কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
একই অঙ্গে অনেক রূপ
‘রীতা সান্যাল’ সিরিজে আদার চরিত্রটি এক বাঙালির। ‘ওই সিরিজে আমি একসঙ্গে দশটা চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। বলা যায় আমার স্বপ্নের চরিত্র। আইনজীবীর চরিত্র সাধারণত সিরিয়াস ধরনের হয়। কিন্তু এখানে অ্যাকশন, থ্রিলার, কমেডি সহ নানা উপাদান থাকায় তা অনেক বেশি উপভোগ্য। পাল্প ফিকশন ঘরানা নিয়ে ভারতে সেভাবে কাজ হয়নি। আমরা সেটা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছি’, বলেন অভিনেত্রী।
প্রস্তুতির নানা স্তর
এই চরিত্রের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন আদা। তার মধ্যে সবথেকে কঠিন এবং অন্যরকম ছিল ভাষার উপর ক্লাস। অভিনেত্রীর কথায়, ‘বাঙালি হলেও চরিত্রটি কখনও মহারাষ্ট্রের মানুষ কখনও হরিয়ানার। তার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাষার উপর উচ্চারণের প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। সেটা আলাদা অভিজ্ঞতা।’
সাফল্য ও ব্যর্থতা
আদা অভিনীত ‘দ্য কেরলা স্টোরি’ বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল। আবার তাঁর ‘বস্তর: দ্য নকশাল স্টোরি’ এককথায় ব্যর্থ। এই ওঠাপড়া কীভাবে সামলান? হেসে আদা বললেন, ‘আমি সৎ ভাবে নিজের কাজটা করি। ছবি কোন সময় রিলিজ করবে, কত সংখ্যক হল পাবে, এসব আমাদের হাতে থাকে না।’
অপেক্ষা
‘১৯২০’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন আদা। কিন্তু তারপরই কেরিয়ারে মন্দা শুরু হয়। তাঁর কথায়, ‘প্রথম ছবি ‘১৯২০’র পর আমার হাতে কাজ ছিল না। আসলে আমি তখন মনের মতো চরিত্র পাচ্ছিলাম না। একটু অস্থির লাগত। কিন্তু ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করতে শিখেছি এখন।’ অডিশন দেওয়ার পর এতবার বাতিল করা হয়েছে যে, এসব জীবনে অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই ধরে নিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট বললেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এলে শুধু পরিশ্রম করে যেতে হবে। হার মানলে চলবে না। আমাকে কেন বাদ দেওয়া হল, এ প্রশ্ন আমি কখনও করি না। শুধু মন দিয়ে আমার কাজটা করে যাই।’