Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। আমরা মেধাবী। আমরা নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনে একজন নারী আইপিএস অফিসারকে যথেচ্ছভাবে অপমান করেছি দফায় দফায়। কারণ, আমরা নিশ্চিত যে. আইপিএস পরীক্ষায় পাশ করতে মেধা দরকার হয় না। সর্বভারতীয় ইউপিএসসি পরীক্ষায় আইপিএস পদের সংখ্যা ২০০। অর্থাৎ গোটা ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দেবে। উত্তীর্ণ হবে ২০০। আমরা কিন্তু ভাবছি মেধা একমাত্র আমাদের। যে নিম্নবর্গ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করে, তারা মেধাহীন। কতটা জমিতে কতটা সার দিলে সোনার ফসল স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদিত হতে পারে, সেটা যাঁরা জানেন, তাঁরাও মেধাহীন। যাঁরা অসামান্য নৈপুণ্যে মোয়া, নাড়ু, নিমকি, চানাচুর এক চিলতে ঘরের বাইরের অংশে তৈরি করে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে স্বামীর হাতে তুলে দেন দোকানে সাপ্লাইয়ের জন্য অথবা বিক্রির জন্য, তাঁরা মেধাহীন। মফস্‌স঩লের যে মেয়েরা আমাদের ঘরের নারী সদস্যদের ৫ হাজার, ১০ হাজার টাকার শাড়ির ফলস, পিকো লাগিয়ে দেন নিখুঁতভাবে ঘরে বসে এবং শাড়িপিছু ৬০ থেকে ১০০ টাকা রোজগার করে সংসারের কাজে লাগান, তাঁরা মেধাহীন। 
আমি শহরে থাকি এবং বাবুসমাজের অঙ্গ, তাই আমি মনে করছি আমাদের সহমত ছাড়া সবাই বুদ্ধিহীন। সবাই অশিক্ষিত। সকলেই রাজ্য সরকার অথবা শাসক দলের অনুগত। অথচ আমরা তিন মাস ধরে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে প্রমাণ করে দিয়েছি বেশি বেশি কথা বলে যে, আমরা জুডিশিয়াল ব্যবস্থা কীভাবে চলে সেটা জানি না। ভারতের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের প্রক্রিয়াটি ঠিক কী সেটা জানি না। যে কোনও ফৌজদারি মামলার তদন্ত কীভাবে অগ্রসর হয়, সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কাকে বলে আইন? কাকে বলে রুলস? কাকে বলে নোটিফিকেশন? কাকে বলে চার্জশিট? আমরা জানি না। আমরা বলেছিলাম, জাস্টিস চাই। কিন্তু কীসের জাস্টিস? ১৪ আগস্ট প্রথম রাস্তায় নেমেছিল মহানগরের একাংশ। প্রথমে বলা হয়েছিল নির্যাতিতার বিচার। ঠিক ২ মাস পর জানা গেল,  কোথায় রেস্ট রুম হবে, কোন কমিটিতে কে থাকবে, কেন ইউনিয়নের নির্বাচন হয় না, কত দ্রুত সিসিটিভি লাগাতে হবে, মোট ওয়াশ রুমের সংখ্যা কত এটা নিয়ে সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সন্তুষ্ট হওয়া গিয়েছে। নাগরিকরা জেনে গেলেন এটাই হল জাস্টিস! 
জুনিয়র ডাক্তার এবং নাগরিকদের একাংশের সবথেকে বড়  দুর্বলতা হল  এই ঔদ্ধত্য। এই যে 
উপরে যা যা লেখা হল, ঠিক এই মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে বিগত আড়াই মাসে। তাঁরা প্রথম থেকেই 
ধরে নিয়েছেন যে তাঁদের অভিমতের বিরুদ্ধপক্ষ 
হওয়া মানেই সে খারাপ, একমাত্র তাঁরা ভালো। 
সবাই অশিক্ষিত। একমাত্র তাঁরাই শিক্ষিত। কেউ কিছু জানে না। একমাত্র তাঁরাই সব কিছু জানেন। 
তাঁরাই ঠিক। সবাই ভুল। তাঁরা ভেবেছেন যে 
একমাত্র তাঁরাই নির্যাতিতার হয়ে বিচার ও 
দোষীর সাজা চান। অন্যরা চান না। এই বিস্ময়কর নির্বুদ্ধিতার কারণ জানা গেল না। 
আমি ঠিক এটা কে ঠিক করল? আপনি ঠিক এটাই বা কে ঠিক করল? আমি এবং আপনারা জীবনে তো বহু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি বা নিয়েছেন। অনুতাপ করি যে, অনেক ভুল হয়ে গিয়েছে। তাহলে সেই আমরা যখন কোনও একটি ইস্যুতে কোনও অবস্থান নিয়ে থাকি, তখন মনে রাখি না কেন যে, আমি কিন্তু আবার ভুলও করতে পারি? অতএব নিজেকে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের করব না! অর্থাৎ আমি যা বলি, যা ভাবি, যা বুঝি, সেটাই ঠিক। বাকিরা ভুল!— এরকম মনোভাবের মতো বৃহৎ অশিক্ষা তো আর হয় না। 
হাইকোর্ট চারদিনের মধ্যেই তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। সিবিআই দু মাস পর হুবহু কলকাতা পুলিসের মতোই মতপ্রকাশ করে চার্জশিট দিয়েছে। এখন মনে হতেই পারে যে সিবিআই এই চার্জশিটে প্রকৃত দোষীদের কথা বলেনি। যা আপনারা প্রবলভাবে বাইরে বলেছেন। ডেপুটেশন দিয়েছেন রাজ্যপালকে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার! যেখানে বলার দরকার ছিল, সেখানে বলেননি। সুপ্রিম কোর্টে ডাক্তারদের আইনজীবী এই নিয়ে একটিও বাক্য উচ্চারণ করলেন না! কেন? তদন্ত মনিটর করছে তো সুপ্রিম কোর্ট। এটা তো বিরাট বড় এক সুবিধা সুবিচার পাওয়ার। সেখানে বিগত একটিও শুনানিতে কি দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার জাস্টিস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? কতদিনের মধ্যে সব সিসিটিভি লাগানো হবে, কতদিনের মধ্যে রেস্ট রুম হয়ে যাবে, কতদিনের মধ্যে ঘোষিত ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণ সমাপ্ত হবে, এসবই এসেছে সওয়াল জবাবে। 
অবস্থান মঞ্চে, মিছিলে এবং সেমিনারে চিৎকার করে বলছেন যে, একা সঞ্জয় রায় ওরকম নারকীয় ঘটনার দোষী হতেই পারে না। নিশ্চিত একাধিক কেউ ছিল। এই কথাটা আপনাদের আ‌ইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বললেন না কেন? কারণ কী? 
এই আন্দোলনকারীদের এবার আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। এতদিন আপনারা ভেবে এসেছেন আপনারা শক্তিশালী। অবশ্যই শক্তিশালী। কিন্তু এবার ভাবুন যে সেইসব শক্তির মধ্যে আপনাদের দুর্বলতাগুলি কী কী ছিল! কেন এভাবে ক্রমেই একটি নাগরিক আন্দোলন নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পরিণত হল? তারপর কেন স্পষ্ট হল, তথাকথিত অরাজনৈতিক আন্দোলন আসলে রাজনীতির মাথারাই পরিচালনা করছে? এটা আসলে রাজনৈতিক আন্দোলন, এই ধারণা জনমনে প্রতীয়মান হল কেন? 
আপনাদের খুঁজে দেখতে হবে কারা ১৪ আগস্ট আপনাদের সঙ্গে ছিল মিছিলে, পদযাত্রায়, রাত দখলে। এবং তিন মাসের মাথায় সেই নাগরিকদেরই কতজন কেন আর নেই? কারা সরে গেল? কেন সরে গেল? কী কারণে বিরক্ত হল তারা? কেন ক্ষুব্ধ হল? যে ভিড় ছিল সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনের সামনের ধর্নামঞ্চে, সেই একই ভিড়, একই আবেগ, একই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা আবেগ কেন দেখা গেল না ধর্মতলায়? কারণ কী? 
সরকার এবং শাসক দল ব্যাকফুটে হয়ে গিয়েছিল। আপনারা প্রতিটি বৈঠকের পর একটি করে সিদ্ধান্তকে আপনাদের সপক্ষে আসতে দেখে উল্লসিত হয়েছেন। জয়ের আনন্দে আরও চাপ বাড়িয়েছেন। এবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন একক গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা, মাত্র দু মাস আগে ২৯ আসনে জেতা, মাত্র একমাস আগে চারটি উপ নির্বাচনে জেতা এবং দুর্বল বিরোধী দল থাকা সত্ত্বেও কেন সরকার এবং শাসক দল এরকম প্রায় সব কিছুই অনায়াসে মেনে নিয়েছে? নত হওয়ার একটা বার্তা দিচ্ছে! কারণ কী? স্নায়ুর লড়াইয়ে কেন সরকারপক্ষ লাগাতার সব মেনে নেওয়ার একটি বার্তা দিয়ে চলল? কেন ছিল সেই স্ট্র্যাটেজি? সেই কৌশলে অবশেষে লাভ হল? নাকি ক্ষতি হল? কার লাভ হল? কার ক্ষতি হল? 
অরাজনৈতিক অথবা রাজনৈতিক। কোনও যুদ্ধেই নিছক আবেগ, রাগ, টার্গেট ফিক্সড করা কিংবা অন্ধ যুক্তি নিয়ে অগ্রসর হলে পরাজয় অনিবার্য। তাই প্রতিপক্ষকে দুর্বল না ভেবে শক্তিশালী ভাবুন। নিজেদের অতিরিক্ত শক্তিশালী ভাবার বদলে দুর্বলতাকে চিহ্নিত করুন। আগাগোড়া থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া আন্দোলন লাগাতার ব্ল্যাকমেলের আন্দোলনে পরিণত হয়ে দিশাহীনতায় প্রবেশ করল কেন? ৪৮ ঘন্টা সময় দিলাম, নয়তো এই হবে। ঘড়ি টাঙানো হল। সর্বাঙ্গীণ স্বাস্থ্য ধর্মঘট করব। এই যে গণইস্তফা দিলাম কিন্তু! এসবে কী লাভ হয়েছে? আন্দোলনের সাফল্যের দিকেই নজর রাখা উচিত ছিল। হঠাৎ জাতির অভিভাবক হতে গেলেন কেন তাঁরা? 
এবার সময় এসেছে জুনিয়র ডাক্তারদের চিন্তা করার যে, তাঁদের বুদ্ধিদাতা কারা? কারা তাঁদের আন্দোলনের পরামর্শদাতা ছিলেন? সেই পরামর্শদাতাদের নিজেদের সাফল্য কতটা? যদি দেখা যায় কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে (যা প্রমাণিত), তাহলে আপনাদের তাদের কথায় ভেসে যাওয়ার আগে ভাবা দরকার ছিল যে, এরা তো নিজেরাই বারংবার ব্যর্থ! এরা আজ পর্যন্ত একটিও গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। মানুষ প্রত্যাখ্যান করছে তাদের। তাহলে ব্যর্থদের থেকে পরামর্শ নেওয়া এবং তাদের ফাঁদে পা দিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা নির্মাণ করা কতটা বুদ্ধিমত্তা? 
জুনিয়র ডাক্তারদের সম্পর্কে একটি কথা ভুল বলা হয়। সেটি হল, তাঁদের রাজনৈতিক দাবাখেলার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আদৌ কি কথাটি সত্যি? কারণ এই ডাক্তাররা বাচ্চা ছেলেমেয়ে নাকি? তাঁরা জানে না যে, কারা তাঁদের প্ররোচনা দিচ্ছে. কারা ব্যবহার করছে, কারা তাঁদের মাধ্যমে রাজনীতির খেলা খেলছে? এটা সম্ভব যে তাঁরা না জেনেশুনেই এই আন্দোলনে প্রবেশ করেছেন? সম্ভব নয়। তাঁরাও সমানভাবে যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে যুক্ত। কেউ কাউকে বাধ্য করতে পারে না। করেওনি। 
আন্দোলনের অন্যতম দুর্বলতাই হল বিরুদ্ধ মতকে তাচ্ছিল্য করা, অপমান করা, অসম্মান করা। এবং নিম্নবর্গকে সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দেওয়া। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া। যে দাবিগুলি নিয়ে এত দড়ি টানাটানি সেখানে গ্রামের প্রাইমারি হেলথ সেন্টার কিংবা ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়মিত আউটডোর, পরিপূর্ণ চিকিৎসা থেকে অপারেশনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি তোলা হল না কেন? কারণ এলিট বাবুসমাজের হাততালিতে ভেসে যাওয়া এই আন্দোলন নিম্নবর্গের কথা ভাবেইনি কখনও। কেন? কারণ তাদের তারা চেনেই না। তাই তাদের কখনও ভিক্ষুক বলা হয়। কখনও অশিক্ষিত বলা হয়। কখনও চাষা বলা হয়। কখনও বোকা ভাবা হয়। 
আন্দোলনকারীদের প্রধান ভুল কী? আরবান এলিট এবং আপার মিডল ক্লাসের একাংশের মরশুমি প্রতিবাদকে বিপ্লব ভাবা!  কৃষক, শ্রমিক, মজুর এবং দৈনিক শ্রম দৈনিক আয়ের মতো ওয়ার্কিং ক্লাস ছাড়া কোনও বিপ্লব অথবা পরিবর্তন সংঘটিত হয় না! সেদিন নবান্নে যে দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা এবং একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হল, সেটা থেকে সাড়ে ১০ কোটি সাধারণ মানুষের কী কী উপকার হল? গ্রামীণ, প্রান্তিক, ওয়ার্কিং ক্লাসের কী লাভ হল? আড়াই মাসে মিছিলে হেঁটে নাগরিকরা কী পেলেন? এই কি জাস্টিস?
25th  October, 2024
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
একনজরে
যুদ্ধ পরিস্থিতির জের। নতুন বছরে ইউক্রেনের পথ ধরে  ইউরোপের বাজারে আর প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না রাশিয়া। আর এর নেপথ্যে রয়েছে জেলেনস্কির দেশ। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস পরিবহণ সংক্রান্ত চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না তারা। ...

চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের শেষ তিন মাসে কোন রাজ্য বাজার থেকে কত টাকা ঋণ নিতে পারে, তার রুটিন প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে তারা জানাচ্ছে, আগামী মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। ...

মাদকাসক্ত বিজেপি নেতার ছেলেই কী বীরভূমের মাদক কারবারি? মাদক সংগ্রহ করতেই কী ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে মায়ের দামি গাড়িতে করে শিল্পাঞ্চলে হাজির হয়েছিল সাগর যাদব। গ্রেপ্তারের দু’দিন পর পুলিসির তদন্তের গতিপ্রকৃতি সেই অভিমুখেই যাচ্ছে। ...

বংশীহারির হরিপুর হাই মাদ্রাসার ৩.২০ শতক জমি অবৈধভাবে হস্তান্তরের অভিযোগ করল কর্তৃপক্ষ। সরকার পোষিত হাই মাদ্রাসার জমি অবৈধভাবে বিক্রি ও রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় হইচই জেলাজুড়ে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭ - ব্রিটিশদের কলকাতা দখল
১৮৩৯ - লুই দাগের প্রথম চাঁদের আলোকচিত্র তোলেন
১৮৫৬ - ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯০ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন সৈয়দ আমির আলী 
১৮৯২ - বিশিষ্ট ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী  নীলরতন ধরের জন্ম
১৮৯৬ - শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্রর জন্ম
১৮৯৮ - ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার তথা  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১২ - কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠিত হয়
১৯২০- কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক অ্যাসিমভের জন্ম
১৯৪৪- অভিনেতা শমিত ভঞ্জের জন্ম
১৯৫০- কলকাতায় চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর উদ্বোধন
১৯৫৪ - ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়
১৯৫৯- ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের জন্ম
১৯৬০- রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০ - ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার রমন লাম্বার জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৭ - চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসাবে শপথ নেন রোনাল্ড রেগান
১৯৭২ - বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগির গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত
১৯৭৬- সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি রোদ্রিগেসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৮০ টাকা ৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৬ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.০০ টাকা ৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৪৭/০, রাত্রি ১/৯। শ্রবণা নক্ষত্র ৪২/৫ রাত্রি ১১/১১। সূর্যোদয় ৬/২১/১১, সূর্যাস্ত ৫/০/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/২০ মধ্যে।
১৭ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ২/১৭। শ্রবণানক্ষত্র রাত্রি ১২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালবেলা ২/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৪২ গতে ১/২২ মধ্যে। 
১ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাটনায় মহিলা চরকা সমিতিতে এলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান

10:08:00 PM

আজমীর শরিফ দরগার জন্য চাদর পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:03:00 PM

মহাকুম্ভ মেলা: সেলফি পয়েন্টে ছবি তোলার জন্য ব্যাপক ভিড়

09:56:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:26:00 PM

সিডনি টেস্টে নেই রোহিত শর্মা !
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে দলে থাকছেন না রোহিত ...বিশদ

09:20:26 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-হায়দরাবাদ ০ (৫২ মিনিট)

08:40:00 PM