Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তাই রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন— ‘লক্ষ্মী আমায় বল দেখি মা/ লুকিয়ে ছিলি কোন সাগরে/ সহসা আজ কাহার পুণ্যে/ উদয় হলি মোদের ঘরে।’
মহাভারতের শান্তিপর্বে বলা হয়, একবার দেবতাদের কিছু আচরণে (অতি অহংকার, মদমত্ততা, আলস্য প্রভৃতি) অসন্তুষ্ট হয়ে স্বর্গলোক ত্যাগ করেছিলেন দেবী লক্ষ্মী। স্বর্গপুরী ত্যাগ করে শ্রী চলে গিয়েছিলেন পাতাললোকে। দৈত্যপুরীতে। স্বর্গ থেকে চলে গিয়ে দেবী লক্ষ্মী অধিষ্ঠান করেছিন সমুদ্রের অতল গহ্বরে। মুহূর্তের মধ্যে স্বর্গ লক্ষ্মীছাড়া। চারদিক শ্রী-হীন, ছন্নছাড়া। শেষ পর্যন্ত শ্রী বিষ্ণুর পরামর্শ মেনে, দেবতা, অসুর একজোট হয়ে সমুদ্রমন্থন করেছিলেন। দৈত্যপুরী থেকে স্বর্গে ফিরে আসার শর্ত দিয়েছিলেন দেবী। বলেছিলেন, যখনই কেউ ঐশ্বর্য-ধন-ক্ষমতা বলে অহংকারী হয়ে উঠবে, আলস্য যাকে গ্রাস করবে, লক্ষ্মী তাকে ত্যাগ করবেন।
বাংলার মায়েদের কাছে লক্ষ্মীপুজো যেন এমনই ছোট ছোট গল্প। কোজাগরী পূর্ণিমার আগের দিন কিছুতেই কুলপুরোহিতকে কাছছাড়া করতে চাইতেন না হেমবরণী। যশোরের সরকার বাড়ির প্রধান কর্ত্রী আশ্বিনের শুক্লা চতুর্দশীর দিন সতর্ক থাকতেন যাতে ‘ব্রাহ্ম মুহূর্ত’ ফস্কে না যায়। চতুর্দশী যত ফুরিয়ে আসত, ততই ব্যস্ততা বাড়ত তাঁর। পুরোহিতকে তাড়া দিতেন, ‘ঠাকুরমশাই, সময় হল?’ বাড়ির বউ মেয়েরা শাঁখ নিয়ে তৈরি থাকতেন। পঞ্জিকা হাতে নিয়ে বালিঘড়িতে সময় দেখে পুরোহিত মশাই সঙ্কেত দিতেই একসঙ্গে বেজে উঠত অনেক শাঁখ। স্মৃতি খুঁড়ে শ্বশুরবাড়ির কোজাগরীর কথা এমন ভাবেই বলেন প্রভাবতী দেবী। অর্ধশত বছর আগে যশোর ছেড়ে এসেছিলেন নদীয়ায়। ভুলতে পারেননি সেই দিনগুলি। ছড়া কেটেই মা লক্ষ্মী আবাহন করতেন বাড়ির মেয়েরা। করজোড়ে বাড়ির মহিলারা একসঙ্গে বলতেন, ‘আঁকিলাম পদ দু’টি, তাই মাগো নিই লুটি। দিবারাত পা দু’টি ধরি, বন্দনা করি। আঁকি মাগো আলপনা, এই পুজো এই বন্দনা।’ সেই সঙ্গে থাকে মন শুদ্ধ করার বার্তাও। ‘আঁকিলাম আলপনা, দূরে ফেলি আবর্জনা। শুভ শুদ্ধ মন নিয়ে, করি তব আরাধনা।’
আর্যাবর্তের দেবী লক্ষ্মী কখন যে বঙ্গে এসে ঘরের মেয়েটি হয়ে গেলেন তার এক কল্পবর্ণনা আছে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর ‘বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা’ প্রবন্ধে। লিখেছিলেন, ‘বাঙলা নামে দেশ, তার উত্তরে হিমাচল, দক্ষিণে সাগর। মা গঙ্গা মর্ত্ত্যে নেমে নিজের মাটিতে সেই দেশ গড়লেন।... বাঙলার লক্ষ্মী বাঙলাদেশ জুড়ে বসলেন। মাঠে মাঠে ধানের ক্ষেতে লক্ষ্মী বিরাজ করতে লাগলেন। ফলে-ফুলে দেশ আলো হল। সরোবরে শতদল ফুটে উঠল। তাতে রাজহংস খেলা করতে লাগল। লোকের গোলা-ভরা ধান, গোয়াল-ভরা গোরু, গাল-ভরা হাসি হল। লোকে পরম সুখে বাস করতে লাগল।’ এই সুখকল্পনার ছোঁয়াচ পেতে ছাপোষা নিম্নবিত্ত ঘরণীরও সম্বল হল ‘লক্ষ্মীব্রত’। নতুন শস্যের উদ‌যাপন।
‘বাংলার ব্রত’ প্রবন্ধে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘আশ্বিন পূর্ণিমায় যখন হৈমন্তিক শস্য আসবে, তখনকার ব্রত এটি। সন্ধ্যার সময় লক্ষ্মীপূজা। সকাল থেকে মেয়েরা ঘরগুলি আলপনায় বিচিত্র পদ্ম, লতাপাতা এঁকে সাজিয়ে তোলে। লক্ষ্মীর পদচিহ্ন, লক্ষ্মীপেঁচা এবং ধানছড়া হল আলপনার প্রধান অঙ্গ।’ আলপনার সঙ্গে পুজো বা ব্রতকথার সম্পর্কটি বোঝাতে গিয়ে অবন ঠাকুর বলেছিলেন, আলপনা আসলে ‘কামনার প্রতিচ্ছবি।’ আলপনা মানেই মাঙ্গলিক— অন্তরের সৌন্দর্য দিয়ে রেখার পর রেখা তুলে, তাতে সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করা। আলপনা মানেই কাজের প্রতি ভক্তি ও সমর্পণ। ঘরের দরজা থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর আসন এবং ধান-চালের গোলা পর্যন্ত ছোট-ছোট পদচিহ্ন এই আলপনার অন্যতম অনুষঙ্গ। আলপনা একাগ্রতা ও সমর্পণের প্রতীক। মা-বোনেরা এক মনে, মনের সবটুকু ভক্তি ও সৌন্দর্য দিয়ে এই আলপনা আঁকেন, ঘরে তাঁর লক্ষ্মী আসবে বলে। চালের গুঁড়ো জলে ভিজিয়ে তা দিয়ে ঘরের মেঝেতে হাতের নিখুঁত টানে আঁকা ধানের শিষ, গাছ কৌটো, শঙ্খ-পদ্ম-চক্র, পেঁচা, লতা-পাতা আর মা লক্ষ্মীর পা। প্রচলিত বিশ্বাস, লক্ষ্মীপুজোর রাতে মা লক্ষ্মী সবার অলক্ষ্যে গৃহস্থের চৌকাঠ পেরিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন। তাই তাঁকে স্বাগত জানাতে বাড়ির চৌকাঠ ও দরজার সামনে আঁকা হয় আলপনা। আর এই আলপনায় মায়াবী হয় কোজাগরী পূর্ণিমার রাত। ‘নিশীথে বরদে লক্ষ্মী, কোজাগর্তী মহীতলে।’
কোজাগরী অর্থ— কে আছো জেগে? প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, মা এই দিন গৃহে গৃহে গিয়ে ভক্তকে দর্শন দেন। তাঁর গৃহে শ্রী প্রদান করে আসেন। তাই গৃহের দরজা খুলে মায়ের আসার অপেক্ষায় জেগে থাকতে হয়। যে জাগ্রত থাকে, তাকে তিনি শস্যে-সম্পদের ভরিয়ে দেন। বছরভর তার আর কোনও অন্নকষ্ট থাকে না। তাই পুজোর পরে বাড়ির মেয়ে-বৌরা রাত জেগে লক্ষ্মী পাঁচালি পাঠ করেন। ছড়া কেটে, গুণগান করে দেবীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন। লক্ষ্মীর পাঁচালির শুরুতেই নারায়ণ চিন্তিত, কলিতে পাপে পূর্ণ ধরা। ‘যাগ-যজ্ঞ ক্রিয়া অবহেলা করে সবে।’ তখন লক্ষ্মী বলেন, ‘ভয় নাই, সমাধান সত্বর করিব। লক্ষ্মীছাড়া নরলোক আমি উদ্ধারিব॥’ কী ভাবে? সেই পদ্ধতি পাঁচালিতে বর্ণিত আছে। 
কে লিখেছিলেন এই পাঁচালি? কবে থেকে শুরু 
হল হাতে লেখা পুঁথির বদলে এই ছাপা পাঁচালি কেনা ও পড়া? বহু লোকশিল্প বা লোককথার মতোই এ নিয়ে গবেষণার চিহ্ন খুঁজতে বসা মানে খড়ের গাদায় সূচ খোঁজা। 
কেউ বলেন, এই পাঁচালির উৎপত্তি ১৯৪২-এর আগে পরে। কারণ, সেখানে চরকা কাটার কথা আছে। কেউ বলতেও পারেন, তেতাল্লিশের মন্বন্তরের পরের লেখা। কারণ, বার বার দুর্ভিক্ষের কথা আছে। বছরের পর বছর ধরে বদলে গিয়েছে বাঙালি মেয়ের মুখের ভাষা। বদলে গিয়েছে ব্রত পালন আর পুজো করার রীতি। পাল্টায়নি শুধু লক্ষ্মীর পাঁচালির মূল সুর। কোনও এক কাল্পনিক অবন্তীনগরের এক ব্যবসায়ীর বৃহৎ সংসারে গোলমাল লাগা ও তার সমাধান হবে এই পাঁচালিতেই। কী কী করলে লক্ষ্মী কুপিতা হন আর কী কী করতে থাকলে লক্ষ্মীকে ঘরে ধরে রাখা যায়— তারও কথা।
কোনও কৃচ্ছ্রসাধন করে দিনের পর দিন কঠোর তপস্যা নয়, লক্ষ্মী তাঁর ইচ্ছামাফিক এই জাগ্রত ব্যক্তিদের কাউকে বিত্তলাভের বর দেবেন। প্রাত্যহিকতায় অবিচল থাকতে পারাই আসলে বাঙালির লক্ষ্মী-সাধনার মূল কথা— বাড়িঘর পরিষ্কার রেখে, প্রিয়জনের জন্য অন্নের সংস্থান করে শুধু লক্ষ্মীর প্রতীক্ষা করলেই দেবী সন্তুষ্ট। লক্ষ্মীকে ঠাঁই দেওয়ার পদ্মটি শুধুমাত্র অন্তরেই বিকশিত হয়। ক্লেদহীন, নিষ্কলুষ অন্তর, যেখানে অপরকেও ঠাঁই দিতে দ্বিধা হয় না। 
এই বাংলার মাটিতে দেবতা চিরকালই প্রিয় হয়েছেন। কিন্তু বাঙালির ধর্মে তরবারির ঝনঝনানি নেই, আকাশ কাঁপিয়ে হুঙ্কার নেই— যা আছে, তা এক নিরবচ্ছিন্ন শান্তশ্রী। লক্ষ্মীর কাহিনিকে আসলে বঙ্গজীবনের আখ্যান হিসেবেই পাঠ করা যায়। সংসারে কোণঠাসা অবন্তী রাজ্যের রানিকে নারদ উপদেশ দিয়েছিলেন, ‘লক্ষ্মীবারে সন্ধ্যাকালে যত নারীগণ। পূজিবে লক্ষ্মীরে হয়ে একমন॥’ 
সেই পূজায় আয়োজনের বাহুল্য নেই, এমনকী পুজোয় যে মূর্তি থাকতেই হবে, সেই বিধানও নেই। পটের ছবি, সরা, ঘট, কড়ি, সিঁদুরের কৌটো, পেঁচার মূর্তি থাকলেও হবে। দেবী চঞ্চলা হতে পারেন, কিন্তু তিনি অন্তঃপুরিকাদের এই সামান্য উপকরণেই তুষ্ট। বাঙালির কাছে লক্ষ্মী মোহিনী। কিন্তু ব্যাভিচারিণী নন। ঘরের চার দেওয়াল আর পাঁচালিটুকু। তাই শাঁখ বাজে। উলুধ্বনি হয়। কিন্তু ঘণ্টার দরকার হয় না। শৈবশক্তি ও বৈষ্ণবশক্তির ঘনঘটা ও সংঘর্ষ যখন ঘণ্টাধ্বনিতে মুখর, তখন লক্ষ্মীপুজোতে ঘণ্টার প্রয়োজন হয় না। তিনি তো সাবিত্রী। শ্রীদাত্রী। কুললক্ষ্মী। ভোগবতী। ক্রোধহীনা...।
নীহাররঞ্জন রায় তাঁর ‘বাঙালির ইতিহাস’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্মীর পৃথক মূর্তিপূজা খুব সুপ্রচলিত নয়। ...আমাদের লোকধর্মে লক্ষ্মীর আর একটি পরিচয় আমরা জানি এবং তাঁহার পূজা বাঙালি সমাজে নারীদের মধ্যে বহুল প্রচলিত। এই লক্ষ্মী কৃষি সমাজের মানস-কল্পনার সৃষ্টি; শস্য-প্রাচূর্যের এবং সমৃদ্ধির তিনি দেবী। এই লক্ষ্মীর পুজা ঘটলক্ষ্মী বা ধান্যশীর্ষপূর্ণ চিত্রাঙ্কিত ঘটের পূজা...। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে নারীসমাজে সে পুজা আজও অব্যাহত। ...বস্তুত, দ্বাদশ শতক পর্যন্ত শারদীয়া কোজাগর উৎসবের সঙ্গে লক্ষ্মীদেবীর পূজার কোনও সম্পর্কই ছিল না।’ এ কথার প্রমাণ মেলে যখন দেখা যায় বৈদিক মন্ত্রে নয়, ছড়াতে দেবীলক্ষ্মীর আরাধনা করতেন ওপার বাংলার ঘরের লক্ষ্মীরা। সেই ছড়ায় দেবীর রূপ ফুটে উঠত। বৈদিক দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে সেই দেবীর মিল কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, কিন্তু আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্নের কোনও অবকাশই নেই। কারণ, ধনীর ঘরের দেবী লক্ষ্মী গরিবেরও ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস করতেন, জীবনে শান্তি তখনই বিরাজ করে, যখন লক্ষ্মী থাকেন সাথে সাথে। পেটের অন্ন, পরনের বস্ত্র ও মনের শান্তিই তো মানুষের প্রথম ও প্রধান কাম্য। কবি বিশ্বাস করতেন, গ্রামই হল প্রাণের নিকেতন— গ্রামই আমাদের দেশের ধাত্রী এবং গ্রাম না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো মানেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ফিরে পাওয়ার দিন। ১৯৭৪-র ‘দেবী’ সিনেমার সেই গানের সুরকার ছিলেন হেমন্তের ছোট ভাই অমল মুখোপাধ্যায়। মিল্টু ঘোষের লেখা সেই গান আজও গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে বেজে ওঠে গীতশ্রীর কণ্ঠে: ‘শঙ্খ বাজিয়ে মা কে ঘরে এনেছি, সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে আসন পেতেছি।/ প্রদীপ জ্বেলে নিলাম তোমায় বরণ করে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে।’
17th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
একনজরে
বিমানে বোমাতঙ্ক থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না কিছুতেই। সোমবার থেকে শুরু হয়েছিল বিমানে বোমা রাখার হুমকি। বৃহস্পতিবারও তাতে ছেদ পড়ল না। এদিনও হুমকির জেরে  ফের একের পর এক বিমানে আতঙ্ক ছড়াল। গত চারদিনে এই নিয়ে মোট ২০টি বিমান এমন হুমকির মুখে ...

এবার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট ১২০ নয়, ৬০ দিন আগে থেকে কাটা যাবে। এই খবর পেয়েই খুশি আম জনতা। অনেকেই বলছেন, মনে হচ্ছে এর ফলে ট্রেনের টিকিট একটু হলেও সহজলভ্য হবে। ...

শহরের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের দাবি মেনে অবশেষে বেহাল আলিপুরদুয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংস্কার হচ্ছে। এই কাজের জন্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তর থেকে ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৩ ...

ইজরায়েলি হামলায় খতম হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। বৃহস্পতিবার এই খবর জানাল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘৭ অক্টোবরের গণহত্যা ও নৃশংসতার মূলচক্রী সিনওয়ারকে নিকেশ করেছেন ইজরায়েলি সেনা।’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭১: কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের মৃত্যু
১৯১৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম
১৯৩১: গ্রামাফোনের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের মৃত্যু
১৯৪০: টলিউড অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা ওমপুরীর জন্ম
১৯৫৬: বিখ্যাত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার জন্ম
১৯৬১: প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার গ্ল্যাডস্টোন স্মলের জন্ম
১৯৮০: কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৪: বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক শঙ্কু মহারাজের
২০১৮: বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ১৯/৫ দিবা ১/১৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/৩০ দিবা ১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৫/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ২/৫৭। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/০। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৫ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
১৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট (প্রথম ইনিংস): ৫ রানে আউট টম ব্লানডেল, নিউজিল্যান্ড ২০৪/৫ (তৃতীয় দিন)

09:56:00 AM

দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকায় যমুনা নদীতে বিষাক্ত ফেনা

09:55:00 AM

ডেনমার্ক ওপেনের শেষ আটে সিন্ধু
ডেনমার্ক ওপেনের শেষ আটে পিভি সিন্ধু। বৃহস্পতিবার তিনি হারালেন বিশ্বের ...বিশদ

09:45:00 AM

পান্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় প্রাক্তন ভারতীয় গোয়েন্দার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় একজন প্রাক্তন ...বিশদ

09:41:37 AM

প্রথম টেস্ট (প্রথম ইনিংস): ১৮ রানে আউট ড্যারিল মিচেল, নিউজিল্যান্ড ১৯৩/৪ (তৃতীয় দিন)

09:40:00 AM

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ল দিল্লি, একধাক্কায় কমে গেল বাতাসের গুণগত মান

09:38:00 AM