Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমরা কী প্রার্থনা করিব, তাহাই অহরহ পরখ করিতেছি। আজ বলিতেছি খেলা, কাল বলিতেছি ধন, পরদিন বলিতেছি মান— এমনি করিয়া সংসারকে অবিশ্রাম মন্থন করিতেছি— আলোড়ন করিতেছি। কিসের জন্য?— ধর্ম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। তাই দিকে দিকে এখনও রবি ঠাকুরকেই উদ্ধৃত করাটা ফ্যাশন। ছেলেবেলায় পরীক্ষায় রচনা লেখার সময় ওঁকেই কোট করতাম। এখনও তার অন্যথা হচ্ছে না। কে যেন ওই সময় শিখিয়েছিল, রবি ঠাকুরকে কোট করতে পারলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। এখনও আমরা সবাই তাঁকেই অবিকল ছেপে চলেছি। সুবিধাও আছে। কারণ, হেন কোনও বিষয় নেই, যে ব্যাপারে তিনি লিখে যাননি। কিন্তু আজও তিনি একইভাবে সমসাময়িক হয়ে থেকে গেলেন কীভাবে? কারণ একটাই—সমাজ তখন ছিল পেঁয়াজের মতো। আজও তাই। খোলা ছাড়ালেই নতুন দৃশ্য। আর সেই সঙ্গে ঝাঁঝ। তাই বলতেই পারি, রবি ঠাকুরের সময়ের তুলনায় আজ সমাজের ভাঁজ এবং ডিসপ্লে শুধু বদলেছে। চাহিদা বা আদায়ের ঢঙ মোটেও বদলায়নি। প্রথম দিনের সিসি ক্যামেরার দাবি দ্বিতীয় দিনে বদলে হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা, তো তৃতীয় দিনে সচিবকে সরানোর আব্দার। এই দাবিদাওয়া মেটাবে কে? কেন? সরকার মেটাবে! মুখ্যমন্ত্রী মেটাবেন! এই সব চাহিদা তিনি মেটাতে বাধ্য। প্রশাসনের মাথায় বসে আছেন। তাঁর একটা দায়িত্ব নেই? কী এমন কাজ করেন তিনি? বন্যা হলে প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে যান? ধস নামলে কি পাহাড়ে ছুটে গিয়ে সব সামলে আসেন? নাকি ১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র আটকে দিলে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান? কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার... এসব তো উৎকোচ! এই যে একটা রাজ্য চলছে... তার বিভিন্ন দপ্তর, ঘরে ঘরে জল, বিদ্যুৎ, আইন-শৃঙ্খলা, নানাবিধ পরিষেবা... এইসব তো এমনিই চলে। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী? তাই তাঁর উচিত খবর পাওয়া মাত্র অবস্থান মঞ্চে এসে বসা। সর্বক্ষণ জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি শোনা এবং যা তাঁরা বলছেন, তক্ষুণি মেনে নিয়ে অফিসারদের তাড়িয়ে দেওয়া। এমনটা না করলেই তিনি মানব বিরোধী। আর যাঁরা এইসব দাবির দেওয়ালের পিছনে দাঁড়িয়ে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাটাকে লাটে তুলে দিয়েছেন? তাঁরা সংস্কারক। কর্তব্য পালন করছেন তাঁরা। কীভাবে? বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে রোগী দেখে! ‘ওটি’ করে! 
গুপ্তবাবু যেমন করেছেন। তাঁকে যদি প্রশ্ন করি, ৯ আগস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালে ক’টা কাঁটাছেঁড়া করেছেন? গুনে শেষ করতে পারবেন তো? নার্সিংহোমের সংখ্যা তো কমপক্ষে ১২টা। ইনকাম তাহলে কত হয়েছে? আপনারই রেজিস্ট্রেশন নম্বর তো ‘জি’ দিয়ে শেষ হচ্ছে তাই না? তাহলে খুব ভুল করছি না। আর যেমন ডাক্তারিটা মন দিয়ে করেন মালাকার মশাই। তিনি তো শুনছি এই সময়ে শুধু স্বাস্থ্যসাথীতেই ১৬টা কেস করেছেন। যতদূর জানা যাচ্ছে, তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর শুরু হচ্ছে ‘সি’ দিয়ে। আর বলতে পারি শেখ সাহেবের কথা। তিনি আবার কলকাতার নন। দক্ষিণবঙ্গের একটু দূরের জেলার মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার (রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাঝে ৫৪ নম্বরটি আছে)। ৫০টিরও বেশি কেস এই দু’মাসে হ্যান্ডল করেছেন তিনি। আয়ের অঙ্কটা? না হয় গোপনই থাক। এঁদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই মিল একটা বিষয়ে—এঁরা সবাই হাতিয়ার করেছেন রাজ্যের সাধারণ, গরিব মানুষকে। স্বাস্থ্যক্ষেত্র এমন একটা জায়গা, যার উপর আঘাত এলে কোনও সরকারই চোখ ঘুরিয়ে থাকতে পারবে না। খেটে খাওয়া, গরিব মানুষগুলো প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা খরচ করে সরকারি হাসপাতালের দরজায় হত্যে দেবে। তারপরও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অপারেশনের ডেট পড়লে তা বাতিলও হবে। বলা হবে, ‘সব নর্মাল হলে আসবেন।’ কবে হবে নর্মাল? সেই উত্তর কি দিতে পারবেন? ততদিন ওই গরিব মানুষটার রোগ অপেক্ষা করবে তো? তার প্রাণটুকু থাকবে তো শরীরে? আপনার বাড়ির কেউ মরণাপন্ন হলেও কি একই কথা বলবেন? ‘মা, আর একটু অপেক্ষা করো। সব নর্মাল হলে হাসপাতালে নিয়ে যাব।’ না বলবেন না। তাঁকে আপনি নিয়ে যাবেন বেসরকারি হাসপাতালেই। কারণ, সেখানে কর্মবিরতি নেই। আপনি বা আপনার কোনও সহকর্মী সেই হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত। যে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে হয়, সেটাই ওই নার্সিংহোমে বিল হবে বিশ হাজার টাকার। যে অস্ত্রোপচার পিজি বা মেডিক্যাল কলেজে রাজ্যের প্রথম সারির ডাক্তাররা নিখরচায় করেন, তার জন্য ওই বেসরকারি হাসপাতালে গুনতে হবে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাহলে খেটে খাওয়া ওই মানুষগুলোকে সত্যিই কি দাবি আদায়ের হাতিয়ার বলা যায়? না শব্দটা আরও নির্দিষ্ট—তাঁরা আজ ‘পণবন্দি’। দাবি মানুন, না হলে স্বাস্থ্য ধর্মঘট। এটা কোনও সুনাগরিকের বক্তব্য হতে পারে? এটা কি থ্রেট কালচার নয়? বাম জমানায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কী আচরণ করা হতো, তা জানার জন্য ইতিহাসবিদ হতে হয় না। একটু খোঁজখবর করলেই জানা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপরাধ, তিনি এই আন্দোলনের প্রতি নমনীয়। অভয়া কাণ্ডের বিচার সিবিআই করছে। তাও সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে। আর জি করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তভারও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। তাহলে রাজ্য সরকার কোন দাবি পূরণ করবে? মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নির্বাচন? তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী চার মাস সময় চেয়েছেন। আন্দোলনকারীরা তাতেও খুশি নন। এছাড়া তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যসচিবকে সরাতে হবে। কেন? তিনি নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ? সন্দেহ আছে। তাহলে কীসের ভিত্তিতে তাঁর মতো একজন আইএএস অফিসারকে রাজ্য সরকার সরিয়ে দেবে? কাদের কথায়? যাঁরা একদিকে আন্দোলন চালাবেন, আর অন্যদিকে ‘পণবন্দি’ গরিব রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করবেন? 
বাম জমানার শেষের দিকেও কখনও সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছেন? আর ইদানীং? ফারাক কি কিছু চোখে পড়েছে? রোগীর চাপ তখনও ছিল। এখনও আছে। কিন্তু পরিকাঠামো, চিকিৎসা ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি... বদল এসেছে। সেটা দেখার জন্য কোনও পার্টির চাদর গায়ে জড়াতে হয় না। বরং নিরপেক্ষ চোখ লাগে। আর দালালরাজ। সেটা সব জমানাতেই ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে। তার জন্য দায়ী আমরাই। মুর্শিদাবাদ বা পুরুলিয়া থেকে প্রথমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এসে রোগীর পরিজন মাঝসমুদ্রে পড়েন। কোথায় যাবেন, কার সঙ্গে কথা বলবেন, ভর্তির জন্য কী করতে হবে... কূল পান না তাঁরা। ওই রোগীর বাড়ির লোকজনই তখন খুঁজে বের করেন দালাল। দুটো পয়সা নিক, কিন্তু কাজটা হয়ে যাবে। সেই দালাল কিন্তু বোড়ে মাত্র। ওই চেইনটা পাড়ি দেয় উপরতলা পর্যন্ত। কর্তৃপক্ষ হতে পারে, রোগী কল্যাণ সমিতি, বা ইউনিয়ন। নির্বাচিত ইউনিয়ন বা রোগী কল্যাণ সমিতিতে প্রতিনিধিত্ব থাকলে এই সবই থাকবে হাতের মুঠোয়। সবচেয়ে বড় কথা, তা যদি শাসক দলের না হয়, তাহলে তো পোয়া বারো। সরকার অপছন্দের কোনও নির্দেশিকা জারি করলে তার বিরোধিতা করা যাবে সরকারিভাবেই। দাবি না মানলে? ‘পণবন্দি’ গরিব রোগীগুলো তো আছেই! আর সঙ্গে আছে নাগরিক সমাজ নামে তথাকথিত এলিট ক্লাসের একটা অংশ। তারা কোনওদিন সরকারি হাসপাতালে যাবে না, টিকিট কেটে ওপিডির লাইন দেবে না, অপারেশনের ডেট পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষাও করবে না। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি অস্ত্রে শান দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করবে। তারা এটাও ভাববে না, ফেবু করে বাংলায় অন্তত ভোট প্রভাবিত করা যায় না। জনমতও তৈরি হয় না। কারণ, সমাজের খেটে খাওয়া যে শ্রেণির ভরসায় আমরা ফুটানি মারি, তারা কিন্তু এই আন্দোলনকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারাই। সরাসরি। আর ‘পণবন্দি’ ওই শ্রেণিটাকে সামনে রেখে সরকার-মন্থন চলছে। অমৃত যা মিলবে, তাদের। আর বিষ? সেটা কে পান করবে? অমৃত বেরলে তো বিষ আসবেই। এটাই নিয়ম। এটাই ভবিতব্য। সংসারের ব্যালান্স। সেই বিষও কিন্তু সমাজকেই পান করতে হবে। যাঁরা আজ অনশন করছেন, আন্দোলনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন, তাঁদের অধিকাংশই সৎ। নিজেদের দায়িত্বের এবং কর্তব্যের প্রতি তাঁদের আস্থা আছে। সমাজে একটা ইতিবাচক দাগ রেখে যাওয়ার চেষ্টাও হয়তো করছেন তাঁরা। কিন্তু বুকে হাত রেখে বলুন তো, সাধারণ মানুষকে ‘পণবন্দি’ বানিয়ে এই আন্দোলনের সুফল ভোগ করা যাবে তো? আপনারা কিন্তু গুটিকয়। ওই বোড়ের মতোই। আসল নেপথ্যচারীরা আপনাদের সামনে রেখেই স্বার্থসিদ্ধি করছেন এবং করবেন। কেউ কাইন্ডে। আবার কেউ ক্যাশে। কেউ আবার ভবিষ্যতে রাজনীতির মূলস্রোতে যাবেন। তারই ভিত মজবুত করা চলছে। অভয়ার দোষীদের শাস্তি হোক। দুর্নীতি থাকলে তদন্ত হোক। ব্যবস্থা নিক সরকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের যন্ত্রণার বিনিময়ে নয়। আন্দোলন আপনাদের। পথ আপনারাই বের করবেন। সেই পথে সততা থাকলে, সেই পথ ক্ষতিকর না হলে মানুষও আপনাদের পাশে থাকবে। তার জন্য কোনও রাজনীতির ঝান্ডা লাগবে না। সরকার হাত জোড় করবে। কিন্তু জোড়হাত হতে হবে আমাদেরও। প্রত্যেক মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারলে সিংহাসনে জোর খাটে না... ‘রাজারও না, প্রজারও না।’ এই শিক্ষাটাও তো ‘মুক্তধারা’য় রবি ঠাকুরই দিয়ে গিয়েছেন। রাজাকে। প্রজাকেও।
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ৬৪ বছর পর পুনর্নির্মাণ হচ্ছে একটি হিন্দু মন্দিরের। এর জন্য ১ কোটি পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করল সরকার।  ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের রবি নদীর পশ্চিম তীরের নারোয়ালের জাফরওয়াল শহরে রয়েছে বাওলি ...

জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত জম্মু ও কাশ্মীর। গান্ধেরবালের সোনমার্গে রবিবারের হামলার নিন্দায় সরব সারা দেশ। এরইমধ্যে সোমবার ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা ফরেন্সিক পরীক্ষা করেছেন। ...

গত সেপ্টেম্বরে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের সর্বাধিক রাজস্ব আদায় হয়েছে। ওই মাসে ৩৮ কোটির বেশি টাকা জমা পড়েছে কোষাগারে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বাবদ জমা হয়েছে সবচেয়ে বেশি টাকা। ...

কালীপুজোর ভিড় সামলাতে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ রাখতে এলাকার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করল বারাসত পুলিস জেলা কর্তৃপক্ষ।  ঠিক হয়েছে, ছোট থেকে বড় সব  পুজো কমিটিকে দিনের বেলায় তো বটেই, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখতে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরিকি সম্পত্তি মামলায় ফল অনুকূল হতে পারে। উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতির যোগ। অর্থাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক তোতলামি সচেতনতা দিবস
১৪৯৪: ইতালীয় নাবিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার দ্বিতীয় আবিষ্কার অভিযান শুরু করেন
১৫৯৯: লন্ডনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু হয়
১৭৬০: নবাব মীর জাফর আলী খান পদচ্যুত হয়
১৭৬৪: বাংলা ও বিহারে নবাবী আমলের অবসান হয় এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়
১৭৭৪: কলকাতায় প্রথম সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৩৩: নিউইয়র্কে বিখ্যাত মেট্রোপলিটন অপেরা হাউস উদ্ধোধন করা হয়
১৮৬২: আব্রাহাম লিংকন ক্রীতদাস মুক্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৯২২: খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রতাপচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৩৪: প্রথম বারের মতো ফটোগ্রাফ রেকর্ডিং চালু হয়
১৯৩৭: কিংবদন্তী অভিনেতা, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ রচয়িতা তথা পরিচালক কাদের খানের জন্ম
১৯৫১:  বাঙালি পদার্থবিদ, বাংলা সাহিত্যের রহস্য রোমাঞ্চ ও কল্পবিজ্ঞানের জনপ্রিয় লেখক অনীশ দেবের জন্ম
১৯৫৪: কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু
১৯৫৭: অভিনেত্রী কিটু গিদোয়ানির জন্ম
১৯৬৪: রাজনীতিবিদ তথা বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জন্ম
১৯৬৫: ভারতের কলকাতা মহানগরীতে প্রথম ইণ্ডেন কোম্পানির 'এলপিজি' (রান্নার গ্যাসের) সংযোগ দেওয়া হয়
১৯৮৮: অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জন্ম
২০০২: যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
২০০৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের মৃত্যু
২০০৮: চন্দ্রায়ন-১-এর সূচনা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৭ টাকা ১১১.৬৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৮ টাকা ৯৩.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৯/৩৫ রাত্রি ১/৩০। মৃগশিরা নক্ষত্র ০/২৮ প্রাতঃ ৫/৫১ পরে আর্দ্রা নক্ষত্র ৫৯/৫৮ শেষরাত্রি ৫/৩৯। সূর্যোদয় ৫/৩৯/৫০, সূর্যাস্ত ৫/২/৩০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ৯/১৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৮ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৫০ গতে উদয়াবধি। ৭/৫ গতে ৮/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৮ গতে ৮/১২ মধ্যে। 
৫ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৭/৩৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১১/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৭ মধ্যে ও ৭/২১ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ৯/১০ গতে ১১/৪৭ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৩/১৬ মধ্যে ও ৫/১ গতে ৫/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ গতে ৮/৩১ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৮ গতে ৮/১৩ মধ্যে। 
১৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

01:59:00 PM

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের চূড়ামণিপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে উল্টে গেল যাত্রীবাহী বাস, জখম ২৫

01:56:00 PM

মালদহের ইংলিশবাজারে বোমা ফেটে জখম এক শিশু
বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম এক শিশু। আজ, ...বিশদ

01:55:00 PM

কমনওয়েলথ গেমস ২০২৬: ক্রিকেট, হকি ও কুস্তির মতো খেলাগুলি বাদ পড়ল তালিকা থেকে

01:54:23 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা শাসক, পুলিস সুপার সহ বিডিওরা

01:53:00 PM

কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুন কাণ্ড: ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল পুলিস

01:50:00 PM