Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। জনসমক্ষে জেহাদের ডাক দিচ্ছে তারা। তসলিমা লিখেছেন, ‘কে জানে, অদূর ভবিষ্যতে এই খেলনা বন্দুকই আসল আগ্নেয়াস্ত্রে বদলে যাবে না!’
আতঙ্কে তসলিমা নাসরিন। মৌলবাদের হিংস্র রূপ কেমন হতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ‘বিতাড়িত’ তিনি। কিন্তু তারপরও জন্মভূমির জন্য ভয় হয় তাঁর। শুধুই কি তসলিমা? যে কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই কি বাংলাদেশের অধুনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নন? একটা গোটা রাষ্ট্র যদি ধর্মের নামে নিজেদের চরিত্র বদলে ফেলে, তার থেকে বেশি আতঙ্কের অন্য কিছু হতে পারে না। কোনও দেশে, কোনও সমাজেই নয়। বিভাজনের রাজনীতি মানুষকে শুধু মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করে। যে ঘরে যুগ যুগ ধরে ন’জনের বাস, হঠাৎ সেখানেই নিজেকে অবাঞ্ছিত বলে মনে করে কোনও না কোনও সুজন। ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতির বিস্তার এমনই। মাত্র ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে বিভাজনের ঝড় যে দ্রুত বিপর্যয় আনবে, তাতে সংশয় নেই। ভারতের মতো ১৪০ কোটির দেশ হলে, তাতে খানিক সময় লাগে। এ অনেকটা তাপ পরিবহণের থিওরির মতো। লোহার রড যদি ছোট হয়, এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত তাপের পরিবহণ খুব তাড়াতাড়ি হয়ে থাকে। কিন্তু যদি সেই রডই ৫০০ মিটার লম্বা হয়, সামান্য তাপ তার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই ফুরিয়ে যায়। ভারতই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। চেষ্টা-চরিত্র এদেশেও কম কিছু হচ্ছে না! ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলির হানাদারি বা কাশ্মীরের মতো প্রদেশে লাগাতার ভারত বিরোধী প্রচার তো ছিলই। কিন্তু মোদি জমানায় মাথাচাড়া দেওয়া হিন্দুত্ববাদী জিগির পুরো সমীকরণটাকেই উল্টো পথে কষতে শুরু করেছে। কারণ একটাই—ভোটব্যাঙ্ক। কোনও ফর্মুলা ক্লিক না করলে পরীক্ষিত অবস্থান নিতে হয়। সেটা মোদি সরকারের থেকে বেশি ভালো কেউ জানে না। আর সেই অঙ্ক হল হিন্দুত্ববাদের। তাই আশঙ্কায় থাকতে হবে আমাদেরও। বাংলাদেশে মৌলবাদ যেভাবে সমাজ এবং সরকারের দখল নিয়েছে, ভারতেও সেটা হতে পারে। এক দেশ এক ভোট, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, ধর্মস্থান নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা... নতুন ভারত ইতিহাসও লিখতে চাইছে নতুনভাবে। কিন্তু ওই যে লোহার রডটা বড্ড লম্বা। তাই কিছুতেই সর্বত্র তাপটা পৌঁছতে পারছে না। সেরকমটা না হলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শতবর্ষে পৌঁছে হিন্দুরাষ্ট্রের স্বপ্নও হয়তো সফল হয়ে যেত।
তাই সময় এসেছে সতর্ক হওয়ার। মৌলবাদ কিংবা ধর্মীয় বিভাজন, নাম যাই হোক না কেন, তার মারের ওজন ভয়াবহ। হাসিনা সরকারের পতন সত্যিই হয়তো চেয়েছিল বাংলাদেশ। শিকেয় তুলে রাখা নির্বাচন, কিংবা বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে সর্বত্র দুর্নীতি। উন্নয়নের যাবতীয় ছবি মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সেটা কিন্তু এক-দু’দিনে হয়নি। বছরের পর বছর এই ধারাতেই বয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতি। আর সেই সুযোগটাই পুরোদমে নিয়েছে সমাজের কট্টরপন্থী অংশ। এখন দেখলে মনে হয়, পুরো দেশটাকেই যেন মগজধোলাই মেশিনের ভিতরে ভরে ‘সাইজ’ করা হয়ে গিয়েছে। যে নতুন প্রজন্ম জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্বভ্রাতৃত্বের কথা বলে, তাদের মুখেই এখন মৌলবাদের স্টিকার মারা। যে বঙ্গবন্ধু তাদের স্বাধীনতার কারিগর, বাংলাদেশ থেকে মুছে যেতে বসেছেন তিনিই। যতক্ষণ এই কাজটি কমপ্লিট হচ্ছে, বাংলাদেশের এই প্রজন্মের যেন স্বস্তি নেই! যে ভারত নিত্য গণহত্যা, কট্টরপন্থা, প্রতিদিন খুন হতে থাকা মানবিকতা থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে মুক্তি দিয়েছিল, তারাই এখন শত্রু! কারণ কী? ইন্ডিয়া বড্ড বেশি নাক গলায় তাদের দেশে? সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের ৫৯ শতাংশ মানুষ নাকি পাকিস্তানকে পছন্দ করেন। সত্যিই... ইন্দিরা গান্ধীর খেয়েদেয়ে কাজ ছিল না। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে গিয়েছিলেন। চেয়েছিলেন নিজের পায়ে দাঁড় 
করাতে। তারাই এখন ভারতের ‘অঙ্গহানি’ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কখনও টার্গেট করছে শিলিগুড়ি করিডর, কখনও উত্তর-পূর্ব ভারত, আবার কখনও নিশানায় সরাসরি কলকাতা। মুক্তি পাচ্ছে ফাঁসির সাজা পাওয়া দাগি জঙ্গিরা। ধুঁকতে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলো আবার উঠে দাঁড়াচ্ছে। আর সেইসঙ্গে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বাড়ছে ভারতে। 
স্বাধীনতার আগে, অর্থাৎ অবিভক্ত বাংলার হিসেব ধরলে তখন ওই বাংলাদেশ অঞ্চলে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৮ শতাংশ। এখন সেটাই নেমে গিয়েছে ৮ শতাংশে। আর আজ এই সংখ্যাটা প্রতিদিন কমছে। অনুপ্রবেশ ঘটছে ভারতে। কেউ কেউ আবার নানাবিধ উপায়ে পালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে। ইসলামিক রাষ্ট্র হলেও সেখানে কাজ করতে অসুবিধা হয় না। নিয়মের বেড়াজাল থাকে, তবে তা ধর্মের নামে প্রাণঘাতী নয়। একটা বিষয়ই শুধু দেখার, কোনও অবস্থাতেই যেন পাকিস্তানে যেতে না হয়। ওই একটি দেশ, যেখানে সংখ্যালঘু অধিকার বাংলাদেশের থেকেও অনেক বেশি অবহেলিত। গোটা দেশে মাত্র দুই শতাংশ হিন্দু। কিন্তু তাদের প্রতিদিন লড়তে হয় বেঁচে থাকার জন্য। অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার জন্য। কট্টরপন্থা এবং মৌলবাদের ঝাঁঝ এমনই। একটি মাত্র নোয়াখালির দাঙ্গা অধুনা বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশ ছেঁটে দিয়েছে। কলেজ বিল্ডিংয়ে লুকিয়ে থাকা ১২ বছরের মেয়েটি দেখেছে, কীভাবে ইসলামের নামে পথেঘাটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অমানুষরা। খুন হচ্ছে অসহায় বৃদ্ধ, রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছে ধর্ষিতা নারী। কৈশরের গণ্ডিতেও প্রবেশ না করা মেয়েটির ওইসব দেখার কথা নয়। তাও সে দেখেছে। সাত মাসের ছোট্ট বোনটি কেঁদে উঠলে বাবাকে সে বলতে শুনেছে, ওকে মেরে ফেলব। তাহলে আমাদের এতগুলো প্রাণ বাঁচবে। কয়েকটা দিন, একটা ঘটনাক্রম এক ঝটকায় ওই নাবালিকাকে বুড়িয়ে দিয়েছিল। মনে তার প্রশ্ন ছিল একটাই—এই কি ধর্ম? তাহলে এমন ধর্মের প্রয়োজন নেই। ৭৫ বছর পর... ২০২১ সালে আবার ফিরেছিল সেই স্মৃতি। কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পুজো প্যান্ডেলে রেখে যাওয়া কোরাণ শরিফ উস্কে দিয়েছিল সংঘর্ষের আগুন। মন্দির-প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, আগুন... কারণ ছিল একটাই—ধর্মীয় বিভাজন। এরপরও কি আমাদের চোখ খুলবে না? এরপরও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জনসভায় দাঁড়িয়ে মঙ্গলসূত্র বিকিয়ে যাওয়ার ভয় দেখান। সংখ্যালঘুদের হাতে সব সম্পত্তি চলে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেন। কীসের লক্ষ্যে? ভোট ছাড়া অন্য কিছু তো নয়! হিন্দুত্ববাদী নেতা হওয়ার জন্য কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে প্রতিপক্ষ হিসেবে খাড়া করতে হয়? হয়তো তাই। নরেন্দ্র মোদি অন্তত সেরকমই মনে করেন। আর তাই সরসঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে পর্যন্ত বলতে হয়, যেখানে সেখানে মসজিদ দেখলেই মন্দির ইস্যু তোলাটা সাম্প্রদায়িক শত্রুতার প্রকাশ। ভাগবতের নিশানা যে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি এবং যোগী আদিত্যনাথ, সে ব্যাপারে সংশয় নেই। কেন এই ড্যামেজ কন্ট্রোল? মোদি-যোগী যা বুঝতে পারছেন না, সেটাই কি উপলব্ধি হচ্ছে সঙ্ঘের? তিনি কি আশঙ্কা করছেন যে, উগ্র বিভাজনের রাজনীতি দলের পায়ের তলা থেকে মাটি আলগা করে দিচ্ছে? নাকি বাংলাদেশ তাঁকে ভাবিয়েছে?
বাংলাদেশ আজ জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের বহু বাঙালির ভিত ওই দেশে। নাড়ির টান ছেঁড়েনি এখনও। তাই বাংলাদেশে বিপর্যয় হলে তা আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। প্রতিনিয়ত। তারপরও আমরা শিখি না। ধর্মের নামে বিভাজনের আগুনে হাওয়া দিতে থাকি। যে আধার হওয়া উচিত ছিল আমাদের শক্তি, সেটাই হয়ে দাঁড়ায় দুর্বলতা। সেই সুযোগই নেয় রাজনীতির কারবারিরা। তাই এই দেশে বাবরি সৌধ ধ্বংস হয়। সবরমতী-গোধরা হয়ে ওঠে ভোটের অস্ত্র। রামমন্দিরের নামে রাজনীতি করে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ ঘটে। জ্ঞানবাপী, সম্ভল, আজমির... ধর্ম পালনের অধিকার বারবার ধাক্কা খায়। সেই ফর্মুলাতেই জ্বলে ওঠে ইভিএমের আলো। তারপরও আমরা শিখি না। বাংলাদেশকে দেখেও না। 
উস্তাদ জাকির হুসেন তবলাতেই শিব ঠাকুরের ডমরুর বোল তুলতেন। বলতেন, ওই ডমরু থেকেই তো তালবাদ্যের আবিষ্কার। আর সেই আবিষ্কার কে করেছিলেন? গণেশ ঠাকুর। তাই জাকির হুসেনের তবলায় শোনা যেত মহাদেবের ডমরুর সঙ্গে শঙ্খধ্বনির এক মোহময়ী ফিউশন। উস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ সাহেব মঞ্চে বসে বলতেন, ‘মৌলবী সাহেব কোরাণ পড়েন। পণ্ডিতজি গীতা। যাজক যিশু বন্দনা করেন। প্রত্যেকে ওই এক উপরওয়ালার ইবাদত করছেন। ধরন আলাদা। কিন্তু সঙ্গীত? দুনিয়ার কেউ দেখাতে পারবে, সা রে গা মা পা ধা নি সা’র বাইরে আর একটাও সুর আছে? তাই তো এখানে কোনও জাতপাত নেই। ধর্ম নেই। সব ধর্মই এখানে এসে শেষ হয়। আর সঙ্গীতের থেকে বেশি পবিত্র প্রার্থনার উপায় কীই বা আছে?’ ভারত আর বাংলাদেশকেও তো সঙ্গীতই বেঁধে রেখেছে। বেঁধে রেখেছেন রবি ঠাকুর। তাঁরই লেখনি বেয়ে নেমে আসা সুর ও স্বর জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ভেসে চলেছে এই দুই দেশের আকাশে। কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে যে চর্চা বাংলাদেশে হয়েছে, তা এপার বাংলাতেও যে হয়নি। সেই বাংলাদেশই আজ ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে সংস্কারকে। সংস্কৃতিকে। ভেঙে পড়ছে একের পর এক সৌধ। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস, আত্মীয়তা, সুর। ধর্মের রাজনীতিতে অন্ধ হয়ে বাংলাদেশ আজ মারতে শুরু করেছে। কিন্তু এ তো সূচনা মাত্র! এই মোহের বশে যে মারে, তাকে তো মরতেও হয়। আজ না হোক কাল। এটাই যে জগতের ব্যালান্স। যে বুঝবে, সে বাঁচবে। আর যে বুঝেও বুঝবে না? সতর্ক হবে না? বাংলাদেশ কিন্তু খুব দূর নয়!
24th  December, 2024
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
একনজরে
বছরের প্রথম সকাল। গোলাপের তোড়া আর উপহারের ডালি সাজিয়ে মোহন বাগান অনুশীলনে হাজির একঝাঁক সমর্থক। শুভাশিস, আলবার্তো, আলড্রেডদের হাতে তা তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁরা। ...

চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের শেষ তিন মাসে কোন রাজ্য বাজার থেকে কত টাকা ঋণ নিতে পারে, তার রুটিন প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে তারা জানাচ্ছে, আগামী মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। ...

যুদ্ধ পরিস্থিতির জের। নতুন বছরে ইউক্রেনের পথ ধরে  ইউরোপের বাজারে আর প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না রাশিয়া। আর এর নেপথ্যে রয়েছে জেলেনস্কির দেশ। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস পরিবহণ সংক্রান্ত চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না তারা। ...

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। গত শুনানিতে শেষ হয় ধৃত সঞ্জয় রায়কে জেরার পর্ব। আজ, বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তায় শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা কোর্টের এজলাসে শুরু হচ্ছে এই মামলার সওয়াল-জবাব। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭ - ব্রিটিশদের কলকাতা দখল
১৮৩৯ - লুই দাগের প্রথম চাঁদের আলোকচিত্র তোলেন
১৮৫৬ - ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯০ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন সৈয়দ আমির আলী 
১৮৯২ - বিশিষ্ট ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী  নীলরতন ধরের জন্ম
১৮৯৬ - শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্রর জন্ম
১৮৯৮ - ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার তথা  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১২ - কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠিত হয়
১৯২০- কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক অ্যাসিমভের জন্ম
১৯৪৪- অভিনেতা শমিত ভঞ্জের জন্ম
১৯৫০- কলকাতায় চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর উদ্বোধন
১৯৫৪ - ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়
১৯৫৯- ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের জন্ম
১৯৬০- রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০ - ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার রমন লাম্বার জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৭ - চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসাবে শপথ নেন রোনাল্ড রেগান
১৯৭২ - বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগির গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত
১৯৭৬- সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি রোদ্রিগেসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৮০ টাকা ৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৬ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.০০ টাকা ৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৪৭/০, রাত্রি ১/৯। শ্রবণা নক্ষত্র ৪২/৫ রাত্রি ১১/১১। সূর্যোদয় ৬/২১/১১, সূর্যাস্ত ৫/০/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/২০ মধ্যে।
১৭ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ২/১৭। শ্রবণানক্ষত্র রাত্রি ১২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালবেলা ২/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৪২ গতে ১/২২ মধ্যে। 
১ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাটনায় মহিলা চরকা সমিতিতে এলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান

10:08:00 PM

আজমীর শরিফ দরগার জন্য চাদর পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:03:00 PM

মহাকুম্ভ মেলা: সেলফি পয়েন্টে ছবি তোলার জন্য ব্যাপক ভিড়

09:56:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:26:00 PM

সিডনি টেস্টে নেই রোহিত শর্মা !
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে দলে থাকছেন না রোহিত ...বিশদ

09:20:26 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-হায়দরাবাদ ০ (৫২ মিনিট)

08:40:00 PM