গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
খাঁটি হরি-সংকীর্তনে প্রেমের বিচ্ছুরণ ঘটে। সংকীর্তনের তীব্র আকর্ষণ। এই আকর্ষণ নিজে আস্বাদন করাবার জন্য ও বৈষ্ণব সমাজের নেতৃস্থানীয় গোস্বামীদের সামনে প্রদর্শন করবার জন্য শ্রীরামকৃষ্ণ সাতদিনব্যাপী এক বিচিত্র হরিসংকীর্তনের নেতৃত্ব দান করেন। পুঁথিকার লিখেছেন, ‘হেন কীর্তনের কথা কোথাও না শুনি।/মহাসংকীর্তন নামে ইহারে বাখানি।’ ফুলুই শ্যামবাজারে নটবর গোস্বামীর আমন্ত্রণে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণকে কীর্তনানন্দ দান করবার জন্য নটবর রামজীবনপুরের প্রসিদ্ধ কীর্তনীয়া ধনঞ্জয় দে ও কৃষ্ণগঞ্জের খোলবাদক রাইচরণ দাসকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এলেন। রাইচরণের খোলবাজনা আরম্ভ হতেই শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবাবিষ্ট হন, কীর্তন শুরু হতেই তিনি ভাবতরঙ্গে আসতে থাকেন। তাঁকে কেন্দ্র করে চারিদিকে বসে যায় আনন্দের হাট। পরবর্তীকালে তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন, ‘ওদেশে যখন হৃদের বাড়িতে ছিলাম, তখন শ্যামবাজারে নিয়ে গেল। বুঝলাম গৌরাঙ্গ-ভক্ত। গাঁয়ে ঢোকবার আগে দেখিয়ে দিলে। দেখলাম গৌরাঙ্গ। এমনি আকর্ষণ—সাতদিন সাতরাত লোকের ভীড়! কেবল কীর্তন আর নৃত্য। পাঁচিলে লোক। গাছে লোক।
‘নটবর গোস্বামীর বাড়ীতে ছিলাম। সেখানে রাতদিন লোকের ভীড়। আমি আবার পালিয়ে গিয়ে এক তাঁতীর ঘরে সকালে গিয়ে বসতাম। সেখানে আবার দেখি, খানিক পরে সব গিয়েছে। সব খোল করতাল নিয়ে গেছে।