Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। চীনের নেতারা তিয়েন‌আনমেন স্কোয়ারকে দমন-নিপীড়নের প্রতীক থেকে মুক্ত করে দেশের উদার, মুক্ত পরিবেশ এবং নতুন শক্তির প্রতীকে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।
ওলিম্পিক্স আয়োজন করে গোটা দুনিয়ায় নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছিল চীন। এই আয়োজন তাদের অর্থনৈতিক সংস্কারেরও প্রতিনিধিত্ব করবে, এমন ভাবনা নিয়েই এগিয়েছিলেন চীনের নেতারা। ওলিম্পিক্সের কয়েক মাস আগে চীনের নেতারা একটি নিউ ডিজনিল্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করেন। একইসঙ্গে তাঁদের দেশের ট্যাক্সি ড্রাইভারদের ইংরেজি শেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেন পর্যটকদের কোনও অসুবিধা না হয়। তিয়েনআনমেনের ইতিহাস ভুলে বিশ্ব যেন নতুন চীনকে চিনতে পারে, সেই প্রচেষ্টায় কোনও খামতি ছিল না।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক এরিখ শোয়ার্টজেলের তাঁর ‘রেড কার্পেট: হলিউড, চায়না অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল ব্যাটল ফর কালচারাল সুপ্রিমেসি’ বইয়ে লিখছেন, হলিউডে তখন ভিন্ন এক ঘড়ি টিকটিক করছিল। একসময়ের নিশ্ছিদ্র ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় ফাটল তৈরি হচ্ছিল। হলিউডে তখন সাংস্কৃতিক বাঁক পরিবর্তনের সময় চলছিল। হলিউডকে টিকতে হলে প্রয়োজন ছিল চীনের বিশাল বাজার। আর বেজিংও চাইছিল, হলিউড চীনের দিকে 
ঝুঁকতে বাধ্য হোক। ওলিম্পিক্সে প্রবেশ করার 
আগে চীনের নেতারা এই ভাবনা থেকেই থিম 
পার্কের চিন্তা করেছিলেন।
২০০৮ সালে ডিজনি কর্তা রবার্ট ইগার সাংহাই কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ইউ ঝেংশেংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি তাঁর কোম্পানিকে চীনে প্রবেশ করতে দু’টি বড় ছাড় দেন। একটি ছিল, চীনা কোম্পানি ডিজনি থিম পার্কের ৫৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে পারবে। এছাড়া রুম ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং মিকি মাউসের টুপি কেনা থেকেও ব্যবসা করতে পারবে চীনা কোম্পানি। দ্বিতীয়টি ছিল, চীনের এয়ারওয়েবের অনুমতি পেতে ডিজনি চ্যানেলে নিজেদের প্রচার বাদ দেবেন। চীনের নেতারা সেখানেই থেমে থাকেননি। তাঁরা তাঁদের নাগরিকদের জন্য ডিজনিতে আরও সুযোগ সুবিধে বাগিয়ে নিয়েছিলেন। তারপরও হলিউডের কোম্পানিগুলির জন্য চীনের বাজার ছিল সেরা ব্যবসায়িক ক্ষেত্র। ওয়াল স্ট্রিটও সেই মুহূর্তে হলিউডের চীনমুখী ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। কারণ, শেয়ারহোল্ডারদের খুশি রাখতে চীনের বিশাল বাজারের প্রয়োজন ছিল হলিউডের। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বেজিং।
আত্মজীবনীধর্মী বই ‘‌সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট’ লিখেছিলেন হেনরিখ হারের। ১৯৯৭ সালে এর উপর ভিত্তি করে একই নামে নির্মিত হয় হলিউড সিনেমা। কিন্তু চীন নিয়ে গল্প বলতে গেলে চীনের সঙ্গে সমঝোতা করেই যেন চলতে হবে। প্রাথমিকভাবে তিব্বতে শুটিং চলতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে লাতিন আমেরিকায় তৈরি করা হয় তিব্বতের প্রতিরূপ। তার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। সিনেমা মুক্তির প্রসঙ্গে বেঁকে বসে চীনের সেন্সর বোর্ড। প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুধু সোনির পরবর্তী সিনেমা নয়, প্রযোজক জিন-জ্যাক আনাউদ ও অভিনেতা ব্র্যাড পিটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় চীনে। নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি চিন্তা করে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় সোনি পিকচার্স। এত বড় বাজার হাতছাড়া করা যে কারও জন্য বোকামি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তারা চীনের সঙ্গে একটা সমঝোতায় পৌঁছায়। প্রায় একই ঘটনা ঘটে ‘কুন্দুন’ নির্মাণের পর। নিষিদ্ধ হয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ডিজনি, পরিচালক মার্টিন স্করসেসি ও সংশ্লিষ্টরা। দু’টি সিনেমার পরিণতি হলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজকদের পরবর্তী সিদ্ধান্তকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
গত তিন দশকে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে হলিউড ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে। একদিকে কুন্দুন ও সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেটের বাণিজ্যিক সঙ্কট ও অন্যদিকে কুংফু পান্ডার সাফল্য ভাবতে বাধ্য করেছে হলিউডের স্টুডিওগুলিকে। চীনের বাজারে প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত করতে তারা এখন নিজেরাই বিশেষ ধরনের সেন্সরশিপের মধ্যে দিয়ে এগচ্ছে। একইসঙ্গে চীনের চলচ্চিত্র নির্মাতারাও হলিউডের দিকে ঝুঁকছেন। এটা এক ধরনের সূক্ষ্ম যুদ্ধ। সাংস্কৃতিক আধিপত্যের জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রের গতিপথ। নব্বইয়ের দশকে ডিজনি ও সনি পিকচার্স যা করেছে, এখন তারা নিজেরাই তা থেকে দূরে থাকতে চায়। দলাই লামা, তিব্বত, ধর্ম ও অন্যান্য বিষয়ের চিত্রায়ণে চীনকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছে। প্রয়োজনে স্ক্রিপ্ট পুনরায় পড়া হবে, যেন চীন থেকে নেতিবাচক কোনও সিদ্ধান্ত না আসে। এর মধ্য দিয়েই জন্ম নিয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেন্সরশিপের সংস্কৃতি। স্টুডিওর সিইওরা বেজিং কী চায় ও কী চায় না, এ বিষয়ে রীতিমতো বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। স্টুডিও প্রধানরা এমনভাবে স্ক্রিপ্ট পড়েন, যেন তারা বেজিংয়ের সেন্সর বোর্ড। সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এমন যেকোনও কিছু নিয়ে তারা সতর্ক। মাত্র দু’টি উদাহরণ তৈরি করতে হয়েছে চীনকে। তারা ‘‌কুন্দুন’ ও ‘‌সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট’-এর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতেই অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, দলাই লামা নিয়ে কোনও কথা বলা যাবে না!
এর একটাই কারণ, দেড় দশক আগে থেকেই হলিউডের বাজার সঙ্কুচিত হতে থাকে। ২০০৩ সালে শুধুমাত্র ‘‌ফাইন্ডিং নিমো’ সিনেমারই আট কোটি ডিভিডি কপি বিক্রি করেছিল ডিজনি। অথচ, ২০০৮ সালের মধ্যে সেই ডিভিডি ব্যবসা সঙ্কুচিত হয়েছে ৩৩ শতাংশ। দর্শক হারানোর জন্য তাদের আয়ের অর্ধেক উধাও হয়ে গিয়েছে। ঠিক একই সময়েই মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছিল চীন। হলিউডের বিপরীতে যেন নতুন ফ্রন্ট হিসেবে দেখা দেয় চীনের চলচ্চিত্র শিল্প। ২০০৮ সালের পর থেকেই চীনের বক্স অফিস দ্রুত বড় হতে থাকে। স্টুডিওগুলিতে চীনকে মাথায় রেখে সিনেমা নির্মাণের প্রবণতা বাড়ে। পাশাপাশি সিনেমা নিয়ে বাড়তে থাকে বাজেট। চীনের বাজার তো আর বিদেশের আট-দশটা বাজারের মতো নয়। সেখানকার রাজনৈতিক দল ও সেন্সর বোর্ড নিজেদের সংস্কৃতির জন্য উপযোগী কি না, সেটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিটি সিনেমা দেখার পরেই মুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এই কারণেই ‘‌মিশন ইম্পসিবল থ্রি’ থেকে কিছু দৃশ্য সরিয়ে দেওয়া হয়, ‘‌ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড’ সিনেমার স্ক্রিপ্ট পুনরায় লেখা হয় এবং ‘‌স্কাইফল’ থেকে কিছু অংশ বাদ দেওয়া হয়। তার চেয়ে বড় কথা ‘রেড ডন’ সিনেমার কিছু অংশ চীনে মুক্তি পাওয়ার জন্য 
পুনরায় নির্মাণ করতে হয়।
প্রযোজকরা চীনের আপত্তি মেনে নিয়েছেন। বেজিংকে সন্তুষ্ট রাখতে চীনের কোনও একটা শহর, কোনও একটা রেস্তরাঁ অথবা কোনও একটা ব্যক্তিকে হাজির করছেন সিনেমায়। ‘‌ট্রান্সফরমার: এজ অব এক্সটিংকশন’ সিনেমায় যে হংকংকে দেখা যায়, তা এই দীর্ঘ অভিযোজন প্রক্রিয়ারই দলিল। এভাবেই চীন তার বক্স অফিসের মাধ্যমে যে অর্থনৈতিক পাটাতন দাঁড় করিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের শর্তে রূপান্তরিত হয়েছে। তারা তাদের নীতি নিয়ে সবসময়ই কঠোর। যে স্টুডিওগুলি চীনের বাজারে প্রবেশ করতে চায়, তাদের অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রবেশ করতে হবে।
হলিউড দীর্ঘদিন ধরেই তাদের আদর্শ সিনেমার মাধ্যমে রপ্তানি করে চলেছে। বিক্রি করেছে আমেরিকার ধাঁচে গণতান্ত্রিক চেতনা ও পশ্চিমের ব্যাকরণ মানা স্বাধীনতা ও উদারনৈতিকতা। সুযোগ পেলেই চিত্রিত হয়েছে আমেরিকানদের বীরত্ব এবং সামরিক শক্তি। চীন কিন্তু খুব বেশি পিছিয়ে নেই। সেখানকার সরকারও রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি 
রপ্তানির প্রচেষ্টায়। তার জন্য হলিউডই সেরা পথ। বিশ শতকের সফল অস্ত্রগুলির একটি হচ্ছে আমেরিকান সফট পাওয়ার। যা আমেরিকাকে আধিপত্য বিস্তারে সহযোগিতা করেছে। চীন শুধু তাকেই অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।
মার্কিন ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচারিত চলচ্চিত্রগুলিতে আমেরিকার প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্শাল প্ল্যানের সময় থেকেই চলচ্চিত্রগুলি হোয়াইট হাউসের সরঞ্জামে পরিণত। তার মানে যে রাজনৈতিক প্রচার কম থাকা সিনেমা তৈরি হয়নি, এমনটা নয়। কিন্তু সেগুলিও আমেরিকান সংস্কৃতিকেই সর্বজনীন করার প্রচেষ্টার অংশ। ‘‌ডার্টি ড্যান্সিং’ ও ‘‌ব্যাক টু দ্য ফিউচার’-এর মতো সিনেমাগুলি মার্কিন 
তারকাদের আন্তর্জাতিক তারকায় পরিণত করেছে। তবে চীনের প্রচেষ্টা দ্বিমুখী। প্রথমত, প্রোপাগান্ডা মুভি বা মেন মেলোডি তৈরি, যেখানে সরকার বেশ ভালোভাবেই নাক গলায়। এর বাইরে রয়েছে সত্যিকার প্রচেষ্টা, যা বাণিজ্যিক সিনেমা তৈরি করছে। চীনের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে বিশ্বের দরবারে। যেভাবে মার্কিন জীবন সম্পর্কে সিনেমাগুলি আমেরিকাকে তুলে ধরে।
আজ ‘নেটফ্লিক্স’ প্রায় ১৯০টি দেশে দেখা যায়। কিন্তু চীনের বড় বাজারটি তাদের জন্য উন্মুক্ত হয়নি। নেটফ্লিক্সের কর্তারা চীন সরকারের সঙ্গে অনেক আলোচনা করেও এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারটির নাগাল পায়নি। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চীনে এখন বেশি জনপ্রিয়, কিন্তু সে বাজারে নেটফ্লিক্স এখনও পা রাখতে পারেনি। চীন সরকার এক্ষেত্রে তার স্ট্রিমিং বাজারকে বাইরের কোম্পানির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে ভূমিকা নিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীন সরকার তাদের সাংস্কৃতিক নীতি পরিবর্তন ও বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজার শক্তি এবং বহুজাতিক পুঁজিকে ব্যবহার করে চলচ্চিত্র ক্ষেত্রকে মুনাফা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত করেছে। সরকারের নীতি চীনের স্থানীয় সাংস্কৃতিক বাতাবরণ নতুন করে নির্মাণ করেছে, একই সঙ্গে তারা আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও নিজেদের প্রভাব বিস্তৃত করেছে। ফলে হলিউডের র‌্যাম্বোর জায়গা চীনের স্পেশাল ফোর্সের লেং ফেং কতটা নিতে পারবে সেটা এই শতকেই নির্ধারণ হয়ে যাবে। সেই লড়াই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে লড়েন, সেটাই দেখার!
26th  December, 2024
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
একনজরে
চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের শেষ তিন মাসে কোন রাজ্য বাজার থেকে কত টাকা ঋণ নিতে পারে, তার রুটিন প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে তারা জানাচ্ছে, আগামী মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। ...

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। গত শুনানিতে শেষ হয় ধৃত সঞ্জয় রায়কে জেরার পর্ব। আজ, বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তায় শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা কোর্টের এজলাসে শুরু হচ্ছে এই মামলার সওয়াল-জবাব। ...

বছরের প্রথম সকাল। গোলাপের তোড়া আর উপহারের ডালি সাজিয়ে মোহন বাগান অনুশীলনে হাজির একঝাঁক সমর্থক। শুভাশিস, আলবার্তো, আলড্রেডদের হাতে তা তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁরা। ...

মাদকাসক্ত বিজেপি নেতার ছেলেই কী বীরভূমের মাদক কারবারি? মাদক সংগ্রহ করতেই কী ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে মায়ের দামি গাড়িতে করে শিল্পাঞ্চলে হাজির হয়েছিল সাগর যাদব। গ্রেপ্তারের দু’দিন পর পুলিসির তদন্তের গতিপ্রকৃতি সেই অভিমুখেই যাচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭ - ব্রিটিশদের কলকাতা দখল
১৮৩৯ - লুই দাগের প্রথম চাঁদের আলোকচিত্র তোলেন
১৮৫৬ - ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯০ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন সৈয়দ আমির আলী 
১৮৯২ - বিশিষ্ট ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী  নীলরতন ধরের জন্ম
১৮৯৬ - শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্রর জন্ম
১৮৯৮ - ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার তথা  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১২ - কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠিত হয়
১৯২০- কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক অ্যাসিমভের জন্ম
১৯৪৪- অভিনেতা শমিত ভঞ্জের জন্ম
১৯৫০- কলকাতায় চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর উদ্বোধন
১৯৫৪ - ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়
১৯৫৯- ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের জন্ম
১৯৬০- রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০ - ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার রমন লাম্বার জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৭ - চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসাবে শপথ নেন রোনাল্ড রেগান
১৯৭২ - বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগির গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত
১৯৭৬- সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি রোদ্রিগেসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৮০ টাকা ৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৬ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.০০ টাকা ৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৪৭/০, রাত্রি ১/৯। শ্রবণা নক্ষত্র ৪২/৫ রাত্রি ১১/১১। সূর্যোদয় ৬/২১/১১, সূর্যাস্ত ৫/০/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/২০ মধ্যে।
১৭ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ২/১৭। শ্রবণানক্ষত্র রাত্রি ১২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালবেলা ২/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৪২ গতে ১/২২ মধ্যে। 
১ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাটনায় মহিলা চরকা সমিতিতে এলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান

10:08:00 PM

আজমীর শরিফ দরগার জন্য চাদর পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:03:00 PM

মহাকুম্ভ মেলা: সেলফি পয়েন্টে ছবি তোলার জন্য ব্যাপক ভিড়

09:56:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:26:00 PM

সিডনি টেস্টে নেই রোহিত শর্মা !
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে দলে থাকছেন না রোহিত ...বিশদ

09:20:26 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-হায়দরাবাদ ০ (৫২ মিনিট)

08:40:00 PM