ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ
ড্রোনের বদলে মাইক্রো ড্রোন কেন? প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে জঙ্গলের দুর্গম এলাকায় নজরদারি বাড়ানো যায়। গভীর জঙ্গলেও চোরাশিকারিদের গতিবিধি অনায়াসেই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। দুষ্কৃতীদের গতিবিধি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের জন্যই জঙ্গল স্ক্যানিংয়ে মাইক্রো ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আপাতত চারটি এমন ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের আয়তন ২১৬.৫১ বর্গ কিমি। প্রতিটি রেঞ্জের দুর্গম এলাকায় এই মাইক্রো ড্রোন সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। ক্যামেরার ভিডিও ইমেজ দেখে কোন বিটে কোন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বসবাস বেশি সহজেই বুঝতে পারছেন বনকর্মীরা। দুর্গম এলাকায় কেউ প্রবেশ করলে সহজেই ধরা পড়ে যাবে।
বনদপ্তরের দাবি, সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় উদ্যানে জঙ্গল সুরক্ষার কাজে আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত মাইক্রো ড্রোনের কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। কখনও কখনও সূর্যাস্ত যাওয়ার পর রাতের ভিডিও ও ইমেজ তোলা হচ্ছে। আর তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে দপ্তরের উপর মহলে।
কালীপুজো ও দীপাবলির উৎসবে সকলেই ব্যস্ত থাকবেন। উৎসবের আনন্দে বনকর্মীদের কাজের মধ্যেও কিছুটা শৈথিল্য আসতে পারে। সেই সুযোগ নিয়েই দুষ্কৃতীরা জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়তে পারে বলে দপ্তরের অনুমান। দেশের এই জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে সেই চেষ্টা রুখতে এবার মাইক্রো ড্রোন ক্যামেরার লেন্স দুষ্কৃতীদের হন্যে হয়ে খুঁজবে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে শেষ গণ্ডার হত্যার ঘটনা ঘটে ২০২১ সালে। তারপরে আর কোনও গণ্ডার চোরাশিকারের ঘটনা ঘটেনি এখানে। বনদপ্তরের নিরবচ্ছিন্ন নজরদারির ফলে চোরাশিকারিরা আর ঘেঁষতে পারছে না এই জঙ্গলে। ২০২২ সালের শেষ গণ্ডার শুমারিতে এই জাতীয় উদ্যানে ২৯২টি গণ্ডার ছিল। তবে সেই সংখ্যা বর্তমানে ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। যদিও গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগে বনদপ্তর। তারউপর দুর্গাপুজোর আগে গোয়েন্দা সূত্রে চোরাশিকারি হানার খবর আসার পর জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে এবার মাইক্রো ড্রোন দিয়ে জঙ্গল স্ক্যানিং করা হচ্ছে। ছবি বনদপ্তরের সৌজন্যে।