেতে দিয়েছি, তিনি কি আর আমাদের দূর গ্রহের কেউ রইলেন? তিনি আর কঠিন কঠোর কোনও দেবতা থাকতে পারলেন কি একটুও? ভারতীয় সংস্কৃতি তাঁকে আত্মার আত্মীয়, পরমাত্মীয় করেছে। তাঁর ঠাঁই হয়েছে আমাদেরই তৈরি ঘরে। প্রয়োজনে তাঁকে সন্তানের স্নেহ ভালোবাসাও দিই—প্রিয় বস্ত্র ও অলংকার পরাই, সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারটি খাওয়াই, পাখা নেড়ে হাওয়া করি, ঘুম পাড়াই, তাঁকে গান শোনাই, তাঁকে ঘিরে বাদ্যসহকারে নৃত্য করি, আমাদের ইহজাগতিক সমস্ত সুন্দরই উজাড় করে দিই তাঁর কাছে।
এমন আনন্দের পরিসরে কে আর গণ্ডি এঁকে দিতে চায়, কে চায় যে তা ছোট হোক। আমাদের সহজাত আকাঙ্ক্ষাই এমন আনন্দের দু-কূল ভাসিয়ে দিয়েছে—এবারও। করোনা মহামারীর রক্তচক্ষুও পুজোর আনন্দ থেকে বাঙালিকে দূরবর্তী করতে পারেনি। বাংলাদেশ পরিস্থিতি, আর জি কাণ্ড, বন্যা, মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের আবহ প্রভৃতি একজোট হয়ে এবারও বাঙালিকে গৃহবন্দি করতে পারেনি। বস্তুত মহালয়া পার করে দেবীপক্ষে প্রবেশ করতেই শহর কলকাতা, শহরতলি, কল্যাণী ছাড়িয়ে বাংলার প্রায় সর্বত্র মানুষ পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে। ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঠাকুর দেখেছেন। এসে গিয়েছেন যথারীতি বিদেশি অতিথিরাও।
দেবদেবী আমাদেরই হাতে সাকার হলেও ভিতরে ভিতরে নিরাকারই তাঁরা। মৃত্যু বা বিনাশ বলে কিছু নেই তাঁদের। তাই মাদুর্গা এবং তাঁর চার সন্তান—গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে এক কাঠামোয় বিসর্জন দিতে পারি আমরা। বিচ্ছেদ বিরহ মাত্রই দুঃখের কষ্টের যন্ত্রণার। তবু আমরা মাটির প্রতিমাকে বিসর্জন দেব, এমনকী শোভাযাত্রাসহকারে। এ‍টা আমরা পারব, কেননা আমাদের হৃদয় জুড়ে থাকবে মায়ের চিন্ময়ী রূপখানি। আমরা আরও জানি, ‘আসছে বছর আবার হবে’। মা তো চিরদিনের জন্য সন্তানকে ফেলে যান না। তাঁর প্রস্থানের প্রতিটি পদক্ষেপে লেখা হয়ে যায় আগমনির সুর। প্রতিমা বিসর্জন দিয়েই আমরা মগ্ন হয়ে যাই তাঁর আগমনের কাউন্ট ডাউনে। কিন্তু দেবী যতক্ষণ পুজোমণ্ডপে অধিষ্ঠিত রয়েছেন ততক্ষণ তাঁকে ঘিরেই চলবে আমাদের আনন্দযজ্ঞ। আজকের দিনটি ধরে, আনন্দ লুটে নেওয়ার আরও চারদিন আমাদের হাতে। সবাই ঠাকুর দেখুন, আনন্দ করুন। তবে এসব কোনোভাবেই যেন অন্যের দুঃখকষ্ট, এমনকী সামান্য অসুবিধারও কারণ না-হয়, সবটাই করতে হবে দেশজ রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং অবশ্যই আইনকানুন মেনে। আনন্দের আতিশয্য যেন নিজেরও বিপদের কারণ না-হয় কোনোভাবে, তার নিশ্চয়তা নিজেকেই দিতে হবে।
বিবর্তন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। দুর্গোৎসবও তার অংশভাক। ভগবান রামচন্দ্র দেবীর অকালবোধন করেছিলেন। রামচন্দ্র ভারতবাসীর আদর্শ রাজা। প্রতিটি মানুষ রামরাজ্যের বাসিন্দা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। কিন্তু স্বাধীন ভারতও রামরাজ্য উপহার দিতে পারেনি। উল্টে শ্রীরামচন্দ্রের পবিত্র মূর্তি আর জন্মতিথি ঘিরে ‘প্রজাদের’ যার পর নাই দুঃখ-যন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্ট‍ায় থাকেন একদল স্বঘোষিত রামভক্ত! রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার ফয়সালা রাজনীতির কারবারিরাই করুন। সাধারণ মানুষ তার মধ্যে না ঢুকে দেবীর অকালবোধনকে গ্রহণ করে ভালোই করেছে। তবে বঙ্গদেশে শরতে দেবী দুর্গার আরাধনার প্রাচীনত্ব নিয়ে বিতর্ক মেটেনি। এমন বিতর্কে কান না দিয়ে মানুষ দুর্গোৎসব উদযাপনেই মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছে। তার ফলে ব্যাপারটি দিকে দিকে সুন্দরের প্রতিযোগিতার রূপ পেয়েছে। প্রত্যেকবার আরও সুন্দর করাই পাখির চোখ সকলের। সূচনা পর্বে প্রতিযোগিতায় ছিল ধনাঢ্য পরিবারগুলি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—বড়িশায় সাবর্ণ রায়চৌধুরী, শোভাবাজারে নবকৃষ্ণ দেব, কুমোরটুলির গোবিন্দরাম মিত্র, নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র রায়, প্রাণকৃষ্ণ সিংহ, কেষ্টচন্দ্র মিত্র, রামহরি ঠাকুর, বারাণসী ঘোষ, দর্পনারায়ণ ঠাকুর, রামদুলাল দে সরকার, সুখময় রায়, মদনমোহন দত্ত, কেষ্টচন্দ্র মিত্র, বৈষ্ণবচরণ শেঠ, রূপলাল মল্লিক, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রাণকৃষ্ণ হালদার, মতিলাল শীল প্রভৃতি পরিবার। একেক পরিবারের একেক দিকে নামডাক হয়। প্রবাদে পরিণত হয়—মা এসে গয়না পরেন জোড়াসাঁকোর শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়িতে, ভোজন করেন অভয়চরণ মিত্র বাড়িতে আর রাতে নাচগান দেখেন শোভাবাজার রাজবাড়িতে।’ দাঁ মশাই নাকি প্যারিস থেকে হিরে চুনি পান্নার গয়না গড়িয়ে এনেছিলেন! সেকালের পারিবারিক পুজোর জাঁকই, কলকাতাসহ বাংলার বিভিন্ন বিগ বাজেটের সর্বজনীন পুজোগুলিতে এসে পড়েছে নাকি?
আমরাও এই বিবর্তনের অংশীদার ও সাক্ষী থেকে সামনে সুন্দরের দিকেই এগিয়ে যাই তবে। ওইসঙ্গে গ্রহণ করি পুজোর দু-দুটি অনবদ্য উপহার। অবশেষে এসেছে আমাদের প্রাণের ভাষা, বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি এবং ঘোষিত হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার নির্ঘণ্ট। মাতৃভাষার এই কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি নিয়েই যেন আমরা থেমে না যাই। এতে আমাদের দায়িত্ব বরং বেড়ে গেল। বাংলাভাষার চর্চা ও ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। বাংলাভাষায় ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে আরও ভালো ভালো বই। স্টাইল মেরে ‘বাংলিশ’ বা ‘বাংহি’ বলার প্রবণতা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে ক্রমে। এই অবাঞ্ছিত স্টাইল হীনমন্যতা থেকেই। আমরা নিশ্চয় চাইব না, ‘ধ্রুপদী’ তকমা নিয়ে বাংলাকেও সংস্কৃতের মতো ‘ডেড ল্যাঙ্গুয়েজ’ করে ফেলতে। উচ্চশিক্ষার প্রধান বাহন এবং সরকারি কাজে ও আদালতে বাংলাভাষার ব্যবহার বৃদ্ধি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে কোনোদিনই পৌঁছতে পারব না আমরা। এবারের বইমেলা যেন বাংলাভাষার এই বিরাট স্বীকৃতির সঙ্গে যথাযথ সংগত করতে পারে, এই প্রত্যাশাও থাকবে আমাদের। তবেই পুজো দেখার সঙ্গে পুজোর উপহার দুটিও আমাদের জন্য যথার্থ আনন্দদায়ক হয়ে উঠতে পারবে।
09th  October, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিউ আলিপুরে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজট, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

07:38:00 PM

পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ, হতাহতের খবর নেই

07:38:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (৭ মিনিট)

07:37:00 PM

নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অকুস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন, উপস্থিত রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার

07:34:00 PM

কুয়েতের শেখ সাদ আল আবদুল্লাহ ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

07:32:00 PM

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিহারে ৯৪ লক্ষ পরিবারের আয় ৬ হাজার টাকার কম, কাটিহারে বললেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব

07:30:00 PM