ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
জিহুড় হল শস্যকেন্দ্রিক মা লক্ষ্মীর পুজো। কথিত আছে, গর্ভবতী মহিলাকে যেমন প্রসবের আগে সন্তান ও মায়ের মঙ্গলকামনার্থে সাধ খাওয়ানো হয়, তেমনি জিহুড় হল লক্ষ্মীদেবীর সাধভক্ষণ। এসময় আমন ধান পাকতে শুরু করে। তাই ফসল যাতে ভালো হয়, সেই প্রার্থনায় পুজো করা হয়। পুজোয় গ্রামের মহিলা ও পুরুষরা অংশগ্রহণ করেন। তবে সমস্ত পুজোটি পুরুষদের দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই পুজোয় পুরোহিত লাগে না।
এদিন সকালে জমির মালিক কৃষিখেতে গিয়ে হরিতকি দিয়ে দেবী লক্ষ্মীকে নিমন্ত্রণ করে আসেন। মাকে জানানো হয়, তাঁর খাবার চাষি ঘর থেকে নিজে নিয়ে আসবেন। মহিলারা দেবীর প্রসাদ তৈরি করেন। সাধারণত পরিবারের কোনও পুরুষ স্নান করে নতুন কিংবা শুদ্ধ বসন পরে পুজোর জন্য জমিতে যান। তাঁর সঙ্গে আরেকজন পুজোর জিনিসপত্র নিয়ে যান। ধানের জমিতে দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশে ধূপ জ্বেলে মন্ত্রপাঠ করা হয়। তারপর আতপ চাল, দুধ, ঘি, আখ, গুড়, পেয়ারা, কচু, বেগুন, বরবটি, ঝিঙের মতো নানা উপকরণ একটি পিতলের পাত্রে মিশিয়ে প্রসাদ তৈরি হয়। সাত থেকে নয়রকম উপকরণ মিশিয়ে এই প্রসাদ তৈরি হয়।
এরপর সেই পাত্রটি মানপাতা দিয়ে ঢেকে, সঙ্গে কিছু ঘাস কেটে মাথায় করে আনা হয়। বাড়িতে এসে ওই পাত্র তুলসী মঞ্চে রাখা হয়। তারপর তা থেকে প্রসাদ বিতরণ করা
হয়। -নিজস্ব চিত্র