Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সেই অচলায়তন দেখার জন্যই তৈরি হোন
পি চিদম্বরম

সংসদে অধিবেশনের প্রথম সাধারণ দিনগুলিতেই পরিষ্কার হয়েছে যে আমার সন্দেহ অমূলক ছিল না। যতদূর দেখা গেল, নরেন্দ্র মোদির সরকারের দৃশ্যত কোনও পরিবর্তন হয়নি।  যে সিগন্যাল (পড়ুন: ‘মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদলায়নি’, ‘বর্তমান’, ১ জুলাই, ২০২৪) খালি চোখে দেখা যাচ্ছ তার কথা আলাদাভাবে বলার কিছু নেই। এর বাইরে, এটা পরিষ্কার যে প্রাক-নির্বাচন কালের দাবি, অহমিকা, পলিসি, প্রোগ্রাম, স্টাইল, অ্যাটিচুড, প্রতিহিংসার মানসিকতা প্রভৃতি রক্ষা করার ব্যাপারে মোদিজি অনড় মনোভাব নিয়েই চলবেন। সগুলিরই পুনরাবৃত্তি দেখতে পাব আমরা। যথাপূর্বই চলবে তাঁর সরকার। 
পরিতাপের বিষয় এটাও যে, মোদির স্বৈরাচার সংসদের উভয় কক্ষেও দাপাবে বলেই মনে হচ্ছে। সংসদের দুটি কক্ষ ‘ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়াই রীতি, সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন সেখানে চলার কথা নয়।  আমরা কি মধ্যাহ্নভোজের বিরতি না নিয়ে আজ অধিবেশনের কাজ চালিয়ে যাব? এরকম একটি মামুলি প্রশ্নের মীমাংসা প্রিসাইডিং অফিসার বা হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠের মর্জিমাফিক নয়, সর্বসম্মতির ভিত্তিতেই হওয়া দরকার। দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, তা সত্ত্বেও, দুই প্রিসাইডিং অফিসার কয়েকশো সদস্যের সমর্থিত একটি মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (এনটিএ) ঘিরে দেশজুড়ে যে একটি মেগা-স্ক্যান্ডাল ঘটে গিয়েছে তার উপর জরুরি আলোচনা করার জন্য। সংসদে অধিবেশনের সূচনা পর্বের এই নজির গত পাঁচবছরের ইতিবৃত্ত মনে করাচ্ছে। ব্যাপারটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
মোদিজির মতলব
পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম বিতর্ক এবং সংসদের বাইরে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি থেকে সরকারের অভিপ্রায় ও সম্ভাব্য নির্দেশাবলি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কী সেগুলি? দেশ এবারও একজন ব্যক্তিরই হুকুমে চলবে। সেখানে টিডিপি ও জেডিইউ’য়ের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ শরিক এবং অন্যান্য ছোট ‘বন্ধু’ দলের বিশেষ কোনও ভূমিকা থাকবে না, তারা ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে কেবল আমোদ প্রকাশ করবে। এমনকী, মোদিজি তাঁর নিজের মন্ত্রীদের এবং সংসদে দুই কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদেরও কোনও ‘স্পেস’ দেবেন না। সরকার তার কোনও ভুল স্বীকার করবে না। এই জমানার যাবতীয় ত্রুটি-ব্যর্থতার দায় জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে অতীতের কেন্দ্রীয় সরকারগুলির ঘাড়ে চাপিয়ে হাত ধুয়ে ফেলবেন মোদি! একইসঙ্গে, বিজেপির মুখপাত্ররাও আগের মতোই আক্রমণাত্মক এবং অসহ্য হয়ে উঠবেন। টাকার বিনিময়ে ট্রোলের কারবার আরও জোরদার হতে থাকবে, হয়তো তার জন্য খরচাপাতি একটু বেশিই হতে পারে এবার। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে থামানো হবে না, তার পরিবর্তে সরকারের মতলবি হুকুম তালিম করার ব্যবস্থাই জারি থাকবে।
এটাই পরিষ্কার হচ্ছে যে, ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ২৪০ আসনে বিজেপি এবং কুড়িয়ে-বাড়িয়ে এনডিএর ২৯২ জন এমপি সংগ্রহের বাস্তব নরেন্দ্র মোদিকে মোটেই দমাতে পারেনি। সাংসদদের কী হবে? এমন একটি উপসংহারে পৌঁছনোর জন্য চারটি দিন অবশ্য খুবই কম সময়। তবে প্রাথমিক ইঙ্গিত যা দেওয়ার তা মোদিজি দিয়ে দিয়েছেন! 
•মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ডের বিজেপি তথা এনডিএ সাংসদরা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। কারণ ওই তিন রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে এবং আসন্ন ভোটে গেরুয়া শিবিরের কেঁচে গণ্ডূষ হওয়ার দশাই আশঙ্কা করছেন  তাঁরা। মহারাষ্ট্রে ‘মহাযুতি’ সরকারের ধীরে ধীরে ভিতর থেকে ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়েছে। অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের রেজাল্টে হরিয়ানায় কংগ্রেস এবং বিজেপি একেবারে সমান-সমান হয়ে গিয়েছে—দু’পক্ষেই আসন সংগ্রহের সংখ্যা হয়েছে ৫টি করে। এরপর আসা যাক, ঝাড়খণ্ড প্রসঙ্গে। সেখানকার হাইকোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে জামিন পেয়ে গিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। সব মিলিয়ে উপর্যুক্ত তিন রাজ্যে ‘ইন্ডিয়া’র পালেই এখন নতুন হাওয়া। 
•এনডিএ বা বিজেপি লোকসভার ভোটে একযোগে ধাক্কা খেয়েছে—পাঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলিতে। ওদের কপাল 
ভালো যে, ওই রাজ্যগুলিতে শিগগির বিধানসভার নির্বাচন নেই। 
•এবারের সাধারণ নির্বাচনে কেরল এবং তামিলনাড়ুতেও বিজেপি তথা এনডিএ ধরাশায়ী হয়েছে।
•দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অসম, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং গুজরাতে এনডিএ তথা বিজেপি সাংসদদের মুখের হাসি চওড়া দেখাচ্ছে। কিন্তু ওইসব জায়গায় এনডিএ-ভুক্ত দলগুলি তাদের ‘জোট’ তকমা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে। সেখানে জোটের আয়ুর দীর্ঘতা নিয়েও সংশয়ে তারা।
আরোহণের পর্বত
বিজেপি জানে, দল হিসেবে নিজেকে ‘নিরাপদ’ করে ফেলার  আগে, আরোহণের মতো একটি পর্বত তার আছে।  একইভাবে, কংগ্রেসেরও একটি পর্বত রয়েছে আরোহণের উপযোগী, তবে কংগ্রেসের পর্বতটাই বেশি বড়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে পারি যে, কংগ্রেস নয়টি রাজ্যে কনটেস্ট করে ৯৯+২ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে, মোট ১৭০টি লোকসভার আসন রয়েছে এমন নয়টি রাজ্য থেকে কংগ্রেসের সংগ্রহ মাত্র চারজন এমপি। এছাড়া দেশজুড়ে ২১৫টি আসনে কংগ্রেস নিজের প্রার্থী না দিয়ে সেগুলি জোটসঙ্গীদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিল। কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোট একটি শক্তিশালী বিরোধী শক্তি গড়ে তুলতে পেরেছে, তবে সরকার ফেলে দেওয়ার মতো পজিশনে তারা নেই।  
এই রাজত্বের চাবিকাঠিগুলি টিডিপি (১৬ এমপি) এবং জেডিইউ (১২ এমপি)-এর হাতে। মওকার অপেক্ষায় এই দুই শরিকই আপাতত কালক্ষেপ করে যাবে।  উভয়ের নজর আসন্ন বাজেটের দিকে। তারা নিজ নিজ রাজ্যের জন্য ‘স্পেশাল ক্যাটিগরি’ স্টেটাসের দাবিতে অনড় থাকবে, কিন্তু মোদিজি তা ওদের দেবেন না। দুটি দলই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবে। আমরা জানি, ওই নির্বাচন মাসকয়েকের মধ্যেই। 
নীতি বিষয়ক অনুমান
অর্থনৈতিক নীতির জন্য, অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলতে কী বোঝায়? ভুল হওয়ার ঝুঁকি সত্ত্বেও আমি একাধিক অনুমান করতে পারি:
১. সরকার অস্বীকারের মেজাজে থাকবে। তার অস্বীকারের তালিকায় থাকবে—ব্যাপক বেকারত্ব, শ্রমজীবী নাগরিকের ব্যবহার্য পণ্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতি (বিশেষ করে খাদ্যসামগ্রী), ‘নন-রেগুলার’ এবং ‘ক্যাজুয়াল’ শ্রমিকদের মজুরি বা আয় বৃদ্ধি থমকে যাওয়া, জনসংখ্যার নীচের দিকের ২০ শতাংশের মধ্যে অনড় দারিদ্র্য এবং চরম বৈষম্য। স্বভাবতই, বর্তমান অর্থনৈতিক নীতির আমূল পরিবর্তন বা পুনর্নির্ধারণ হবে না। 
২. সরকার পরিকাঠামো এবং দেখনদারি প্রকল্পগুলিতেই বিনিয়োগ চালিয়ে যাবে।  পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় থেকে অর্থনৈতিক ফায়দা মিলবে ঠিকই, কিন্তু সেখানেই বেসরকারি বিনিয়োগ না-আসায় বৃদ্ধির হার আহামরি কিছু হবে না, যা হবে তা নিতান্তই মাঝারি মাপের। আশঙ্কা হয় যে, তখন মুখরক্ষার জন্য সন্দেহজনক পরিসংখ্যানের সাহায্যে ব্যাপারটাকে ‘স্বাস্থ্যকর’ হিসেবে দেখানো হতে পারে।   
৩. ভারত সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার বহু চর্চিত বৃদ্ধির ‘চাইবোল’ মডেল অনুসরণ করতে থাকবে। ‘কি সেক্টগুলিতে’ রাজ করবে ব্যবসার ‘মনোপলি’ এবং ‘ওলিগোপলি’ সিস্টেম। ফলে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি মাপের শিল্প-ব্যবসা বা এমএসএমই পড়বে দুর্দশায়। নতুন কাজ বা চাকরির সুযোগ তেমন একটা বাড়বে না। প্রতিবছর চাকরির বাজারে অল্প লেখপড়া জানা এবং অদক্ষ যে লক্ষ লক্ষ যুবক যুবক-যুবতী ভিড় করবেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সবচেয়ে বেশি। 
৪. শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি ও বনসৃজন, বিজ্ঞান এবং গবেষণা ও উন্নয়নের (আর-অ্যান্ড-ডি) মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে আমূল পরিবর্তন আসা জরুরি। একজন বৃদ্ধ নেতার নেতৃত্বে চলছে দেশে তৃতীয় দফার একটি সরকার। উপর্যুক্ত ক্ষেত্রগুলির প্রতিভাদের আকৃষ্ট এবং অনুপ্রাণিত করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। 
নরেন্দ্র মোদি তাঁর বিশ্বাসেই অনড়। সংসদে তাঁর প্রদত্ত ভাষণেও মিলেছে একই ‘প্রতিশ্রুতি’। সুতরাং, সেই অচলায়তন দেখে যাওয়ার জন্যই প্রস্তুত হই আমরা। 
•লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
08th  July, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
একনজরে
পটাশপুর থানার দক্ষিণ খাড় গ্রামে টেবিলফ্যান চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম ষষ্ঠী দাস অধিকারী(৪৫)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ...

কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ভারতের নেতৃত্বের ব্যাটন রোহিত শর্মার থেকে এসেছে সূর্যকুমার যাদবের হাতে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজেও তিনিই অধিনায়ক। আত্মবিশ্বাসী সূর্য বলেছেন, ‘নতুন ...

শুক্রবার রাত থেকে ব্যাপক গঙ্গা ভাঙন গোপালপুরের কামালতিপুরে। শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো মিটার জমি তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। মাসখানেকের বেশি সময় পর সবেমাত্র বন্যার জল ...

লেবাননের দক্ষিণ বেইরুটে ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার উত্তরসূরি হাশেম সফিউদ্দিন। শনিবার বিভিন্ন রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। এখন পর্যন্ত এবিষয় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০২ - ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন হয়
১৭৬৯ - ক্যাপটেন কুক নিউজিল্যান্ডে পদার্পণ করেন
১৮৬০ - ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনে পরিণত হয়। তবে এর কার্যকারিতা শুরু হয় ১ জানুয়ারি ১৮৬২ সালে
১৮৮৯- মার্কিন আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন প্রথম মোশন পিকচার প্রদর্শন করেন
১৮৯৩-জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার জন্ম
১৯৩০ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার রিচি বেনোর জন্ম
১৯৩৩ - কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তর জন্ম
১৮৪৪- বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জিতান রাম মাঝির জন্মদিন
১৯৪৬- অধুনা পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা, প্রযোজক ও রাজনীতিক বিনোদ খান্না
১৯৪৬ -ইংরেজ ক্রিকেটার ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার টনি গ্রেগের জন্ম
১৯৫৬- প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা রাজনীতিবিদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন
১৯৬৩- অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রের জন্মদিন
১৯৭৬-পরপর দু’টি বিস্ফোরণে আটলান্টিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ে কিউবার বিমান। মারা যান ৭৩ জন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৫০ টাকা ১১২.০৬ টাকা
ইউরো ৯১.০৪ টাকা ৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া ৫/৪৩, দিবা ৭/৫০। বিশাখা নক্ষত্র ৪৬/৩৫, রাত্রি ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/৩৩/২২, সূর্যাস্ত ৫/১৬/১৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ১/২৭ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৪৪ গতে ৪/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১২/৫৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/২৯ মধ্যে।  
১৯ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪। চতুর্থী অহোরাত্র। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১০/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৯ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/২৮ মধ্যে  ২/১৯ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৪/১২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট দুর্নীতি মামলা: পাটনা আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই

05-10-2024 - 10:31:00 PM

মহিলা টি-২০  বিশ্বকাপ: বাংলাদেশকে ২১ রানে হারাল ইংল্যান্ড

05-10-2024 - 10:30:00 PM

ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

05-10-2024 - 09:48:00 PM

জম্মুর ঘোরটায় বিস্ফোরক উদ্ধার, তদন্তে পুলিস

05-10-2024 - 09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

05-10-2024 - 09:29:00 PM

মাছ ধরতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু রানাঘাটের ৮৪ বছরের বৃদ্ধের

05-10-2024 - 09:19:00 PM