Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর। 
একুশ শতকে ভারতের উত্তরণের প্রধান স্থপতি ছিলেন অটলজি। সেই কারণে তাঁর প্রতি সদা কৃতজ্ঞ থাকবে আমাদের দেশ। ১৯৯৮ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন আমাদের দেশ রাজনৈতিকভাবে অস্থির এক পর্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। প্রায় ন’বছরের মধ্যে আমরা চারটি লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী হয়েছিলাম। ভারতের জনগণ অধৈর্য এবং সরকারের প্রতি অবিশ্বাসী হয়ে পড়ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে একটি স্থিতিশীল এবং কার্যকর প্রশাসন গড়ে তুলেছিলেন অটলজিই। তিনি ছিলেন নিরহঙ্কারী একজন মানুষ। সাধারণ নাগরিকদের জীবন সংগ্রামকে উপলব্ধি করতে তাঁর দেরি হয়নি। বুঝতে পেরেছিলেন সুশাসনের জন্য চাই ক্ষমতার আমূল সংস্কার।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অটলজির নেতৃত্বের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব আজও আমরা দেখতে পাই। তাঁর শাসনকালে তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিকম এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতির পথে এগিয়েছে ভারত। আমাদের মতো প্রগতিশীল যুব শক্তির আশীর্বাদধন্য দেশের কাছে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রথম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল অটলজির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারই। একইসঙ্গে ভারতের সব প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের দূরদর্শিতা দেখিয়েছিলেন তিনি। আজও অধিকাংশ মানুষ তাঁর সোনালী চতুর্ভুজ প্রকল্পের কথা সগর্বে উল্লেখ করে থাকেন। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে যোগাযোগের বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছিল বাজপেয়ি সরকার। মেট্রোরেলের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে তাঁর সরকার ছিল বিশেষ উদ্যোগী। দিল্লি মেট্রো প্রকল্পের জন্য ব্যাপক কাজও করেছিল, যা আজ একটি বিশ্বমানের পরিকাঠামোয় পরিণত হয়েছে। এভাবে শুধুমাত্র দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকেই ত্বরান্বিত করা হয়নি, দূরবর্তী অঞ্চলগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেশের ঐক্য ও সংহতিকেও মজবুত করেছে বাজপেয়ি সরকার। 
আবার সামাজিক ক্ষেত্রে সর্বশিক্ষা অভিযানের মতো উদ্যোগ নিয়েছিলেন অটলজি। এর মাধ্যমে তিনি এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে দেশের সব মানুষ, বিশেষত গরিব ও প্রান্তিক শ্রেণির কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে আধুনিক শিক্ষার আলো। একইসঙ্গে বহু আর্থিক সংস্কার করেছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সেই পদক্ষেপগুলিই পরবর্তী কয়েক দশকে অচলাবস্থা কাটিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক দর্শনের পথ প্রশস্ত করেছিল। 
অটলজির নেতৃত্ব এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল ১৯৯৮’এর গ্রীষ্মে। এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই, ১১ মে পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল পোখরানে, যা ‘অপারেশন শক্তি’ নামে বিখ্যাত। এই পরীক্ষা ছিল ভারতের বিজ্ঞানীদের দক্ষতার আত্মপ্রকাশ, যা গোটা বিশ্বকে বিস্ময়ে হতবাক করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ পর্যন্ত প্রকাশ করেছিল। সাধারণ কোনও নেতা হলে এই পরিস্থিতিতে গুটিয়ে যেতেন, কিন্তু অটলজি ছিলেন অন্য ধাতুতে গড়া। তারপর কী ঘটে? ভারত একটি দৃঢ় অবস্থান নেয় এবং দু’দিনের মধ্যে, ১৩ মে আরও একটি পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রথমটি যদি বৈজ্ঞানিক দক্ষতার সাক্ষ্য হয়ে থাকে, তবে দ্বিতীয়টি ছিল তাঁর সাহসী নেতৃত্বের প্রদর্শন। গোটা বিশ্বের কাছে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন যে, হুমকি বা চাপের কাছে ভারত নতিস্বীকার করবে, সেই দিন আর নেই। আন্তর্জাতিক অবরোধ সত্ত্বেও বাজপেয়িজির এনডিএ সরকার ছিল নিজেদের অবস্থানে অটল। সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ভারতকে বিশ্ব শান্তির এক শক্তিশালী প্রবক্তা হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। 
ভারতের গণতন্ত্রকে তাঁর মতো ভালো কেউ বুঝতেন না। সেই গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করার প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেছিলেন অটলজি। তাঁর সভাপতিত্বে তৈরি হয়েছিল এনডিএ, যা ভারতের জোট রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও আঞ্চলিক আশা-আকাঙ্ক্ষার শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এনডিএ-কে। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথে সংসদীয় দক্ষতার স্বাক্ষরও রেখে গিয়েছেন তিনি। অটলজি এমন এক দলের নেতা ছিলেন, যাদের সংসদে সদস্য সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। তা সত্ত্বেও সেই সময় প্রবল শক্তিধর কংগ্রেসের মোকাবিলায় তাঁর কথাই ছিল যথেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিরোধীদের সমস্ত সমালোচনা ভোঁতা করে দিতেন নিজস্ব কায়দায়। রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বিরোধী আসনে বসেছেন, কিন্তু কখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি। এমনকী কংগ্রেস তাঁকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিলেও, তিনি নিজে কখনও শালীনতার সীমারেখা অতিক্রম করেননি।
অটলজি কখনও সুবিধাবাদী পথে ক্ষমতা দখল করেননি। ১৯৯৬ সালে ঘোড়া কেনা-বেচার মতো নোংরা পথ অবলম্বন না করে ইস্তফা দেওয়াকেই শ্রেয় মনে করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে মাত্র ১ ভোটে পরাস্ত হয়েছিল তাঁর সরকার। এই অনৈতিক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু, তিনি ছিলেন নিয়মের পথে অবিচল। ঘটনাচক্রে পরবর্তীতে আবার জনতার বিপুল রায় নিয়ে ফিরেছিলেন ক্ষমতায়।
আমাদের সংবিধানের অঙ্গীকার রক্ষার কথা যখন আসে, তখনও অটলজির অবস্থান ছিল সুদৃঢ়। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের শহিদ হওয়ার ঘটনা তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। কয়েক বছর পরে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেন তিনি। জরুরি অবস্থা শেষে, ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে জনতা পার্টির সঙ্গে নিজের দলকে (জনসঙ্ঘ) মিশিয়ে দিতেও সম্মত হন। এই সিদ্ধান্ত তাঁকে এবং অন্যদের যে ব্যথিত করেছিল, সেব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কিন্তু, তাঁর কাছে সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখাই ছিল সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গেও ছিল অটলজির নিবিড় যোগ। কতটা? সেটা এখানে উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন। বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের প্রথম নেতা হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘে হিন্দিতে ভাষণ দেন তিনি। এতেই স্পষ্ট যে, ভারতের ঐতিহ্য ও সত্তা সম্পর্কে তিনি কতটা গর্বিত ছিলেন! বিশ্বমঞ্চে তার ছাপও রেখে গিয়েছেন।
অটলজির ব্যক্তিত্ব ছিল চুম্বকের মতো আকর্ষণীয়। সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর প্রভূত ভালোবাসা। একজন সুলেখক ও কবি হিসেবে প্রেরণা ও ভাবনা-চিন্তার খোরাক জোগাতেন তিনি। তাঁর কবিতার মধ্যে সন্নিহিত ছিল নিজের অন্তরের লড়াইয়ের প্রতিফলন এবং দেশের জন্য আশার বার্তা।
অটলজির মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং তাঁর থেকে শেখার সুযোগ পেয়েছি—আমার মতো ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক কার্যকর্তার কাছেই এটা পরম সৌভাগ্যের। বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। সেই সময় প্রবল প্রভাবশালী কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বুঝিয়ে দেয় যে অটলজির মহত্ব! এল কে আদবানিজি, ডঃ মুরলী মনোহর যোশিজির মতো নেতাদের সঙ্গে তিনিও গোড়া থেকে দলকে লালনপালন করেছিলেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, উত্থান-পতনের সময় পথ দেখিয়েছিলেন। যখনই আদর্শ এবং ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তিনি বরাবর প্রথমটিকেই বেছে নিয়েছেন। কংগ্রেসের বিকল্প যে সম্ভব, দেশবাসীকে সেকথা বোঝাতেও পেরেছিলেন। 
আসুন, এই ১০০তম জয়ন্তীতে আমরা অটলজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হই। ভারতের প্রতি তাঁর ভাবনা-চিন্তার বাস্তবায়নে নিজেদের উৎসর্গ করি। সেই 
ভারত গড়ার চেষ্টা করি, যেখানে সুশাসন, ঐক্য ও অগ্রগতির নীতি প্রাধান্য পাবে। আমাদের দেশের প্রভূত সম্ভাবনা নিয়ে অটলজির অবিচল বিশ্বাস আমাদের আরও উচ্চতায় পৌঁছতে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে প্রেরণা জোগাবে।
25th  December, 2024
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
একনজরে
বংশীহারির হরিপুর হাই মাদ্রাসার ৩.২০ শতক জমি অবৈধভাবে হস্তান্তরের অভিযোগ করল কর্তৃপক্ষ। সরকার পোষিত হাই মাদ্রাসার জমি অবৈধভাবে বিক্রি ও রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় হইচই জেলাজুড়ে। ...

চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের শেষ তিন মাসে কোন রাজ্য বাজার থেকে কত টাকা ঋণ নিতে পারে, তার রুটিন প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে তারা জানাচ্ছে, আগামী মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। ...

যুদ্ধ পরিস্থিতির জের। নতুন বছরে ইউক্রেনের পথ ধরে  ইউরোপের বাজারে আর প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না রাশিয়া। আর এর নেপথ্যে রয়েছে জেলেনস্কির দেশ। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস পরিবহণ সংক্রান্ত চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না তারা। ...

বছরের প্রথম সকাল। গোলাপের তোড়া আর উপহারের ডালি সাজিয়ে মোহন বাগান অনুশীলনে হাজির একঝাঁক সমর্থক। শুভাশিস, আলবার্তো, আলড্রেডদের হাতে তা তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭ - ব্রিটিশদের কলকাতা দখল
১৮৩৯ - লুই দাগের প্রথম চাঁদের আলোকচিত্র তোলেন
১৮৫৬ - ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯০ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন সৈয়দ আমির আলী 
১৮৯২ - বিশিষ্ট ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী  নীলরতন ধরের জন্ম
১৮৯৬ - শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্রর জন্ম
১৮৯৮ - ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার তথা  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১২ - কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠিত হয়
১৯২০- কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক অ্যাসিমভের জন্ম
১৯৪৪- অভিনেতা শমিত ভঞ্জের জন্ম
১৯৫০- কলকাতায় চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর উদ্বোধন
১৯৫৪ - ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়
১৯৫৯- ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের জন্ম
১৯৬০- রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০ - ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার রমন লাম্বার জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৭ - চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসাবে শপথ নেন রোনাল্ড রেগান
১৯৭২ - বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগির গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত
১৯৭৬- সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি রোদ্রিগেসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৮০ টাকা ৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৬ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.০০ টাকা ৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৪৭/০, রাত্রি ১/৯। শ্রবণা নক্ষত্র ৪২/৫ রাত্রি ১১/১১। সূর্যোদয় ৬/২১/১১, সূর্যাস্ত ৫/০/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/২০ মধ্যে।
১৭ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ২/১৭। শ্রবণানক্ষত্র রাত্রি ১২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালবেলা ২/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৪২ গতে ১/২২ মধ্যে। 
১ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাটনায় মহিলা চরকা সমিতিতে এলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান

10:08:00 PM

আজমীর শরিফ দরগার জন্য চাদর পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:03:00 PM

মহাকুম্ভ মেলা: সেলফি পয়েন্টে ছবি তোলার জন্য ব্যাপক ভিড়

09:56:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:26:00 PM

সিডনি টেস্টে নেই রোহিত শর্মা !
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে দলে থাকছেন না রোহিত ...বিশদ

09:20:26 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-হায়দরাবাদ ০ (৫২ মিনিট)

08:40:00 PM