ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি হয়েছিল কুপার্স ক্যাম্প। ছিল সেনা ছাউনী। পরবর্তীতে এই এলাকা বাংলাদেশ থেকে চলে আসা মানুষদের প্রথম শেল্টার দেওয়ার জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বড় বড় গোডাউন, টিনের শেড, হাসপাতাল সহ বেশকিছু পরিকাঠামো ছিল। ধাপে ধাপে সেখান থেকেই উদ্বাস্তুদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেটেলমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। তারই কিছু অংশ থেকে গিয়েছিল কুপার্স ক্যাম্পে। এলাকা উন্নয়নের চিন্তাভাবনা থেকে একসময় কুপার্সকে নোটিফায়েড এরিয়া করা হয়। ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে রানাঘাট শহরের উপকণ্ঠে তৈরি হয় উপ-শহর। বর্তমানে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের বসবাস এই এলাকায়। অথচ প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে নির্বাচন হয়নি। তারই ফলশ্রুতিতে ভেঙে পড়েছে পুর ব্যবস্থা। সবচেয়ে করুণ দশা নিকাশির। শহরজুড়ে বড় বড় নিকাশি নালা থাকলেও নিয়মিত সাফাইয়ের অভাবে সেগুলির কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। ১, ৮, ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা গিয়েছে, অলিগলির নিকাশি নালাগুলি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাফাই হওয়ার কারণে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু মূল যে নিকাশি নালা শহরের জলকে বাচকো খাল পর্যন্ত নিয়ে যায় সেগুলি অধিকাংশ জায়গাতেই বুজে গিয়েছে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, একটি নিকাশি নালার অবস্থাও ভালো নেই। কাউন্সিলার নেই। কাকে বলব? প্রশাসন কতদিন যে পরিষ্কার করেনি তা আমরাই ভুলে গিয়েছি। এখন এই নিকাশি নালাগুলি নিয়ে এলাকার জল বের হওয়া তো দূরের কথা, উল্টে বৃষ্টি হলে ড্রেনের জল উপচে ঢুকে পড়ে রাস্তায় অথবা বাড়ির ভিতরে। প্রসঙ্গত, সামনেই আবার কালীপুজো। কুপার্স ক্যাম্প এলাকার অন্যতম প্রধান উৎসব এটি। মাত্র ১২টি ওয়ার্ডের ছোট এলাকায় প্রায় শ’খানেক পুজো হয়। তার উপর খাতায় কলমে বর্ষা বিদায় নিলেও, বৃহস্পতিবার বিকেলেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। ফলে সেই নিকাশি নালার জল উপচে ঢুকেছে বিভিন্ন জায়গায়। দুর্গাপুজো বেহাল পরিস্থিতিতে কেটেছে। কালীপুজোয় অবস্থা পাল্টাবে কি? বিষয়টি নিয়ে কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার প্রশাসক তথা রানাঘাটের মহকুমা শাসক ভারত সিং-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যদিও তিনি এখনই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।